Connect with us

Tips & Tricks

ঠেকাবেন যেভাবে ফেসবুক-মেসেঞ্জার হ্যাক হওয়া

Published

on

নিউজবিডি ডেস্ক: স্মার্টফোন আছে অথচ ফেসবুক ব্যবহার করেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। ফেসবুক ছাড়াও অনেকেই টুইটার, মেসেঞ্জারসহ অনেক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু সোশাল মিডিয়া ব্যবহারের ফলে যেমন এর উপকারিতা রয়েছে তেমনি অ্যাকাউন্টটি যদি হ্যাক হয়ে যায় তাহলে ভোগান্তির শেষ নেই।

তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে যারা কাজ করেন তারা কিছু উপায় বলছেন, যাতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, ইমেইল বা গুগল অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্য চুরি যাওয়া বা হ্যাকিং এর শিকার হওয়া থেকে বাঁচা যায়।

তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে এর কোন বিকল্প নেই।

কখন বুঝবেন আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে:

কেউ যদি আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে আপনাকে জিম্মি করে আপনার ক্ষতি করতে চায়, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টে আপনি নিজেও পাসওয়ার্ড দিয়েও ঢুকতে পারবেন না। কিন্তু আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে ইমেইল বা পোস্ট যেতে থাকবে। তখন আপনি বুঝবেন আপনি আপনার অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন।

আবার এমনও হতে পারে, আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারছেন কিন্তু আপনার নামে আপত্তিকর মেইল বা পোস্ট দেয়া হচ্ছে সেক্ষেত্রে আপনি ধরে নিতে পারেন আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে।

তাৎক্ষনিক করণীয়:

তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানান আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছে। সেক্ষেত্রে জরুরী সেবার যে নম্বর ৯৯৯ রয়েছে সেখানে জানাতে পারেন। এছাড়া ঘনিষ্ঠ বন্ধু বা পরিবারের কারো অ্যাকাউন্ট থেকে জানাতে পারেন যে আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছে।

পরিষ্কার জানিয়ে দেন, আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে যেসব পোস্ট বা ছবি শেয়ার করা হচ্ছে, সেগুলো আপনি করছেন না।

যেভাবে হ্যাক হয়:

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক্ষেত্রে একটা ‘প্রোগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং’ ব্যবহার করা হয়।

যেমন: অপরিচিত বা পরিচিত বা কৌতুহলোদ্দীপক ঠিকানা থেকে আপনার কাছে একটা ইমেইল পাঠানো হল। এটাকে বলে ‘ফিশিং’ ইমেইল। সেখানে কিছু ছবি বা ফাইল থাকতে পারে বা লিঙ্ক থাকতে পারে।

আপনি সেখানে ক্লিক করলে আপনার ডিভাইসে একটা সফটওয়্যার ঢুকে যায় এবং আপনার কার্যক্রমগুলো মনিটর বা পর্যবেক্ষণ করতে থাকে।তখন দূরবর্তী কোন স্থান থেকে একজন, যে সফটওয়্যারটি নিয়ন্ত্রণ করছে, তার কাছে আপনার তথ্যগুলো চলে যায়।

এভাবে সোশাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট যেমন হ্যাক করা যায়, তেমনি অন্য ইমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা যায়।

টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন:

ফেসবুক, ইমেইল বা গুগল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড নির্ধারণ করার জন্য এতদিন বলা হত যত শক্তিশালী বা জটিল বর্ণ, ডিজিট দিয়ে করা যায় ততই নিরাপদ। কিন্তু সে ধারণা এখন পাল্টে গেছে।

সাইবার বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বলছেন, এখন অনেক সফটওয়্যার রয়েছে যেটা দিয়ে পাসওয়ার্ড ভেঙ্গে ফেলা সম্ভব। সেজন্য দুই ধাপে পাসওয়ার্ড ভেরিফাই করা যায় এমন ব্যবস্থার মধ্যে আসতে হবে।

তিনি বলছিলেন, যেমন আপনি যদি টু ফ্যাক্টর ফিচার ব্যবহার করেন সেটা নিরাপদ করবে আপনার অ্যাকাউন্টকে।

তিনি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলছিলেন, আপনার অ্যাকাউন্টে যদি অন্য ডিভাইস থেকে কেউ লগইন করার চেষ্টা করে তাহলে আপনার মোবাইলে বা ইমেইলে একটা কোড নোটিফিকেশন আসবে। তখন আপনি জানতে পারবেন আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

‘আবার আপনি নিজে যদি অন্য ডিভাইস থেকে লগইন করার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনি নিজেই চেক করে অনুমোদন দিয়ে অ্যাকাউন্টটি চালু করতে পারেন।’

অপরিচিত ইমেইল, লিংক এড়িয়ে চলা:

যদি আপনার ফেসবুকে কোন লিংক আসে, সেটা মেসেঞ্জারের মাধ্যমেও হতে পারে, সেটা এড়িয়ে চলুন। সাবির বলছিলেন, আমাদের কৌতুহল একটু কমাতে হবে। যেকোন লিংক বা ইমেইলে অ্যাটাচমেন্ট থাকলে সেটা ক্লিক করার আগে বা খোলার আগে সচেতন করতে হবে।

যেমন আপনার পরিচিত একজন বন্ধু আপনার কাছে একটা লিংক পাঠালো যেটা তার স্বভাববিরুদ্ধ হতে পারে। তখন আপনি সেটা তার সাথে কথা না বলে ক্লিক করবেন না। হতে পারে আপনার ঐ বন্ধুর অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়েছে এবং অন্য কেউ সেই লিংকটি পাঠিয়েছে।

এসব লিংক বা ফাইল খোলার ফল:

এসব লিংক বা ইমেইলে থাকা অ্যাটাচমেন্টে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ম্যালওয়ার থাকতে পারে যেটা আপনার ডিভাইসে ঢুকে আপনার ডিভাইসের তথ্য চুরি করতে পারে। তবে আপনি যদি কোন ইমেইল খুলে কী লেখা আছে সেটা পড়তে থাকেন অ্যাটাচমেন্ট ক্লিক না করে সেক্ষেত্রে এই ম্যালওয়ারটি আপনার ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইলে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

সফটওয়্যার ও অ্যাপ ব্যবহারে সাবধানতা:

যেকোন ধরণের সফটওয়্যার যে কোন ডিভাইসে ইন্সটল করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সফটওয়্যার এবং অ্যাপগুলো নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে ব্যবহার করতে হবে।

যেকোন স্থান থেকে যদি আপনি সফটওয়্যার এবং অ্যাপ ডাউনলোড করেন তাহলে আপনি নিজেকে বিপদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবেন নিজেকে।

সেটিংস পরিবর্তন করা:

আপনি যেসব ডিভাইস ব্যবহার করেন সেসব ডিভাইস এর সেটিংস অপশনে গিয়ে বেশ কিছু বিষয় নিরাপত্তার জন্য পরিবর্তন করা। যেমন লগইন অ্যালার্ট চালু করুন। লগইন অ্যাপ্রুভাল চালু করুন।

আপনাকে যাতে কোন ছবি বা পোষ্টে কেউ আপনার অনুমতি না নিয়ে ট্যাগ না করতে পারে সেই অপশনটা চালু করুন। এতে করে অন্যের কাজের দায়ভার আপনার নিতে হবে না। আর আপনি নাও চাইতে পারেন কোন পোষ্ট বা ছবি আপনাকে ট্যাগ না করুক ফেসবুকে।

আপনি যখন অ্যাপ্রুভ করবেন তখনি কেবল সেটা আপনার টাইমলাইনে আসবে। সূত্র: বিবিসি

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

হোয়াটসঅ্যাপে আসা এসব লিঙ্কে ভুলেও ক্লিক করবেন না!

Published

on

সম্প্রতি ভুয়া মেসেজ, ফিশিং অ্যাটাক কিংবা স্প্যাম মেসেজ -এই সমস্ত কিছুতে আক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা। ইদানীং বিষয়টি বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপে এই সমস্ত ফাঁদ কীভাবে এড়িয়ে চলবেন তা নিয়ে একাধিকবার সতর্কবার্তা দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।

বর্তমানে বিশ্বে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০০ কোটিরও বেশি। ব্যক্তিগত চ্যাট তো বটেই অফিসের কাজেও এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন কমবেশি সবাই। স্মার্টফোন ব্যবহারকারী অথচ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন না এমন মানুষ কমই আছেন। মেসেজ, অডিও-ভিডিও কলের মাধ্যমে যে কোনো সময় যোগাযোগ করার সহজ মাধ্যম এটি।

তবে হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারকের সংখ্যাও কম নয়। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে একটি নতুন উপায়ে প্রতারণা শুরু করেছে সাইবার অপরাধীরা। চাকরির কথা বলেই হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠাচ্ছে এই প্রতারকরা। এই ফাঁদেই পা দিচ্ছেন অনেক বেকার।

প্রথমে চাকরির অছিলায় স্ক্যামাররা তাদের ইউটিউব ভিডিও পছন্দ করতে বলছেন। ওপর প্রান্ত থেকে বলা হচ্ছে, প্রতিদিন ৫০০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন যে কোনো ব্যক্তি। শুরুতে স্ক্যামাররাও মানুষকে আশ্বস্ত করতে তাদের অ্যাকাউন্টে কিছু টাকাও পাঠাচ্ছে। একবার আপনার বিশ্বাস অর্জন করার পরই শুরু হয় আসল কাজ।

কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় প্রতারণা। পেমেন্ট ট্রান্সফারে সমস্যা হচ্ছে বলে বেকারদের একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলছে স্ক্যামাররা। এই অ্যাপের মাধ্যমে স্ক্যামাররা গ্রাহকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেয়। তারপরই অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিচ্ছে তারা।

যদি এমন কোনো মেসেজ পান, কিংবা লিংক যেটিতে আপনাকে ঢুকতে বলা হচ্ছে। ভুলেও ক্লিক করবেন না। অপরিচিত হোক কিংবা পরিচিত লিংক ভালোভাবে না দেখে ক্লিক করবেন না। সাধারণত লটারি বা অন্যান্য স্ক্যাম সম্পর্কিত বার্তাগুলো হোয়াটসঅ্যাপে আসতে থাকে। তাই এগুলো থেকে দূরে থাকুন ও কোনো অ্যাপ বা লিংকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ করবেন না। কোনো কিউআর কোড আসলেও সেটি না বুঝেই স্ক্যান করা থেকে সাবধান হোন।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের দেওয়া আরও কিছু পরামর্শ:

১. Laptop Scheme : ল্যাপটপ স্কিম লিঙ্ক। আবেদন করলেই পেতে পারেন একটি আকর্ষণীয় ল্যাপটপ। Muslims LAPTOPS SUPPORT 2023, The Applications for the Muslims Laptop Scheme 2023 Is Available এসব নামেও লিঙ্ক সরবরা হ করা হয়।

২. Adidas free Shoes : ফ্রি-তে অ্যাডিডাস জুতো জিততে পারেন আপনি। যার জন্য আপনাকে একটি কনটেস্টে নাম লেখাতে হবে। সেই কনটেস্টেই ৩ হাজার জন লাকি ইউজার জিতে নিতে পারেন আকর্ষণীয় জুতো। অ্যাডিডাসের ৯৩-তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এই কনটেস্টের আয়োজন করেছে সংস্থা।

৩. Adidas-র মত Zara-র সেলও চলছে হোয়াটসঅ্যাপ লিঙ্কে। এটাও একটা ফাঁদ। Zara-র লিঙ্কে ক্লিক করলেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চাইছে সংস্থা।

৪. Pizza Hut free large pizza-ফ্রি-তে লার্জ সাইজের পিজ্জা পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই মেসেজটা। বলে রাখা ভাল যে, এটিও একটি স্প্যাম।

৫. হোয়াটসঅ্যাপে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন না করালে বন্ধ হয়ে যেতে পারে মেসেজিং অ্যাপ। সম্প্রতি এমনই একটি স্প্যাম মেসেজ আসছে ব্যবহারকারীদের কাছে। কিন্তু মেসেজিং অ্যাপ সংস্থা কখনই কোনও টাকা চায় না ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে।

৬. Free beer from Heineken। ফ্রি-তে বিয়ার পাওয়া যাচ্ছে। এমন একটি মেসেজও ঘুর ঘুর করছে অনেকের হোয়াটসঅ্যাপে। কিন্তু এই ফাঁদেও একদম পা দেবেন না। তাহলে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে আপনার।

৭. কোনও অপরিচিত ব্যক্তির থেকে যদি আপনি মেসেজ পান। সেখানে যদি ছবি ডাউনলোড করার অপশন থাকে। তাহলে সেই ফাঁদে পা দেবেন না। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে।

৮. ফেস্টিভ সিজন শুরু হচ্ছে। আর এই সিজন শুরু হওয়ার মুখেই বিপাকে পড়তে পারেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহকেরা। ভুয়ো মেসেজ লিঙ্ক আসতে পারে আপনার কাছে এই সিজন সম্পর্কে। তাই আগেভাগেই সাবধান হয়ে যান।

এছাড়াও বিদেশে পড়াশোনার জন্য স্কলারশিপ, বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির নামে ডাটা অফার, দেশীয় বড় কোম্পানিগুলোর নামে অফারসহ এসব স্প্যাপ/ফিশিং লিঙ্ক সরবরাহ করা হয়। ফোন হ্যাকিং/ডাটা হারানো থেকে রক্ষা পেতে এসব লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। স্কলারশিপ, ডাটা অফার, অল্পদামে জিনিসপত্র কেনার অফারের জন্য প্রতিষ্ঠানের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করার পরামর্শও দিয়েছেন তারা।

তথ্য সূত্র : ইন্টারনেট।

Continue Reading

Highlights

রিলস এ আসক্ত? বন্ধ করতে চান? জেনে নিন ফেসবুক রিলস বন্ধ করার উপায়!

Published

on

অনেকে ফেসবুক রিলস চালু হওয়ার পর এতে আসক্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু নিউজ ফিডে ফেসবুক রিলস বন্ধ করার উপায় খুঁজছেন।

অন্যতম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক এর জনপ্রিয় একটি ফিচার রিলস। টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউব শর্টস এর মতোই ফেসবুকে ৩ থেকে ৬০ সেকেন্ডের রিল ভিডিও শেয়ার করা যায়। রিলস ভিডিওর মাধ্যমে যেমন সামাজিক পরিচিত গড়ে তোলা যায় তেমনই মোটা টাকা আয়ের সুযোগও।

ব্যবহার বাড়লেও অনেকেই আছেন যারা এই ভিডিও দেখে বিরক্তি বোধ করেন। তারা চান না যে তাদের ফিডে বা টাইমলাইনে কোনোপ্রকার ফেসবুক রিলস আসুক। চাইলেই কিন্তু ফেসবুক রিলস বন্ধ করা যায়। এজন্য আপনাকে ফেসবুক অ্যাপ বন্ধ করতে হবে না। শুধু রিলস নিউজ ফিডে আসা বন্ধ করলেই হবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক ফেসবুক রিলস বন্ধ করার উপায়-

১. সময়ের সঙ্গে ফেসবুক আপগ্রেড করলে তাতে একাধিক নিত্য নতুন ফিচার যুক্ত হয়। যা ব্যবহার করা শক্ত হয়ে ওঠে কিছু ইউজারদের কাছে। তাই আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোনে পুরোনো ভার্সনের ফেসবুক ব্যবহার করেন তাহলে রিলস থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

২. ফেসবুকের অ্যালগরিদমকে ইঙ্গিত দিন যে আপনি এটি পছন্দ করেন না। এজন্য যখনই রিলস আসবে তার ডান দিকে থ্রি লাইন ডটে ক্লিক করে ‘হাইড’ অপশনে ক্লিক করুন। টানা কয়েকদিন এভাবে হাইড করলে ফেসবুকের কাছে বার্তা যাবে যে আপনি রিলস পছন্দ করেছেন না।

৩. ফেসবুক রিলস টাইমলাইনে আসা বন্ধ করার একাধিক উপায় রয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে সোজা হলো ফেসবুক ওয়েব। ফেসবুক ওয়েবে রিলস তুলনামূলক কম দেখা যায়। তাই রিলস না দেখতে চাইলে ওয়েব ভার্সন ব্যবহার করতে পারেন।

Continue Reading

Highlights

ব্যবহারে ৩ ভুলে হ্যাক হতে পারে স্মার্টফোন

Published

on

সারাক্ষণ স্মার্টফোনে বুঁদ হয়ে আছেন। বস বয়সী নারী-পুরুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন। দূর-দূরান্তে অডিও-ভিডিওতে কথা বলা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার কিংবা গেম খেলা নানান কাজে স্মার্টফোনের বিকল্প কমই আছে। বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন দূরে রেখে এক মুহূর্তও কাটানো সম্ভব নয়।

তবে হ্যাকারদের জন্য স্মার্টফোন সুরক্ষা এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যতই প্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে সঙ্গে হ্যাকাররা নতুন উপায় খুঁজে নিচ্ছে হ্যাকিংয়ের। স্মার্টফোন হ্যাক করে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য, ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও, জরুরি ফাইল চুরি করছে। এরপর সেগুলো বিক্রি করে দিচ্ছে বিভিন্ন সংস্থার কাছে কিংবা ব্যবহারকারীকে ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তবে জানেন কি, সহজে বহনযোগ্য এই ডিভাইসটি ব্যবহারের ভুলেই হতে পারে হ্যাক।

হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন, আপনার ব্যবহারের সামান্য কিছু ভুলের কারণে হ্যাকারদের হাতে চলে যেতে পারে ব্যক্তিগত তথ্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন তিনটি ভুল ব্যবহার সম্পর্কে-

ফোন রোটেট করা-
অনেক সময় বই পড়তে কিংবা সিনেমা, নাটক দেখার সময় ফোন রোটেট করেন। আরও বিভিন্ন ফিচার ব্যবহারের জন্য রোট করে নেন স্মার্টফোনটি। সুরক্ষিতভাবে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে চাইলে ফোন রোটেট করবেন না। ফোন রোট থাকলে হ্যাকারদের হাতে এমন অনেক ফাইল চলে যেতে পারে যার ফলে নিমেষে ফাঁকা হয়ে যেতে পারে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।

ফোনের অ্যাপ আপডেট করুন-
অনেকেই স্মার্টফোনের অ্যাপ আপডেট করেন না। ফোনের স্টোরেজের কথা ভেবেই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি এড়িয়ে যান। তবে আপনার এই ভুলে খুব সহজেই পুরোনো অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে স্মার্টফোন হ্যাক হয়ে যেতে পারে। অ্যাপ্লিকেশনের পুরোনো ভার্সনের মধ্যে কিন্তু বাগ থেকে যাওয়া কোনো অবাক কাণ্ড নয়। মোবাইলে খুব পুরোনো কোনো অ্যাপ থাকলে এবং তা যদি বহু বছর তার কোনো আপডেট না এলে, সেই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপটি আনইনস্টল করে দেওয়ার চেষ্টা করুন।

অ্যাপ ডাউনলোডে সতর্কতা-
অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বা ইনবক্সে শেয়ার করা লিংক থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করেন। ভুলেও একি কাজটি করবেন না। অ্যাপের মতো দেখতে বিভিন্ন ভুয়া অ্যাপ্লিকেশন বা স্পাইওয়ার ঘুরে বেড়াচ্ছে ব্রাউজার বা বিভিন্ন জায়গায়। সেসব একবার নামিয়ে ফেললেই কিন্তু সর্বনাশ। সেসব অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমেই চুরি যেতে পারে আপনার ব্যাংকের পাসওয়ার্ডের মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তাই অ্যাপ নামানোর সময়ে সতর্ক থাকুন। কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপ ডাউনলোডের সময় গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরের মতো অথোরাইজড জায়গা থেকেই ডাউনলোড করুন। সূত্র: গ্যাজেটস নাও

Continue Reading

Trending