Highlights

ড্রোন ওড়াতে দেড় মাস আগে অনুমতি নিতে হবে : আইএসপিআর

Published

on

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের আকাশসীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম এবং রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর বা আইএসপিআর।

মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এই নির্দেশনার বিষয়ে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি বা সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম এবং রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান ব্যবহার করতে চাইলে উড্ডয়নের অন্তত ৪৫ দিন আগেই বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রতি ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।

সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা এ নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা (স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও, গবেষণা প্রতিষ্ঠান) বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশসীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (UAV/RPAS), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ইত্যাদি উড্ডয়ন করছে।

“এ সকল অননুমোদিত উড্ডয়নের ফলে নিয়মিত উড্ডয়নকারী বিভিন্ন অনুমোদিত যাত্রীবাহী দেশি-বিদেশি বিমান, হেলিকপ্টার এবং দ্রুতগতি সম্পন্ন সামরিক বিমানের সাথে আকস্মিক দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।”

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে এ ধরনের অননুমোদিত উড্ডয়ন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রতি ঝুঁকি বলে বিবেচিত হচ্ছে এবং বাংলাদেশে বিদ্যমান আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

নির্দেশনায় বলা হয়, “কোন ব্যক্তি, সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (UAV/RPAS), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান ইত্যাদি উড্ডয়নের নূন্যতম ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন পূর্বে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েব সাইটে প্রদত্ত নির্ধারিত ফরম অনুযায়ী লিখিত পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।”

তবে ঘুড়ি ওড়ানোর জন্যও অনুমতি নিতে হবে কি-না, এ নির্দেশনায় তা পরিষ্কার করে বলা হয়নি।

জানা যায়, ২০১৯ সালের আগস্টে ঢাকায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ করেছিলো পুলিশ।

ওই সময় ঢাকায় মেট্রোপলিটন পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিনোদনের জন্যে বা ছবি ধারণের জন্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই বিভিন্ন ড্রোন উড়িয়ে থাকেন, যা দণ্ডনীয় অপরাধ।

পুলিশের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, অনুমোদন না নিয়ে ড্রোন ওড়ানোর ফলে জননিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টিসহ জনমনে ভীতির সঞ্চার হতে পারে।

উল্লেখ্য বাংলাদেশে মূলত ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফির কাজে ড্রোনের ব্যবহার বাড়ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version