ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে আজ থেকে আংশিকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হবে। দীর্ঘ ৫ মাস পর বন্ধ থাকার পর ইন্টারনেট চালু করা হচ্ছে ওই অঞ্চলে। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ থাকবে। খবর এনডিটিভি।
রাজ্য গভর্নর অফিস সূত্রে এনডিটিভি জানিয়েছে, ইন্টারনেট চালুর পর গভর্নর পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও মূল্যায়ণ করবেন। পরবর্তীতে পরিস্থিতির উন্নতি হলে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
ইন্টারনেটের আওতায় প্রথমে জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান যেমন সরকারি ওয়েবসাইট, ব্যাংক ইত্যাদি অন্তভুক্ত থাকবে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে পরিস্থিতি দেখে এলাকা বাড়ানো হবে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যগুলো বন্ধ থাকবে। ওই সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর পর্যবেক্ষণ ও অনুমোদিত ব্যবহারকারীদেও প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা হবে বলে সরকারি সূত্রে জানিয়েছে এনডিটিভি।
সূত্র জানায়, প্রথমে শ্রীনগরসহ মধ্য কাশ্মির, এর দু’দিন পর উত্তর কাশ্মিরের কুপওয়ারা, বন্দিপোরা ও বারমুল্লাতে সংযোগ দেয়া হবে। তারও দু’দিন পর দক্ষিণ কাশ্মিরের পুলওয়ামা, কুলগাম, শাপিয়ান ও অনন্তনাগে সংযোগ চালু হবে। এক সপ্তাহ পর্যালোচনা শেষে গভর্নরের অনুমোদন সাপেক্ষে মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হবে।
গত আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা হরণের পর থেকে ওই অঞ্চলে ইনটারনেট বন্ধ করে দেয় সরকার। সেখানে যাতে কোনও উত্তেজনা ছড়াতে না পারে এই অযুহাতে সতর্কতা হিসেবে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়।
গত সপ্তাহে ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে ইন্টারনেট বন্ধ করা বিষয়ে এক আবেদনের প্রেক্ষিতে এক সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারনেট চালু করার রায় দেয় আদালত। তারপরই সরকার আংশিকভাবে ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। রায়ে বলা হয়, সংবিধানের ১৯ (১) (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মানুষের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় সরকার জোর খাটাতে পারে না।
এছাড়াও কাশ্মিরে আন্দোলন ও সমাবেশ বন্ধে ১৪৪ ধারা জারির সমালোচনা করে একে নিপীড়নের হাতিয়ার আখ্যায়িত করে এটা ব্যবহার না করার জন্য বলা হয়। গত ৫ মাসে কাশ্মিরে জারি করা সমস্ত নিষেধাজ্ঞার আদেশ জনসম্মুখে প্রকাশ করতে বলেছে।