Connect with us

Highlights

মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে গুগল-ওরাকল কপিরাইট লড়াই

Published

on

নিউজ ডেস্ক, টেক এক্সপ্রেস:
গুগল এবং ওরাকলের কপিরাইট লড়াই গড়িয়েছে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সম্প্রতি সে লড়াইয়ে দুই পক্ষের বক্তব্য শুনেছেন বিচারকরা। বুধবার গুগল, ওরাকলের বক্তব্য শুনেছেন সুপ্রিম কোর্ট বিচারকরা, ক্ষেত্রবিশেষে ছুড়ে দিয়েছেন পাল্টা প্রশ্ন। মূলত গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে ওরাকলের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জাভা ব্যবহার করা নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি। ওরাকলের দাবি, এতে কপিরাইট লঙ্ঘিত হয়েছে।

আর গুগলের ভাষ্যে, জাভার “ন্যায্য ব্যবহার’ করেছে তারা। উল্লেখ্য, গুগল এবং ওরাকলের এ বিবাদকে এরইমধ্যে এ দশকের সবচেয়ে সেরা কপিরাইট লড়াইয়ের আখ্যা দেওয়া হয়েছে। “আমি উদ্বিগ্ন” জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বিচারক স্যামুয়েল এ, আলিটো জুনিয়র গুগলের এক আইনজীবিকে বলেন, “আপনাদের তর্ক অনুসারে, সব কম্পিউটার কোড সুরক্ষা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে।” প্রধান বিচারক জন জি. রবার্টস জুনিয়র আবার তুলে ধরেছেন অন্য একটি শঙ্কা। তিনি বলেন, “আমাদের বলা হয়েছে, আমরা যদি ওরাকলের সঙ্গে সম্মত হই, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি শিল্প ধ্বংস করে ফেলবো।”

নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, গুগল-ওরাকলের পুরো তর্ক-বিতর্কই টেলিফোনে শুনেছেন বিচারকরা। দুই পক্ষের দাবি খতিয়ে দেখতে স্বল্প-প্রযুক্তির উপমা ব্যবহার করেছেন তারা। প্রশ্নে সেফক্র্যাকিং, টাইপরাইটার, কিবোর্ড, রেস্টুরেন্ট মেন্যু, টেলিফোন সুইচবোর্ড, ফুটবল প্লেবুকের মতো উপমা ব্যবহার করেছেন বিচারকরা। মামলায় গুগলের কাছে শত শত কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চাইছে ওরাকল। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ওরাকলের সফটওয়্যার কোডের ১১ হাজার লাইন অবৈধভাবে নকল করেছে গুগল। কয়েক বছর ধরেই চলছে এ মামলাটি। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ফ্রান্সিসকোর জুরিরা গুগলের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, গুগল কপিরাইট লঙ্ঘন করেনি, কারণ কোডের “ন্যায্য ব্যবহার” হয়েছে। পরে ২০১৮ সালে ওয়াশিংটনের ‘ইউনাইটেড স্টেটস কোর্ট অফ আপিলস ফর দ্য ফেডারেল সার্কিট’ ওই বিশ্লেষণের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে।

বুধবারের তর্ক-বিতর্কে গুগল আইনজীবী টমাস সি. গোল্ডস্টিন বলেছেন, “এর জন্য কোনো কপিরাইট সুরক্ষা নেই। কম্পিউটার কোডের জন্য কার্যকরী হওয়ার এটাই একমাত্র পন্থা।” প্রত্যুত্তরে প্রধান বিচারক রবার্টস বলেন, “সিন্দুকের তালা ভাঙা হয়তো পয়সা হাতানোর একমাত্র পন্থা, কিন্তু তার মানে এই নয় যে এটি আপনি করতে পারেন।”

গুগল আইনজীবী গোল্ডস্টিন পাল্টা উত্তরে বলেন, “আপনার কাছে যদি সিন্দুকের পেটেন্ট থাকে, আপনি আমাদের তা থেকে দূরে রাখতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি সিন্দুকের ব্যাপারে বই লিখেন যে কীভাবে সিন্দুক ভাঙা সম্ভব, তাহলে তা কিন্তু আপনাকে এটি করার মতো বিশেষ কোনো অধিকার দেয় না।”

পরে ভিন্ন উপমা ব্যবহার করে প্রধান বিচারক রবার্টস ওরাকল আইনজীবী ই. জশুয়া রসেনক্রানজ কে জিজ্ঞাসা করেন, “রেস্টুরেন্টের মেন্যু কি এভাবে কপিরাইট করা যায় যে এতে অ্যাপেটাইজার, প্রধান ডিশ এবং ডেসার্ট আলাদা করে দেখানো থাকবে?” উত্তরে রসেনক্রানজ বলেন, “যদি সেটা প্রচলিত বিষয় হয় তবে তা কপিরাইট করা সম্ভব নয়।” এরপর তিনি যোগ করেন, জাভা কোডের ব্যাপারটি ভিন্ন।

রসেনক্রানজ বলছেন, “এখানে অ্যাপস এবং ওখানে ডিনার প্লেটস” – ব্যাপারটি এত সহজ নয়। পুরো উত্তরটির সারমর্ম দাঁড়াচ্ছে, গুগল যেভাবে অনুমতি ছাড়া ওরাকলকে উপেক্ষা করে নিজের ইচ্ছামতো জাভা কোড ব্যবহার করেছে, ওরাকল সেটি সমর্থন করতে পারছে না। অন্যদিকে বিচারক সোনিয়া সোটোমায়ার বলেন যে গুগল অনেক কোডই রূপান্তর করে নিয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন ফেডারেল সরকারের আইনজীবী ম্যালকম এল. স্টুয়ার্টকে। এর আগে ওরাকলের পক্ষ হয়ে লড়েছেন স্টুয়ার্ট। বিচারক সোটোমায়ো জানতে চান, কেন গুগলের কাজকে সমর্থন করছেন না তিনি?

উত্তরে স্টুয়ার্ট জানান, একেবারে নতুন ধরনের ব্যবহার হলেও কপিরাইট করা সামগ্রীর ব্যবহার আইনসম্মত নয়। “ধরে নিন নতুন কোনো চলচ্চিত্র শুধু হলে মুক্তি পেয়েছে, কেউ হয়তো সেটির প্রিন্ট পেলো এবং তা ইন্টারনেটে লাইভস্ট্রিম করলো। হিসেবে কিন্তু একই কনটেন্ট, কিন্তু ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করা হয়েছে। এটি কিন্তু সমর্থনযোগ্য নয়।”

বিচারক সোটোমায়ো গুগল আইনজীবী গোল্ডস্টিনকে একপর্যায়ে প্রশ্ন করেন, “তাদের আসল কাজ ব্যবহার করার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে?” বিচারক নেইল এম. গোরসাচও গুগলকে ছেড়ে কথা বলেননি।

তিনি বলেছেন, গুগলের হাতে জাভা ব্যবহার বাদেও অন্য পথ খোলা ছিলো, “অন্যান্যরা এটি এড়িয়ে উদ্ভাবনের রাস্তা খুঁজে নিয়েছে।” অ্যাপল ও মাইক্রোসফটের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন যে “তারা ফোন নিয়ে আসতে পেরেছে এরকম কোনো নকল করা ছাড়াই।” গুগলের কর্মকাণ্ড প্রশ্নে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আরেক বিচারক ব্রেট এম. ক্যাভেনাও। তিনি বলেছেন, “শুধু ওভাবে গাইলেই গান হবে, এমন যুক্তিতে কোনো গান নকল করার অনুমোদন নেই আপনার।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

জেনে নিন ফেসবুক নাকি ইউটিউবে আয় বেশি?

Published

on

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বর্তমানে ইউটিউব ও ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সেইসঙ্গে অনেকের কাছেই এটি অর্থ আয়ের একটি মাধ্যম হিসাবে গড়ে উঠেছে। অনেকেই এখন পেশাদারিভাবে ইউটিউব ও ফেসবুকের জন্য কনটেন্ট তৈরি করছেন। কোনো কোনো কনটেন্ট নির্মাতা ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে মাসে কয়েক লাখ টাকা উপার্জন করছেন।

মূলত মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ফেসবুক ও ইউটিউব দুই জায়গা থেকেই ভালো টাকা আয় করা যায়। তবুও ক্রিয়েটরদের মধ্যে কেউ ফেসবুক, আবার কেউ ইউটিউবকে বেশি গুরুত্ব দেন। অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের থেকে বেশি পুরোনো ইউটিউব। এছাড়াও এখানে নানা বিষয়ের কনটেন্ট আপলোড হয়। যা নজর কাড়ে মানুষের। অন্যদিকে ইউটিউবে ভøগিং চ্যানেলের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে।

তবে এই দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে কোন জায়গা থেকে সব থেকে বেশি টাকা আয় করা যায় জানেন? ইউটিউব না ফেসবুক কে বেশি টাকা দেয়? পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি ১০ লাখ ভিউয়ে ফেসবুকে ২৫০ থেকে ২৬০ ডলার আয় হয়ে থাকে। যেখানে ইউটিউবে ভিডিও অনুুযায়ী ২০০০ ডলারের বেশিও আয় করা যায়। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ইউটিউব এগিয়ে রয়েছে।

ফেসবুকে একাধিক মনিটাইজেশন টুল রয়েছে। যেমন- স্টার্স, ইন-ভিডিও পারচেস, ব্র্যান্ড কোলাবোরেশন ইত্যাদি। অন্যদিকে ইউটিউবেও রয়েছে অসংখ্য মনিটাইজেশন টুল। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের অধীনে একাধিক উপায়ে টাকা উপার্জন করা যায়। যেমন – ইন-স্ট্রিম অ্যাড, স্পন্সরশিপ, সুপার চ্যাট ডোনেশন এবং চ্যানেল মেম্বারশিপ।

এক্ষেত্রে ফেসবুক থেকে এগিয়ে রয়েছে ইউটিউব। কারণ ইউটিউবে এনগেজমেন্ট বেশি হয়ে থাকে। পাশাপাশি ইউটিউবে ডাটা ইউসেজও অনেক বেশি। প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ এমবি। যে কারণে ফেসবুকের থেকে মনিটাইজেসনের বিচারে এগিয়ে রয়েছে ইউটিউব।

Continue Reading

Highlights

রিয়েলফিল ক্যামেরা ফিচারের পরিধি বাড়াবে গুগল

Published

on

google

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) নতুন ফটোগ্রাফি ফিচার চালু করতে কাজ করছে গুগল। নতুন এ ফিচার বা প্রযুক্তির উন্নয়নে কর্নেল ইউনিভার্সিটির গবেষকদের সঙ্গে কাজ করেছে কোম্পানিটি। এটি ব্যবহারকারীদের ছবির রেজল্যুশন বাড়ানোর পাশাপাশি এডিটিংয়ে সহায়তা করবে। খবর গিজচায়না।

পাঁচটি রেফারেন্সের পরিপ্রেক্ষিতে গুগলের নতুন ফিচারটি কাজ করবে বলে জানা গেছে। অফিশিয়াল বিবৃতির তথ্যানুযায়ী, রিয়েলফিল ডাউনলোড করা যাবে না-এমন এআই সফটওয়্যারে আঁকা ছবি নিয়ে কাজের সুবিধা দেবে। এ ছাড়া অনলাইনেও অনুরূপ সুবিধা থাকবে, যেটি ব্যবহার করে জেনারেটিভ মডেল তৈরি করা যাবে। মূলত ফিচারটি ব্যবহারকারীদের যেকোনো ছবি সহজে সম্পাদনার সুযোগ দেবে।

একটি গবেষণাপত্রের সূত্র ধরে রিয়েলফিলের এ প্রযুক্তির উন্নয়ন করা হয়েছে। গবেষণাপত্রটির শিরোনাম রেফারেন্স ড্রাইভেন জেনারেশন ফর অথেনটিক ইমেজ কমপ্লিশন। এখানে একাধিক রেফারেন্স থেকে কীভাবে মূল ছবি এডিট করা হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত থাকবে। গুগলের দাবি রেফারেন্সে থাকা ছবি ব্যবহার করে ফিচারটি অন্য অ্যাপের তুলনায় ভালোভাবে কাজ করতে পারে।

প্রযুক্তিবিদদের মতে, এআইনির্ভর ফটোগ্রাফি টুল হিসেবে রিয়েলফিল আকর্ষণীয় হলেও এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বর্তমানে প্রচলিত বেশকিছু ইমেজ জেনারেশন মডেলের তুলনায় এটি ধীরগতির। পিক্সেল স্মার্টফোন লাইনআপে নাইট সাইট মোডের মতো অ্যাডভান্সড কম্পিউট্যাশনাল ফটোগ্রাফি ফিচার যুক্ত করেছে গুগল।

সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ভবিষ্যতে পিক্সেল ডিভাইস বা গুগল ফটোজ অ্যাপে চারটি যুক্ত করা হবে। যদি এটি যুক্ত হয় তখন ব্যবহারকারীরা এআই প্রযুক্তির সহায়তায় সহজে ছবি সম্পাদনা করতে পারবেন।

Continue Reading

Highlights

যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নিরাপদ রাখবেন

Published

on

whatsapp

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। দিন দিন বাড়ছে এর ব্যবহার। তবে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট এবং ছবি ও ফাইল কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন তা জানেন না অনেকেই। এর ফলে সাইবার অপরাধীদের ব্ল্যাকমেইলিং, ফিশিং ও বিভিন্ন প্রতারণার শিকার হচ্ছেন কেউ কেউ। তবে কয়েকটি নিরাপত্তা ফিচার ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।

ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ: হোয়াটসঅ্যাপে ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ অপশন রয়েছে। যদি মনে হয় আপনার হোয়াটসঅ্যাপের ওপর কেউ নজরদারি চালাচ্ছে তা হলে এই অপশন অন করে দিন। এই অপশন চালু থাকলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর মেসেজ ডিসঅ্যাপিয়ার বা মুছে যাবে।

অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন: হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নিরাপত্তার দ্বিতীয় টিপস হলো অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন। সমস্ত চ্যাটে এই ফিচার অন করে রাখুন। এর সুবিধা হলো আপনি যাকে টেক্সট পাঠাচ্ছেন তিনি আর আপনি ছাড়া অন্য কেউ মেসেজ দেখতে পাবে না। অবৈধভাবে ঢুকে কেউ কোনো তথ্য দেখতে বা অ্যাকসেস করতে পারবে না। তাই ফাঁস হওয়ার ঝুঁকিও থাকবে না।

স্প্যাম কল বন্ধ করা: স্প্যাম কলের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন কেউ কেউ। এই কল বন্ধ করার উপায় রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ সেটিংসে গিয়ে সাইলেন্স আননোন কল অপশন অন করে দিন। এতে অপরিচিত ও স্প্যাম কল এড়িয়ে যেতে পারবেন।

চ্যাট লক: চ্যাট লক অপশনটিও বেশ কার্যকর। যদি মনে হয় আপনার ডিভাইস হ্যাক হয়েছে বা সাইবার হামলার কবলে পড়েছেন, তা হলে নির্দিষ্ট কোনো চ্যাট লক করে রাখতে পারেন। পাসওয়ার্ড বা বায়োমেট্রিক দিয়ে লক করা যায় চ্যাট। ওপরের এই ফিচারগুলো আপনার হোয়াটসঅ্যাপকে সুরক্ষিত রাখবে। এমনকি কোনো ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়া ঠেকাতে ভূমিকা রাখবে।

Continue Reading

Trending