Connect with us

Highlights

সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ

Published

on

দেশে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধ। পুলিশের সাইবার ইউনিটের দেয়া তথ্যমতে, প্রতিমাসে কমপক্ষে তিন হাজার সাইবার অপরাধের অভিযোগ মিলছে। জড়িতরা আটকও হচ্ছে। তবে বিচার প্রক্রিয়ায় ধীরগতির অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে এ ধরনের অভিযোগ আরো বেড়েছে। নারীদের পাশাপাশি অনেক পুরুষও সেক্সটরশনের শিকার হচ্ছেন। পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে সামাজিক বা ব্যক্তি-মর্যাদাহানি, ভয়ভীতির মাধ্যমে অর্থ আদায় বা অন্য কোনো সুবিধা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে।

তবে মানসম্মানের ভয়ে অধিকাংশই মামলা না করে প্রতিকার চাইছেন। দেশে সাইবার অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় গঠন করা হয় পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাংগঠনিক কাঠামোতে যোগ করা হয় ‘সাইবার পুলিশ সেন্টার’ নামের ইউনিটটি। এছাড়া গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের (সিসিটিসি) পৃথক উইং এ নিয়ে কাজ করছে।

এ প্রসঙ্গে সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার (সাইবার ইন্টেলিজেন্স) মো. রেজাউল মাসুদ বলেন, বর্তমানে আমাদের তিনটি উইং কাজ করছে। সাইবার মনিটরিং ও সাইবার ইন্টেলিজেন্স, সাইবার ইনভেস্টিগেশন ও সাইবার সাপোর্ট সেন্টার। সাইবার মনিটরিং ও ইন্টেলিজেন্স এবং সাইবার সাপোর্ট সেন্টার ২৪ ঘণ্টা কাজ করে। প্রতি মাসে কমপক্ষে তিন হাজার অভিযোগ আসে। প্রতারণা, হুমকি, হ্যাকিং, পর্নোগ্রাফি, আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগই বেশি। এসব অপরাধের অধিকাংশ ভুক্তভোগী হলেন নারী। তারা সাইবার পুলিশ সেন্টারের ই-মেইল, ফেসবুক অথবা ইমোতে ফোন করে অভিযোগগুলো দেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সিরিয়াস ক্রাইম ও সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এডিসি নাজমুল হাসান বলেছেন, সাইবার অপরাধ বেড়েই চলছে। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। প্রযুক্তি সহজলভ্য হওয়ায় এর অপব্যবহার হচ্ছে। বেড়েই চলেছে সাইবার বোলিং। যার শিকার হচ্ছেন নারী। অনেকে লোকলজ্জার ভয়ে অভিযোগ করেন না, যারা অভিযোগ করেন তারা নিরুপায় হয়ে করেন। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।

এদিকে সাইবার ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ থেকে ২০২০ সালের আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশের বিভিন্ন থানা থেকে বিচারের জন্য সাইবার ট্রাইব্যুনালে মোট ২ হাজার ৬৪২টি মামলা আসে। এর মধ্যে ২০২০ সালে ২৫৬টি, ২০১৯ সালে ৭২১টি, ২০১৮ সালে ৬৭৬টি, ২০১৭ সালে ৫৬৮টি, ২০১৬ সালে ২৩৩টি, ২০১৫ সালে ১৫২টি, ২০১৪ সালে ৩৩টি এবং ২০১৩ সালে আসে তিনটি মামলা। ২০১৩ থেকে ২০২০ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত ১২৪টি মামলার রায় ঘোষণা করেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ৩৫টি মামলার আসামিদের সাজা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ৮৯টি মামলার আসামিরা খালাস পেয়েছেন। এছাড়া অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন ২০০টিরও বেশি মামলার আসামিরা। সরাসরি ট্রাইব্যুনালে দায়ের হয়েছে ১ হাজার ৮২টি মামলা।

এর মধ্যে ২০১৮ সালে ২৪৯টি, ২০১৯ সালে ৬৬৮টি এবং চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ১৬৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে ৪৪৭টি বিভিন্ন সংস্থাকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বাকি ৬৩৫টি মামলায় প্রয়োজনীয় উপাদান না থাকায় আদালত খারিজ করে দেন। তদন্তাধীন ৪৪৭টি মামলার মধ্যে ১৫০টির তদন্ত প্রতিবেদন ইতোমধ্যে আদালতে জমা হয়েছে। ২০১৩ থেকে ২০২০ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত ১২৪টি মামলার রায় ঘোষণা করেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ৩৫টি মামলার আসামিদের সাজা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ৮৯টি মামলার আসামিরা খালাস পেয়েছেন। এছাড়া অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন ২০০টিরও বেশি মামলার আসামিরা।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত সাইবার অপরাধে মামলা হয়েছে ৫৯৮টি। মোট আসামি ১ হাজার ১৪৭ জন। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হন ৪০৮ জন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সাইবার অপরাধে মামলা হয়েছে ২০০টি, ২০২০ সালে ২৬২টি, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে (মে পর্যন্ত) মামলা হয়েছে ১৩৬টি।

ডিএমপির সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের তথ্য মতে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে ২০১৯ সালে ৮৭১টি, ২০২০ সালে ১৩৩৬ ও ২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসে ৬০৫টি মামলা হয়। পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ২০১৯ সালে ৫৬৩, ২০২০ সালে ৬৮৩ ও ২১ সালের ছয় মাসে ৪৪২ মামলা হয়। ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত ছয় মাসে সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে সাইবার অপরাধীদের শিকার ৮২৭ জন ভিকটিমকে সেবা দেয়া হয়। এ সময়ে অনলাইনে সাহায্য করা হয় ৮ হাজার ৭৭০ জনকে।

পুলিশের ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (সিডিএমএস) তথ্য মতে, ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সাইবার অপরাধের ঘটনায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ৩ হাজার ৬৫৯টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৭৫টি মামলা সাইবার ট্রাইব্যুনালে গেছে। নিষ্পত্তি হয়েছে ৫২২টির। ২৫ মামলায় আসামিদের সাজা হয়েছে। পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে দেশের বিভিন্ন থানায় সাইবার ক্রাইম-সংক্রান্ত ২ হাজার ১৯২টি মামলা হয়। এর মধ্যে সেক্সটরশনের অভিযোগ করেন ৫৫ জন পুরুষ ও ১১৮ জন নারী। সেক্সটরশনের শিকারদের বেশির ভাগই নারী। তাদের বয়স ১৯ থেকে ৩৫ বছর। ২০২০ সালে এই নারীদের মধ্যে ১০১ জন সেক্সটরশনের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন। পুরুষদের মধ্যে এ অভিযোগ করেছেন ৪৩ জন।

পুলিশের সেন্ট্রাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (সিডিএমএস) তথ্য মতে, ২০২০ সালে সারাদেশের বিভিন্ন থানায় সাইবার ক্রাইম-সংক্রান্ত ২ হাজার ১৯২টি মামলা হয়। এর মধ্যে ফেসবুক আইডি হ্যাক করার অভিযোগ করেন ৩৬৭ জন পুরুষ ও ৩৫৮ জন নারী। ই-মেইল আইডি হ্যাকের অভিযোগ করেন ৩৫ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারী। ফেক আইডি খোলার অভিযোগ করেন ১৬৩ জন পুরুষ ও ২৩১ জন নারী। সেক্সটরশনের অভিযোগ করেন ৫৫ জন পুরুষ ও ১১৮ জন নারী। মোবাইল ব্যাংকিং-সংক্রান্ত অভিযোগ করেন ৩১০ জন পুরুষ ও ১০২ জন নারী। অন্যান্য ‘হ্যারেসমেন্টের’ অভিযোগ করেন ২৪৭ জন পুরুষ ও ১৯৩ জন নারী। সূত্র : ভোরের কাগজ।

 

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

জেনে নিন ফেসবুক নাকি ইউটিউবে আয় বেশি?

Published

on

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বর্তমানে ইউটিউব ও ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সেইসঙ্গে অনেকের কাছেই এটি অর্থ আয়ের একটি মাধ্যম হিসাবে গড়ে উঠেছে। অনেকেই এখন পেশাদারিভাবে ইউটিউব ও ফেসবুকের জন্য কনটেন্ট তৈরি করছেন। কোনো কোনো কনটেন্ট নির্মাতা ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে মাসে কয়েক লাখ টাকা উপার্জন করছেন।

মূলত মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ফেসবুক ও ইউটিউব দুই জায়গা থেকেই ভালো টাকা আয় করা যায়। তবুও ক্রিয়েটরদের মধ্যে কেউ ফেসবুক, আবার কেউ ইউটিউবকে বেশি গুরুত্ব দেন। অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের থেকে বেশি পুরোনো ইউটিউব। এছাড়াও এখানে নানা বিষয়ের কনটেন্ট আপলোড হয়। যা নজর কাড়ে মানুষের। অন্যদিকে ইউটিউবে ভøগিং চ্যানেলের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে।

তবে এই দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে কোন জায়গা থেকে সব থেকে বেশি টাকা আয় করা যায় জানেন? ইউটিউব না ফেসবুক কে বেশি টাকা দেয়? পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি ১০ লাখ ভিউয়ে ফেসবুকে ২৫০ থেকে ২৬০ ডলার আয় হয়ে থাকে। যেখানে ইউটিউবে ভিডিও অনুুযায়ী ২০০০ ডলারের বেশিও আয় করা যায়। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ইউটিউব এগিয়ে রয়েছে।

ফেসবুকে একাধিক মনিটাইজেশন টুল রয়েছে। যেমন- স্টার্স, ইন-ভিডিও পারচেস, ব্র্যান্ড কোলাবোরেশন ইত্যাদি। অন্যদিকে ইউটিউবেও রয়েছে অসংখ্য মনিটাইজেশন টুল। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের অধীনে একাধিক উপায়ে টাকা উপার্জন করা যায়। যেমন – ইন-স্ট্রিম অ্যাড, স্পন্সরশিপ, সুপার চ্যাট ডোনেশন এবং চ্যানেল মেম্বারশিপ।

এক্ষেত্রে ফেসবুক থেকে এগিয়ে রয়েছে ইউটিউব। কারণ ইউটিউবে এনগেজমেন্ট বেশি হয়ে থাকে। পাশাপাশি ইউটিউবে ডাটা ইউসেজও অনেক বেশি। প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ এমবি। যে কারণে ফেসবুকের থেকে মনিটাইজেসনের বিচারে এগিয়ে রয়েছে ইউটিউব।

Continue Reading

Highlights

রিয়েলফিল ক্যামেরা ফিচারের পরিধি বাড়াবে গুগল

Published

on

google

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) নতুন ফটোগ্রাফি ফিচার চালু করতে কাজ করছে গুগল। নতুন এ ফিচার বা প্রযুক্তির উন্নয়নে কর্নেল ইউনিভার্সিটির গবেষকদের সঙ্গে কাজ করেছে কোম্পানিটি। এটি ব্যবহারকারীদের ছবির রেজল্যুশন বাড়ানোর পাশাপাশি এডিটিংয়ে সহায়তা করবে। খবর গিজচায়না।

পাঁচটি রেফারেন্সের পরিপ্রেক্ষিতে গুগলের নতুন ফিচারটি কাজ করবে বলে জানা গেছে। অফিশিয়াল বিবৃতির তথ্যানুযায়ী, রিয়েলফিল ডাউনলোড করা যাবে না-এমন এআই সফটওয়্যারে আঁকা ছবি নিয়ে কাজের সুবিধা দেবে। এ ছাড়া অনলাইনেও অনুরূপ সুবিধা থাকবে, যেটি ব্যবহার করে জেনারেটিভ মডেল তৈরি করা যাবে। মূলত ফিচারটি ব্যবহারকারীদের যেকোনো ছবি সহজে সম্পাদনার সুযোগ দেবে।

একটি গবেষণাপত্রের সূত্র ধরে রিয়েলফিলের এ প্রযুক্তির উন্নয়ন করা হয়েছে। গবেষণাপত্রটির শিরোনাম রেফারেন্স ড্রাইভেন জেনারেশন ফর অথেনটিক ইমেজ কমপ্লিশন। এখানে একাধিক রেফারেন্স থেকে কীভাবে মূল ছবি এডিট করা হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত থাকবে। গুগলের দাবি রেফারেন্সে থাকা ছবি ব্যবহার করে ফিচারটি অন্য অ্যাপের তুলনায় ভালোভাবে কাজ করতে পারে।

প্রযুক্তিবিদদের মতে, এআইনির্ভর ফটোগ্রাফি টুল হিসেবে রিয়েলফিল আকর্ষণীয় হলেও এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বর্তমানে প্রচলিত বেশকিছু ইমেজ জেনারেশন মডেলের তুলনায় এটি ধীরগতির। পিক্সেল স্মার্টফোন লাইনআপে নাইট সাইট মোডের মতো অ্যাডভান্সড কম্পিউট্যাশনাল ফটোগ্রাফি ফিচার যুক্ত করেছে গুগল।

সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ভবিষ্যতে পিক্সেল ডিভাইস বা গুগল ফটোজ অ্যাপে চারটি যুক্ত করা হবে। যদি এটি যুক্ত হয় তখন ব্যবহারকারীরা এআই প্রযুক্তির সহায়তায় সহজে ছবি সম্পাদনা করতে পারবেন।

Continue Reading

Highlights

যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নিরাপদ রাখবেন

Published

on

whatsapp

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। দিন দিন বাড়ছে এর ব্যবহার। তবে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট এবং ছবি ও ফাইল কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন তা জানেন না অনেকেই। এর ফলে সাইবার অপরাধীদের ব্ল্যাকমেইলিং, ফিশিং ও বিভিন্ন প্রতারণার শিকার হচ্ছেন কেউ কেউ। তবে কয়েকটি নিরাপত্তা ফিচার ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।

ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ: হোয়াটসঅ্যাপে ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ অপশন রয়েছে। যদি মনে হয় আপনার হোয়াটসঅ্যাপের ওপর কেউ নজরদারি চালাচ্ছে তা হলে এই অপশন অন করে দিন। এই অপশন চালু থাকলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর মেসেজ ডিসঅ্যাপিয়ার বা মুছে যাবে।

অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন: হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নিরাপত্তার দ্বিতীয় টিপস হলো অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন। সমস্ত চ্যাটে এই ফিচার অন করে রাখুন। এর সুবিধা হলো আপনি যাকে টেক্সট পাঠাচ্ছেন তিনি আর আপনি ছাড়া অন্য কেউ মেসেজ দেখতে পাবে না। অবৈধভাবে ঢুকে কেউ কোনো তথ্য দেখতে বা অ্যাকসেস করতে পারবে না। তাই ফাঁস হওয়ার ঝুঁকিও থাকবে না।

স্প্যাম কল বন্ধ করা: স্প্যাম কলের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন কেউ কেউ। এই কল বন্ধ করার উপায় রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ সেটিংসে গিয়ে সাইলেন্স আননোন কল অপশন অন করে দিন। এতে অপরিচিত ও স্প্যাম কল এড়িয়ে যেতে পারবেন।

চ্যাট লক: চ্যাট লক অপশনটিও বেশ কার্যকর। যদি মনে হয় আপনার ডিভাইস হ্যাক হয়েছে বা সাইবার হামলার কবলে পড়েছেন, তা হলে নির্দিষ্ট কোনো চ্যাট লক করে রাখতে পারেন। পাসওয়ার্ড বা বায়োমেট্রিক দিয়ে লক করা যায় চ্যাট। ওপরের এই ফিচারগুলো আপনার হোয়াটসঅ্যাপকে সুরক্ষিত রাখবে। এমনকি কোনো ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়া ঠেকাতে ভূমিকা রাখবে।

Continue Reading

Trending