Connect with us

Entrepreneur

উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ীদের অধিকতর সুবিধা দেবে ফেসবুক

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের আরও অধিকতর সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুক। এসব সুবিধার মধ্যে আছে ফেসবুকে থাকা ‘শপ’ হোয়াটসঅ্যাপ ও মার্কেটপ্লেসেও নিয়ে আসা, বিশেষায়িত বিজ্ঞাপন প্রচারের সুবিধা এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) এবং কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের পণ্য যাচাই করার সুবিধা দেওয়া। সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটা জানায় ফেসবুক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত কয়েক দশক ধরে মানুষের কেনাকাটার ধরনে আমূল পরিবর্তন এসেছে। সরাসরি শপিং সেন্টারে যাওয়ার থেকে এখন তারা ঘরে বসেই অনলাইনে পণ্যের কেনাকাটা করছেন। এমনকি এখন অনেকেই পণ্য যাচাই করতেও আর দোকানে যেতে চান না। একটি সানগ্লাস পরলে নিজেকে কেমন দেখাবে সেটাও তারা ঘরে বসেই করতে চান। এরজন্যই আমরা অনলাইন কেনাকাটাকে আরও সহজ করতে গ্রাহক এবং ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের জন্য কিছু সুবিধা নিয়ে এসেছি।

ফেসবুক শপের বিস্তার :

ফেসবুকে থাকা বিভিন্ন ব্যবসা-উদ্যোগের পেইজ এতদিন শুধু ‘শপ’ আকারে গ্রাহকদের দেখানো যেতো। ফেসবুক সুযোগ দিয়েছে এখন সেটিকে ‘হোয়াটসঅ্যাপ’ এবং ‘মার্কেটপ্লস’-এ দেখানোর। এর ফলে ফেসবুকেরই মার্কেটপ্লেস এবং হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা তাদের অনলাইন শপকে আরও অধিক গ্রাহকের কাছে নিয়ে যেতে পারবেন।

ফেসবুক জানায়, বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটিতে গড়ে প্রতিমাসে অন্তত ৩০ কোটি মানুষ অনলাইন শপ পরিদর্শন করেন। আর সেখানে প্রতিমাসে গড়ে সক্রিয় দোকান থাকে প্রায় ১২ লাখ। ফেসবুক এসব শপকে সুযোগ দেবে নির্দিষ্ট কিছু দেশের হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ ব্যবহার করার। প্রথম ধাপে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বিভিন্ন শপকে বিশ্বের অন্তত ১০০ কোটি গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেবে ফেসবুক।

এছাড়াও ইন্সটাগ্রামে থাকা বিভিন্ন শপ সম্পর্কে ক্রেতারা যেন রিভিউ এবং রেটিং দিতে পারেন সেই ফিচারও আনতে যাচ্ছে ফেসবুক।

বিশেষায়িত বিজ্ঞাপন :

বিজ্ঞাপন দাতারা যেন সর্বাধিক হারে এমন গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারেন যারা তাদের পণ্য বা সেবা কিনবেন তার জন্য বিশেষায়িত বিজ্ঞাপন সুবিধা আনছে ফেসবুক। একই সাথে গ্রাহকের নিউজফিডে সেই ধরনের পণ্যের বিজ্ঞাপনই বেশি দেখানো হবে যেসব পণ্য তিনি সচরাচর কিনতে ইচ্ছুক। এছাড়াও শপ যদি একেক জন গ্রাহকের জন্য একেকভাবে আলাদা আলাদা বিজ্ঞাপন ও অফার প্রচার করতে চান সেই সুযোগও আনছে ফেসবুক।

ভবিষ্যৎ কেনাকাটায় এআই ও ভিআর :

ফেসবুক বলছে, অদূর ভবিষ্যতে গ্রাহকেরা অনলাইন কেনাকাটায় ব্যবহার করবেন এআই এবং ভিআর এর মতো প্রযুক্তি। বর্তমানেও এসব প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে বলে মনে করছে প্ল্যাটফর্মটি। ইতোমধ্যে ইন্সটাগ্রামে কোনো ছবিতে থাকা পণ্য খোঁজার সুবিধা চালু করেছে ফেসবুক। যেমন কোনো ছবিতে হলুদ রঙের নির্দিষ্ট ডিজাইনের কোনো পোশাক থাকলে সেটিতে ক্লিক করলে ওই পোশাকটি কোন অনলাইন শপে কেনা যাবে সেটি জানিয়ে দেবে ইন্সটাগ্রাম। এছাড়াও গ্রাহকেরা কোনো পণ্য যেন ঘরে বসেই অনলাইনে ‘ট্রায়াল’ দিতে পারেন এআই এবং এআর প্রযুক্তির মাধ্যমে সেসব ফিচারও আনার ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুক।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Entrepreneur

বাংলাদেশি ৫ স্টার্টআপকে নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ডেমো ডে সিরেমনি

Published

on

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের আওতায় আইডিয়া প্রকল্পের একটি অন্যতম উদ্যোগ হলো বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ আয়োজন ‘আইডিয়াথন’ (ideaTHON) কনটেস্ট।

মঙ্গলবার এই কনটেস্টের বিজয়ী সেরা পাঁচ বাংলাদেশি স্টার্টআপকে নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ছয় মাসের প্রশিক্ষণের আওতায় কোরিয়া প্রোডাক্টিভিটি সেন্টার (কেপিসি) কর্তৃক আয়োজন করা হয় ‘বাংলাদেশ ফ্রন্টিয়ার স্টার্টআপস্ বিজনেস প্রিপ্যারেশন সাপোর্ট’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ডেমো ডে সিরেমনি।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, এই আয়োজনে বাংলাদেশি পাঁচ বিজয়ী স্টার্টআপ বিচারকদের সামনে প্রেজেন্টেশন দেন এবং সবশেষে এএনটিটি রোবোটিক্স লিমিটেডকে প্রথম স্থানকারী বিজয়ী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়। আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত হন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে ১৯৭৩ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় এই কর্মসূচি আয়োজনের জন্য প্রতিমন্ত্রী কেপিসি এবং বাংলাদেশ ফ্রন্টিয়ার স্টার্টআপস বিজনেস প্রিপ্যারেশন সাপোর্ট প্রজেক্টকে ধন্যবাদ জানান, যা দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের আরেকটি মাইলফলক যোগ করেছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার একটি ভিশন শেয়ার করেন। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বরং এটি একটি অনুপ্রেরণামূলক বাস্তবতা। তিনি অনুষ্ঠানে আরও বলেন, লকডাউনের কারণে দেশগুলো অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন হলেও দেশের মানুষের জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছে বাংলাদেশ।

প্রতিমন্ত্রী জানান, একাডেমিয়াদের জন্য এরই মধ্যে স্কুল ও কলেজে আট হাজারেরও বেশি শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যেখানে পাঁচ হাজারেরও বেশি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে এবং ১৫ হাজারের বেশি পাইপলাইনে রয়েছে। প্রযুক্তি এবং সৃজনশীলতা মাধ্যমগুলিকে বিকেন্দ্রীভূত করার জন্য প্রায় ৩০০টি ফিউচার অব স্কুল বাস্তাবায়ন করা হচ্ছে, যেখানে স্কুল এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের তাদের কোডিং, প্রোগ্রামিং, ক্রিটিকাল থিংকিং, ডিজাইন থিংকিং এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তির জন্য তাদের প্রস্তুত করতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা বিকাশের সুবিধা দেওয়া হবে।

সারা দেশে ৩৩টি পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩টিরও বেশি বিশেষ 4IR প্রযুক্তিভিত্তিক ল্যাব সরবরাহ করা হয়েছে। বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে, যাতে নন-গ্র্যাজুয়েট যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরকে লক্ষ্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট এবং থিসিস বা রিয়েল লাইফ প্রোডাক্ট সেবার গবেষণাপত্র চালু করে যাতে আমরা বাজারে নতুন ও উপযুক্ত উদ্ভাবন আনতে পারি এবং একাডেমিয়া থেকে শিল্পের মধ্যে একটি নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ তৈরি করতে পারি, সেই প্রচেষ্টাও চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন বলেন, বাংলাদেশি স্টার্টআপ যারা এই প্রোগ্রামে যোগদান করেছে, তারা সফলভাবে প্রোগ্রামের প্রত্যাশা এবং প্রাথমিক লক্ষ্যসমূহ পূরণ করেছে। তিনি বাংলাদেশের প্রশংসা করে আরও জানান, বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ২০০৯ সাল থেকে প্রায় তিন গুণ বেড়েছে এবং দেশটি দারুণ কাজ করছে। বাংলাদেশ সফলভাবে করোনা মহামারি মোকাবিলা করছে এবং এটি সত্যিই প্রশংসনীয়। পরে তিনি আইডিয়াথন বিজয়ী যারা দক্ষিণ কোরিয়ায় তাদের ছয় মাসের দীর্ঘ প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন, তাঁদের অভিনন্দন জানান।

অনলাইনভিত্তিক এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন এবং বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়া প্রোডাক্টিভিটি সেন্টারের (কেপিসি) চেয়ারম্যান আন ওয়াং-জি।

এ ছাড়া আয়োজনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব পার্থপ্রতিম দেব, আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক ও যুগ্ম-সচিব মো. আব্দুর রাকিব।

উল্লেখ্য, মুজিব শতবর্ষে Let’s Start You Up স্লোগান নিয়ে আয়োজিত আইডিয়াথন কনটেস্টের বিজয়ী পাঁচ দল ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তিন হাজার ১৪৭টি আবেদনকারীর মধ্যে কঠিন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়। ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এই আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠানে কৃষিয়ান, চার ছক্কা লিমিটেড, এএনটিটি রোবোটিক্স লিমিটেড, রক্ষী লিমিটেড এবং ছবির বাক্স; এই পাঁচ বাংলাদেশি স্টার্টআপ বিজয়ী হিসেবে পুরস্কার ও সম্মাননা গ্রহণ করে। সবশেষে, এ বছরের ৮ মার্চ ছয় মাসের বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণের লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন এই বিজয়ী দলগুলো থেকে ১০ জন তরুণ উদ্যোক্তা। দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষজ্ঞ, উদ্ভাবক এবং সফল স্টার্টআপদের সাথে গত ছয় মাস তাদের ব্যবসা ও বাণিজ্যিকীকরণের সুযোগ বিকাশের চিন্তাধারা নিয়ে কাজ করেন বাংলাদেশের এই তরুণেরা।

কোরিয়া প্রোডাক্টিভিটি সেন্টার (কেপিসি) এবং কোরিয়া ইনভেনশন প্রমোশন অ্যাসোসিয়েশন (কাইপা) স্টার্টআপদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক উদ্যোক্তা ও বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের সাথে যোগাযোগ সহায়তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পেটেন্ট, ডিজাইন, কপিরাইট এবং ট্রেডমার্ক অধিকার প্রাপ্তিতেও তাদের সহায়তা করা হচ্ছে। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের এই উদীয়মান স্টার্টআপগণ ভবিষ্যতে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে দেশের নাম উজ্জ্বল করার পাশাপাশি প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ আনতে সক্ষম হবে বলে মনে করছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে, এএনটিটি রোবোটিক্স লিমিটেড তাদের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বেইজড লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নিয়ে অ্যান্জেল ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে তাদের উদ্ভাবন এডুব্লক-এর ২০০ পিসের বেশি রোবটিক কিটসের মূল্য এবং এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের এক চতুর্থাংশের কাজের খরচের মূল্য বিনিয়োগ ফান্ড হিসেবে গ্রহণের প্রস্তাব পায়।

এ ছাড়া এ প্রতিযোগিতা ও বিজয়ী পাঁচ স্টার্টআপের ১০ জন তরুণ উদ্যোক্তাকে দক্ষিণ কোরিয়ায় ছয় মাসের প্রশিক্ষণ প্রদানের যাবতীয় খরচ বাবদ প্রায় চার কোটি টাকা অর্থ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের আওতায় আইডিয়া প্রকল্প হতে বহন করা হয়েছে।

Continue Reading

Entrepreneur

ইউটিউব মাসে ‘শর্টস’ নির্মাতাদের দেবে ১০ হাজার ডলার

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
‘শর্টস’ নির্মাতাদের প্রতি মাসে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউটিউব। ভিডিও শেয়ারিং বাজারে ইউটিউবের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী এখন টিকটক। ওই অ্যাপটির সঙ্গে পাল্লা দিতেই নতুন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ।

প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট দ্য ভার্জ জানিয়েছে, টিকটিকের বিপরীতে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে আগামী এক বছরে ‘শর্টস’ নির্মাতাদের মোট ১০ কোটি ডলার দেবে ইউটিউব।

ছোট ছোট ভিডিও বানিয়ে তার মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগের সুযোগ করে দিয়ে বাজারে সাফল্য পেয়েছে টিকটক। ওই একই বাজার ধরতে ইউটিউব নিজস্ব সেবায় যোগ করে ‘শর্টস’ ফিচার। এই ফিচার ব্যবহারে কনটেন্ট নির্মাতাদের উদ্বুদ্ধ করতেই ১০ কোটি ডলারের তহবিল গঠন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ইউটিউবের নতুন তহবিলের কারণে কনটেন্ট নির্মাতাদের মাসিক কামাইয়ের বড় একটা সুযোগ তৈরি হলেও সেটি নির্ভর করবে অনেকগুলো বিষয়ের উপর। জনপ্রিয় হতে হবে নির্মাতার তৈরি ‘শর্টস’ ভিডিওগুলো, প্রতি মাসে কত জন মানুষ ওই ভিডিওগুলো বানাচ্ছেন, কতোজন দেখেছেন, এবং নির্মাতার দর্শকদের ভৌগলিক অবস্থানের বিবেচনায় নির্ধারণ করা হবে নির্মাতাদের কে কত পাবেন।

একদম নতুন ভিডিও হতে হবে ওই ‘শর্টস’গুলোকে। পুরোনো ভিডিওগুলো নতুন করে আপলোড করলে, অথবা টিকটকের মতো অন্য প্ল্যাটফর্মের জলছাপ আছে এমন কোনো ভিডিও পোস্ট করলে তার বিপরীতে আয় হবে না নির্মাতাদের।

প্রাথমিক অবস্থায় ইউটিউবের এই নতুন ‘শর্টস’ তহবিল সুবিধা পাবেন ১০টি অঞ্চলের নির্মাতারা। এর মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও ব্রাজিল। ভবিষ্যতে অন্যান্য অঞ্চলের নির্মাতাদের এই তহবিলের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে ইউটিউব।

সাধারণত ভিডিওর সঙ্গে ইউটিউব যে বিজ্ঞাপন জুড়ে দেয়, সেখান থেকেই আয় হয় কনটেন্ট নির্মাতাদের। কত জন ওই বিজ্ঞাপন দেখছেন তার উপর নির্মাতাদের আয় সরাসরি নির্ভর করতো। কিন্তু ‘শর্টস’ ভিডিওগুলোর দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় তার সঙ্গে বিজ্ঞাপন জুড়ে দেওয়াটাও ঠিক যৌক্তিক নয়। অন্যদিকে এই ফিচারটির জনপ্রিয়তা বাড়াতে কনটেন্ট নির্মাতাদের অংশগ্রহনও প্রয়োজন। তাই নির্মাতাদের আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করার জন্য বিকল্প রাস্তা খুঁজছে ইউটিউব।

‘শর্টস’ নিয়ে নতুন এই তহবিল ভবিষ্যতে ‘স্থায়ী মূল্যায়ন প্রকল্প’ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন ইউটিউবের প্রধান পণ্য ব্যবস্থাপক নিল মোহান। নতুন তহবিলটি শর্টস ভিডিও নির্মাতাদের আর্থিকভাবে লাভবান করার উপায় খোঁজার অংশ বলে জানিয়েছেন তিনি। “আপনি আসলে একটি ‘শর্টস’ ফিড ভোগ করবেন, তাই মডেলটাও ভিন্নভাবে কাজ করতে হবে”, যোগ করেন মোহান।

নির্মাতাদের আর্থিকভাবে লাভবান করার জন্য এমন পরিকল্পনা প্রযুক্তি বাজারে নতুন নয়। টিকটিক ও স্ন্যাপচ্যাট, উভয়েই বিজ্ঞাপনের বদলে জনপ্রিয়তার হিসেবে আর্থিক সুবিধা দিয়ে থাকে কনটেন্ট নির্মাতাদের। তবে ওই অ্যাপগুলোতে কনটেন্ট নির্মাতাদের মাসিক কামাইয়ে সঠিক অঙ্ক নির্ধারণের বিষয়টি পুরোপুরি স্বচ্ছ নয় বলে জানিয়েছে দ্য ভার্জ।

অন্যদিকে, ইউটিউবের ‘শর্টস’ তহবিল আদতে দেরিতে হলেও একটি উদীয়মান বাজারে শক্ত অবস্থার গড়ার চেষ্টা বলে জানিয়েছে সাইটটি।
তবে ইউটিউবে নির্মাতাদের ‘এনগেজমেন্ট’ বাড়ানোর জন্য ‘শর্টস’ ব্যবহার করতে হবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মোহান। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সব নির্মাতাকে আলাদা কণ্ঠ দেওয়া। আমাদের নির্মাতারা যদি সেটা নির্দিষ্ট একটা বিষয়ে দুই ঘণ্টার তথ্য চিত্রের মাধ্যমে করতে চান, তাহলে সেটা ইউটিউবেই হওয়া উচিত। তারা যদি সেটা ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওর মাধ্যমে করতে চান, আর তার সঙ্গে মেশাতে চান পছন্দের শিল্পীর জনপ্রিয় গান, সেটাও করতে পারা উচিত তাদের”।

Continue Reading

Entrepreneur

এশিয়া-প্যাসিফিকে ১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে হুয়াওয়ে

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
স্টার্টআপ কোম্পানি ও সংস্থাগুলোতে সহায়তার জন্য ১০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে হুয়াওয়ে। সম্প্রতি সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে একযোগে অনুষ্ঠিত হওয়া স্পার্ক ফাউন্ডার্স সামিটেরর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ পরিকল্পনার কথা জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

এ বিনিয়োগটি হবে তাদের স্পার্ক প্রোগ্রামের মাধ্যমে, যার লক্ষ্য হবে আগামী তিন বছরে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরি করা বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

হুয়াওয়ে ২০২০ সাল থেকে সিঙ্গাপুরকে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রথম স্টার্টআপ হাব তৈরিতে সহায়তা করে আসছে এবং গত এক বছরে এ অঞ্চলের অনেক দেশেই এ কর্মসূচি সম্প্রসারণ করেছে। সামিটে হুয়াওয়ে ঘোষণা করেছে, তাদের এ কর্মসূচি ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামে চারটি অতিরিক্ত স্টার্টআপ হাব গড়ে তোলার দিকে আলোকপাত করবে; যার লক্ষ্য হবে স্পার্ক এক্সিলারেটর প্রোগ্রামে মোট ১ হাজার স্টার্টআপ নিযুক্তকরণ করা, যার মধ্যে ১শ’টি স্টার্টআপ হবে স্কেলআপ।

অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে স্টার্টআপ-সম্পর্কিত আরও তিনটি উদ্যোগ চালু করে। সেগুলো হলো: দ্য স্পার্ক ডেভেলপার প্রোগ্রাম, যার লক্ষ্য হলো এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে হুয়াওয়ে ক্লাউড দ্বারা চালিত একটি ডেভেলপার ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে সহায়তা করা; দ্য স্পার্ক পিটস্টপ প্রোগ্রাম, যা পণ্য উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হুয়াওয়ে ক্লাউডে অনবোর্ড ও স্টার্টআপগুলোকে সহায়তার জন্য তৈরি করা হয়েছে; এবং দ্য স্পার্ক ইনোভেশন প্রোগ্রাম (এসআইপি), যা স্পার্ক স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে এন্টারপ্রাইজ উদ্ভাবনকে সহজতর করতে সহায়তা করে।

হুয়াওয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বোর্ড সদস্য ক্যাথরিন চেন সামাজিক অগ্রগতির জন্য স্টার্টআপের গুরুত্ব এবং স্টার্টআপের সহায়তায় হুয়াওয়ে কী করছে তা জানিয়ে সামিটের আলোচনার সূচনা করেন। তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি স্টার্টআপ ও এসএমই কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। এরা আমাদের যুগের উদ্ভাবক, পরিবর্তনকারী এবং পথিকৃৎ। বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ কর্মসংস্থানই এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে; এরা দুই-তৃতীয়াংশ নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করে এবং বৈশ্বিক জিডিপির প্রায় ৫০ শতাংশ এখান থেকেই আসে। ৩৪ বছর আগে হুয়াওয়ে ছিল মাত্র ৫ হাজার ডলারে নিবন্ধিত মূলধনের একটি স্টার্টআপ।

হুয়াওয়ের ক্লাউড বিজনেস ইউনিটের সিইও ঝ্যাং পিং’আন বলেন, ২০১৭ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে হুয়াওয়ে ক্লাউড বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ক্লাউড; এটি অগণিত স্টার্টআপের প্রবৃদ্ধিকে চালিত করেছে। গত বছর আমরা এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে স্পার্ক প্রোগ্রাম চালু করেছি। এ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা স্থানীয় সরকার, নেতৃস্থানীয় ইনকিউবেটর, সুপরিচিত ভিসি ফার্ম এবং শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কাজ করে অনেক অঞ্চলে স্টার্টআপের জন্য সহায়তা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছি। এখন আমাদের কর্মসূচিতে ৪০টি স্টার্টআপ অংশগ্রহণ করছে।

হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট জেফারি লিউ বলেন, হুয়াওয়ের গ্লোবাল কাস্টমার বেস ও ফুল-স্ট্যাক টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে স্পার্ক প্রোগ্রাম আগামী তিন বছরে এ অঞ্চলে ১০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি বেশি বিনিয়োগ করবে এবং একটি টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম নির্মাণে ও ডায়নামিক অঞ্চলের জন্য নতুন মান তৈরি করতে সামগ্রিক সহায়তা প্রদান করবে।

Continue Reading

Trending