Connect with us

Tips & Tricks

জেনে নিন ই-পাসপোর্টের আদ্যোপান্ত

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট বিতরণ কর্মসূচী কর্মসূচীর উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে এই কর্মসূচী শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কয়েকদফা পেছানোর পর অবশেষে বুধবার এই কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল। কিন্তু এই ই-পাসপোর্টে কী সুবিধা হবে? প্রচলিত পাসপোর্টের সঙ্গে এর পার্থক্য কী? কিভাবে পাওয়া যাবে?

ই-পাসপোর্ট কী?

বর্তমানে এমআরপি বা যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের মতো ই-পাসপোর্টের বইও একই রকমের থাকবে। তবে যন্ত্রে পাসপোর্টের বইয়ে প্রথমে যে তথ্য সংবলিত দুইটি পাতা থাকে, ই-পাসপোর্টে তা থাকবে না। সেখানে বরং পালিমানের তৈরি একটি কার্ড ও অ্যান্টেনা থাকবে। সেই কার্ডের ভেতরে চিপ থাকবে, যেখানে পাসপোর্ট বাহকের সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। ডাটাবেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর তিন ধরণের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ। ফলে যেকোনো দেশের কর্তৃপক্ষ সহজেই ভ্রমণকারীর সম্পর্কে সব তথ্য জানতে পারবেন।

গত জুইতে যখন প্রথম ই-পাসপোর্ট বিতরণ কর্মসূচীর তারিখ ঠিক হয়, তখন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান বলেছিলেন, ‘এটি অত্যন্ত নিরাপত্তা সংবলিত একটি ব্যবস্থা। যে কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এখন ই-পাসপোর্ট ব্যবহার শুরু করেছে। আমরাও সেই তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছি।’’

এমআরপি আর ই-পাসপোর্টের পার্থক্য

মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) আর ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) এর মধ্যে পার্থক্যকে তুলনা করা যেতে পারে অনেকটা চেকবই আর এটিএম কার্ডের মতো। চেকবই যেভাবে স্বাক্ষর যাচাইবাছাই করে ব্যাংক কর্মকর্তারা অনুমোদন করে টাকা প্রদান করেন। কিন্তু এটিএম কার্ড দিয়ে যে কেউ নিজে থেকেই টাকা তুলতে পারেন। তেমনি এমআরপি পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তথ্য যাচাই বাছাই করে পাসপোর্টে সিল দিয়ে থাকেন। কিন্তু ই-পাসপোর্টধারী যন্ত্রের মাধ্যমে নিজে থেকেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারেন। তবে পরবর্তী ধাপে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারাই পাসপোর্টে আগমণ অথবা বর্হিগমন সিল দেবেন।

ই-পাসপোর্টের সুবিধা কী?

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান বলছেন, এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো যে, খুব দ্রুত ও সহজে ভ্রমণকারীরা যাতায়াত করতে পারবেন। ই-গেট ব্যবহার করে তারা যাতায়াত করবেন। ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরে তাদের ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এর মাধ্যমে দ্রুত তাদের ইমিগ্রেশন হয়ে যাবে।

তবে যখন একজন ভ্রমণকারী ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে যাতায়াত করবেন, সঙ্গে সঙ্গে সেটি কেন্দ্রীয় তথ্যাগারের (পাবলিক কি ডাইরেক্টরি-পিকেডি) সঙ্গে যোগাযোগ করে তার সম্পর্কে তথ্য জানতে পারবে।

ই-গেটের নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট রেখে দাঁড়ালে ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। থাকবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইয়ের ব্যবস্থাও। সব ঠিক থাকলে তিনি ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন। তবে কোন গরমিল থাকলে লালবাতি জ্বলে উঠবে। তখন সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা হস্তক্ষেপ করবেন। কারো বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকলে, সেটিও সঙ্গে সঙ্গে জানা যাবে।

ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও) এই পিকেডি পরিচালনা করে। ফলে ইন্টারপোলসহ বিমান ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য যাচাই করতে পারে।
এখানে ৩৮টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকায় এ ধরণের পাসপোর্ট জাল করা সহজ নয় বলে তিনি জানান।

আপাতত পাঁচ ও দশ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার। বয়স ভেদে পাসপোর্টের এই মেয়াদ নির্ধারণ করা হবে।

ফি কতো হবে?

ই-পাসপোর্টের ফি কতো হবে, তা জানাতে রাজি হননি সরকারি কর্মকর্তারা। এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরেই এ বিষয়ে ঘোষণা আসবে বলে তারা জানান।

তবে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন, ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ফি কিছুটা বেশি হতে পারে।

ই-পাসপোর্টেও কী ভিসা নিতে হবে?

প্রচলিত ব্যবস্থার মতো ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ভিসার বিষয়টি একই থাকবে। অর্থাৎ বিভিন্ন দেশের নিয়ম অনুযায়ী সরাসরি বা অনলাইনে ভিসার শর্ত পূরণ করেই ভিসা নিতে হবে।

ভিসা কর্তৃপক্ষ বা দূতাবাসগুলো এই পিকেডি ব্যবহার করে আবেদনকারীর তথ্য যাচাই করে নিতে পারবে। এরপরে তারা বইয়ের পাতায় ভিসা স্টিকার, সিল দিতে পারবে বা বাতিল করে দিতে পারবে।

এমআরপি পাসপোর্ট কী বাতিল হয়ে যাবে?

কর্মকর্তারা বলছেন, আপাতত ই-পাসপোর্টের পাশাপাশি প্রচলিত এমআরপি পাসপোর্ট ব্যবস্থাটিও বহাল থাকবে। তবে নতুন করে আর কাউকে এমআরপি পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে না। বর্তমানে এমআরপি পাসপোর্টধারীরা যখন নবায়ন করতে যাবেন, তখন তাদেরকেও ই-পাসপোর্ট দেয়া হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে সব এমআরপি পাসপোর্ট তুলে নেয়া হবে।

ই-পাসপোর্ট যেভাবে পাওয়া যাবে

পাঁচ ও ১০ বছর মেয়াদ হবে ই-পাসপোর্টের। পাসপোর্টের পৃষ্ঠাসংখ্যাও হবে দুই ধরনের, ৪৮ ও ৬৪ পৃষ্ঠা। নতুন আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট বিতরণের পদ্ধতি তিন ধরনের- সাধারণ, জরুরি ও অতি জরুরি।

দেশের অভ্যন্তরে সাধারণ আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিলে এবং অন্যান্য তথ্য সঠিক থাকলে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে। জরুরিভাবে পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিলে এবং অন্যান্য তথ্য ঠিক থাকলে সাত কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট দেওয়া হবে।

অতি জরুরি পাসপোর্ট ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিনের মধ্যে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনকারীকে নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ করে আবশ্যিকভাবে আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে। তবে পুরনো অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট নবায়নের ক্ষেত্রে অতীব জরুরি পাসপোর্ট দুই দিনে, জরুরি পাসপোর্ট তিন দিনে এবং সাধারণ পাসপোর্ট সাত দিনের মধ্যে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি তিন হাজার ৫০০ টাকা, জরুরি ফি পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি সাত হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি পাঁচ হাজার টাকা, জরুরি ফি সাত হাজার টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৯ হাজার টাকা। এছাড়া ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা, জরুরি ফি সাত হাজার ৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি সাত হাজার টাকা, জরুরি ফি ৯ হাজার টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১২ হাজার টাকা।

ই-পাসপোর্ট করতে যা লাগবে

ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্ম নিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী। অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

Continue Reading

Highlights

হোয়াটসঅ্যাপে আসা এসব লিঙ্কে ভুলেও ক্লিক করবেন না!

Published

on

সম্প্রতি ভুয়া মেসেজ, ফিশিং অ্যাটাক কিংবা স্প্যাম মেসেজ -এই সমস্ত কিছুতে আক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা। ইদানীং বিষয়টি বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপে এই সমস্ত ফাঁদ কীভাবে এড়িয়ে চলবেন তা নিয়ে একাধিকবার সতর্কবার্তা দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।

বর্তমানে বিশ্বে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০০ কোটিরও বেশি। ব্যক্তিগত চ্যাট তো বটেই অফিসের কাজেও এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন কমবেশি সবাই। স্মার্টফোন ব্যবহারকারী অথচ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন না এমন মানুষ কমই আছেন। মেসেজ, অডিও-ভিডিও কলের মাধ্যমে যে কোনো সময় যোগাযোগ করার সহজ মাধ্যম এটি।

তবে হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারকের সংখ্যাও কম নয়। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে একটি নতুন উপায়ে প্রতারণা শুরু করেছে সাইবার অপরাধীরা। চাকরির কথা বলেই হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠাচ্ছে এই প্রতারকরা। এই ফাঁদেই পা দিচ্ছেন অনেক বেকার।

প্রথমে চাকরির অছিলায় স্ক্যামাররা তাদের ইউটিউব ভিডিও পছন্দ করতে বলছেন। ওপর প্রান্ত থেকে বলা হচ্ছে, প্রতিদিন ৫০০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন যে কোনো ব্যক্তি। শুরুতে স্ক্যামাররাও মানুষকে আশ্বস্ত করতে তাদের অ্যাকাউন্টে কিছু টাকাও পাঠাচ্ছে। একবার আপনার বিশ্বাস অর্জন করার পরই শুরু হয় আসল কাজ।

কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় প্রতারণা। পেমেন্ট ট্রান্সফারে সমস্যা হচ্ছে বলে বেকারদের একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলছে স্ক্যামাররা। এই অ্যাপের মাধ্যমে স্ক্যামাররা গ্রাহকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেয়। তারপরই অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিচ্ছে তারা।

যদি এমন কোনো মেসেজ পান, কিংবা লিংক যেটিতে আপনাকে ঢুকতে বলা হচ্ছে। ভুলেও ক্লিক করবেন না। অপরিচিত হোক কিংবা পরিচিত লিংক ভালোভাবে না দেখে ক্লিক করবেন না। সাধারণত লটারি বা অন্যান্য স্ক্যাম সম্পর্কিত বার্তাগুলো হোয়াটসঅ্যাপে আসতে থাকে। তাই এগুলো থেকে দূরে থাকুন ও কোনো অ্যাপ বা লিংকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ করবেন না। কোনো কিউআর কোড আসলেও সেটি না বুঝেই স্ক্যান করা থেকে সাবধান হোন।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের দেওয়া আরও কিছু পরামর্শ:

১. Laptop Scheme : ল্যাপটপ স্কিম লিঙ্ক। আবেদন করলেই পেতে পারেন একটি আকর্ষণীয় ল্যাপটপ। Muslims LAPTOPS SUPPORT 2023, The Applications for the Muslims Laptop Scheme 2023 Is Available এসব নামেও লিঙ্ক সরবরা হ করা হয়।

২. Adidas free Shoes : ফ্রি-তে অ্যাডিডাস জুতো জিততে পারেন আপনি। যার জন্য আপনাকে একটি কনটেস্টে নাম লেখাতে হবে। সেই কনটেস্টেই ৩ হাজার জন লাকি ইউজার জিতে নিতে পারেন আকর্ষণীয় জুতো। অ্যাডিডাসের ৯৩-তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এই কনটেস্টের আয়োজন করেছে সংস্থা।

৩. Adidas-র মত Zara-র সেলও চলছে হোয়াটসঅ্যাপ লিঙ্কে। এটাও একটা ফাঁদ। Zara-র লিঙ্কে ক্লিক করলেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চাইছে সংস্থা।

৪. Pizza Hut free large pizza-ফ্রি-তে লার্জ সাইজের পিজ্জা পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই মেসেজটা। বলে রাখা ভাল যে, এটিও একটি স্প্যাম।

৫. হোয়াটসঅ্যাপে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন না করালে বন্ধ হয়ে যেতে পারে মেসেজিং অ্যাপ। সম্প্রতি এমনই একটি স্প্যাম মেসেজ আসছে ব্যবহারকারীদের কাছে। কিন্তু মেসেজিং অ্যাপ সংস্থা কখনই কোনও টাকা চায় না ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে।

৬. Free beer from Heineken। ফ্রি-তে বিয়ার পাওয়া যাচ্ছে। এমন একটি মেসেজও ঘুর ঘুর করছে অনেকের হোয়াটসঅ্যাপে। কিন্তু এই ফাঁদেও একদম পা দেবেন না। তাহলে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে আপনার।

৭. কোনও অপরিচিত ব্যক্তির থেকে যদি আপনি মেসেজ পান। সেখানে যদি ছবি ডাউনলোড করার অপশন থাকে। তাহলে সেই ফাঁদে পা দেবেন না। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে।

৮. ফেস্টিভ সিজন শুরু হচ্ছে। আর এই সিজন শুরু হওয়ার মুখেই বিপাকে পড়তে পারেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহকেরা। ভুয়ো মেসেজ লিঙ্ক আসতে পারে আপনার কাছে এই সিজন সম্পর্কে। তাই আগেভাগেই সাবধান হয়ে যান।

এছাড়াও বিদেশে পড়াশোনার জন্য স্কলারশিপ, বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির নামে ডাটা অফার, দেশীয় বড় কোম্পানিগুলোর নামে অফারসহ এসব স্প্যাপ/ফিশিং লিঙ্ক সরবরাহ করা হয়। ফোন হ্যাকিং/ডাটা হারানো থেকে রক্ষা পেতে এসব লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। স্কলারশিপ, ডাটা অফার, অল্পদামে জিনিসপত্র কেনার অফারের জন্য প্রতিষ্ঠানের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করার পরামর্শও দিয়েছেন তারা।

তথ্য সূত্র : ইন্টারনেট।

Continue Reading

Highlights

রিলস এ আসক্ত? বন্ধ করতে চান? জেনে নিন ফেসবুক রিলস বন্ধ করার উপায়!

Published

on

অনেকে ফেসবুক রিলস চালু হওয়ার পর এতে আসক্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু নিউজ ফিডে ফেসবুক রিলস বন্ধ করার উপায় খুঁজছেন।

অন্যতম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক এর জনপ্রিয় একটি ফিচার রিলস। টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউব শর্টস এর মতোই ফেসবুকে ৩ থেকে ৬০ সেকেন্ডের রিল ভিডিও শেয়ার করা যায়। রিলস ভিডিওর মাধ্যমে যেমন সামাজিক পরিচিত গড়ে তোলা যায় তেমনই মোটা টাকা আয়ের সুযোগও।

ব্যবহার বাড়লেও অনেকেই আছেন যারা এই ভিডিও দেখে বিরক্তি বোধ করেন। তারা চান না যে তাদের ফিডে বা টাইমলাইনে কোনোপ্রকার ফেসবুক রিলস আসুক। চাইলেই কিন্তু ফেসবুক রিলস বন্ধ করা যায়। এজন্য আপনাকে ফেসবুক অ্যাপ বন্ধ করতে হবে না। শুধু রিলস নিউজ ফিডে আসা বন্ধ করলেই হবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক ফেসবুক রিলস বন্ধ করার উপায়-

১. সময়ের সঙ্গে ফেসবুক আপগ্রেড করলে তাতে একাধিক নিত্য নতুন ফিচার যুক্ত হয়। যা ব্যবহার করা শক্ত হয়ে ওঠে কিছু ইউজারদের কাছে। তাই আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোনে পুরোনো ভার্সনের ফেসবুক ব্যবহার করেন তাহলে রিলস থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

২. ফেসবুকের অ্যালগরিদমকে ইঙ্গিত দিন যে আপনি এটি পছন্দ করেন না। এজন্য যখনই রিলস আসবে তার ডান দিকে থ্রি লাইন ডটে ক্লিক করে ‘হাইড’ অপশনে ক্লিক করুন। টানা কয়েকদিন এভাবে হাইড করলে ফেসবুকের কাছে বার্তা যাবে যে আপনি রিলস পছন্দ করেছেন না।

৩. ফেসবুক রিলস টাইমলাইনে আসা বন্ধ করার একাধিক উপায় রয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে সোজা হলো ফেসবুক ওয়েব। ফেসবুক ওয়েবে রিলস তুলনামূলক কম দেখা যায়। তাই রিলস না দেখতে চাইলে ওয়েব ভার্সন ব্যবহার করতে পারেন।

Continue Reading

Highlights

ব্যবহারে ৩ ভুলে হ্যাক হতে পারে স্মার্টফোন

Published

on

সারাক্ষণ স্মার্টফোনে বুঁদ হয়ে আছেন। বস বয়সী নারী-পুরুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন। দূর-দূরান্তে অডিও-ভিডিওতে কথা বলা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার কিংবা গেম খেলা নানান কাজে স্মার্টফোনের বিকল্প কমই আছে। বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন দূরে রেখে এক মুহূর্তও কাটানো সম্ভব নয়।

তবে হ্যাকারদের জন্য স্মার্টফোন সুরক্ষা এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যতই প্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে সঙ্গে হ্যাকাররা নতুন উপায় খুঁজে নিচ্ছে হ্যাকিংয়ের। স্মার্টফোন হ্যাক করে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য, ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও, জরুরি ফাইল চুরি করছে। এরপর সেগুলো বিক্রি করে দিচ্ছে বিভিন্ন সংস্থার কাছে কিংবা ব্যবহারকারীকে ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তবে জানেন কি, সহজে বহনযোগ্য এই ডিভাইসটি ব্যবহারের ভুলেই হতে পারে হ্যাক।

হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন, আপনার ব্যবহারের সামান্য কিছু ভুলের কারণে হ্যাকারদের হাতে চলে যেতে পারে ব্যক্তিগত তথ্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন তিনটি ভুল ব্যবহার সম্পর্কে-

ফোন রোটেট করা-
অনেক সময় বই পড়তে কিংবা সিনেমা, নাটক দেখার সময় ফোন রোটেট করেন। আরও বিভিন্ন ফিচার ব্যবহারের জন্য রোট করে নেন স্মার্টফোনটি। সুরক্ষিতভাবে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে চাইলে ফোন রোটেট করবেন না। ফোন রোট থাকলে হ্যাকারদের হাতে এমন অনেক ফাইল চলে যেতে পারে যার ফলে নিমেষে ফাঁকা হয়ে যেতে পারে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।

ফোনের অ্যাপ আপডেট করুন-
অনেকেই স্মার্টফোনের অ্যাপ আপডেট করেন না। ফোনের স্টোরেজের কথা ভেবেই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি এড়িয়ে যান। তবে আপনার এই ভুলে খুব সহজেই পুরোনো অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে স্মার্টফোন হ্যাক হয়ে যেতে পারে। অ্যাপ্লিকেশনের পুরোনো ভার্সনের মধ্যে কিন্তু বাগ থেকে যাওয়া কোনো অবাক কাণ্ড নয়। মোবাইলে খুব পুরোনো কোনো অ্যাপ থাকলে এবং তা যদি বহু বছর তার কোনো আপডেট না এলে, সেই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপটি আনইনস্টল করে দেওয়ার চেষ্টা করুন।

অ্যাপ ডাউনলোডে সতর্কতা-
অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বা ইনবক্সে শেয়ার করা লিংক থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করেন। ভুলেও একি কাজটি করবেন না। অ্যাপের মতো দেখতে বিভিন্ন ভুয়া অ্যাপ্লিকেশন বা স্পাইওয়ার ঘুরে বেড়াচ্ছে ব্রাউজার বা বিভিন্ন জায়গায়। সেসব একবার নামিয়ে ফেললেই কিন্তু সর্বনাশ। সেসব অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমেই চুরি যেতে পারে আপনার ব্যাংকের পাসওয়ার্ডের মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তাই অ্যাপ নামানোর সময়ে সতর্ক থাকুন। কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপ ডাউনলোডের সময় গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরের মতো অথোরাইজড জায়গা থেকেই ডাউনলোড করুন। সূত্র: গ্যাজেটস নাও

Continue Reading

Trending