Tech News

সরবরাহ সংকটেও চলতি বছরে বৈশ্বিক চিপ বিক্রি ২০% বাড়বে

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনে সংকট সত্ত্বেও চলতি বছরে চিপ বিক্রি ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৫২ হাজার ৭২২ কোটি ডলারে দাঁড়াবে। সেমিকন্ডাক্টর শিল্পসংশ্লিষ্ট একটি গ্রুপের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে। খবর কিয়োদো।

করোনা মহামারী থেকে উত্তরণে ধীরে ধীরে কার্যক্রম বাড়াচ্ছে বিভিন্ন দেশ। ভোক্তা ইলেকট্রনিকস ও গাড়ি শিল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে কর্মচাঞ্চল্য বেড়েছে। এক্ষেত্রে চিপের চাহিদা অতীতের অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে।

ওয়ার্ল্ড সেমিকন্ডাক্টর ট্রেড স্ট্যাটিস্টিকস ইনকরপোরেশন তাদের সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানায়, ২০২২ সালেও সেমিকন্ডাক্টর বিক্রি অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকবে। তা ৮ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫৭ কোটি ৩৪৪ কোটি ডলারে।

করোনা মহামারীর কারণে ঘরে অবস্থান বৃদ্ধিতে গত বছর থেকেই চিপের চাহিদা বাড়ছে। শিক্ষার্থীদের ঘরে থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা দেয়া থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী হোম অফিসের কারণে ল্যাপটপ ও ট্যাবলেটের চাহিদা বেড়েছিল। এছাড়া ভিডিও গেমসের চাহিদাও ছিল রেকর্ড সর্বোচ্চ। চিপ স্বল্পতায় গ্রাহক চাহিদা পূরণে বেশ হিমশিম খেয়েছে প্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিকস কোম্পানিগুলো।

ঘরে বসে কাজ, অনলাইন ক্লাস ও অন্যান্য নেটওয়ার্ক কার্যক্রম বৃদ্ধিতে ইন্টারনেট ট্রাফিক বেড়েছে। এতে চাপ পড়েছে ডাটা সেন্টারগুলোর ওপর। গত বছর জাপানে ইন্টারনেট ট্রাফিক করোনা-পূর্ব ২০১৯ সালের তুলনায় ১ দশমিক ৬ গুণ বেড়েছে।

এদিকে আর্থিক পুনরুদ্ধার তত্পরতার অংশ হিসেবে গাড়ি নির্মাণ বাড়িয়েছে বিভিন্ন কোম্পানি। কিন্তু চিপ স্বল্পতার কারণে অনেক গাড়ি নির্মাতা তাদের গাড়ি নির্মাণ কমাতে বাধ্য হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে হোন্ডা মোটর ও ফক্সওয়াগন। জেনারেল মোটরস (জিএম) গত ফেব্রুয়ারি জানায়, তারা চারটি কারখানায় গাড়ি নির্মাণ কমিয়ে দিয়েছে। অন্তত এক বছর চিপ স্বল্পতা বহাল থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ গাড়ি কোম্পানিটি।

এ তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে ভলভো। চিপ সংকটের কারণে এক সপ্তাহের জন্য গাড়ি নির্মাণ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তারা। আগামী সপ্তাহ থেকে বেলজিয়ামের গেন্ট কারখানায় সাময়িকভাবে গাড়ি নির্মাণ বন্ধ করতে যাচ্ছে চীনের গিলি হোল্ডিংয়ের মালিকানাধীন এ ইউরোপীয় গাড়ি নির্মাতাটি। এক ই-মেইল বার্তায় ভলভো জানায়, চিপ সংকটের কারণে গেন্টের উৎপাদন বছরের ২৫তম সপ্তাহে আমরা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার জন্য এটি একটি কার্যকর সিদ্ধান্ত এবং আমরা ২৮ জুন ফের কারখানা কার্যক্রম শুরু করব।

করোনা টিকা সরবরাহ বৃদ্ধিতে যখন অন্যান্য শিল্পও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, সেখানে প্রধান বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে চিপ সরবরাহ সংকট। ৪৪টি সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্বকারী গ্রুপটি বলছে, জাপান বাদে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিপ বিক্রি সর্বোচ্চ ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়তে পারে। তার পরই দ্বিতীয় স্থানে থাকবে ইউরোপ যেখানে চিপ বিক্রি বাড়তে পারে ২১ দশমিক ১ শতাংশ। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি জাপানের চিপ বাজার সম্প্রসারণ হবে ১২ দশমিক ৭ শতাংশ। এছাড়া বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রে চিপের বাজার সম্প্রসারণ হবে ১১ দশমিক ১ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version