প্রায় ২৩৫ মিলিয়ন বা ২৩ কোটি ব্যবহারকারীদের ইউটিউব ও ইনস্টগ্রামের ডেটা ফাঁস হয়ে গেছে। যার মধ্যে ইউজারদের কন্ট্যাক্ট ডিটেইলস, নাম, ছবি ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত ছিল। ডিপ সোশ্যাল নামের একটি কোম্পানি ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবের ডেটাবেস থেকে ইউজারদের ওয়েব-স্ক্র্যাপড ডেটা অ্যাক্সেস করছে।
ওয়েব স্ক্র্যাপিং বলতে আসলে বিভিন্ন সাইটের ওয়েব পেজ থেকে ডেটা সংগ্রহের পদ্ধতিকে বোঝায়। জানিয়ে রাখি, এই পদ্ধতিটি বেআইনি না হলেও ইউজারদের গোপনীয়তার জন্য এটি কোনোভাবেই সম্মত নয়।
এই বিষয়ে সিকিউরিটি রিসার্চার বব ডিয়াচেনকো জানিয়েছেন, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউব ডেটাবেসের অনুরূপ তিনটি কপি ১ আগস্টের মধ্যে ফাঁস হয়। ওই ডেটাবেস থেকে ইউজারদের প্রোফাইলের নাম, ছবি, বয়স, লিঙ্গ, অ্যাকাউন্টের বিবরণ, ফলোয়ার ইত্যাদি তথ্য এবং ইমেল আইডি প্রকাশ পেয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ফাঁস হওয়া ডেটা স্ক্যাম বা ফিশিংয়ের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতে পারে।
ডিপ সোশ্যালের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, এটি হংকং-ভিত্তিক ফার্ম ‘সোশ্যাল ডেটা’র দ্বারা পরিচালিত। সোশ্যাল ডেটা, গোটা বিষয়টি স্বীকার করে এবং ডেটা অ্যাক্সেস বন্ধ করে দেয়। পরে, সংস্থাটি ডিপ সোশ্যালের সাথে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করে দেয়। যদিও সোশ্যাল ডেটা সংস্থাটি ‘দ্য নেক্সট ওয়েব’-কে জানিয়েছে, কোনোমতেই গোপনে ডেটা অ্যাক্সেস করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত বছরেও এমন একটি ডেটা স্ক্র্যাপিংয়ের ঘটনা সামনে আসে, যেখানে লক্ষ লক্ষ ফেসবুক ইউজারের ডেটা ফাঁস হয়।