Connect with us

Tech News

বছরজুরে স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল যা কিছু

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
দেখতে দেখতে কেটে গেল ২০১৯। পেঁয়াজ-লবণ ছাড়াও ১০ টাকায় চা-চপ-সিঙ্গারা থেকে শুরু করে পদ্মা সেতুতে মাথা, প্রিয়া সাহা, ডিসির খাস-কামরা এবং ‘ঢেলে দেই’ – সবই ছিল এ বছরের আলোচিত ইস্যুর তালিকায়। সেই খবরগুলোর দিকে একটু নজর দেয়া যাক।

‘খুশিতে ঠ্যালায়, ঘোরতে’
৩০ শে ডিসেম্বরের নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন বছর শুরু হয়েছিল ভাইরাল একটি টিকটক ভিডিওর মাধ্যমে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে একবার ভোট দেওয়ার পরও আবার ভোটের লাইনে কেন দাঁড়িয়ে, জানতে চাইলে কয়েকজন নারীর উত্তর ছিল – “এই মনে করেন ভাল্লাগে, খুশিতে ঠ্যালায়, ঘোরতে”

শখের বশে বানানো এক টিকটক ভিডিও’র মাধ্যমে এই কথাগুলো ভাইরাল হয়ে যায়। অর্শিয়া সিদ্দিকা রোদসী ও তার বোন আসনা সিদ্দিকার শখের বশে বানানো ভিডিও যে এতটা জনপ্রিয়তা পাবে – তা তারা চিন্তাও করেননি। মিজ. রোদসী বিবিসিকে এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছিলেন, ভিডিওটি নিতান্তই শখের বশে বানিয়ে আপলোড করেন তিনি; চিন্তাও করেননি এটি এতটা জনপ্রিয়তা পাবে।

১০ টাকায় চা, চপ, সিঙ্গারা
“…তুমি পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও পাবে না ১০ টাকায় এক কাপ চা, একটি সিঙ্গারা , একটি চপ এবং একটি সমুচা -১০ টাকায় পাওয়া যায় বাংলাদেশে, পৃথিবীতে। এটি যদি কোনো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জানতে পারে, তাহলে এটা গিনেস বুকে রেকর্ড হবে।…এগুলো পাওয়া যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে।” – এমন বক্তব্য দিয়ে জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে আলোচনায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান।

সাংবাদিককে আত্মহত্যার পরামর্শ
এদিকে এক সাংবাদিককে আত্মহত্যার পরামর্শ দিয়েও ভাইরাল বনে যান রেল সচিব মোফাজ্জল হোসেন। ট্রেনের টিকেটের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেন বেশি দাম রাখা হচ্ছিল- সচিবের কাছে জানতে গিয়েছিলেন একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক।

আর সচিব বলে বসলেন – “আপনি এখন আত্মহত্যা করেন। একটি স্টেটমেন্ট লিখে যান যে রেলের লোকেরা আমার সাথে কথা বলতে চাচ্ছে না। এই মর্মে ঘোষণা দিলাম যে তারা কথা না বলার কারণে আমি আত্মহত্যা করলাম।” পরে অবশ্য বিবিসি বাংলাকে সচিব মোফাজ্জল হোসেন জানান তিনি ‘রসিকতা’ করেছিলেন মাত্র।

ভারতীয় পাইলট আভিনন্দনের গোঁফ
বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ আর মার্চের শুরুতে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতের হামলার দাবি ও তা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা। তবে এই উত্তেজনায় সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেলেন পাকিস্তানের হাতে আটকে পড়া ভারতীয় পাইলট আভিনন্দন ভার্থামান।

৫৮ ঘণ্টা পাকিস্তানের সেনাদের হাতে বন্দী থাকার পর ভারতে ফিরে প্রচুর প্রশংসা কুড়ান তিনি। রাতারাতি ‘জাতীয় বীর’ বনে যাওয়া এই পাইলটের স্টাইলে বাহারি গোঁফ রাখার হিড়িক পড়ে যায় তখন ভারতে।

Tshirt

‘গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না’
এপ্রিলের শুরু দিকে ঢাকায় একটি টি-শার্টের লেখা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সেখানে লেখা ছিল – ‘গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না’।ঢাকার একটি ইন্টারনেটভিত্তিক নারীদের পোশাক ও অলঙ্কার তৈরির প্রতিষ্ঠান এই ডিজাইনের টি-শার্টটি তৈরি এবং বাজারজাত করা শুরু করেছিল।

বাংলাদেশে গণপরিবহনে হয়রানিমূলক ঘটনার প্রতিবাদ হিসেবে এ ধরণের বার্তা টি-শার্টে লেখার চিন্তা মাথায় আসে বলে বিবিসিকে জানান প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীদের একজন এবং টি-শার্টের ডিজাইনার জিনাত জাহান নিশা।

পদ্মা সেতুতে কাটা মাথা লাগার গুজব
‘পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের জন্য মানুষের মাথা লাগবে’ – এমন গুজব সামাজিক মাধ্যম থেকে অবশ্য লোকমুখে ভাইরাল হয়ে পড়েছিল। দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় এমনকি স্কুলে পর্যন্ত এই গুজব জনমনে ভীতি তৈরি করেছিল।

এই গুজবের জের ধরে গণপিটুনিতে বেশ কয়েকটি হত্যার ঘটনা ঘটে। ঢাকার একটি স্কুলে সন্তানকে ভর্তি করানোর তথ্য জানতে গেলে গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা যান তাসলিমা বেগম রেণু।

‘তিন কোটি ৭০ লাখ নিখোঁজ’: প্রিয়া সাহা
এ বছরের ১৭ই জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর সাথে হোয়াইট হাউজে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনকারী প্রিয়া সাহা সাক্ষাত করেন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে প্রিয়া সাহার বক্তব্য দেশব্যাপী সমালোচনা শুরু হয়।

হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকের সময় প্রিয়া সাহা বলেন – ‘বাংলাদেশ থেকে ৩৭ মিলিয়ন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নিখোঁজ হয়ে গেছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।’ ঐ সময় তিনি মি ট্রাম্পকে বলেন, তিনি তার জমি হারিয়েছেন, তার বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

‘ঢেলে দেই? …পরিবেশটা সুন্দর না? কোনো হৈ চৈ আছে?’

তবে ২০১৯ সালে অনেকদিন ধরে যে শব্দটি সামাজিক মাধ্যমে ঘুরেফিরে এসেছে তা হলো – ‘ঢেলে দেই?’ একটি ইসলামী ওয়াজ মাহফিলে গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরীর বক্তব্যের একটি অংশ এবং তা নিয়ে প্যারোডি ও ট্রল সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল।

আলোচিত এই মুফতির একটি ওয়াজে দেখা গেছে, হাতে একটি চায়ের কাপ নিয়ে তাতে চুমুক দেন তিনি। এরপর বলেন, ‘কেউ কথা কইয়েন না, একটু চা খাব? …আপনারা খাবেন? ঢেলে দেই? … ‘ভাই পরিবেশটা সুন্দর না? কোনো হৈ চৈ আছে?..।’

তার এই বক্তব্য পরিণত হয় ফেসবুক মিমে। তাঁর কথাগুলো নিয়ে আজাইরা লিমিটেড নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে একটি প্যারোডি গান প্রকাশ করে। ‘ঢেলে দেই’ শিরোনামে গানটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়ে পড়ে।

জামালপুর ডিসি-র খাস-কামরার ভিডিও
বছরজুড়ে আলোচিত ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি জামালপুরের ঘটনা। সেখানে একজন জেলা প্রশাসকের খাস কামরায় এক নারীর সাথে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও টেপ তুমল সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল সামাজিক মাধ্যমে। পরবর্তীতে এই ভিডিও’র জের ধরে তাঁকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

২০১৯ সালে গুগলে যেসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ বেশি সার্চ দিয়েছিল ‘ডিসি জামালপুর’ও ছিল মধ্যে।

রূপপুরে বালিশ কাণ্ড
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে অস্বাভাবিক দামে বালিশ কেনার বিষয়টি ব্যাপক আলোচনায় ছিল। প্রকাশিত খবরে বলা হয়, এতে প্রতিটি বালিশের দাম ৫৯৫৭ টাকা এবং বালিশ ফ্ল্যাটে উঠানোর জন্য ৭৬০ টাকা ধরা হয়। এছাড়াও বৈদ্যুতিক চুলা ৭৭৪৭ টাকায় কিনে নীচতলা হতে উপরে তোলার জন্য ৬৬৫০ টাকা ব্যয় হয়।

এ বিষয়ে সর্বশেষ দুর্নীতি দমন কমিশন – দুদক ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে ডিসেম্বরের শেষের দিকে। একই সময়ে নানা প্রতিষ্ঠানেও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কাজে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির খবরগুলোও প্রকাশিত হয় যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলে সামাজিক মাধ্যমে।

‘ঢাকা লস এঞ্জেলস’
“আকাশ থেকে ঢাকা শহরকে লস অ্যাঞ্জেলেস মনে হয়। কুড়িল ফ্লাইওভার দেখলে মনে হয় এটি কোনো সিনেমার দৃশ্য” তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদের এমন মন্তব্যের পর ফেসবুকে এ নিয়ে নানা মিম বানানো হয়। ঢাকার বিভিন্ন এলাকাকে বিভিন্ন নামকরণ করে ট্রল হতে থাকে সামাজিক মাধ্যমে।

হালিতে পেঁয়াজ বিক্রি
এ বছর পেঁয়াজের দাম রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এ নিয়ে দেশটির বাসিন্দাদের মধ্যে যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়, তার বহি:প্রকাশ দেখা যায় সামাজিক মাধ্যমে। অনেকেই রসিকতাও করতে শুরু করেছন।

ফেসবুকে যেমন ‘হালিতে পেঁয়াজ কেনা’, ‘বেড়াতে এলে পেঁয়াজ নিয়ে আসুন’, ‘বিয়েতে পেঁয়াজ উপহার’ দেয়ার মতো নানা কথায় বেশ কিছুদির ভরপুর ছিল ফেসবুক।

এমনকি পেঁয়াজের এই চড়া দামের কারণে কুমিল্লায় বিয়ের অনুষ্ঠানে পেঁয়াজ উপহার দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

‘সেদিন বোরে না ভোরে?’
রিয়েলিটি শো ‘কে হবে মাসুদ রানা’ প্রাথমিক বাছাইপর্বের কিছু ক্লিপ ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিশেষ করে পরিচালক ইফতেখার আহমেদ ফাহর্মী ও অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার উপস্থিতিতে এক প্রতিযোগিতার গান ‘সেদিন বোরে’ ভাইরাল হয়ে যায় ফেসবুকে। এছাড়া বিচারকদের বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে নানা ধরনের ট্রল,আলোচনা, সমালোচনাও চলে বিভিন্ন মাধ্যমে।

বাবরি মসজিদ নিয়ে:
ভারতের আদালত বাবরি মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মাণের রায়কে কেন্দ্র করে মুসলিমদের মধ্যে ও সংখ্যাগরিষ্ঠ বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলোতে সমালোচনা শুরু হয়। ফেসবুকে এ নিয়ে বাবরি মসজিদ নিয়ে একটি ভিডিও বক্তব্য বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে।

htemam

ভিডিওটি দেখতে ছবিতে ক্লিক করুন।

ভিডিওতে বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশের হেযবুত তওহীদ নামে একটি সংগঠনের নেতা হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। ২৪ মিনিটের ওই বক্তব্যে তিনি বাবরি মসজিদ কিছু যৌক্তিক কথা বলেছেন। যা নিয়ে ফেসবুকে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত লক্ষ্য করা যায়।

বক্তব্যে হেযবুত তওহীদদের এই নেতা মুসলমানদের অতীত, বর্তমান পরিস্থিতি, বিশ্ব পরিস্থিতি তুলে ধরে বাবরি মসজিদ নিয়ে যৌক্তিক বক্তব্য তুলে ধরেন। আর ওই রায়ের বিষয়ে তিনি বলেন: এটা একটা ইস্যু সৃষ্টি করে দেওয়া হলো আরকি। গোটা ভারতে আর কোনো জায়গা ছিলো না মসজিদ বানানোর। সেখানেই খুঁজে দেখতে হবে, আগে কি ছিলো, মন্দির ছিলো কিনা? সেখানেই একটা মন্দির বানাতে হবে। হিন্দুত্ববাদীরা মনে করবে আমাদের ধর্মের বুঝি খুব উপকার হয়ে গেল।

অন্যান্য
বছরজুড়ে রাজনৈতিক, সামাজিক, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচনা ছিল। ভারতে ভাইরাল হওয়া রাণু মণ্ডলের গান, রোদ্দুর রায়ের ‘চাঁদ উঠেছিল গগনে’ নিয়ে বাংলাদেশেও ব্যাপক ট্রল হয়। তবে বছরের শেষ দিকে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া অন্যতম একটি বিষয় ছিল মিথিলা-সৃজিতের বিয়ে।

গুগল ট্রেন্ডিংয়েও যার বহি:প্রকাশ ঘটেছে। যেমন -যেসব খবর নিয়ে মানুষ জানতে চেয়েছে তার মধ্যে শীর্ষ ৫টি তালিকার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল। এছাড়াও আগ্রহ ছিল সাইক্লোন ফনি, সাইক্লোন বুলবুল, ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও ডিসি জামালপুরের খবরের প্রতি।

সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ নাঈম, আফিফ হোসেন, সারা আলী খান ও শামস ভাই- এই পাঁচ ব্যক্তির বিষয়ে জানার আগ্রহ বেশি ছিল বাংলাদেশের মানুষের।

এছাড়া খেলাধুলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বনাম ভারত, ক্রিকবাজ লাইভ স্কোর, এসএসসি রেজাল্ট ২০১৯, আইসিসি ওয়ার্ল্ড কাপ ২০১৯ ও কোপা আমেরিকা ২০১৯ এর বিষয়ে বেশি আগ্রহ ছিল মানুষের।

Continue Reading

Highlights

বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক মিলবে টেলিটক সিমে

Published

on

কোথাও টেলিটকের নেটওয়ার্ক নেই কিংবা তা দূর্বল তখন ওই এলাকায় বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কথা বলাসহ সব ধরনের মোবাইল সেবা পাবেন টেলিটক গ্রাহকরা।

আবার এই একই সুবিধা মিলবে বাংলালিংকের গ্রাহকের ক্ষেত্রেও। তারা ব্যবহার করতে পারবেন টেলিটকের নেটওয়ার্ক।‘ন্যাশনাল রোমিং’ নামে এই সেবা দেশে চালু করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এই সেবা চালুতে সম্মতি দিয়েছেন।ইতোমধ্যে বিটিআরসি এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালুর অনুমতি দিয়েছে।এরআগে ন্যাশনাল রোমিংয়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও অবকাঠামো শেয়ারিংয়ে দুই অপারেটর নিজেদের মধ্যে চুক্তিও সেরেছে। তারা পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা চালু করে কারিগরিসহ বিভিন্ন বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছে।

বিটিআরসি বলছে, ন্যাশনাল রোমিং আন্তর্জাতিক রোমিং সেবার মতোই একটি বিষয়। এতে একটি মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকরা দেশের কোনো এলাকায় তাদের নেটওয়ার্ক না পেলে কিংবা নেটওয়ার্ক দূর্বল হলে আরেকটি মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সব রকম মোবাইল যোগাযোগ সেবা নেবেন।

বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বলছেন, ‘বাংলালিংক-টেলিটক এখনও এই সেবার টেস্ট অ্যান্ড ট্রায়াল করছে। গ্রাহকের জন্য যেটা ভালো, এরকম কিছু আমরা সবসময়ই করি। এটাই আমাদের কাজ।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘অনুমতি বা লিগ্যাল দিক যেটুকু আছে, সেটুকু আমরা ওকে করে দিয়েছি। এমন বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের মতামত নেই, তিনি আমাদের সম্মতি দিয়েছেন এটি চালু করার জন্য।’‘টেলিটকের কারিগরি কিছু সমস্যা আছে, সেগুলো সমাধান করে তারা অপারেশনে যাবে।’ বলছিলেন মন্ত্রী।

মোস্তাফা জব্বার জানান, ‘এই ডমিস্টিক রোমিংয়ে দুই অপারেটরের উইন-উইন সিচুয়েশন হবে। যার যতটুকু নেটওয়ার্ক আছে সেই বিনিফিট তো পাবেই, যেখানে নেটওয়ার্ক নাই সেখানেই বেনিফিট পাবে। সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে দুই অপারেটরের গ্রাহকরা।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এটা টেলিটকের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটা দূর্বল নেটওয়ার্কের অপারেটরকে সবল নেটওয়ার্কে পরিণত করার সুযোগ এসেছে।’বর্তমানে সাড়ে চৌদ্দ হাজারের মতো টাওয়ার আছে বাংলালিংকের। টেলিটকের আছে ৬ হাজারের মতো। এই উদ্যোগের ফলে টেলিটক বাংলালিংকের টাওয়ারগুলোর নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়ে সারাদেশে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক নিয়ে হাজির হতে পারবে। একইভাবে বাংলালিংকও টেলিটকের টাওয়ারে। বিশেষ করে যেখানে যেখানে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক নেই বা দূর্বল, যেমন-সুন্দরবন, পার্বত্য চট্টগ্রাম, হাওর এলাকাগুলোতে।

যেভাবে এই নেটওয়ার্ক শেয়ারিং :হোম নেটওয়ার্ক (গ্রাহকের সিম যে অপারেটরের) না থাকলে ডমিস্টিক বা ন্যাশনাল রোমিংয়ের মাধ্যমে ওই নেটওয়ার্কের বাইরে ভিজিটিং নেটওয়ার্ক (গ্রাহক বিকল্প হিসেবে যে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হবে) ব্যবহার করে সংযুক্ত থাকবে গ্রাহক। এজন্য ভিজিটিং নেটওয়ার্কের ফ্রিকোয়েন্সি, এন্টেনা, র‌্যান, কোর সুইচিং নোডসসহ নেটওয়ার্কের মূল অবকাঠামো ব্যবহার করতে হবে । এর মধ্য দিয়ে গ্রাহক নিজের সিমে নেটওয়ার্ক না থাকার পর আরেকটি অপারেটরের নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হয়ে কথা বা মোবাইল সেবা নিতে পারবেন।বাংলালিংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এরজন্য তাদের প্রযুক্তিগত কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। তারা সফলতার সঙ্গেই পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা চালু করতে পারছেন।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেলিটকের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলছেন, তারা পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা যাচাই-বাছাই করছেন। তবে প্রযুক্তিগত কিছু চ্যালেঞ্জ তাদের রয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ টেকনোলজি অফিসার সুমন আহমেদ সাবির জানান, এখানে প্রযুক্তিগত তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। বাড়তি হিসেবে রোমিংয়ের কিছু সফটওয়্যার প্রয়োজন হবে, যার জন্য বড় বিনিয়োগ লাগবে না।পরীক্ষামূলকে কী ঘটেছে ?দুই অপাারেটর নিজেদের মধ্যে ভয়েস কল, এসএমএস, ইউএসএসডি সেবার ইনকামিং-আউটগোয়িং পরীক্ষা করেছে। যেখানে টেলিটক নাম্বার হতে বাংলালিংক নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হওয়ার সফলতার হার তুলনামূলক বেশি। যেমন একটি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় ;টেলিটকের নাম্বার হতে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক দিয়ে আউটগোয়িং ভয়েস কলে বাংলালিংক, রবি, জিপি, পিএসটিএন (বিটিসিএল), আইপিটিএসপি, এমএনপি, শর্টকোড (৯৯৯, ৩৩৩, ১০৬০৬) এবং আন্তর্জাতিক নাম্বারে সফলভাবে কল করা গেছে। সেখানে শুধু বাংলালিংক রোমিং নাম্বারে একটি কল সফল হয়নি।একইভাবে আউটগোয়িং এসএমএস, ইউএসএসডির ক্ষেত্রে সব ধরণের নাম্বারেই সফল ফলাফল এসেছে।ইনকামিং ভয়েস কলে বাংলালিংক, রবি, জিপি, পিএসটিএন (বিটিসিএল), এমএনপি এবং আন্তর্জাতিক নাম্বার হতে টেলিটক নাম্বারে আসার ক্ষেত্রে সফলতার হার কম দেখা গেছে। এতে টেলিটক, বাংলালিংক, পিএসটিএন (বিটিসিএল), এমএনপি এবং আন্তর্জাতিক নাম্বার হতে কল সফল হয়নি। এখানে এসএমএসের ক্ষেত্রে শুধু বাংলালিংকের রোমিং নাম্বারে যায়নি।বাংলালিংকের নাম্বার হতে টেলিটকের নেটওয়ার্ক দিয়ে আউটগোয়িং ভয়েস কলে বাংলালিংক, রবি, জিপি, পিএসটিএন (বিটিসিএল), আইপিটিএসপি, এমএনপি এবং শর্টকোড (৯৯৯, ৩৩৩, ১০৬০৬) নাম্বারে সফলভাবে কল করা গেছে। সেখানে শুধু টেলিটক রোমিং নাম্বারে একটি কল সফল হয়নি।

একইভাবে আউটগোয়িং এসএমএস, ইউএসএসডির ক্ষেত্রে একটি ছাড়া সব ধরণের নাম্বারেই অসফল ফলাফল এসেছে। সফল হওয়া একটি ইউএসএসডি নাম্বার হলো *১২১* ।ইনকামিং ভয়েস কলে বাংলালিংক, টেলিটক, টেলিটক রোমিং, রবি ও জিপি নাম্বার হতে বাংলালিংক নাম্বারে আসার ক্ষেত্রে সবগুলো চেষ্টাই অসফল হয়েছে। এখানে এসএমএসের ক্ষেত্রে বাংলালিংক, টেলিটক, টেলিটক রোমিং এবং জিপি নাম্বার হতে চেষ্টা করা হলে টেলিটক রোমিংয়ে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে ।

নীতিগত যা কিছু :ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ারিং গাইড লাইন-২০১১ এর ২.১ অনুযায়ী র‌্যান এবং কোর সুইচ শেয়ার অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ার। ন্যাশনাল রোমিংয়ে দেখা যাচ্ছে অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ার হচ্ছে। গাইডলাইনের ৩.১ অনুযায়ী অপারেটরগুলো শুধু প্যাসিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ার করতে পারবে।বিটিআরসি বলছে, অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ারিংয়ের গাইডলাইনের খসড়া সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। সেখানে এই অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ারের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।গ্রাহক পর্যায়ে কলরেট বা অন্য সেবার খরচ বাড়বে কিনা এমন জিজ্ঞাসায় বাংলালিংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, গ্রাহকের খরচ বাড়ুক এটা তারা চান না। দুই অপারেটর নিজেদের মধ্যে এই নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ের বাণিজ্যিক চুক্তি করবে, সেখানে কে কাকে কোথায় কত চার্জ সেটা আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক হতে পারে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বলছেন, ‘অপারেটর দুটি তাদের পরীক্ষামূলক সেবা চালুর প্রতিবেদন জমা দেয়নি। পরীক্ষার রিপোর্ট আমাদের দিক। এরপর আরও ওয়ার্কআউট করার রয়েছে, ট্যারিফের মতো বিষয় এখানে আছে।’

Continue Reading

Highlights

বাংলাদেশসহ ৪ দেশে অ্যান্ড্রয়েডে চ্যাটজিপিটি

Published

on

শুধু বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে চালু হয়েছে চ্যাটজিপিটির অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন। এ চারটি দেশে বসবাস করা যে কেউ এখন থেকে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করে ওপেনএআই-এর আলোচিত এ সেবাটি গ্রহণ করতে পারবেন। এর ফলে যেসব ব্যবহারকারীদের এতদিন কম্পিউটার কিংবা ওয়েবে যারা এ সেবাটি ব্যবহার করেছেন, একই অ্যাকাউন্ট মোবাইলেও চালু করতে পারবে। ফলে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে অতীতের সব কথোপকথনও অ্যাপের মধ্যে পাওয়া যাবে।

খবরে বলা হয়েছে, এ চারটি দেশের বাইরে অন্য কোনো দেশের মানুষ গুগল প্লে-তে গিয়ে অ্যাপটির জন্য প্রি-অর্ডার করতে পারবেন। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই খুব শিগ্গির আরও কয়েকটি দেশে এই সেবাটি চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই একযোগে নতুন কয়েকটি দেশে চ্যাটজিপিটির অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে কাজ করবে।

এ ছাড়া যারা আইফোন ব্যবহার করেন তাদের মোবাইলের আইওএস-এ অফিশিয়াল চ্যাটজিপিটি অ্যাপটি পাওয়া যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম্পিউটার বা ওয়েবে চ্যাটজিপিটি যেভাবে সব প্রশ্নের জবাব দেয় মোবাইলের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না। তবে মোবাইলের জন্য এর আলাদা ইন্টারফেস ডিজাইন করা হয়েছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের যে কোনো প্রশ্নের তাৎক্ষণিক উত্তর দিতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, যে কোনো বিষয়ে পরামর্শসহ এটি নানা ধরনের টিপসও দিয়ে থাকে এই সেবাটি। ২০২২ সালের নভেম্বরে এ সেবাটি চালু করা হয়।

Source : বাংলাদেশসহ ৪ দেশে অ্যান্ড্রয়েডে চ্যাটজিপিটি

 

Continue Reading

Highlights

কোন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে?

Published

on

বাংলাদেশের একটি সরকারি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের গোপন ও ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা বিটক্রেক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস এমন দাবি করেছেন। তবে কোন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে? তা প্রকাশ করেন নি তিনি।

তার ভাষ্য, ফাঁসকৃত তথ্যের মধ্যে নাগরিকদের পূর্ণ নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর রয়েছে। গত ২৭ জুন হঠাৎ করে বাংলাদেশিদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের বিষয়টি খুঁজে পান ভিক্টর। এরপরই তিনি বাংলাদেশ ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমকে (সিইআরটি) বিষয়টি অবহিত করেন।

রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় (জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন) এর ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার। এ ২৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকেই নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হয়েছে। এ ২৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭ নম্বর প্রতিষ্ঠানটি থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে। সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২৭ নম্বর প্রতিষ্ঠান হচ্ছে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় (জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন)।রোববার (৯ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। হ্যাক নয়, বরং সিস্টেমের দুর্বলতার কারণে তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে দাবি করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, বাংলাদেশিদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের বিষয়টি সত্যি। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে ওই ওয়েবসাইটের ‘পাবলিক সার্চ টুলে’ ফাঁস হওয়া তথ্য খুঁজে দেখা হয়।

তথ্য খোঁজার পর- ওয়েবসাইট থেকে ফাঁসকৃত তথ্যসহ অন্যান্য তথ্য দেওয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে— যিনি রেজিস্ট্রেশন করার আবেদন করেছেন তার নাম- কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বাবা-মায়ের নামও পাওয়া গেছে।

টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, তারা ওই ওয়েবসাইটটির নাম প্রকাশ করবে না কারণ, সেটিতে এখনো ফাঁসকৃত তথ্যগুলো রয়েছে।

গুরুতর এমন দাবি জানানো ভিক্টর মার্কোপোলোস জানিয়েছেন, তথ্য ফাঁস হওয়ার বিষয়ে তিনি বাংলাদেশের সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানকে ইমেইল বা অন্যান্য মাধ্যমে অবহিত করেছেন, সেগুলোর কোনোটিই তাকে কোনো জবাব দেয়নি।

বাংলাদেশে ১৮ বছর বয়সী প্রত্যেককে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। যেটির প্রত্যেকটির আলাদা নম্বর থাকে। জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক। এই পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, জমি বেচা-কেনা ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলাসহ সব কাজ করা হয়।

সিইআরটি, বাংলাদেশ সরকারের প্রেস অফিস, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং নিউইয়র্কের বাংলাদেশের কনস্যুলেটের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ভিক্টর মার্কোপোলোস।

এ প্রযুক্তি গবেষক টেকক্রাঞ্চকে বলেছেন, ‘ফাঁসকৃত তথ্যগুলো পাওয়া খুবই সহজ। গুগলের ফলাফল হিসেবে এগুলো সামনে আসে। আমি এটি খুঁজতেও যাইনি। আমি এসকিউএল ইরর নিয়ে গুগলিং করছিলাম, আর এটি দ্বিতীয় ফলাফলে চলে আসে।’

যেসব তথ্য ফাঁস হয়েছে সেগুলোই বেশ ঝুঁকির। কিন্তু এসব তথ্য ব্যবহার করে পরবর্তীতে বিভিন্ন অনলাইনের আবেদনে ঢোকা, পরিমার্জন বা আবেদন মুছে ফেলা এমনকি জন্মনিবন্ধনের তথ্যের ভ্যারিফিকেশনও দেখা যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

Continue Reading

Trending