Highlights

প্রায় ৭৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত হচ্ছে ১১ টি আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ উদ্যোক্তা তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ওই লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ দেশে ১১টি আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করবে। আর তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা গড়তে সরকার ব্যয় করবে ৭৯৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। ন্যূনতম এসএসসি বা সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আইটিতে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

তাছাড়াও প্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপ তৈরি এবং আইটি খাতে যুব সমাজের আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা করতেই এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ইতোমধ্যে ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চলতি বছর থেকে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র মতে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সরকারের নেয়া প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ১১টি উপজেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে। যেসব উপজেলাগুলো প্রতিষ্ঠানগুলো হবে তার মধ্যে রয়েছে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, জয়পুরহাটের কালাই, দিনাজপুর সদর, মানিকগঞ্জের শিবালয়, কিশোরগঞ্জ সদর, নারায়ণগঞ্জ সদর, চাঁদপুরের মতলব, বান্দরবানের বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, ভোলা সদর, কুষ্টিয়া সদর এবং মেহেরপুর সদর।

তাছাড়া আগে থেকেই দেশের ৮টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ১১টি আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলায় এমন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের আইটি খাতে বিনিয়োগের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ পাবে।

সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে ৫ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, ৮টি ছয়তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট ইনকিউবেশন ভবন নির্মাণ এবং ৩টি চারতলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট ইনকিউবেশন ভবন তৈরি। তাছাড়া পরামর্শক নিয়োগ, ১০টি যানবাহন সংগ্রহ, অভ্যন্তরীণ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা স্থাপন, অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণ, বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার এক্সেসরিজ, ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল মেশিনারিজ সংগ্রহ, ফার্নিচার সংগ্রহ এবং জনবল নিয়োগসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

এদিকে প্রকল্প পাশের সময়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় দেশের বিপুলসংখ্যক তরুণ বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য আইটি সেক্টরের অবকাঠামোগত সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে তথ্যপ্রযুক্তির প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফ্রি ল্যান্সার বা স্টার্টআপ তৈরি করে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে যুবকদের জীবনমান উন্নয়ন এবং উদ্যোক্তা তৈরি করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version