Tech News

১৮ সফটওয়্যারের মাধ্যমে অটোমেশন হবে ভূমির সব সেবা

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
দেশে ভূমি সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা ১৮টি সফটওয়্যারের মাধ্যমে অটোমেশনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনায় নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান, পর্চা সংগ্রহ, সব ধরনের সেবা দ্রুত এবং ভোগান্তিমুক্ত করার উদ্দেশ্যে সারা দেশে ‘‘ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’’ করা হবে। ভূমি সংক্রান্ত সব সেবা ১৮টি সফটওয়ারের মাধ্যমে অটোমেশনের আওতায় আনা হবে। তাছাড়া, কৃষিজমি সুরক্ষা ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সারাদেশে মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং করা হবে।

তিনি আরও বলেন, জমি ব্যবহারের প্রকৃতি অনুযায়ী ডিজিটাল জোনিং করা হলে দেশের কৃষিজমি সুরক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে এবং ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। দেশের সব রাজস্ব আদালতের মামলাগুলো একটি সমন্বিত নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে দেশের সকল রাজস্ব আদালতের মামলা নিষ্পত্তিতে গতিশীলতা আসবে এবং জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হবে। ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজেশন করার জন্য ‘ভূমি নিবন্ধন ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নাগরিকরা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে সেবা পাবেন। এতে ভূমি নিবন্ধন প্রক্রিয়া আইসিটি নির্ভর হওয়ায় আরও সহজ হবে, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে এবং ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ হ্রাস পাবে।

ডিজিটাইজড হবে পুরো বিচার ব্যবস্থা: বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিচার কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক বিচার ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্পের আওতায় দেশের সামগ্রিক বিচার ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করা হবে। দেশের প্রতিটি আদালতকে ই-কোর্টে পরিণত করা হবে এবং আটক দুর্র্ধষ আসামিদের আদালতে হাজির না করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারকার্য পরিচালনা করা হবে। সুপ্রিম কোর্টসহ অধস্তন আদালতগুলোর সব কার্যক্রমকে অটোমেশন এবং নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। অধস্তন আদালতসমূহের বিচারাধীন মামলার বর্তমান অবস্থা, শুনানির তারিখ, ফলাফল এবং পূর্ণাঙ্গ রায় নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। মুস্তফা কামাল আরও বলেন, এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে বিচারপ্রার্থীরা শিগগিরই এর সুফল ভোগ করতে পারবেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version