Connect with us

Social Media

৫৩ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস: ফেইসবুকের বিরুদ্ধে গণ-মামলার সম্ভাবনা

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
ফেইসবুক থেকে যে ৫৩ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছিল, তাদের অনেকেই এখন আহ্বান পাচ্ছেন এই সামাজিক মাধ্যম জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।

ওই ডেটা ফাঁসের ঘটনায় প্রায় ৫৩ কোটি ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হয়েছিল, অনেক ক্ষেত্রেই তাদের ফোন নম্বর সহ। আর এখন, প্রাইভেসি বা গোপনতা বিষয়ে কাজ করে এমন, একটি ডিজিটাল গ্রুপ ক্ষতিগ্রস্থ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নাগরিকদের পক্ষে আইরিশ আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ফেইসবুক অবশ্য ঘটনায় নিজেদের দায় অস্বীকার করে ব্যাক্ষা দিচ্ছে যে, সাইটটিতে প্রকাশ্যে প্রাওয়া যায় এমন সব তথ্য থেকে ওই ডেটা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

ডিজিটাল রাইটস আয়ারল্যান্ডের (ডিআরআই) পরিচালক অ্যান্টোইন ও’ লাটনাইন অন্যান্য প্রযুক্তি জায়ান্টদের সতর্ক করে বলেছেন, এর ফলে ডমিনো প্রভাবের সূচনা হতে পারে।

যখন কোনো একটি ঘটনা একই ধরনের অসংখ্য সিরিজ ঘটনার সূচনা করে তখন সেটিকে ডমিনো প্রভাব বলে। ফলে, ডিআরআই পরিচালকের কথা অনুসারে, একই ধরনের অসংখ্য মামলা অপেক্ষা করছে ফেইসবুকের জন্য। এটি এই ধরনের প্রথম গণঅ্যাকশন হবে এবং আমরা নিশ্চিত এটি থামবে না। এই ডেটা লঙ্ঘনের আওতা এবং যে পর্যায়ের ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হয়েছে তাকে “মাথা নষ্ট করা” ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।

“ভোক্তা এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার জন্য আইন রয়েছে এবং এতো দিনে এসে প্রযুক্তি জায়ান্টরা স্বীকার করছে যে ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।”

ডিআরআই অভিযোগ তুলেছে, ফেইসবুক ব্যবহারকারীর ডেটা রক্ষা করতে যেমন ব্যর্থ হয়েছে তেমনি যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের জানাতেও ব্যর্থ হয়েছে।

ডেটা বেহাতের ঘটনা প্রথম ২০১৯ সালে আবিষ্কার করা সম্ভব হয় এবং এর পরপরই ফেইসবুক এটি সংশোধন করে। সম্প্রতি অনলাইনে হাজির হয়েছে ওই তথ্যভাণ্ডার এবং তা পাওয়া যাচ্ছে বিনামূল্যে।

ডিআরআই বলেছে, ব্যক্তিগত পর্যায়ে আইনী পদক্ষেপ নিলে অভিযোগকারী প্রায় ১২ হাজার ডলার পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। এইটুকু সফল হলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এই ঘটনার জন্য অনুরূপ মামলা করা সম্ভব।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

জেনে নিন ফেসবুক নাকি ইউটিউবে আয় বেশি?

Published

on

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বর্তমানে ইউটিউব ও ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সেইসঙ্গে অনেকের কাছেই এটি অর্থ আয়ের একটি মাধ্যম হিসাবে গড়ে উঠেছে। অনেকেই এখন পেশাদারিভাবে ইউটিউব ও ফেসবুকের জন্য কনটেন্ট তৈরি করছেন। কোনো কোনো কনটেন্ট নির্মাতা ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে মাসে কয়েক লাখ টাকা উপার্জন করছেন।

মূলত মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ফেসবুক ও ইউটিউব দুই জায়গা থেকেই ভালো টাকা আয় করা যায়। তবুও ক্রিয়েটরদের মধ্যে কেউ ফেসবুক, আবার কেউ ইউটিউবকে বেশি গুরুত্ব দেন। অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের থেকে বেশি পুরোনো ইউটিউব। এছাড়াও এখানে নানা বিষয়ের কনটেন্ট আপলোড হয়। যা নজর কাড়ে মানুষের। অন্যদিকে ইউটিউবে ভøগিং চ্যানেলের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে।

তবে এই দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে কোন জায়গা থেকে সব থেকে বেশি টাকা আয় করা যায় জানেন? ইউটিউব না ফেসবুক কে বেশি টাকা দেয়? পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি ১০ লাখ ভিউয়ে ফেসবুকে ২৫০ থেকে ২৬০ ডলার আয় হয়ে থাকে। যেখানে ইউটিউবে ভিডিও অনুুযায়ী ২০০০ ডলারের বেশিও আয় করা যায়। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ইউটিউব এগিয়ে রয়েছে।

ফেসবুকে একাধিক মনিটাইজেশন টুল রয়েছে। যেমন- স্টার্স, ইন-ভিডিও পারচেস, ব্র্যান্ড কোলাবোরেশন ইত্যাদি। অন্যদিকে ইউটিউবেও রয়েছে অসংখ্য মনিটাইজেশন টুল। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের অধীনে একাধিক উপায়ে টাকা উপার্জন করা যায়। যেমন – ইন-স্ট্রিম অ্যাড, স্পন্সরশিপ, সুপার চ্যাট ডোনেশন এবং চ্যানেল মেম্বারশিপ।

এক্ষেত্রে ফেসবুক থেকে এগিয়ে রয়েছে ইউটিউব। কারণ ইউটিউবে এনগেজমেন্ট বেশি হয়ে থাকে। পাশাপাশি ইউটিউবে ডাটা ইউসেজও অনেক বেশি। প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ এমবি। যে কারণে ফেসবুকের থেকে মনিটাইজেসনের বিচারে এগিয়ে রয়েছে ইউটিউব।

Continue Reading

Highlights

যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নিরাপদ রাখবেন

Published

on

whatsapp

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। দিন দিন বাড়ছে এর ব্যবহার। তবে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট এবং ছবি ও ফাইল কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন তা জানেন না অনেকেই। এর ফলে সাইবার অপরাধীদের ব্ল্যাকমেইলিং, ফিশিং ও বিভিন্ন প্রতারণার শিকার হচ্ছেন কেউ কেউ। তবে কয়েকটি নিরাপত্তা ফিচার ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।

ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ: হোয়াটসঅ্যাপে ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ অপশন রয়েছে। যদি মনে হয় আপনার হোয়াটসঅ্যাপের ওপর কেউ নজরদারি চালাচ্ছে তা হলে এই অপশন অন করে দিন। এই অপশন চালু থাকলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর মেসেজ ডিসঅ্যাপিয়ার বা মুছে যাবে।

অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন: হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নিরাপত্তার দ্বিতীয় টিপস হলো অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন। সমস্ত চ্যাটে এই ফিচার অন করে রাখুন। এর সুবিধা হলো আপনি যাকে টেক্সট পাঠাচ্ছেন তিনি আর আপনি ছাড়া অন্য কেউ মেসেজ দেখতে পাবে না। অবৈধভাবে ঢুকে কেউ কোনো তথ্য দেখতে বা অ্যাকসেস করতে পারবে না। তাই ফাঁস হওয়ার ঝুঁকিও থাকবে না।

স্প্যাম কল বন্ধ করা: স্প্যাম কলের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন কেউ কেউ। এই কল বন্ধ করার উপায় রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ সেটিংসে গিয়ে সাইলেন্স আননোন কল অপশন অন করে দিন। এতে অপরিচিত ও স্প্যাম কল এড়িয়ে যেতে পারবেন।

চ্যাট লক: চ্যাট লক অপশনটিও বেশ কার্যকর। যদি মনে হয় আপনার ডিভাইস হ্যাক হয়েছে বা সাইবার হামলার কবলে পড়েছেন, তা হলে নির্দিষ্ট কোনো চ্যাট লক করে রাখতে পারেন। পাসওয়ার্ড বা বায়োমেট্রিক দিয়ে লক করা যায় চ্যাট। ওপরের এই ফিচারগুলো আপনার হোয়াটসঅ্যাপকে সুরক্ষিত রাখবে। এমনকি কোনো ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়া ঠেকাতে ভূমিকা রাখবে।

Continue Reading

Highlights

ইনস্টাগ্রামের রিলস ডাউনলোড এর সহজ উপায়

Published

on

instagram

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রিলস বেশ জনপ্রিয় একটি ফিচার। ছোট আকারের এই ভিডিও দেখতে দেখতে কখন যে সময় পেরিয়ে যায় বলা দায়। তবে কিছুকিছু ভিডিও অনেক সময় ভীষণ ভালো লেগে যায় বা প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে। পছন্দের রিলস ভিডিওগুলো নামিয়ে সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হয় তখন।

রিলস ভিডিও নামাতে অনেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অ্যাপ ব্যবহার করেন। এতে সাইবার হামলাসহ ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তবে আপনি চাইলেই ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ থেকে সরাসরি রিলস ভিডিও নামাতে পারেন।

ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ থেকে রিলস ভিডিও নামানোর পদ্ধতি: রিলস ভিডিও নামানোর জন্য শুরুতেই স্মার্টফোন থেকে ইনস্টাগ্রাম অ্যাপে ঢুকুন। এরপর যে রিলস ভিডিও নামাতে হবে, সেটি চালু করুন। ভিডিও চালু থাকা অবস্থায় শেয়ার আইকনে ট্যাপ করে অ্যাড টু স্টোরি বাটনে ক্লিক করুন। পরের পৃষ্ঠায় রিলস ভিডিওর ওপরে থাকা তিনটি ডট মেনুতে ট্যাপ করে সেভ বাটনে ট্যাপ করলেই ভিডিওটি ফোনে সংরক্ষণ হয়ে যাবে।

এরপর স্টোরি আপলোড না করে ডিসকার্ড অপশনে ক্লিক করলেই ভিডিওটি ক্যামেরা রোল অপশনে পাওয়া যাবে। রিলস ভিডিও নামানো গেলেও ভিডিওতে নির্মাতার অ্যাকাউন্টের নাম দেখিয়ে থাকে ইনস্টাগ্রাম। তাই ভিডিওগুলো অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না। ইনস্টাগ্রামে শুধু পাবলিক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা রিলস ভিডিও নামানো যায়। তবে পাবলিক অ্যাকাউন্টের সেটিংসে রিলস ভিডিও নামানোর সুযোগ বন্ধ রাখলেও কোনো ভিডিও নামানো যাবে না।

ফেসবুক রিলস কী?

ফেসবুকে রিলস (Facebook Reels) বানানো এখন এক নতুন ট্রেন্ড। নানা বিষয় নিয়ে এখন প্রায় সকলেই বানিয়ে ফেলছেন রিলস। আর কোনও একটি রিলসের বিষয় যদি ভাইরাল হয়, তাহলে তো কথাই নেই। সেই বিষয়টাই তখন হয়ে যাবে ট্রেন্ডিং। ভাইরাল রিলস হলে তাতে আসবে হাজার হাজার লাইল। অনেক রিলের ভিডিওতে দেখা যায় মিলিয়ন মিলিয়ন লাইক পড়েছে। এবার এই রিলসের উপর নির্ভর করে রোজগার করতে পারবেন ফেসবুক (Facebook)ব্যবহারকারীরা।

ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম উভয়ই যেহেতু মেটার অধীনে এবার ফেসবুকেও ইনস্টাগ্রামেও মতো রিল ভিডিও প্রচার করার ফিচার যুক্ত করা হলো। ফেসবুক রিলস ভিডিওগুলো অনেকটা টিকটক, লাইকি ভিডিওর মতোই। এখানে আপনি পূর্বে থেকে তৈরি করা ভিডিওগুলো আপলোড করতে পারবেন।

আর যদি চান ফেসবুক রিলস অপশন ব্যবহার করেও ভিডিও তৈরি করে নিতে পারবেন। ফেসবুক রিলস-এ ইনস্টাগ্রামের রিলস ভিডিওগুলোও দেখতে পারবেন। যেখানে ১ মিনিটের ভিডিও বানিয়েই গোটা বিশ্বকে বিনোদন দিতে পারবে যে কোনো কনটেন্ট ক্রিয়েটর।

Continue Reading

Trending