Connect with us

Tech News

মহাপ্রলয়ে ছিন্নভিন্ন গ্যালাক্সি, বের হচ্ছে অগ্নিগ্যাস-নক্ষত্র

Published

on

Mahapralaye shredded galaxy, stars are coming out agnigyasa

প্রযুক্তি ডেস্ক: ভূ-গর্ভে একটা হাইড্রোজেন বোমা ফাটিয়ে কিসের বড়াই করছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন? তাকে নস্যির মতো উড়িয়ে দিতে পারে, এমন ভয়ঙ্কর মহাপ্রলয় চলছে গ্যালাক্সিতে! উঠেছে ভয়ঙ্কর ঝড়। এই ধরনের মহাপ্রলয় এর আগে দেখা যায়নি।

যেন ভয়ঙ্কর একটা আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ খুলে গিয়েছে গ্যালাক্সিতে। লাভার মতো অসম্ভব রকমের গনগনে গ্যাস হই হই করে বেরিয়ে আসছে একটা গ্যালাক্সি থেকে। গ্যাস উগরে দিচ্ছে। আর সেই গ্যাসের উথালপাতাল চলছে গোটা একটা গ্যালাক্সি জুড়ে।

বছরে অন্তত কুড়িটি করে সূর্য বা তার চেয়ে অনেক অনেক গুণ বড় তারা বা নক্ষত্র ছিটকে ছিটকে বেরিয়ে আসছে ওই গ্যালাক্সি থেকে। আর সেগুলো ভনভন করে ছুটতে ছুটতে ছড়িয়ে পড়ছে ভূমণ্ডলের এখানে-ওখানে।

রীতিমতো মহাজাগতিক প্রলয় চলছে ওই গ্যালাক্সিতে। ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে সেই গ্যালাক্সির শরীর। গ্যাস, মহাজাগতিক ধুলোবালি আর ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া সেই গ্যালাক্সির শরীরের বিভিন্ন দেহাংশ ছিটকে-ছড়িয়ে পড়ছে মহাবিশ্বের সর্বত্র।

সেই মহাপ্রলয়ে হাঁড়িতে যেনো টগবগ করে পানি ফুটছে। তাতে গলগল করে বেরিয়ে আসছে ধোঁয়া। আর সেই জল ফোটাচ্ছে কল্পনাতীত শক্তিশালী একটা পরমাণু চুল্লি। এক সঙ্গে কয়েক হাজার পরমাণু বা হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণ যার কাছে একেবারেই নস্যি!

ওই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন, টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে সুবিশাল একটা গ্যালাক্সি। যা আমাদের ‘মিল্কি ওয়ে’র চেয়ে কয়েক হাজার গুণ বড়। আর এই ব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে আলোকোজ্জ্বল (Luminous) গ্যালাক্সি।

আমাদের মিল্কি ওয়ের চেয়ে অন্তত দশ হাজার গুণ বেশি আলোকোজ্জ্বল। ওই মহাপ্রলয়ে এ দিকে ও দিকে অসম্ভব ঝোড়ো গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি তারা। যেগুলো আমাদের সূর্যের চেয়ে অনেক অনেক গুণ বড়। এমন মহাজাগতিক ঘটনা এই প্রথম নজরে এল জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের।

নাসার মিডিয়া সেলের তরফে এলিজাবেথ ল্যান্ডু জানিয়েছেন, ‘ওই গ্যালাক্সির নাম- ‘W2246-0526’। এই গ্যালাক্সিটি রয়েছে আমাদের পৃথিবী থেকে বারোশো চল্লিশ কোটি আলোকবর্ষ দূরে। এই সদ্য-আবিষ্কৃত গ্যালাক্সিটি মহাবিশ্বের অন্যতম প্রাচীনতম মহাজাগতিক বস্তু। নাসার ‘নিও ওয়াইড-ফিল্ড ইনফ্রারেড সার্ভে এক্সপ্লোরার’(NEOWISE)-এর পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে এই চমকে দেওয়ার মতো খবর পাওয়া গিয়েছে।’

আমাদের এই গ্রহে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যে পরমাণু বোমাটি ফাটানো হয়েছিল, তার শক্তি ছিল ৫০ মেগাটন। তার মানে, ৫,০০০ কোটি কিলোগ্রাম ওজনের একটি বিস্ফোরক ফাটলে যতটা শক্তি বেরিয়ে আসে, ঠিক ততটাই। আর মহাবিশ্বের এই সবচেয়ে আলোকজ্জ্বল গ্যালাক্সিতে এখনো যে ভয়ঙ্কর ঝড় আর মহাপ্রলয়ের ঘটনা ঘটে চলেছে, তাতে ফাটছে কয়েক কোটি পরমাণু ও হাইড্রোজেন বোমা! যেনো একটা ছোটখাটো ‘বিগ ব্যাং’ বা প্রায় ১৪০০ কোটি বছর আগে ঘটা সেই মহা-বিস্ফোরণেরই একটা ক্ষুদ্র সংস্করণ।

কলকাতার আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতির্বিজ্ঞানী সন্দীপ চক্রবর্তী বলছেন, এই ঘটনা রীতিমতো বিরল। কোনো গ্যালাক্সিতে এতটা ভয়ঙ্কর মহাপ্রলয়ের ঘটনা এর আগে আমাদের নজরে পড়েনি। অথচ এই মহাপ্রলয়ের ঘটনাটি চলছে প্রায় ৬০ কোটি বছর ধরে। এই গ্যালাক্সিটির জন্ম হয়েছিল ‘বিগ ব্যাং’-এর একশো কোটি বছর পরেই। মানে, ১,২৪০ কোটি বছর আগে।

এর ফলে, এই মহাপ্রলয়ের ঘটনা আমাদের ব্রহ্মাণ্ডের আরো অনেক আগেকার ঘটনা আমাদের নজরে নিয়ে এল। অন্যগুলোর মতো এই গ্যালাক্সিরও কেন্দ্র রয়েছে অসম্ভব ভারী একটি ব্ল্যাক হোল। যা আমাদের সূর্যের চেয়ে কম করে দশ হাজার কোটি গুণ ভারী।

এখন যে মহাপ্রলয়ের ঘটনাটি ঘটে চলেছে ওই সদ্য-আবিষ্কৃত গ্যালাক্সিতে, তা আমাদের মিল্কি ওয়ের মতো গ্যালাক্সিগুলোর আগের প্রজন্মের ঘটনা। যাকে বলে, ফার্স্ট জেনারেশান।

ওই গ্যালাক্সির যে বিপুল পরিমাণ কণার কৌণিক ভরবেগ (Angular Momentum) খুব কম, সেগুলোকে প্রায় ৬০ কোটি বছর ধরে গবগব করে খেয়ে নিচ্ছে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে থাকা ওই ভয়ঙ্কর ভারী ব্ল্যাক হোলটি। এর পর ব্ল্যাক হোলটি খেতে শুরু করবে ওই গ্যালাক্সির মধ্যে থাকা সেই সব কণাকে, যাদের কৌণিক ভরবেগ খুব বেশি। কিন্তু গবগব করে খেতে গিয়ে ব্ল্যাক হোলটি সবটুকু খেয়ে উঠতে পারছে না।

‘এডিংটন রেট’ পেরিয়ে গেলেই উগরে দিচ্ছে, বমি করছে। আর সেটাই যেন আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে গ্যাস হিসেবে গলগল করে বেরিয়ে আসছে। আর তাতেই জন্ম হচ্ছে তীব্র আলোর। অবলোহিত রশ্মির। সেই আলোক-কণাও ঠেলে গ্যালাক্সি থেকে গ্যাস ও অসম্ভব রকমের গরম মহাজাগতিক ধুলোবালিকে ঠেলে গ্যালাক্সি থেকে বের করে দিচ্ছে। ছিটকে, ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে প্রতি পাঁচ বছরে সূর্যের চেয়ে অনেক বড় অন্তত ৫০০টা তারাকে।

এরাই পরে গড়ে তুলবে নতুন একটা গ্যালাক্সি। আর সেটা হবে আমাদের মিল্কি ওয়ের মতো ‘সেকেন্ড জেনারেশান’-এর গ্যালাক্সি। যেখানে আবহাওয়া এই মিল্কি ওয়ের মতো আরো পরিণত হয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

ভারতের বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী বিমান নাথ জানাচ্ছেন, ‘গ্যালাক্সিতে মাঝে-মধ্যেই ঝড় ওঠে। আমাদের মিল্কি ওয়েতেও বড় ঝড় হয়েছে তিরিশ লক্ষ থেকে তিন কোটি বছর আগে। তবে সেই ঝড় এই মহাপ্রলয়ের কাছে একেবারেই নস্যি। দশ হাজার ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম। এই ধরনের গ্যালাক্সিগুলোকে বলা হয়- ‘হট ডগ’ বা ‘এক্সট্রিমলি লুমিনাস ইনফ্রারেড গ্যালাক্সি (ইএলআইজি বা ‘এলিজ’)। তবে যে বিপুল পরিমাণ ‘ডার্ক ম্যাটার’ রয়েছে এই গ্যালাক্সিতে, তার জোরে এই ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া গ্যালাক্সি একেবারে ব্ল্যাক হোলের অতল অন্ধকারেই পুরোপুরি ডুবে যাবে বলে মনে হয় না।’ সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

বিপুল সংখ্যক অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট হ্যাকড

Published

on

জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাস ‘নর্টন’-এর হাজার হাজার গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে। হ্যাকারেরা গ্রাহকদের পাসওয়ার্ড ম্যানেজারে প্রবেশাধিকার পেয়ে থাকতে পারে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কোম্পানিটি। গ্রাহকদের পরিচয় সুরক্ষা ও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন সেবা দেয় নর্টন।

প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট টেক ক্রাঞ্চের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রাহকদের উদ্দেশে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে নর্টনের মূল কোম্পানি ‘জেন ডিজিটাল’ জানায়, বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আগেই প্রকাশ পাওয়া বা হাতিয়ে নেওয়া বিভিন্ন তথ্য বা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এই হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। যারা ‘পাসওয়ার্ড ম্যানেজার’ ফিচারটি ব্যবহার করেন তাঁদেরই মূলত এই বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে নর্টন।

অনুপ্রবেশকারী গ্রাহকের সংরক্ষিত পাসওয়ার্ডের তথ্যও পেয়েছে -এমন শঙ্কার কথা উড়িয়ে দিচ্ছে না কোম্পানিটি। জেন ডিজিটাল আরও জানায়, প্রায় ৬ হাজার ৪৫০ জন অ্যাকাউন্ট হারানো গ্রাহকের কাছে বিজ্ঞপ্তিটি পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নাম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্টে প্রবেশের সময় অননুমোদিত এক তৃতীয় পক্ষ ব্যবহারকারীর প্রথম নাম, পদবি, ফোন নম্বর ও ই-মেইল ঠিকানা দেখে ফেলেছে।

এই ধরনের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে গ্রাহকদের ‘টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ ব্যবস্থা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে নর্টন। ফলে, শুধু পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না হ্যাকার।

কোম্পানিটির নিজস্ব অনুসন্ধান অনুযায়ী, ১ ডিসেম্বর থেকেই অ্যাকাউন্টের তথ্য চুরির কাজ শুরু করেছিল হ্যাকার। আর ১২ ডিসেম্বর নাগাদ কোম্পানি নিজস্ব সিস্টেমে গ্রাহকদের ‘ব্যর্থ লগইনের’ বিশাল অংশ শনাক্ত করে।

Continue Reading

Highlights

নারীরা বিয়ের পর গুগলে যেসব বিষয় সার্চ করেন

Published

on

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের ব্যবহারকারী রয়েছে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই। যখন যা জানার ইচ্ছে হয় গুগলে সার্চ করেই জেনে নিতে পারছেন। মনের যত জিজ্ঞাসা এখন আর বই পুস্তক ঘাঁটাঘাঁটি করে খুঁজে বের করতে হয় না। কয়েকটি শব্দ টাইপ করে গুগল থেকেই জেনে নেওয়া যায় সবকিছু। রান্নার রেসিপি থেকে শুরু করে মহাকাশের নানান বিষয় জানা যায় গুগলের মাধ্যমেই। সপ্রতি গুগলের সার্চের তালিকায় আছে বেশ কিছু মজার তথ্য। নারীরা বিশেষ করে সদ্য বিবাহিত নারীরা গুগলে সার্চ করেন বিভিন্ন বিষয়। সবচেয়ে বেশি গুগলে তারা যা জানতে চান তার পাঁচটি বিষয়ের কথা জানিয়েছে গুগল। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিয়ের পর নারীরা গুগলের কাছে সবচেয়ে বেশি কি জানতে চান-

স্বামীর কাছে নিজেকে কীভাবে আরও আকর্ষণীয় করা যায়
অধিকাংশ বিবাহিত নারীরা গুগলে এই বিষয়টি সার্চ করেন। বিবাহিত নারীরা স্বামীর কাছে খুব আকর্ষণীয় দেখাতে চান। সমীক্ষা দেখায় যে বিবাহিত নারীরা তাদের স্বামীর কাছে কীভাবে আকর্ষণীয় দেখাবে তার জন্য গুগলে অনুসন্ধান করার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

স্বামীর মন জয় করার উপায়
বিয়ের পর নতুন একজন মানুষের সঙ্গে থাকা এবং তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার একটি ব্যাপার থাকে। তাই স্বামীর মন জয় করে সুখে শান্তিতে সংসার করতে সুগলের সাহায্য নেন নারীরা। অধিকাংশ নারী গুগলে সার্চ করছেন বিয়ের পর কীভাবে স্বামীর মন জয় করা যায়। স্বামীর সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নেওয়া যায়, কীভাবে তাকে মুগ্ধ করা যায়।

স্বামীর পছন্দ-অপছন্দ
প্রত্যেক নববধূর তার স্বামীর পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে চিন্তিত থাকেন। এজন্য গুগলে সার্চ করেন স্বামীরা কি খেতে পছন্দ করেন, কি করতে পছন্দ করেন ইত্যাদি।

শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের প্রশংসা পাওয়া যায় কীভাবে
এটা স্পষ্ট যে বেশিরভাগ বিবাহিত মেয়েরা কীভাবে শ্বশুরবাড়িতে পা রাখার পর শ্বশুরবাড়ির মন জয় করা যায় তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন। পরিবারের সদস্যরা সবাই পছন্দ করে এমন কোন খাবার তৈরি করা যায়। কিংবা শাশুড়ির সেবা করা যায় কীভাবে। তাদের মন জয় করে মিশেমিশে থাকার উপায়।

পারিবারিক দায়িত্ব
সদ্য বিবাহিত নারীরা জানার চেষ্টা করেন, কীভাবে আপনার পরিবারের দায়িত্ব পালন করবেন। এমনকি বিয়ের পর কীভাবে নিজের ব্যবসা চালানো উচিত কিংবা পরিবার কীভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে সাহায্য ও সহযোগিতা করতে পারে এসব বিষয় জানার জন্যও গুগলে সার্চ করেন নারী।

সূত্র: পিপা নিউজ

Continue Reading

Highlights

ক্রোম ব্রাউজার নিয়ে গুগলের নতুন ঘোষণা

Published

on

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
নতুন বছরের শুরুতেই পুরোনো উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য এলো দুঃসংবাদ। উইন্ডোজ ৭, উইন্ডোজ ৮ এবং উইন্ডোজ ৮.১ ব্যবহৃত কম্পিউটারে ক্রোম ব্রাউজারের সাপোর্ট বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে গুগল। ‘ক্রোম ১০৯’ হলো সর্বশেষ ভার্সন, যেটি পুরোনো এই অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে ব্যবহার করা যাবে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে ‘ক্রোম ১১০’ রিলিজ করবে গুগল।

ক্রোম ব্রাউজারের নতুন এই ভার্সন ব্যবহার করতে চাইলে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটারে অবশ্যই উইন্ডোজ ১০ বা তার উন্নতমানের অপারেটিং সিস্টেম থাকতে হবে। গুগলের অফিসিয়াল সাপোর্ট পেজে বলা হয়েছে, ‘উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮/৮.১ সাপোর্ট করবে এমন গুগল ক্রোমের শেষ ভার্সন হলো গুগল ক্রোম ১০৯। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে রিলিজ হতে যাওয়া ক্রোম ১১০ ব্যবহার করার জন্য ডিভাইসটি অবশ্যই উইন্ডোজ ১০ বা উইন্ডোজ ১১ চালিত হতে হবে।’

গুগলের এই সিদ্ধান্ত একেবারে যে অপ্রত্যাশিত, তা কিন্তু নয়। কেননা আগামী ১০ জানুয়ারি ২০২৩ থেকেই উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮.১ এর এক্সটেন্ডেড সাপোর্ট বন্ধ করে দেবে মাইক্রোসফট। আর তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই পুরোনো উইন্ডোজ চালিত কম্পিউটারগুলোতে ক্রোমের সাপোর্ট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গুগলের। তবে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে, ক্রোম ১১০ ভার্সন রিলিজ হওয়ার পরে উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮/৮.১ চালিত কম্পিউটারে ক্রোম ব্রাউজার আর কাজই করবে না। ক্রোম ১০৯ দিয়ে কাজ ঠিকই করা যাবে কিন্তু তাতে নতুন আপডেট ও নিরাপত্তা আপডেট দেবে না গুগল।

ফলে উইন্ডোজ ৭/৮/৮.১ অপারেটিং সিস্টেম চালিত ডিভাইস ব্যবহার করা চালিয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে ব্যবহারকারীদের। ক্রোমের আপডেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে সিকিউরিটি সংক্রান্ত প্যাচ যোগ করা হয়। সাইবার নিরাপত্তার জন্য যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপডেট বন্ধ হয়ে গেল স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখা দেবে।

তার ওপর মাইক্রোসফটও তাদের সাপোর্ট তুলে নেওয়ায় ম্যালওয়্যার এবং ভাইরাসের হানার ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে ব্যবহারকারীদের। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে উইন্ডোজ ১০ বা উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমে আপডেট হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

Continue Reading

Trending