Connect with us

Tips & Tricks

কিভাবে করবেন ই-পাসপোর্ট?

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
ইতোমধ্যেই ই-পাসপোর্ট -এর যুগে পা রেখেছে বাংলাদেশ। ২২ জানুয়ারি, বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। আর আগামীকাল ২৩ জানুয়ারি থেকে ঢাকায় বসবাসকারীরা অনলাইনে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যাবে।

এরপর পাসপোর্ট অধিদফতরের আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, সচিবালয় ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কার্যালয়ে গিয়ে আবেদনকারীরা বায়োমেট্রিক ও প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। অনলাইনে ছাড়াও পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্টের কাগজের ফরম নিয়ে পূরণ করে জমা দিলেও মিলবে ই-পাসপোর্ট। অপরদিকে জুনে সারা দেশের পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে ই-পাসপোর্ট দেয়া হবে। আর বছরের শেষ নাগাদ দেশের বাইরে ৮০টি মিশনে পৌঁছে যাবে ই-পাসপোর্ট।

যেভাবে করবেন আবেদন:

ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে হলে প্রথমে (www.epassport.gov.bd) এই ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে। ওয়েবসাইটে ঢুকে ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে (Directly to online application) ক্লিক করতে হবে।

প্রথম ধাপে বর্তমান ঠিকানার জেলা শহরের নাম ও থানার নাম নির্বাচন করে ক্লিক করতে হবে। পরের ধাপে ব্যক্তিগত তথ্য সম্বলিত ই-পাসপোর্টের মূল ফরমটি পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। তৃতীয় ধাপে মেয়াদ ও পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা অনুযায়ী ফি জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে যে কোনো ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে পেমেন্ট করা যাবে।

এছাড়াও যদি অধিদফতরের অনুমোদিত পাঁচ ব্যাংকের যে কোনো একটিতে টাকা জমা দিয়ে সেই জমা স্লিপের নম্বর এখানে দিতে হবে। এরপর ফাইল সাবমিট করতে হবে। এর ফলে আপনার তথ্যগুলো পাসপোর্টের কার্যালয়ের সার্ভারে চলে যাবে। পরবর্তী ধাপে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ (এনআইডি) প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদানের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে।

শেষ ধাপে ই-পাসপোর্ট প্রস্তুতের পর আবেদনকারীকে জানানো হবে৷ আবেদনকারী নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হয়ে ই-পাসপোর্ট গ্রহণ করবেন। জুনে সারাদেশের কার্যালয়ে এবং এই বছরের শেষ নাগাদ দেশের বাইরে ৮০টি মিশনে পৌঁছে যাবে ই-পাসপোর্ট।

কাগজের ফরম জমা:

পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্টের কাগজের ফরম নিয়ে পূরণ করে জমা দিলেও মিলবে ই-পাসপোর্ট। কাগজের ফরমে আবেদনকারীর ৮৭ ধরনের তথ্য চাওয়া হবে। এমআরপি থেকে এই ফরম কিছুটা আলাদা। এই ফরমে পাসপোর্টের মেয়াদ (৫ বছর অথবা ১০ বছর) ও পাসপোর্টের পাতার সংখ্যা (৪৮ অথবা ৬৪) ইত্যাদি তথ্য জানতে চাওয়া হবে।

দেশের অভ্যন্তরে সাধারণ আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিলে এবং অন্যান্য তথ্য সঠিক থাকলে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে। জরুরিভাবে পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিলে এবং অন্যান্য তথ্য ঠিক থাকলে সাত কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট দেওয়া হবে।

অতি জরুরি পাসপোর্ট ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিনের মধ্যে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনকারীকে নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ করে আবশ্যিকভাবে আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে। তবে পুরনো অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট নবায়নের ক্ষেত্রে অতীব জরুরি পাসপোর্ট দুই দিনে, জরুরি পাসপোর্ট তিন দিনে এবং সাধারণ পাসপোর্ট সাত দিনের মধ্যে দেওয়া হবে।

একজন প্রাপ্ত বয়স্কের ই-পাসপোর্ট করতে ফরম পূরণ করে জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ড এবং ছবি জমা দিতে হবে। ১৮-এর কমবয়সীদের জন্য জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট, বাবা-মায়ের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হবে।

বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৩৫০০ টাকা (ভ্যাটসহ ৪০২৫ টাকা), জরুরি ফি ৫৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫০০০ টাকা, জরুরি ফি ৭০০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৯০০০ টাকা।

এছাড়া বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১০৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৭০০০ টাকা, জরুরি ফি ৯০০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১২০০০ টাকা।

উল্লেখ্য, সব ফির সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত হবে।

Continue Reading

Highlights

হোয়াটসঅ্যাপে আসা এসব লিঙ্কে ভুলেও ক্লিক করবেন না!

Published

on

সম্প্রতি ভুয়া মেসেজ, ফিশিং অ্যাটাক কিংবা স্প্যাম মেসেজ -এই সমস্ত কিছুতে আক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা। ইদানীং বিষয়টি বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপে এই সমস্ত ফাঁদ কীভাবে এড়িয়ে চলবেন তা নিয়ে একাধিকবার সতর্কবার্তা দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।

বর্তমানে বিশ্বে হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০০ কোটিরও বেশি। ব্যক্তিগত চ্যাট তো বটেই অফিসের কাজেও এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন কমবেশি সবাই। স্মার্টফোন ব্যবহারকারী অথচ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন না এমন মানুষ কমই আছেন। মেসেজ, অডিও-ভিডিও কলের মাধ্যমে যে কোনো সময় যোগাযোগ করার সহজ মাধ্যম এটি।

তবে হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারকের সংখ্যাও কম নয়। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে একটি নতুন উপায়ে প্রতারণা শুরু করেছে সাইবার অপরাধীরা। চাকরির কথা বলেই হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠাচ্ছে এই প্রতারকরা। এই ফাঁদেই পা দিচ্ছেন অনেক বেকার।

প্রথমে চাকরির অছিলায় স্ক্যামাররা তাদের ইউটিউব ভিডিও পছন্দ করতে বলছেন। ওপর প্রান্ত থেকে বলা হচ্ছে, প্রতিদিন ৫০০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন যে কোনো ব্যক্তি। শুরুতে স্ক্যামাররাও মানুষকে আশ্বস্ত করতে তাদের অ্যাকাউন্টে কিছু টাকাও পাঠাচ্ছে। একবার আপনার বিশ্বাস অর্জন করার পরই শুরু হয় আসল কাজ।

কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় প্রতারণা। পেমেন্ট ট্রান্সফারে সমস্যা হচ্ছে বলে বেকারদের একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলছে স্ক্যামাররা। এই অ্যাপের মাধ্যমে স্ক্যামাররা গ্রাহকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেয়। তারপরই অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিচ্ছে তারা।

যদি এমন কোনো মেসেজ পান, কিংবা লিংক যেটিতে আপনাকে ঢুকতে বলা হচ্ছে। ভুলেও ক্লিক করবেন না। অপরিচিত হোক কিংবা পরিচিত লিংক ভালোভাবে না দেখে ক্লিক করবেন না। সাধারণত লটারি বা অন্যান্য স্ক্যাম সম্পর্কিত বার্তাগুলো হোয়াটসঅ্যাপে আসতে থাকে। তাই এগুলো থেকে দূরে থাকুন ও কোনো অ্যাপ বা লিংকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ করবেন না। কোনো কিউআর কোড আসলেও সেটি না বুঝেই স্ক্যান করা থেকে সাবধান হোন।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের দেওয়া আরও কিছু পরামর্শ:

১. Laptop Scheme : ল্যাপটপ স্কিম লিঙ্ক। আবেদন করলেই পেতে পারেন একটি আকর্ষণীয় ল্যাপটপ। Muslims LAPTOPS SUPPORT 2023, The Applications for the Muslims Laptop Scheme 2023 Is Available এসব নামেও লিঙ্ক সরবরা হ করা হয়।

২. Adidas free Shoes : ফ্রি-তে অ্যাডিডাস জুতো জিততে পারেন আপনি। যার জন্য আপনাকে একটি কনটেস্টে নাম লেখাতে হবে। সেই কনটেস্টেই ৩ হাজার জন লাকি ইউজার জিতে নিতে পারেন আকর্ষণীয় জুতো। অ্যাডিডাসের ৯৩-তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এই কনটেস্টের আয়োজন করেছে সংস্থা।

৩. Adidas-র মত Zara-র সেলও চলছে হোয়াটসঅ্যাপ লিঙ্কে। এটাও একটা ফাঁদ। Zara-র লিঙ্কে ক্লিক করলেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চাইছে সংস্থা।

৪. Pizza Hut free large pizza-ফ্রি-তে লার্জ সাইজের পিজ্জা পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই মেসেজটা। বলে রাখা ভাল যে, এটিও একটি স্প্যাম।

৫. হোয়াটসঅ্যাপে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন না করালে বন্ধ হয়ে যেতে পারে মেসেজিং অ্যাপ। সম্প্রতি এমনই একটি স্প্যাম মেসেজ আসছে ব্যবহারকারীদের কাছে। কিন্তু মেসেজিং অ্যাপ সংস্থা কখনই কোনও টাকা চায় না ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে।

৬. Free beer from Heineken। ফ্রি-তে বিয়ার পাওয়া যাচ্ছে। এমন একটি মেসেজও ঘুর ঘুর করছে অনেকের হোয়াটসঅ্যাপে। কিন্তু এই ফাঁদেও একদম পা দেবেন না। তাহলে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে আপনার।

৭. কোনও অপরিচিত ব্যক্তির থেকে যদি আপনি মেসেজ পান। সেখানে যদি ছবি ডাউনলোড করার অপশন থাকে। তাহলে সেই ফাঁদে পা দেবেন না। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে।

৮. ফেস্টিভ সিজন শুরু হচ্ছে। আর এই সিজন শুরু হওয়ার মুখেই বিপাকে পড়তে পারেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহকেরা। ভুয়ো মেসেজ লিঙ্ক আসতে পারে আপনার কাছে এই সিজন সম্পর্কে। তাই আগেভাগেই সাবধান হয়ে যান।

এছাড়াও বিদেশে পড়াশোনার জন্য স্কলারশিপ, বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির নামে ডাটা অফার, দেশীয় বড় কোম্পানিগুলোর নামে অফারসহ এসব স্প্যাপ/ফিশিং লিঙ্ক সরবরাহ করা হয়। ফোন হ্যাকিং/ডাটা হারানো থেকে রক্ষা পেতে এসব লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। স্কলারশিপ, ডাটা অফার, অল্পদামে জিনিসপত্র কেনার অফারের জন্য প্রতিষ্ঠানের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করার পরামর্শও দিয়েছেন তারা।

তথ্য সূত্র : ইন্টারনেট।

Continue Reading

Highlights

রিলস এ আসক্ত? বন্ধ করতে চান? জেনে নিন ফেসবুক রিলস বন্ধ করার উপায়!

Published

on

অনেকে ফেসবুক রিলস চালু হওয়ার পর এতে আসক্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু নিউজ ফিডে ফেসবুক রিলস বন্ধ করার উপায় খুঁজছেন।

অন্যতম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক এর জনপ্রিয় একটি ফিচার রিলস। টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউব শর্টস এর মতোই ফেসবুকে ৩ থেকে ৬০ সেকেন্ডের রিল ভিডিও শেয়ার করা যায়। রিলস ভিডিওর মাধ্যমে যেমন সামাজিক পরিচিত গড়ে তোলা যায় তেমনই মোটা টাকা আয়ের সুযোগও।

ব্যবহার বাড়লেও অনেকেই আছেন যারা এই ভিডিও দেখে বিরক্তি বোধ করেন। তারা চান না যে তাদের ফিডে বা টাইমলাইনে কোনোপ্রকার ফেসবুক রিলস আসুক। চাইলেই কিন্তু ফেসবুক রিলস বন্ধ করা যায়। এজন্য আপনাকে ফেসবুক অ্যাপ বন্ধ করতে হবে না। শুধু রিলস নিউজ ফিডে আসা বন্ধ করলেই হবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক ফেসবুক রিলস বন্ধ করার উপায়-

১. সময়ের সঙ্গে ফেসবুক আপগ্রেড করলে তাতে একাধিক নিত্য নতুন ফিচার যুক্ত হয়। যা ব্যবহার করা শক্ত হয়ে ওঠে কিছু ইউজারদের কাছে। তাই আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোনে পুরোনো ভার্সনের ফেসবুক ব্যবহার করেন তাহলে রিলস থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

২. ফেসবুকের অ্যালগরিদমকে ইঙ্গিত দিন যে আপনি এটি পছন্দ করেন না। এজন্য যখনই রিলস আসবে তার ডান দিকে থ্রি লাইন ডটে ক্লিক করে ‘হাইড’ অপশনে ক্লিক করুন। টানা কয়েকদিন এভাবে হাইড করলে ফেসবুকের কাছে বার্তা যাবে যে আপনি রিলস পছন্দ করেছেন না।

৩. ফেসবুক রিলস টাইমলাইনে আসা বন্ধ করার একাধিক উপায় রয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে সোজা হলো ফেসবুক ওয়েব। ফেসবুক ওয়েবে রিলস তুলনামূলক কম দেখা যায়। তাই রিলস না দেখতে চাইলে ওয়েব ভার্সন ব্যবহার করতে পারেন।

Continue Reading

Highlights

ব্যবহারে ৩ ভুলে হ্যাক হতে পারে স্মার্টফোন

Published

on

সারাক্ষণ স্মার্টফোনে বুঁদ হয়ে আছেন। বস বয়সী নারী-পুরুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন। দূর-দূরান্তে অডিও-ভিডিওতে কথা বলা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার কিংবা গেম খেলা নানান কাজে স্মার্টফোনের বিকল্প কমই আছে। বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন দূরে রেখে এক মুহূর্তও কাটানো সম্ভব নয়।

তবে হ্যাকারদের জন্য স্মার্টফোন সুরক্ষা এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যতই প্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে সঙ্গে হ্যাকাররা নতুন উপায় খুঁজে নিচ্ছে হ্যাকিংয়ের। স্মার্টফোন হ্যাক করে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য, ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও, জরুরি ফাইল চুরি করছে। এরপর সেগুলো বিক্রি করে দিচ্ছে বিভিন্ন সংস্থার কাছে কিংবা ব্যবহারকারীকে ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তবে জানেন কি, সহজে বহনযোগ্য এই ডিভাইসটি ব্যবহারের ভুলেই হতে পারে হ্যাক।

হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন, আপনার ব্যবহারের সামান্য কিছু ভুলের কারণে হ্যাকারদের হাতে চলে যেতে পারে ব্যক্তিগত তথ্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন তিনটি ভুল ব্যবহার সম্পর্কে-

ফোন রোটেট করা-
অনেক সময় বই পড়তে কিংবা সিনেমা, নাটক দেখার সময় ফোন রোটেট করেন। আরও বিভিন্ন ফিচার ব্যবহারের জন্য রোট করে নেন স্মার্টফোনটি। সুরক্ষিতভাবে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে চাইলে ফোন রোটেট করবেন না। ফোন রোট থাকলে হ্যাকারদের হাতে এমন অনেক ফাইল চলে যেতে পারে যার ফলে নিমেষে ফাঁকা হয়ে যেতে পারে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।

ফোনের অ্যাপ আপডেট করুন-
অনেকেই স্মার্টফোনের অ্যাপ আপডেট করেন না। ফোনের স্টোরেজের কথা ভেবেই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি এড়িয়ে যান। তবে আপনার এই ভুলে খুব সহজেই পুরোনো অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে স্মার্টফোন হ্যাক হয়ে যেতে পারে। অ্যাপ্লিকেশনের পুরোনো ভার্সনের মধ্যে কিন্তু বাগ থেকে যাওয়া কোনো অবাক কাণ্ড নয়। মোবাইলে খুব পুরোনো কোনো অ্যাপ থাকলে এবং তা যদি বহু বছর তার কোনো আপডেট না এলে, সেই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপটি আনইনস্টল করে দেওয়ার চেষ্টা করুন।

অ্যাপ ডাউনলোডে সতর্কতা-
অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বা ইনবক্সে শেয়ার করা লিংক থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করেন। ভুলেও একি কাজটি করবেন না। অ্যাপের মতো দেখতে বিভিন্ন ভুয়া অ্যাপ্লিকেশন বা স্পাইওয়ার ঘুরে বেড়াচ্ছে ব্রাউজার বা বিভিন্ন জায়গায়। সেসব একবার নামিয়ে ফেললেই কিন্তু সর্বনাশ। সেসব অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমেই চুরি যেতে পারে আপনার ব্যাংকের পাসওয়ার্ডের মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তাই অ্যাপ নামানোর সময়ে সতর্ক থাকুন। কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপ ডাউনলোডের সময় গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরের মতো অথোরাইজড জায়গা থেকেই ডাউনলোড করুন। সূত্র: গ্যাজেটস নাও

Continue Reading

Trending