Connect with us

Highlights

ইউএসবি ও ব্লুটুথ স্পিকারের সুবিধা-অসুবিধা ও পার্থক্য

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
গান শোনার ক্ষেত্রে ইয়ারফোনের ব্যবহার হলেও যারা গানের গভীরে হারিয়ে যেতে চান, তাদের কাছে স্পিকারের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। পারিপার্শ্বিক শব্দকে কাটাতে স্পিকারে কিছুটা উঁচু ভলিউমে কেউ রবীন্দ্র সংগীত, কেউবা নজরুল সংগীত শোনেন। আবার আধুনিক ঘরানায় ব্যান্ড মিউজিকের হেভি মেটালও কারো কারো পছন্দের শীর্ষে। গেম খেলায় অনেকে হেডফোনের তুলনায় স্পিকারকেই প্রাধান্য দেন।

কারো মতে, গেমের শব্দ শোনার সঙ্গে গেমের ঘটনায় নিমজ্জিত হওয়া যায়। নানা মুনির নানা মত। স্পিকারের ব্যবহার অনেক আগে থেকেই। আগে কেবল কানেক্টেড স্পিকার ছিল। এরপর আসে ইউএসবি ও সর্বশেষ ব্লুটুথ।

বর্তমানে বাজারে ইউএসবি ও ব্লুটুথ স্পিকারই বেশি চলছে। প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে সহজ ও সুবিধাজনক পথই খুঁজছেন। তবে এ ইউএসবি ও ব্লুটুথ স্পিকার নিয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে পছন্দ-অপছন্দ রয়েছে। জেনে নিন ইউএসবি ও ব্লুটুথ স্পিকারের সুবিধা-অসুবিধা।

ইউএসবি স্পিকার: ইউনিভার্সাল সিরিয়াল বাসের সংক্ষিপ্ত হচ্ছে ইউএসবি। বর্তমানে বাজারে সব ধরনের ইলেকট্রনিক পণ্যে বিশেষ করে, টেলিভিশন, ল্যাপটপে ইউএসবি পোর্ট ব্যবহার করা হয়। ইউএসবি স্পিকারও সে রকমই একটি উদ্ভাবন।

আগে ৩.৫ মিলিমিটার অডিও জ্যাকের মাধ্যমে স্পিকার সংযোগ করতে হতো। সাউন্ড কার্ডের মাধ্যমে এরপর সেই স্পিকার চলত। কিন্তু ইউএসবি স্পিকার সরাসরি ব্যবহারযোগ্য। কম্পিউটার সহজেই এ ডিভাইসকে রিমুভেবল ডিভাইস হিসেবেই ডিটেক্ট করে।

ব্লুটুথ স্পিকার: আরএফ ওয়েভের মাধ্যমে অডিও সিগন্যাল গ্রহণ করার পর তা ডিকোড করে তারবিহীন ব্লুটুথ স্পিকার। বিগত কয়েক বছরে ব্লুটুথ স্পিকার প্রযুক্তি বাজারের কেন্দ্রস্থলে অবস্থান করছে। তবে ইউএসবি স্পিকার এবং ব্লুটুথ স্পিকারের শব্দের মানের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।

ইউএসবি ও ব্লুটুথ স্পিকারের মধ্যে পার্থক্য

কানেক্টিভিটি বা সংযোগ ব্যবস্থা: অন্যান্য ইউএসবি ডিভাইসের মতোই ইউএসবি স্পিকারও সরাসরি কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের ইউএসবি পোর্টে সংযোগ করা হয়। সংযোগের পর কম্পিউটার সেই হার্ডওয়্যার ডিটেক্ট করে এবং সেটিকে ব্যবহারের জন্য ইনস্টল করে। অন্যদিকে ব্লুটুথ স্পিকার ওয়্যারলেস সংযোগের অডিও মাধ্যম। তবে এটিকে পরিচালনার জন্য অন্য আরেকটি ওয়্যারলেস সুবিধা সংবলিত ডিভাইসের সঙ্গে যুক্ত করতে হয়।

কার্যক্ষমতা: ইউএসবি স্পিকার সহজেই ব্যবহারযোগ্য। এটি চাইলেই সংযোগ করা যায় আবার খুলে ফেলা যায়। ইউএসবি স্পিকার সরাসরি ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত হয়। এখানে সাউন্ড কার্ডের কোনো প্রয়োজন হয় না। অন্যদিকে ব্লুটুথ স্পিকার রেডিওওয়েভ ব্যবহার করে অন্য ওয়্যারকেস ডিভাইসের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের ভিত্তিতে কাজ করে। এটি কর্ডলেস টেলিফোনের মতো একই তরঙ্গ ব্যবহার করে।

বিদ্যুৎ শক্তির ব্যবহার: ইউএসবি স্পিকার সরাসরি কম্পিউটার বা ল্যাপটপের ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বা শক্তি ব্যবহার করে থাকে। যেখানে ব্লুটুথ স্পিকার ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হয়। তবে কম শক্তি ব্যবহার করে এমন স্পিকারও বাজারে রয়েছে।

বহন ক্ষমতা: বাইরে বহন করার দিক থেকে ব্লুটুথ স্পিকার সবার ওপরে। আপনি যদি প্রায়ই বাইরে থাকেন, ঘুরতে পছন্দ করেন, পিকনিকে যান, তবে আপনি সহজেই আপনার ব্লুটুথ স্পিকার বহন করতে পারবেন। সেই সঙ্গে একাধিক ডিভাইসের সঙ্গে ব্লুটুথ স্পিকারের সংযোজন খুব একটা কঠিন কাজ নয়।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

জেনে নিন ফেসবুক নাকি ইউটিউবে আয় বেশি?

Published

on

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বর্তমানে ইউটিউব ও ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সেইসঙ্গে অনেকের কাছেই এটি অর্থ আয়ের একটি মাধ্যম হিসাবে গড়ে উঠেছে। অনেকেই এখন পেশাদারিভাবে ইউটিউব ও ফেসবুকের জন্য কনটেন্ট তৈরি করছেন। কোনো কোনো কনটেন্ট নির্মাতা ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে মাসে কয়েক লাখ টাকা উপার্জন করছেন।

মূলত মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ফেসবুক ও ইউটিউব দুই জায়গা থেকেই ভালো টাকা আয় করা যায়। তবুও ক্রিয়েটরদের মধ্যে কেউ ফেসবুক, আবার কেউ ইউটিউবকে বেশি গুরুত্ব দেন। অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের থেকে বেশি পুরোনো ইউটিউব। এছাড়াও এখানে নানা বিষয়ের কনটেন্ট আপলোড হয়। যা নজর কাড়ে মানুষের। অন্যদিকে ইউটিউবে ভøগিং চ্যানেলের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে।

তবে এই দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে কোন জায়গা থেকে সব থেকে বেশি টাকা আয় করা যায় জানেন? ইউটিউব না ফেসবুক কে বেশি টাকা দেয়? পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি ১০ লাখ ভিউয়ে ফেসবুকে ২৫০ থেকে ২৬০ ডলার আয় হয়ে থাকে। যেখানে ইউটিউবে ভিডিও অনুুযায়ী ২০০০ ডলারের বেশিও আয় করা যায়। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ইউটিউব এগিয়ে রয়েছে।

ফেসবুকে একাধিক মনিটাইজেশন টুল রয়েছে। যেমন- স্টার্স, ইন-ভিডিও পারচেস, ব্র্যান্ড কোলাবোরেশন ইত্যাদি। অন্যদিকে ইউটিউবেও রয়েছে অসংখ্য মনিটাইজেশন টুল। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের অধীনে একাধিক উপায়ে টাকা উপার্জন করা যায়। যেমন – ইন-স্ট্রিম অ্যাড, স্পন্সরশিপ, সুপার চ্যাট ডোনেশন এবং চ্যানেল মেম্বারশিপ।

এক্ষেত্রে ফেসবুক থেকে এগিয়ে রয়েছে ইউটিউব। কারণ ইউটিউবে এনগেজমেন্ট বেশি হয়ে থাকে। পাশাপাশি ইউটিউবে ডাটা ইউসেজও অনেক বেশি। প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ এমবি। যে কারণে ফেসবুকের থেকে মনিটাইজেসনের বিচারে এগিয়ে রয়েছে ইউটিউব।

Continue Reading

Highlights

রিয়েলফিল ক্যামেরা ফিচারের পরিধি বাড়াবে গুগল

Published

on

google

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) নতুন ফটোগ্রাফি ফিচার চালু করতে কাজ করছে গুগল। নতুন এ ফিচার বা প্রযুক্তির উন্নয়নে কর্নেল ইউনিভার্সিটির গবেষকদের সঙ্গে কাজ করেছে কোম্পানিটি। এটি ব্যবহারকারীদের ছবির রেজল্যুশন বাড়ানোর পাশাপাশি এডিটিংয়ে সহায়তা করবে। খবর গিজচায়না।

পাঁচটি রেফারেন্সের পরিপ্রেক্ষিতে গুগলের নতুন ফিচারটি কাজ করবে বলে জানা গেছে। অফিশিয়াল বিবৃতির তথ্যানুযায়ী, রিয়েলফিল ডাউনলোড করা যাবে না-এমন এআই সফটওয়্যারে আঁকা ছবি নিয়ে কাজের সুবিধা দেবে। এ ছাড়া অনলাইনেও অনুরূপ সুবিধা থাকবে, যেটি ব্যবহার করে জেনারেটিভ মডেল তৈরি করা যাবে। মূলত ফিচারটি ব্যবহারকারীদের যেকোনো ছবি সহজে সম্পাদনার সুযোগ দেবে।

একটি গবেষণাপত্রের সূত্র ধরে রিয়েলফিলের এ প্রযুক্তির উন্নয়ন করা হয়েছে। গবেষণাপত্রটির শিরোনাম রেফারেন্স ড্রাইভেন জেনারেশন ফর অথেনটিক ইমেজ কমপ্লিশন। এখানে একাধিক রেফারেন্স থেকে কীভাবে মূল ছবি এডিট করা হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত থাকবে। গুগলের দাবি রেফারেন্সে থাকা ছবি ব্যবহার করে ফিচারটি অন্য অ্যাপের তুলনায় ভালোভাবে কাজ করতে পারে।

প্রযুক্তিবিদদের মতে, এআইনির্ভর ফটোগ্রাফি টুল হিসেবে রিয়েলফিল আকর্ষণীয় হলেও এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বর্তমানে প্রচলিত বেশকিছু ইমেজ জেনারেশন মডেলের তুলনায় এটি ধীরগতির। পিক্সেল স্মার্টফোন লাইনআপে নাইট সাইট মোডের মতো অ্যাডভান্সড কম্পিউট্যাশনাল ফটোগ্রাফি ফিচার যুক্ত করেছে গুগল।

সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ভবিষ্যতে পিক্সেল ডিভাইস বা গুগল ফটোজ অ্যাপে চারটি যুক্ত করা হবে। যদি এটি যুক্ত হয় তখন ব্যবহারকারীরা এআই প্রযুক্তির সহায়তায় সহজে ছবি সম্পাদনা করতে পারবেন।

Continue Reading

Highlights

যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নিরাপদ রাখবেন

Published

on

whatsapp

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। দিন দিন বাড়ছে এর ব্যবহার। তবে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট এবং ছবি ও ফাইল কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন তা জানেন না অনেকেই। এর ফলে সাইবার অপরাধীদের ব্ল্যাকমেইলিং, ফিশিং ও বিভিন্ন প্রতারণার শিকার হচ্ছেন কেউ কেউ। তবে কয়েকটি নিরাপত্তা ফিচার ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।

ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ: হোয়াটসঅ্যাপে ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ অপশন রয়েছে। যদি মনে হয় আপনার হোয়াটসঅ্যাপের ওপর কেউ নজরদারি চালাচ্ছে তা হলে এই অপশন অন করে দিন। এই অপশন চালু থাকলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর মেসেজ ডিসঅ্যাপিয়ার বা মুছে যাবে।

অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন: হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নিরাপত্তার দ্বিতীয় টিপস হলো অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন। সমস্ত চ্যাটে এই ফিচার অন করে রাখুন। এর সুবিধা হলো আপনি যাকে টেক্সট পাঠাচ্ছেন তিনি আর আপনি ছাড়া অন্য কেউ মেসেজ দেখতে পাবে না। অবৈধভাবে ঢুকে কেউ কোনো তথ্য দেখতে বা অ্যাকসেস করতে পারবে না। তাই ফাঁস হওয়ার ঝুঁকিও থাকবে না।

স্প্যাম কল বন্ধ করা: স্প্যাম কলের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন কেউ কেউ। এই কল বন্ধ করার উপায় রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ সেটিংসে গিয়ে সাইলেন্স আননোন কল অপশন অন করে দিন। এতে অপরিচিত ও স্প্যাম কল এড়িয়ে যেতে পারবেন।

চ্যাট লক: চ্যাট লক অপশনটিও বেশ কার্যকর। যদি মনে হয় আপনার ডিভাইস হ্যাক হয়েছে বা সাইবার হামলার কবলে পড়েছেন, তা হলে নির্দিষ্ট কোনো চ্যাট লক করে রাখতে পারেন। পাসওয়ার্ড বা বায়োমেট্রিক দিয়ে লক করা যায় চ্যাট। ওপরের এই ফিচারগুলো আপনার হোয়াটসঅ্যাপকে সুরক্ষিত রাখবে। এমনকি কোনো ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়া ঠেকাতে ভূমিকা রাখবে।

Continue Reading

Trending