Tech News

চিরতরে বন্ধ ট্রাম্পের নিজস্ব যোগাযোগ মাধ্যম

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
চিরতরে বন্ধ হয়ে গেল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সম্প্রতি সিএনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে এ কথা জানান ট্রাম্পের এক মুখপাত্র। খবর বিবিসি।

ট্রাম্পের সিনিয়র সহযোগী জেসন মিলার বলেন, আমাদের বৃহত্তর প্রচেষ্টার মধ্যে এ প্লাটফর্ম একটি ক্ষুদ্র অংশ ছিল, যেটি নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম।

গত মাসে দ্য ডেস্ক অব ডোনাল্ড জে ট্রাম্প নামে এ প্লাটফর্মের যাত্রা হয়। এ প্লাটফর্মে ট্রাম্প প্রেস বিজ্ঞপ্তির পাশাপাশি নিজের ভিডিও এবং অন্যান্য কন্টেন্ট প্রকাশ ও প্রচার করতেন। ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটার থেকে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধের পাশাপাশি তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

সাবেক প্রেসিডেন্টদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটেও দ্য ডেস্ক অব ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের একটি অংশ ছিল। তবে সেটিও মুছে দেয়া হয়েছে বলে টুইটারে নিশ্চিত করেছেন মিলার। এটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুনরায় ফিরে আসার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবেও ধারণা করেছিলেন অনেকে।

ট্রাম্পের ওয়েবসাইটটি মূলত ব্লগ হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিল। এখানে ট্রাম্পের বিভিন্ন পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিউজফিডের রোল আকারে প্রকাশিত হতো। যারা এ ব্লগে ভিজিট করতেন তারা এসব পোস্টে লাইক প্রদানের পাশাপাশি ফেসবুক ও টুইটারেও শেয়ার করার সুযোগ পেতেন। বর্তমানে ওয়েবসাইটের যে লিংক রয়েছে সেটিতে ক্লিক করলে ভিজিটরদের একটি পেজে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের লেখা সম্পর্কে নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য ভিজিটরদের সাইন আপ করতে বলা হয়।

নিজের অনুসারীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতেন। ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গার পর ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউব থেকে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়। ওই সময় থেকে সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার অনুসারীদের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারেননি এবং অনুসারীরাও তার কোনো বক্তব্য মতামত জানতে পারেনি। যদিও জানুয়ারি থেকে অনুসারীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের ক্ষেত্রে ট্রাম্প এ ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আসছিলেন।

ট্রাম্প একজন উদ্যমী টুইটকারী ছিলেন। তার প্রায় নয় কোটি ফলোয়ারের উদ্দেশে সারাদিনই তিনি কিছু না কিছু পোস্ট করতেন। কখনো কখনো মাঝ রাতেও পোস্ট করতেন। এর মধ্যে ২০২০ সালের নির্বাচন, করোনা সংক্রমণ এবং তার আখ্যায়িত ভুয়া সংবাদও ছিল বলে জানা যায়। ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গার পর টুইটার থেকে তাকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version