Connect with us

Highlights

ফেসবুক মেসেজ এনক্রিপশন, শিশু সুরক্ষায় হুমকির আশঙ্কা

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
ফেসবুকের মেসেজিং সার্ভিসে এনক্রিপশন পদ্ধতি প্রয়োগ করার ফলে চলমান শিশু নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। শিশু নির্যাতনবিরোধী এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন শিশু অধিকার কর্মীরা। এতে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল বলেন, যে ব্যবস্থা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছ থেকে অপরাধীকে সুরক্ষা দেয় এমন কিছু আমরা অনুমোদন করতে পারি না।

দ্য ন্যাশনাল সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অব ক্রুয়েলিটি টু চিলড্রেন (এনএসপিসিসি) জানায়, ব্যক্তিগতভাবে এনক্রিপ্টেড মেসেজগুলোই শিশুদের যৌন আক্রমণ করার প্রাথমিক পর্যায় হিসেবে ব্যবহূত হয়। ফেসবুকের এনক্রিপ্টেড মেসেজের মাধ্যমে অনলাইনে শিশুদের প্রতি যৌন নির্যাতন আরা বাড়তে পারে বলে দাবি করছে তারা।

অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে আশা প্রকাশ করেন, ফেসবুক তার ব্যবহারকারীদের জন্য আরো নতুন নতুন গোপনীয়তা সুরক্ষা নীতিমালা নিয়ে আসে, তখন তাদের শিশুদের সুরক্ষার কথাও বিবেচনায় রাখা উচিত।

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুঃখজনকভাবে শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছি, তখনই ফেসবুক এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবস্থা নিয়ে আসছে। ফেসবুকের এ সিদ্ধান্ত শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াইকে আরো কঠিন করে তুলবে।

তিনি আরো বলেন, এতে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন আরো প্রসারিত হওয়ার সুযোগ পাবে। কোম্পানিটি এ ব্যবস্থার ফলে সমস্যাটিকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে সব মেসেজে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে চায়। এটা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।

তবে ফেসবুক বলছে, ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার প্রতি লক্ষ রেখেই এ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে তারা। ফেসবুক জানায়, এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন এরই মধ্যে শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি হিসেবে অনেক মেসেজিং সার্ভিসেই ব্যবহূত হচ্ছে। মূলত হ্যাকার ও সাইবার অপরাধীদের কাছ থেকে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা দিতেই এ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার কথাও আলাদা করে ভাবা হচ্ছে বলে জানায় ফেসবুক।

এছাড়া ফেসবুক তাদের মেসেজিং পদ্ধতিতে বিভিন্ন ফিল্টার ব্যবহার করে শিশু নির্যাতন, যৌন হয়রানি ও নানা যৌন সহিংসতা রোধে কাজ করে বলেও জানায়।

এনএসপিসিসি বলছে, এসব ফিল্টারিং টুলস আসলে তেমন কোনো কাজে আসে না। বরং ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের ব্যাপারটি আবার বিবেচনা করে দেখতে অনুরোধ করে সংগঠনটি।

ইউএস সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লোয়টেড চিলড্রেন জানায়, ফেসবুকের মেসেজিং প্লাটফর্মে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবস্থা চালু করা হলে বিশ্বের অন্তত ৭০ শতাংশ শিশু নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যাবে।

উল্লেখ্য, এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন হলো মেসেজিং টুলসের একটি ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে প্রেরক ও প্রাপক ব্যতীত অন্য কেউ দুজনের মধ্যকার পাঠানো মেসেজগুলো পড়তে পারে না। এমনকি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব মেসেজ পড়তে চাইলে দুটি ডিভাইসের কোনো একটি জব্দ করে সেটিকে আনলক করে তবেই পড়তে হবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

জেনে নিন ফেসবুক নাকি ইউটিউবে আয় বেশি?

Published

on

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বর্তমানে ইউটিউব ও ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সেইসঙ্গে অনেকের কাছেই এটি অর্থ আয়ের একটি মাধ্যম হিসাবে গড়ে উঠেছে। অনেকেই এখন পেশাদারিভাবে ইউটিউব ও ফেসবুকের জন্য কনটেন্ট তৈরি করছেন। কোনো কোনো কনটেন্ট নির্মাতা ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে মাসে কয়েক লাখ টাকা উপার্জন করছেন।

মূলত মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ফেসবুক ও ইউটিউব দুই জায়গা থেকেই ভালো টাকা আয় করা যায়। তবুও ক্রিয়েটরদের মধ্যে কেউ ফেসবুক, আবার কেউ ইউটিউবকে বেশি গুরুত্ব দেন। অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের থেকে বেশি পুরোনো ইউটিউব। এছাড়াও এখানে নানা বিষয়ের কনটেন্ট আপলোড হয়। যা নজর কাড়ে মানুষের। অন্যদিকে ইউটিউবে ভøগিং চ্যানেলের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে।

তবে এই দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে কোন জায়গা থেকে সব থেকে বেশি টাকা আয় করা যায় জানেন? ইউটিউব না ফেসবুক কে বেশি টাকা দেয়? পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি ১০ লাখ ভিউয়ে ফেসবুকে ২৫০ থেকে ২৬০ ডলার আয় হয়ে থাকে। যেখানে ইউটিউবে ভিডিও অনুুযায়ী ২০০০ ডলারের বেশিও আয় করা যায়। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ইউটিউব এগিয়ে রয়েছে।

ফেসবুকে একাধিক মনিটাইজেশন টুল রয়েছে। যেমন- স্টার্স, ইন-ভিডিও পারচেস, ব্র্যান্ড কোলাবোরেশন ইত্যাদি। অন্যদিকে ইউটিউবেও রয়েছে অসংখ্য মনিটাইজেশন টুল। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের অধীনে একাধিক উপায়ে টাকা উপার্জন করা যায়। যেমন – ইন-স্ট্রিম অ্যাড, স্পন্সরশিপ, সুপার চ্যাট ডোনেশন এবং চ্যানেল মেম্বারশিপ।

এক্ষেত্রে ফেসবুক থেকে এগিয়ে রয়েছে ইউটিউব। কারণ ইউটিউবে এনগেজমেন্ট বেশি হয়ে থাকে। পাশাপাশি ইউটিউবে ডাটা ইউসেজও অনেক বেশি। প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ এমবি। যে কারণে ফেসবুকের থেকে মনিটাইজেসনের বিচারে এগিয়ে রয়েছে ইউটিউব।

Continue Reading

Highlights

রিয়েলফিল ক্যামেরা ফিচারের পরিধি বাড়াবে গুগল

Published

on

google

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) নতুন ফটোগ্রাফি ফিচার চালু করতে কাজ করছে গুগল। নতুন এ ফিচার বা প্রযুক্তির উন্নয়নে কর্নেল ইউনিভার্সিটির গবেষকদের সঙ্গে কাজ করেছে কোম্পানিটি। এটি ব্যবহারকারীদের ছবির রেজল্যুশন বাড়ানোর পাশাপাশি এডিটিংয়ে সহায়তা করবে। খবর গিজচায়না।

পাঁচটি রেফারেন্সের পরিপ্রেক্ষিতে গুগলের নতুন ফিচারটি কাজ করবে বলে জানা গেছে। অফিশিয়াল বিবৃতির তথ্যানুযায়ী, রিয়েলফিল ডাউনলোড করা যাবে না-এমন এআই সফটওয়্যারে আঁকা ছবি নিয়ে কাজের সুবিধা দেবে। এ ছাড়া অনলাইনেও অনুরূপ সুবিধা থাকবে, যেটি ব্যবহার করে জেনারেটিভ মডেল তৈরি করা যাবে। মূলত ফিচারটি ব্যবহারকারীদের যেকোনো ছবি সহজে সম্পাদনার সুযোগ দেবে।

একটি গবেষণাপত্রের সূত্র ধরে রিয়েলফিলের এ প্রযুক্তির উন্নয়ন করা হয়েছে। গবেষণাপত্রটির শিরোনাম রেফারেন্স ড্রাইভেন জেনারেশন ফর অথেনটিক ইমেজ কমপ্লিশন। এখানে একাধিক রেফারেন্স থেকে কীভাবে মূল ছবি এডিট করা হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত থাকবে। গুগলের দাবি রেফারেন্সে থাকা ছবি ব্যবহার করে ফিচারটি অন্য অ্যাপের তুলনায় ভালোভাবে কাজ করতে পারে।

প্রযুক্তিবিদদের মতে, এআইনির্ভর ফটোগ্রাফি টুল হিসেবে রিয়েলফিল আকর্ষণীয় হলেও এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বর্তমানে প্রচলিত বেশকিছু ইমেজ জেনারেশন মডেলের তুলনায় এটি ধীরগতির। পিক্সেল স্মার্টফোন লাইনআপে নাইট সাইট মোডের মতো অ্যাডভান্সড কম্পিউট্যাশনাল ফটোগ্রাফি ফিচার যুক্ত করেছে গুগল।

সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ভবিষ্যতে পিক্সেল ডিভাইস বা গুগল ফটোজ অ্যাপে চারটি যুক্ত করা হবে। যদি এটি যুক্ত হয় তখন ব্যবহারকারীরা এআই প্রযুক্তির সহায়তায় সহজে ছবি সম্পাদনা করতে পারবেন।

Continue Reading

Highlights

যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নিরাপদ রাখবেন

Published

on

whatsapp

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। দিন দিন বাড়ছে এর ব্যবহার। তবে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট এবং ছবি ও ফাইল কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন তা জানেন না অনেকেই। এর ফলে সাইবার অপরাধীদের ব্ল্যাকমেইলিং, ফিশিং ও বিভিন্ন প্রতারণার শিকার হচ্ছেন কেউ কেউ। তবে কয়েকটি নিরাপত্তা ফিচার ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।

ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ: হোয়াটসঅ্যাপে ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ অপশন রয়েছে। যদি মনে হয় আপনার হোয়াটসঅ্যাপের ওপর কেউ নজরদারি চালাচ্ছে তা হলে এই অপশন অন করে দিন। এই অপশন চালু থাকলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর মেসেজ ডিসঅ্যাপিয়ার বা মুছে যাবে।

অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন: হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট নিরাপত্তার দ্বিতীয় টিপস হলো অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশন। সমস্ত চ্যাটে এই ফিচার অন করে রাখুন। এর সুবিধা হলো আপনি যাকে টেক্সট পাঠাচ্ছেন তিনি আর আপনি ছাড়া অন্য কেউ মেসেজ দেখতে পাবে না। অবৈধভাবে ঢুকে কেউ কোনো তথ্য দেখতে বা অ্যাকসেস করতে পারবে না। তাই ফাঁস হওয়ার ঝুঁকিও থাকবে না।

স্প্যাম কল বন্ধ করা: স্প্যাম কলের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন কেউ কেউ। এই কল বন্ধ করার উপায় রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ সেটিংসে গিয়ে সাইলেন্স আননোন কল অপশন অন করে দিন। এতে অপরিচিত ও স্প্যাম কল এড়িয়ে যেতে পারবেন।

চ্যাট লক: চ্যাট লক অপশনটিও বেশ কার্যকর। যদি মনে হয় আপনার ডিভাইস হ্যাক হয়েছে বা সাইবার হামলার কবলে পড়েছেন, তা হলে নির্দিষ্ট কোনো চ্যাট লক করে রাখতে পারেন। পাসওয়ার্ড বা বায়োমেট্রিক দিয়ে লক করা যায় চ্যাট। ওপরের এই ফিচারগুলো আপনার হোয়াটসঅ্যাপকে সুরক্ষিত রাখবে। এমনকি কোনো ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়া ঠেকাতে ভূমিকা রাখবে।

Continue Reading

Trending