Connect with us

Highlights

২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক হ্যাক যেভাবে হয়

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
দিনটি ছিল ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সাধারন প্রিন্টার হুট করে কাজ করা বন্ধ করে দিল। কি সমস্যা হচ্ছিল সে ব্যাপারে নিয়োজিত কর্মীদের কাছে দ্রুত জানতে চাওয়া হলো এবং সমস্যাটিকে তাড়াতাড়ি নিরাময় করার ব্যাপারে বলা হল।

তবে প্রিন্টারটির কাজ বন্ধ করে দেওয়া একটি সেনসিটিভ ইস্যু ছিল। কারণ এটি সরাসরি ব্যাংকের মেইন সফটওয়্যার এর সাথে লিংক করা ছিল। যেটি মূলত সারাদিনের বাসে ট্রানসেকশন এবং ট্রানস্যাকশন হিস্টরি প্রিন্ট করত। তার পাশাপাশি একটি ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করে রাখত কম্পিউটারটি।

তবে হঠাৎ করেই প্রিন্টারে এমন গোলযোগ দেখা দেওয়ার কারণে দ্রুত প্রিন্টারটি মেরামত করার জন্য লোক নিয়োগ করা হলো। তারা প্রথমেই গিয়ে বেশ বড় অংকের ৩৬ টি মানি ট্রানজেকশন লক্ষ করল। যেগুলো কিনা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকের একাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছিল।

কিন্তু কারা এমনটা করেছে সে ব্যাপারে সঠিক ভাবে কিছু জানা যাচ্ছিল না। তৎকালীন বাংলাদেশ ব্যাংকের ম্যানেজার হিসাব করে দেখলেন ট্রানজেকশন হবা টাকার পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় ১ বিলিয়ন ডলারে। যেটি ছিল মধ্যম আয়ের বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের জমানো টাকার একটি বড় অংশ।

কারা ছিল এত বড় ব্যাংক ডাকাতির পেছনে এবং কিভাবেই বা তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের এত কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ভেদ করে ব্যাংক ডাকাতি করেছিল মূলত সেই সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এত বড় ঘটনা ঘটেছিল ঠিকই। তবে এর সূত্রপাত হয়েছিল সেদিনের ৮-৯ মাস পূর্বে। বাংলাদেশ থেকে প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার দূরে ফিলিপিনস দ্বীপপুঞ্জে আর সি বি সি ব্যাংকের একটি শাখায় চারটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়। যার মধ্যে শুধুমাত্র তারা ৫০০ ডলার জমা রাখে। এরপর তারা সেখান থেকে প্রস্থান করে। এবং পরবর্তীতে তাদের সাথে আর কখনো কারো সাক্ষাৎকার হয়নি। এ তো গেল ফিলিপিনস এর ঘটনা।

এবার ফিরে আসা যাক বাংলাদেশে।

২০১০ সালের পর থেকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সূচকে ধীরে ধীরে উন্নতি করতে শুরু করে। এবং এক পর্যায়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিক দিয়ে সকলের নজর কাড়ে। যে নজর রীতিমতো কাল হয়ে দাঁড়ায় ২০১৬ সালে। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কে জমা রাখা ছিল বাংলাদেশের জনগণের করের একটি বড় অংশ।

২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে অর্থাৎ ঘটনাটি ঘটার এক মাস আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসিয়াল ইমেইল এড্রেসে একটি ইমেইল পাঠানো হয়। যেটি ছিল একটি অদ্ভুত লিংক সম্পন্ন। মনের অজান্তেই বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মী সেই ইমেইলটি ওপেন করেন। এবং লিঙ্কটিতে ক্লিক করেন। লিংকটিতে ক্লিক করার পর তিনি সেখানে বিশেষ কিছু খুঁজে পান না। কিন্তু সে কর্মী জানতো না একমাস পর তার সেই ভুলের খেসারত কি পরিমাণে দিতে হবে।

কারণ সেই ইমেইলটি ওপেন করার পর একটি সফটওয়্যার আপনা আপনি সমগ্র ব্যাংকের নেটওয়ার্ক এডজাস্টার কম্পিউটারে ইনস্টল হয়ে যায়। যেটি মূলত পাঠিয়েছিল হ্যাকাররা। সফটওয়্যার টি ইন্সটল হয়ে যাবার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল যাবতীয় তথ্য গুলো আপনা-আপনি হ্যাকারদের হাতে হস্তান্তরিত হয়।

ঘটনাটি ঘটার তিন দিন পূর্বে হ্যাকাররা তাদের মূল কার্যক্রম চালাতে শুরু করে। দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। অর্থাৎ সপ্তাহের শেষ দিন। হ্যাকারদের জানা ছিল অন্য মুসলিম কান্ট্রির গুলোর মতো বাংলাদেশেও এই দিন গুলোতে ছুটি থাকবে। তবে কাজটা তেমন সহজ ছিল না। সুইফট ইন্টারন্যাশনাল মানি ট্রানজেকশন এর অন্যতম নির্ভরযোগ্য সংস্থা। এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতই কঠোর যেটা ভাঙ্গা অসম্ভব বললেই চলে।

সে কারণে একজন হ্যাকার চাইলেই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তার নিজের একাউন্টের মাধ্যমে সরাসরি টাকা লেনদেন করতে পারত না। কারণ সেখানে বাধা সেজে দাঁড়াতো সুইফট। এবং সে কারণে হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল কম্পিউটারটিকে হ্যাক করে নেয়। যাতে পরবর্তীতে মানি ট্রান্সফারের সময় সুইফট এর কাছে ধরাশায়ী না হতে হয়।

সেদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় 35 টির বেশী বিরাট অংকের মানে ট্রানজেকশন করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ফেডারেল ব্যাংক এ যার পরিমাণ দাঁড়ায় সবমিলিয়ে ৯৫০ মিলিয়ন বা অলমোস্ট 1 বিলিয়ন।

তবে কেন ফেডারেল ব্যাংক কে বেছে নেওয়া হলো?

কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব একটি একাউন্ট ছিল নিউইয়র্কের ফেডারেল ব্যাংকে। তারা এ কাজটি সম্পন্ন করে মাত্র ১ ঘন্টায়। পরের দিন সকালবেলা নিউমার্কেট ফেডারেল ব্যাংক বাংলাদেশের সেই বিরাট অংকের মানি ট্রানস্যাকশন গুলোকে প্রসেস করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

এবার আবার ফিরে আসা যাক বাংলাদেশ।

সে প্রিন্টারটির কাছে প্রিন্টার টি ঠিকঠাক মত কাজ করছিল না। পরবর্তীতে জানা যায় সে প্রিন্টারটি অকেজো করে দেওয়া হয় হ্যাকারদের দ্বারা। যাতে প্রিন্টারটি দ্বারা হ্যাকারদের সম্পর্কে কোন ডকুমেন্ট প্রিন্ট না হয়। পরের দিন সকাল বেলা জানা গেল নিউইয়র্কের ফেডারেল ব্যাংক থেকে শালিকা ফাউন্ডেশনে প্রায় ২০ কোটি টাকা গিয়ে জমা হয়েছে। এটা কেবল শুরু ছিল মাত্র।

ব্যাপারটি তৎক্ষণাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে আসে। এবং বিস্তারিত জানতে চাওয়ার জন্য তাদের কাছে একটি এপ্লিকেশন করা হয়। তবে ছুটির দিন থাকার কারণে সেই সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ট্রানজেকশন হবার সময় এমনভাবে কোডিং কি করা হয়েছিল যেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একাউন্টে পৌঁছনোর পর পর নির্দিষ্ট ব্যক্তির ইন্ডিভিজুয়াল অ্যাকাউন্ট এ সেগুলোকে ট্রান্সফার করার জন্য বলা হয়। তবে সেটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে সন্দেহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যার জন্য ট্রানস্যাকশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারন একটি ব্যাংক কখনোই কোনো ইন্ডিভিজুয়াল অ্যাকাউন্ট যে এত কোটি টাকা পাঠাতে পারে না। সে কারণে নিউইয়র্কের ফেডারেল ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে ব্যাপারটি নিয়ে খতিয়ে দেখবে বলে জানানো হয়। ফলে শালিকা ফাউন্ডেশন সহ আরো চারটি ট্রানজেকশন ব্যতীত সকল ট্রানজেকশন বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সব কার্যক্রম এখানেই থেমে যায়। তবে শালিকা ফাউন্ডেশনের সে টাকা গুলো গিয়ে কোথায় জমা হল?

পরবর্তীতে জানা যায়, শালিকা ফাউন্ডেশনের সেই টাকাগুলো গিয়ে জমা হয় ফিলিপিন্সের সেই চারটি ইন্ডিভিজুয়াল ব্যাংক একাউন্টে। তবে হুট করে এত এমাউন্টের টাকা আরসিপিসি ব্যাংকে গিয়ে জমা হবার ঘটনাটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের চোখেও পড়ে। কিন্তু তারা ব্যাপারটিকে ততটা গুরুত্ব দেয়নি এবং অবজ্ঞার সাথে উড়িয়ে দেয়। অতঃপর সেখান থেকে টাকা গুলো বিভিন্ন ক্যাসিনোতে চলে যায়। পরবর্তীতে সেগুলোও ইলেকট্রিক মানি ট্রানজেকশন এর মাধ্যমে অন্য কোথাও হস্তান্তর হয়ে যায়। এত ঘটনার পেছনে কারা ছিল প্রায় ধরতে গেলে প্রায় অসম্ভব। কারণ একটি বড় অঙ্কের টাকা খণ্ড খণ্ড ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল।

অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে আরসিবিসি ব্যাংকের নিকট মানি ট্রানজেকশন বন্ধ করার একটি নোটিশ পাঠিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তা দেখতে দেরি করে ফেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। কারণ সোমবার দিনটি ছিল চাইনিজ নিউ ইয়ার। হ্যাকাররা একদম নিখুঁত ভাবে ছক কষে সব কার্যকলাপ পরিচালনা করে। যাতে তাদের কাজের মধ্য বিন্দুমাত্র কোন ভুল না থাকে। একদম দিন-তারিখ কোষে পরিকল্পনাটি করা হয়।

এখন ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, সেই চারটি অ্যাকাউন্ট খুলে ছিল ডিং এবং গাও নামের দুইজন ব্যাংক কর্মকর্তা। ইনভেস্টিগেশন এর জন্য তাদেরকে ধরতে গিয়ে দেরি হয়ে যায়। কারণ ইতিমধ্যে তারা চীনের স্পেশাল রিজিওনাল শহর ম্যাকাও তে চলে যায়। সুতরাং সেখানে তাদের নাগাল পাওয়া ছিল প্রায় অসম্ভব এবং সে কারণে এই ব্যাংক চুরিটি ইতিহাসের পাতায় অন্যতম বড় এমাউন্টের ভার্চুয়াল ডাকাতি হয়ে দাঁড়ায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রিন্টার থেকে সকল তথ্য মুছে দেওয়া হলেও সাইবার এক্সপার্টরা কিছু তথ্য খুঁজে বের করেন। জানতে পারা যায়, এই হ্যাকার কমিউনিটি দেশের বিভিন্ন ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন থেকে টাকা লোপাট করে। তবে তাদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ। কারণ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি চোখে ধরে গিয়েছিল হ্যাকারদের। এই হ্যাকার কমিউনিটিকে লাজারাস বলে নামকরণ করা হয়েছিল। যারা সারা পৃথিবীতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে জানতে পারা যায় সেই হ্যাকার কমিউনিটিকে তাদের কার্যক্রম চালানোর পর একবার হলেও উত্তর কোরিয়ার আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করেছে এবং কম্পিউটারে কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ পাওয়া গিয়েছে প্রথম দিকে। সাইবার এক্সপার্টরা মনে করেছিল তদন্তকে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নর্থকোরিয়াকে ব্যবহার করা হয়েছে।

তবে পরবর্তীতে সকলেই বুঝতে পারে ব্যাপারটির সাথে নর্থ করিয়া পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল। কারণ ব্যাংক লোপাটের ঘটনা নর্থ কোরিয়ার মাধ্যমে এর পূর্বেও ঘটেছে। তাদের ক্রাইম হিস্ট্রি ঘাটলে ব্যাপার গুলো বেরিয়ে আসে।

এবং এ কাজের জন্য নর্থ কোরিয়া চায়নাকে একটি বড়সড় গেজেট হিসেবে ব্যবহার করে। জে দুই ব্যাংক কর্মকর্তা ম্যাকাওতে অবস্থান করছে তাদের জন্য মানি ট্রানজেকশন করাটা কোনো ব্যাপার ছিল না। কারণ অধিকাংশ সময় নর্থ কোরিয়া চীনের ব্যাংক কর্মকর্তাদের মিডল ম্যান হিসেবে ব্যবহার করে। যার ফলে বর্তমানে নর্থ কোরিয়ার কোষাগার এবং অস্ত্র ভান্ডার ফুলেফেঁপে উঠছে দিনকে দিন। সুতরাং এখন সরাসরি একনায়কতন্ত্রের দেশ নর্থ কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে দায়ী করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।

অথচ হিস্টরি ঘাটলে জানা যাবে, যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এত বড় কারচুপি করা হয়েছে সে বাংলাদেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে নর্থ কোরিয়া এখনো ১০০ কোটি টাকা ঋণি, যে টাকার হদিস এখনো বাংলাদেশকে দিতে পারেনি নর্থ কোরিয়া। সূত্র : টেকজুম.টিভি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

যেভাবে বন্ধ করবেন স্মার্টফোনের বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন

Published

on

স্মার্টফোনে সাধারণত কোনো অ্যাপে বা ওয়েবসাইটে প্রবেশের জন্য বিভিন্ন ধরনের অনুমতি দিতে হয়। এই সুযোগকেই কাজে লাগায় বেশ কিছু থার্ড পার্টি অ্যাপ। বিজ্ঞাপনের যন্ত্রণায় মোবাইল ফোনের স্বাভাবিক কাজেরও ক্ষতি হয়। এছাড়া ফোনের মেমোরি ও ক্যাশ ভরে যাওয়া এবং নিরাপত্তাজনিত সমস্যা তো রয়েছেই, পাশাপাশি কখনো কখনো বেশ কিছু আপত্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্য অনেকের সামনে পড়তে হয় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে।

স্মার্টফোনের ব্র্যান্ড ও মডেলভেদে এই বিজ্ঞাপন বন্ধের প্রক্রিয়ায় কিছুটা ভিন্নতা থাকতে পারে। তবে, সাধারণ কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করেই এই যন্ত্রণা থেকে চিরমুক্তি পাওয়া সম্ভব। এজন্য প্রথমে মোবাইল ফোনের সেটিংসে প্রবেশ করতে হবে। সেখান থেকে গুগলে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে > অ্যাডস < অপশনটি বাছাই করতে হবে।

গুগলের অ্যাডস অপশন থেকে > পারসোনালাইজড < নামের অপশনে ক্লিক করতে হবে। সেখানে > ইউর অ্যাডভারটাইজিং আইডি < নামে আরেকটি অপশন রয়েছে, সেটি রিসেট করে ফেলতে হবে। এতে ‘অ্যাডভারটাইজিং আইডি’ পরিবর্তন হয়ে যাবে, ফলে আর বিজ্ঞাপন বা অনাকাঙ্ক্ষিত পপ-আপ দেখতে হবে না।

এছাড়া আরও একটি পদ্ধতি রয়েছে। মোবাইল ফোনের সেটিংসে > কানেকশন অ্যান্ড শেয়ারিং < অপশন থেকে > প্রাইভেট ডিএনএস < অপশনে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে আরও অনেক অপশনের মধ্যে > প্রাইভেট ডিএনএস প্রোভাইডার হটসনেম < ক্লিক করতে হবে। সেখানে dns.adguard.com লিখে সেভ করতে হবে। তাহলেই অযাচিত বিজ্ঞাপন থেকে মিলবে মুক্তি।

তাছাড়া ফোনের ব্রাউজার থেকেও এই বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন বন্ধ করা যায়। এ জন্য প্রথমে ফোনের ‘ক্রোম’ ব্রাউজারে গিয়ে > মাই অ্যাকটিভিটি < নামের সাইটে ঢুকতে হবে। এরপর > ওয়েলকাম টু মাই অ্যাকটিভিটি < তে ঢুকতে হবে। স্ক্রিনের বাম পাশের উপরে থ্রি ডট চিহ্নে ক্লিক করতে হবে।

সেখানে > অ্যাকটিভিটি কন্ট্রোল < নামের অপশন দেখা যাবে। সেখানে ঢোকার পরে > অ্যাডস < অপশনে গিয়ে > অ্যাডস পারসোনালাইজেশন ইজ অন < অপশনটাকে ‘অফ’ করে দিতে হবে।

এরপর উপরে ডানপাশে থ্রি ডটের মেন্যুতে চাপ দিয়ে সেটিংসে গিয়ে > সাইড সেটিংস < নামে একটি অপশন ক্লিক করতে হবে। এটিতে ঢোকার পরে > কুকিজ < এ গিয়ে > ব্লক থার্ড পার্টি কুকিজ < অন করে দিলেই ব্রাউজারে বিজ্ঞাপন আসা বন্ধ হয়ে যাবে।

Continue Reading

Highlights

চাপে পড়ে সব ধরনের রিচার্জে মেয়াদ বাড়ালো গ্রামীণফোন

Published

on

গ্রাহকদের চাপের মুখে অবশেষে সব ধরনের রিচার্জে মেয়াদ বাড়িয়েছে মোবাইলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, এখন থেকে সর্বনিম্ন ২০ টাকা রিচার্জে ১০ দিনের পরিবর্তে মেয়াদ হবে ৩৫ দিন।

পাশাপাশি গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখে অন্যান্য পরিমাণ টাকা রিচার্জের ক্ষেত্রেও মেয়াদ বাড়িয়েছে অপারেটরটি।বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে গ্রামীণফোন।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, এখন থেকে গ্রামীণফোনের ৩০-৪৯ টাকা রিচার্জের ক্ষেত্রে মেয়াদ হবে ৩৫ দিন, যা আগে ছিল ১৫ দিন। ৫০-১৪৯ টাকা রিচার্জের মেয়াদ ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৪৫ দিন এবং ১৫০-২৯৯ টাকা রিচার্জের মেয়াদ ৪৫ দিন থেকে বাড়িয়ে ৬৫ দিন করা হয়েছে। ২৯৯ টাকার বেশি যে কোনো রিচার্জের মেয়াদ হবে ৩৯৫ দিন।

সব ধরনের প্রিপেইড গ্রাহক ইলেকট্রনিক রিচার্জ সিস্টেম (ইআরএস), মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এবং অনলাইন রিচার্জের মাধ্যমে অফারগুলো উপভোগ করতে পারবেন। রিচার্জের মেয়াদকাল রিচার্জের দিন থেকে শুরু হবে।

গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেন, গ্রামীণফোনের সব কার্যক্রমের কেন্দ্রে থাকেন গ্রাহকরা। তাদের বৈচিত্র্যময় চাহিদা পূরণে প্রতিনিয়ত সহজ ও সুবিধাজনক অফার দেওয়ার চেষ্টা করছে গ্রামীণফোন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রাহকরা যেন সংযুক্ত থাকতে পারেন এবং তাদের আজকের গতিময় বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার সক্ষমতা থাকে- এজন্য বর্ধিত মেয়াদের নতুন অফারগুলো চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। নতুন অফারগুলো গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করতে এবং ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের অঙ্গীকার প্রতিফলিত করে, যেখানে সবার জন্য সংযোগ হবে একটি মূল চালিকাশক্তি।

Continue Reading

Highlights

HM Salim Run 10K 2024 in Dhaka Witnesses Pearl IT as One of the Proud Sponsors

Published

on

HM Salim 10K Run

In a remarkable display of community engagement and sporting fervor, the HM Salim Run 10K 2024, held in the bustling city of Dhaka, saw resounding success with the generous support of various sponsors, among which was the esteemed technological entity, Pearl IT.

The event, organized by the Pinnacle Sports Association, unfolded in the heart of Dhaka, attracting a multitude of passionate runners and enthusiasts eager to participate in this dynamic marathon. With the overarching theme of promoting fitness and a healthy lifestyle, the HM Salim Run 10K brought together individuals from diverse backgrounds and age groups, showcasing a unified spirit of athleticism.

Pearl IT, renowned for its innovative technological solutions, proudly stood as one of the event’s sponsors, emphasizing its commitment to fostering a culture of physical activity and community involvement. Their support for such initiatives underscores the company’s dedication to promoting not just technological advancement but also the holistic well-being of society.

The marathon witnessed exceptional performances from participants like Muktadir Ahmed and Sumaiya Akhtar, who emerged victorious in their respective categories, showcasing exceptional endurance and determination.

The presence of Pearl IT as one of the sponsors of the HM Salim Run 10K 2024 further amplifies the significance of corporate involvement in promoting sports and physical fitness as essential elements for a thriving and healthy community.

The event’s success owes much to the collective support from organizations like Pearl IT, highlighting their recognition of the pivotal role such initiatives play in fostering unity, promoting healthy living, and encouraging community engagement.

The HM Salim Run 10K 2024, with Pearl IT’s commendable sponsorship, marks yet another milestone in the city’s vibrant sports culture, inspiring individuals to embrace an active lifestyle and reinforcing the belief that corporate entities, like Pearl IT, are integral in promoting such noble endeavors for the betterment of society.

HM Salim 10K Run

 

See More Photo Of HM Salim Run 10K 2024

Continue Reading

Trending