Connect with us

Highlights

তিন মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানির সম্মিলিত মুনাফা ৫ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অ্যাপল, মাইক্রোসফট ও গুগলের সম্মিলিত মুনাফা ৫ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। তিন মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টের আয়ের প্রতিবেদনের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে। খবর এপি’র।

বর্তমানে তিন প্রযুক্তি জায়ান্টের সম্মিলিত বাজারমূল্য ৬ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ১৬ মাস আগে শুরু হওয়া করোনা মহামারীর প্রাথমিক দিনগুলোর তুলনায় তা প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। বৈশ্বিক মহামারী সত্ত্বেও প্রযুক্তি জায়ান্টগুলোর ব্যবসা যে ফুলেফেঁপে উঠেছে এপ্রিল-জুন প্রান্তিকের আয়-ব্যয়ের উপাত্তে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

প্রায় বছর দুয়েক ধরে মহামারী সত্ত্বেও নিজেদের পণ্যের আপগ্রেড চালিয়ে গেছে অ্যাপল। দ্বিতীয় প্রান্তিকের আয়ে তার প্রতিফলন ঘটেছে। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ক্যালিফোর্নিয়ার কোপার্টিনোভিত্তিক কোম্পানিটি মুনাফা করেছে ২ হাজার ১৭০ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই প্রান্তিকের চেয়ে ৯৩ শতাংশ বেশি। বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসকে ছাপিয়ে গিয়ে প্রযুক্তি জায়ান্টটির মোট আয় ৩৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ১৪০ কোটি ডলার। গত শরতে বাজারে আসা আইফোন ১২ দিয়ে বাজার মাতিয়ে দিয়েছে অ্যাপল। গত কয়েক বছর ধরেই অ্যাপলের সর্বোচ্চ বিক্রীত গ্যাজেটের স্থান দখল করে রেখেছে আইফোন। আইফোন ১২-এর জনপ্রিয়তার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে ফাইভজি নেটওয়ার্কে এর সক্ষমতা। গত প্রান্তিকে আইফোন থেকে অ্যাপলের আয় হয়েছে ৪ হাজার কোটি ডলার, যা গত বছরের একই প্রান্তিকের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি। এছাড়া চলতি বছরে বাজারে আনা নতুন মডেলের আইম্যাক, আইপডও অ্যাপলের মোট আয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে।

অবশ্য মঙ্গলবার কর্মীদের সঙ্গে এক কনফারেন্স কলে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অ্যাপল সিইও টিম কুক। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের হানায় অ্যাপল তাদের কর্মীদের অফিসে ফেরার সময় সেপ্টেম্বর থেকে পিছিয়ে অক্টোবরে নিয়ে গিয়েছে। আগামী দিনগুলোতে চিপ স্বল্পতা মোকাবেলা ও উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের ওপর অনেকটা নির্ভর করছে অ্যাপলের মুনাফা প্রবৃদ্ধি। চলতি প্রান্তিকে আয়ে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস অ্যাপলের।

গত মঙ্গলবার মাইক্রোসফট তাদের চতুর্থ প্রান্তিকের মুনাফা উপাত্ত প্রকাশ করেছে। সফটওয়্যার নির্মাতা জায়ান্টটির মুনাফা ৪৭ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৬৫০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। ওয়াল স্ট্রিটের পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে মাইক্রোসফটের শেয়ারপ্রতি নিট আয় হয়েছে ২ দশমিক ১৭ ডলার। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে মাইক্রোসফটের মোট আয় ২১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬২০ কোটি ডলার। অ্যামাজনের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে ক্লাউড সেবা এবং উইন্ডোজ সফটওয়্যার বিক্রির মাধ্যমে বড় অংকের আয় করল বিল গেটস ও পল অ্যালেন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটি।

এদিকে গত বছরের চেয়ে চলতি বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে গুগলের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের আয় তিনগুণ বেড়েছে। শেয়ারপ্রতি অ্যালফাবেটের মুনাফা ২৭ দশমিক ২৬ ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৫৩ কোটি ডলার। বিজ্ঞাপন থেকে গুগলের আয় ৬৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৪ কোটি ডলার। রিটেইলসহ ভ্রমণ ও বিনোদন খাত থেকে বড় অংকের বিজ্ঞাপন পেয়েছে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্টটি। ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউভিত্তিক কোম্পানিটির মোট আয় হয়েছে ৬ হাজার ১৮৮ কোটি ডলার, যা গত বছরের চেয়ে বেড়েছে ৬২ শতাংশ।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

জেনে নিন ফেসবুক নাকি ইউটিউবে আয় বেশি?

Published

on

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বর্তমানে ইউটিউব ও ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সেইসঙ্গে অনেকের কাছেই এটি অর্থ আয়ের একটি মাধ্যম হিসাবে গড়ে উঠেছে। অনেকেই এখন পেশাদারিভাবে ইউটিউব ও ফেসবুকের জন্য কনটেন্ট তৈরি করছেন। কোনো কোনো কনটেন্ট নির্মাতা ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে মাসে কয়েক লাখ টাকা উপার্জন করছেন।

মূলত মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ফেসবুক ও ইউটিউব দুই জায়গা থেকেই ভালো টাকা আয় করা যায়। তবুও ক্রিয়েটরদের মধ্যে কেউ ফেসবুক, আবার কেউ ইউটিউবকে বেশি গুরুত্ব দেন। অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের থেকে বেশি পুরোনো ইউটিউব। এছাড়াও এখানে নানা বিষয়ের কনটেন্ট আপলোড হয়। যা নজর কাড়ে মানুষের। অন্যদিকে ইউটিউবে ভøগিং চ্যানেলের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে।

তবে এই দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে কোন জায়গা থেকে সব থেকে বেশি টাকা আয় করা যায় জানেন? ইউটিউব না ফেসবুক কে বেশি টাকা দেয়? পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি ১০ লাখ ভিউয়ে ফেসবুকে ২৫০ থেকে ২৬০ ডলার আয় হয়ে থাকে। যেখানে ইউটিউবে ভিডিও অনুুযায়ী ২০০০ ডলারের বেশিও আয় করা যায়। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ইউটিউব এগিয়ে রয়েছে।

ফেসবুকে একাধিক মনিটাইজেশন টুল রয়েছে। যেমন- স্টার্স, ইন-ভিডিও পারচেস, ব্র্যান্ড কোলাবোরেশন ইত্যাদি। অন্যদিকে ইউটিউবেও রয়েছে অসংখ্য মনিটাইজেশন টুল। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের অধীনে একাধিক উপায়ে টাকা উপার্জন করা যায়। যেমন – ইন-স্ট্রিম অ্যাড, স্পন্সরশিপ, সুপার চ্যাট ডোনেশন এবং চ্যানেল মেম্বারশিপ।

এক্ষেত্রে ফেসবুক থেকে এগিয়ে রয়েছে ইউটিউব। কারণ ইউটিউবে এনগেজমেন্ট বেশি হয়ে থাকে। পাশাপাশি ইউটিউবে ডাটা ইউসেজও অনেক বেশি। প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ এমবি। যে কারণে ফেসবুকের থেকে মনিটাইজেসনের বিচারে এগিয়ে রয়েছে ইউটিউব।

Continue Reading

Highlights

রিয়েলফিল ক্যামেরা ফিচারের পরিধি বাড়াবে গুগল

Published

on

google

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) নতুন ফটোগ্রাফি ফিচার চালু করতে কাজ করছে গুগল। নতুন এ ফিচার বা প্রযুক্তির উন্নয়নে কর্নেল ইউনিভার্সিটির গবেষকদের সঙ্গে কাজ করেছে কোম্পানিটি। এটি ব্যবহারকারীদের ছবির রেজল্যুশন বাড়ানোর পাশাপাশি এডিটিংয়ে সহায়তা করবে। খবর গিজচায়না।

পাঁচটি রেফারেন্সের পরিপ্রেক্ষিতে গুগলের নতুন ফিচারটি কাজ করবে বলে জানা গেছে। অফিশিয়াল বিবৃতির তথ্যানুযায়ী, রিয়েলফিল ডাউনলোড করা যাবে না-এমন এআই সফটওয়্যারে আঁকা ছবি নিয়ে কাজের সুবিধা দেবে। এ ছাড়া অনলাইনেও অনুরূপ সুবিধা থাকবে, যেটি ব্যবহার করে জেনারেটিভ মডেল তৈরি করা যাবে। মূলত ফিচারটি ব্যবহারকারীদের যেকোনো ছবি সহজে সম্পাদনার সুযোগ দেবে।

একটি গবেষণাপত্রের সূত্র ধরে রিয়েলফিলের এ প্রযুক্তির উন্নয়ন করা হয়েছে। গবেষণাপত্রটির শিরোনাম রেফারেন্স ড্রাইভেন জেনারেশন ফর অথেনটিক ইমেজ কমপ্লিশন। এখানে একাধিক রেফারেন্স থেকে কীভাবে মূল ছবি এডিট করা হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত থাকবে। গুগলের দাবি রেফারেন্সে থাকা ছবি ব্যবহার করে ফিচারটি অন্য অ্যাপের তুলনায় ভালোভাবে কাজ করতে পারে।

প্রযুক্তিবিদদের মতে, এআইনির্ভর ফটোগ্রাফি টুল হিসেবে রিয়েলফিল আকর্ষণীয় হলেও এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বর্তমানে প্রচলিত বেশকিছু ইমেজ জেনারেশন মডেলের তুলনায় এটি ধীরগতির। পিক্সেল স্মার্টফোন লাইনআপে নাইট সাইট মোডের মতো অ্যাডভান্সড কম্পিউট্যাশনাল ফটোগ্রাফি ফিচার যুক্ত করেছে গুগল।

সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ভবিষ্যতে পিক্সেল ডিভাইস বা গুগল ফটোজ অ্যাপে চারটি যুক্ত করা হবে। যদি এটি যুক্ত হয় তখন ব্যবহারকারীরা এআই প্রযুক্তির সহায়তায় সহজে ছবি সম্পাদনা করতে পারবেন।

Continue Reading

Highlights

যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নিরাপদ রাখবেন

Published

on

whatsapp

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। দিন দিন বাড়ছে এর ব্যবহার। তবে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট এবং ছবি ও ফাইল কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন তা জানেন না অনেকেই। এর ফলে সাইবার অপরাধীদের ব্ল্যাকমেইলিং, ফিশিং ও বিভিন্ন প্রতারণার শিকার হচ্ছেন কেউ কেউ। তবে কয়েকটি নিরাপত্তা ফিচার ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।

ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ: হোয়াটসঅ্যাপে ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ অপশন রয়েছে। যদি মনে হয় আপনার হোয়াটসঅ্যাপের ওপর কেউ নজরদারি চালাচ্ছে তা হলে এই অপশন অন করে দিন। এই অপশন চালু থাকলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর মেসেজ ডিসঅ্যাপিয়ার বা মুছে যাবে।

অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন: হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নিরাপত্তার দ্বিতীয় টিপস হলো অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন। সমস্ত চ্যাটে এই ফিচার অন করে রাখুন। এর সুবিধা হলো আপনি যাকে টেক্সট পাঠাচ্ছেন তিনি আর আপনি ছাড়া অন্য কেউ মেসেজ দেখতে পাবে না। অবৈধভাবে ঢুকে কেউ কোনো তথ্য দেখতে বা অ্যাকসেস করতে পারবে না। তাই ফাঁস হওয়ার ঝুঁকিও থাকবে না।

স্প্যাম কল বন্ধ করা: স্প্যাম কলের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন কেউ কেউ। এই কল বন্ধ করার উপায় রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ সেটিংসে গিয়ে সাইলেন্স আননোন কল অপশন অন করে দিন। এতে অপরিচিত ও স্প্যাম কল এড়িয়ে যেতে পারবেন।

চ্যাট লক: চ্যাট লক অপশনটিও বেশ কার্যকর। যদি মনে হয় আপনার ডিভাইস হ্যাক হয়েছে বা সাইবার হামলার কবলে পড়েছেন, তা হলে নির্দিষ্ট কোনো চ্যাট লক করে রাখতে পারেন। পাসওয়ার্ড বা বায়োমেট্রিক দিয়ে লক করা যায় চ্যাট। ওপরের এই ফিচারগুলো আপনার হোয়াটসঅ্যাপকে সুরক্ষিত রাখবে। এমনকি কোনো ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়া ঠেকাতে ভূমিকা রাখবে।

Continue Reading

Trending