নিউজ ডেস্ক:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের নামে বাংলাদেশে ওয়েবসাইট খোলার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ওই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের আদালতে ৫০ হাজার ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা করবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিটিসিএল এর ওয়েবসাইটে দেখা যায়, এস এম সামসুল আলম নামে এক ব্যক্তি ২০০৮ সালে ওই ডোমেইনটি (facebook.com.bd) নিবন্ধন করেছেন। ইমেইল হিসেবে এওয়ানসফটওয়ার নামে একটি কোম্পানির মেইল দেখা যায় (a1softwareltd@gmail.com)।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফেসবুকের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. মোকছেদুল ইসলাম জানান, ফেসবুক বিশ্বের বহুল প্রচারিত একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এই নাম ব্যবহার করে কেউ কোনো ওয়েবসাইট খুলতে পারেন না। কিন্তু এ-ওয়ান-সফটওয়্যার লিমিটেড নামের একটি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ফেসবুক ডটকম বিডি নামে একটি দেশি ডোমেইন খুলেছে। ঐ ডোমেইনটি বিক্রি করা হবে বলেও সেখানে ৬ মিলিয়িন ডলার মূল্য উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা ফেসবুকের পক্ষ থেকে ঐ সাইট বন্ধে একাধিকবার লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। কিন্তু সেটা বন্ধ করা হয়নি।
জানা যায়, অনলাইনে ডোমেইন ক্রয় করে তা বেশি মূল্যে বিক্রি করার প্রথা রয়েছে। অনেকে ডোমেইন কিনে তা স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে বেশি বিক্রি করে থাকেন। যেটাকে প্রিমিয়াম ডোমেইন হিসেবে ডোমেইন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (হুইজ) সহ সর্বস্বীকৃত। ফেসবুক ডটকম ডটবিডি ডোমেইনটিও এর নিবন্ধনকারী ৬ মিলিয়ন ডলার মূল্যে বিক্রির এমন ঘোষণাই দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ব্যারিস্টার মো. মোকছেদুল ইসলাম বলেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আমাকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৭০০ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট আমাকে সরবরাহ করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। আগামী সপ্তাহে ঢাকার নিম্ন আদালতে ক্ষতিপূরণের মামলা করা হবে। একইসঙ্গে ওয়েবসাইট পরিচালনার ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হবে আদালতের কাছে। যাতে ঐ দেশি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যাতে কেউ কোনো প্রতারণার শিকার না হন।
ব্যারিস্টার মোকছেদ বলেন, ফেসবুক নিজেই একটা ট্রেডমার্ক। এটা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডোমেইন রেজিস্ট্রি করে রেখেছে। তাই কেউ চাইলে ফেসবুক নাম ব্যবহার করে কোনো ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে পারেন না।