Connect with us

eCommerce

সম্পদের চেয়ে ৬ গুণ বেশি ঋণ ইভ্যালির

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
সম্পদের চেয়ে ৬ গুণের বেশি এই ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। এই ঋণ পরিশোধ করার সক্ষমতা কোম্পানিটির নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির ওপর পরিচালিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক পরিদর্শন প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত ১৭ জুন (বৃহস্পতিবার) প্রতিবেদনটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জানা গেছে ইভ্যালির চলতি সম্পদের পরিমাণ ৬৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির দেনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ইভ্যালির চলতি দায় ও লোকসান দুটিই ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। কোম্পানিটি চলতি দায় ও লোকসানের দুষ্ট চক্রে বাঁধা পড়ছে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ‘ক্রমাগতভাবে সৃষ্ট দায় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ব টিকে না থাকার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।’

প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ইভ্যালি চলতি বছরের ১৪ মার্চ পর্যন্ত পণ্যমূল্য বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা নিয়ে কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি। অন্যদিকে তারা যেসব কোম্পানির কাছ থেকে পণ্য কেনে, তাদের কাছে ইভ্যালির বকেয়া ১৮৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ইভ্যালির চলতি সম্পদ দিয়ে গ্রাহক ও পাওনাদারদের বকেয়া অর্থের মাত্র ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ পরিশোধ করা সম্ভব। বাকি প্রায় ৮৪ শতাংশ বা ৩৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার সমপরিমাণ দায় অপরিশোধিত থেকে যাবে। ইভ্যালির চলতি সম্পদের স্থিতি দিয়ে শুধু গ্রাহক দায়ের এক-তৃতীয়াংশেরও কম পরিশোধ করা সম্ভব হবে।

২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের ১৪ মার্চ পর্যন্ত ইভ্যালির মোট আয় (রেভিনিউ) ২৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির বিক্রয় ব্যয় হয়েছে ২০৭ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, কোম্পানিটি প্রতি এক টাকা আয়ের জন্য তিন টাকা ৫৭ পয়সা বিক্রয় ব্যয় করেছে বলে স্টেটমেন্টে দেখিয়েছে এবং এই অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়ে সন্তোষজনক কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ইভ্যালির চলতি দায় ও লোকসান দুটিই ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। কোম্পানিটি চলতি দায় ও লোকসানের দুষ্ট চক্রে বাঁধা পড়েছে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ‘ক্রমাগতভাবে সৃষ্ট দায় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ব টিকে না থাকার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, কোম্পানিটি শুরু থেকেই লোকসান করে আসছে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লোকসানের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইভ্যালি আগের দায় পরিশোধ এবং লোকসান আড়াল করার জন্য বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফারের (যেমন-সাইক্লোন, আর্থকোয়েক ইত্যাদি নামে মূলত ব্যাপক হ্রাসকৃত মূল্যে বা লোকসানে পণ্য সরবরাহ) মাধ্যমে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে তাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে।

প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ ও দায়ের ব্যবধান অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। ক্রমাগত নতুন দায় সৃষ্টির (গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে দায় বৃদ্ধি) মাধ্যমে পুরাতন দায় পরিশোধের ব্যবস্থা করে যাচ্ছে। এজন্য নতুন গ্রাহক আকৃষ্ট করতে আরও বেশি হারে ডিসকাউন্ট বা অফার করে যাচ্ছে। এতে সম্পদ ও দায়ের ব্যবধান আরও বাড়ছে।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইভ্যালির মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৪ লাখ ৮৫ হাজার ২৩৪ জন। ক্রয়াদেশ বাতিল, ইভ্যালির দেওয়া ক্যাশব্যাক, বিক্রিত গিফটকার্ডের সমন্বয়ে এসব গ্রাহকদের ভার্চুয়াল আইডিতে (অ্যাকাউন্ট, হোল্ডিং, গিফটকার্ড, ক্যাশব্যাক) মোট ৭৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা মূল্যমানের ই-ভ্যালু সংরক্ষিত ছিল। অথচ ওই দিন (২৮ ফেব্রুয়ারি) ইভ্যালি.কম.বিডির ১০টি ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ২.০৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, লোকসানে পণ্য বিক্রি করার কারণে ইভ্যালি গ্রাহক থেকে অগ্রিম মূল্য নেওয়ার পরও মার্চেন্টদের কাছে তাদের বকেয়া অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। গ্রাহক ও মার্চেন্টের বকেয়া ক্রমাগত বাড়ার কারণে এক সময় বিপুল সংখ্যক গ্রাহক ও মার্চেন্টের পাওনা অর্থ না পাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে এবং এর ফলে সার্বিকভাবে দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দলের দেওয়া ইভ্যালির স্টেটমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল পজিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৪ মার্চ তারিখে ইভ্যালির মোট দায় (ইক্যুইটি বাদে) অপেক্ষা মোট সম্পদের ঘাটতি ৩১৫.৪৯ কোটি টাকা, চলতি দায় (ইক্যুইটি বাদে) অপেক্ষা চলতি সম্পদের ঘাটতি ৩৪২ কোটি টাকা। অর্থাৎ, ইভ্যালির মোট সম্পদ প্রতিষ্ঠানটির মোট দায়ের মাত্র ২২.৫২ শতাংশ এবং চলতি সম্পদের পরিমাণ চলতি দায়ের মাত্র ১৬.০১ শতাংশ। কোম্পানিটির ১ কোটি টাকার শেয়ার মূলধনের বিপরীতে ২৬.৫১ কোটি টাকার স্থায়ী সম্পদ রয়েছে, কিন্তু কোনো দীর্ঘমেয়াদি দায় নেই।

এ বিষয়ে জানতে ঢাকা পোস্টের পক্ষ থেকে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেলের সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়, লিখিতভাবে জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরও কোনো উত্তর দেননি তিনি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eCommerce

ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে যে সিদ্ধান্ত নিল সরকার

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
দেশে ক্রমবর্ধমান ই-কমার্স খাতে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা ও প্রতারণা ঠেকাতে একটি নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী সাংবাদিকদের বলেন, আজকের বৈঠকে কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। শের ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা আনতে একটি রেগুলেটরি কমিশন গঠন করা হবে।’ ‘ডিজিটাল প্রতারণা হলে যেন বিচার করা যায়, সেজন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে কিছু সংশোধন আনতে হবে। সেই ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি।’

তিনি বলেন, প্রতিটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন ছাড়া ই-কমার্স ব্যবসা করা যাবে না। গত বৃহস্পতিবার থেকেই এসব বিষয়ে কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।

সম্প্রতি ইভ্যালিসহ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লাখ লাখ গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। বাণিজ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ইভ্যালির সম্পদ খতিয়ে দেখে, গ্রাহক বা মার্চেন্টদের মধ্যে কীভাবে ফেরত দেয়া যায়, তা নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তারা পেমেন্ট ব্যাক করবে, তাদের তো সেই অ্যাবিলিটিটাই (সামর্থ্য) নাই এখন। হয় তারা (ইভ্যালি) টাকা সরিয়ে নিয়েছে, না হলে অপ্রয়োজনীয় খাতে খরচ করেছে। যেমন ইভ্যালি বিজ্ঞাপনের পেছনে ব্যাপক টাকা খরচ করেছে। সেই টাকা তো ফেরত পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তারা বিভিন্ন জায়গায় স্পন্সর করেছে। এই খেলা সেই খেলার পেছনে র‍্যানডম পয়সা খরচ করে তারা অপচয় করেছে। এখন তো কোন পার্টনারও তারা পাবে না ব্যবসা কন্টিনিউ করার জন্য।”

সেক্ষেত্রে সরকারের দায়বদ্ধতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলছেন, ”সরকার তো টাকা নেয়নি। সরকার তো সেই লাভের অংশ নেয়নি। তবে দায় এড়াতে চাচ্ছি না বলেই তো সভাগুলো আমরা করছি। দায় নিয়েই আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে কী করা যায়।”

তিনি জানান, ইভ্যালির সঙ্গেও সরকারের আলোচনা হবে। তাদের যদি কোন পরিকল্পনা থাকে যে, কীভাবে তারা গ্রাহক ও মার্চেন্টদের দেনা শোধ করবে, সেটা যুক্তিসঙ্গত হলে তাদের সেই সুযোগ দেয়া হতে পারে। তাদের সাথেও কথা বলা হবে যে, তাদের চিন্তা চেতনাটা কী? যদি পারে, তারা কীভাবে দেবে, তাদের দেওয়ার কোন সুযোগ আছে কিনা, যদি তারা পারে একটা প্ল্যান তারা বের করবে। তাদের (ইভ্যালি) সঙ্গে কথা বলব। তাদের কোথায় কী সম্পদ আছে, সরকার কী করতে পারে, সেটা দেখতে হবে আমাদের, সেই চেষ্টা আমরা করব। না হলে আইনি ব্যবস্থা তো আছেই।

তিনি পরামর্শ দিয়ে বলছেন, “পণ্য কেনার আগে গ্রাহকদের সতর্ক হওয়া দরকার। লোভজনক কোন অফার থাকলেই সেখানে যাওয়া ঠিক নয়।”

Continue Reading

eCommerce

ইভ্যালিসহ ১০ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের দায় নেবে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

Published

on

ইভ্যালিসহ দেশের ১০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আর দায়িত্ব নেবে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) সেলের মহাপরিচালক ও ডিজিটাল ই-কমার্স সেলের প্রধান হাফিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ইভ্যালির টাকা কোথায় গেছে, সেটা জানা যায়নি। দুর্নীতি দমন কমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বৈঠক শেষ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আজকের সভায় ইভ্যালিসহ বিভিন্ন ই-কমার্সের বিষয় আলোচনা হয়েছে। যেহেতু প্রতিষ্ঠানগুলো আইন অমান্য করেছে, সুতরাং মন্ত্রণালয় সরাসরি কোনো দায়িত্ব না নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রেফার করে দেওয়া তারা যাতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এটা হলো কমিটির সুপারিশ।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হবে বলেও জানান হাফিজুর রহমান।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মো. হাফিজুর রহমান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, আরজেএসসি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ই-ক্যাব প্রতিনিধিসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত ব্যবসাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম।

এর আগে রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) ইভ্যালিসহ ১০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে আলাদাভাবে নিরীক্ষা করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়ে নিরীক্ষা করার পরামর্শ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

অন্য ৯টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ধামাকা, ই-অরেঞ্জ, সিরাজগঞ্জ শপ, আলাদিনের প্রদীপ, কিউকুম, বুম বুম, আদিয়ান মার্ট, নিড ডটকম ডটবিডি ও আলেশা মার্ট।

গত ২৪ আগস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইভ্যালি ছাড়া অন্য ৯ প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক লেনদেন ও আর্থিক তথ্য জানতে চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি পাঠিয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এই চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিতে উল্লেখিত ৯টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সবশেষ আর্থিক অবস্থা, ক্রেতা ও মার্চেন্টদের কাছে মোট দায়ের পরিমাণ এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর চলতি ও স্থায়ী মূলধনের পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়।

এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান সোমবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক চিঠি দিয়ে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে। আর আমরা যে চিঠি দিয়েছিলাম, তার জবাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক দিক বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শন করছে বলে জানিয়েছে।’

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুন মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অন্য আরেকটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ইভ্যালির ওপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। ওই প্রতিবেদনে গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে ইভ্যালির দেনা ৪০৩ কোটি টাকা আর তাদের চলতি সম্পদের পরিমাণ ৬৫ কোটি টাকায় উঠে আসে।

এদিকে গত মাসে ই-অরেঞ্জের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে অগ্রিম টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ বা টাকা ফেরত না দেওয়ায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে মামলা হয়েছে। এ মামলার আসামিদের মধ্যে ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান এবং প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) আমানউল্লাহ চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়েছেন।

এছাড়া এ মামলার অন্য আসামি ই-অরেঞ্জের আরেক মালিক বীথি আকতার ওরফে নাজনীন নাহার ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। বীথি আক্তার বনানী থানার সাময়িক বরখাস্ত পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানার স্ত্রী ও সোনিয়া মেহজাবিন তার আপন বোন। ভিন্ন এক মামলায় শেখ সোহেল রানাও আসামি। তিনি কয়েকদিন আগে পালাতে গিয়ে ভারতে গ্রেপ্তার হন।

জানা গেছে, সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তিন দফায় সম্পত্তি, দায়, দেনা ইত্যাদির বিবরণ জমা দিয়েছে ইভ্যালি। এগুলোর সত্যতা যাচাই ও পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে একটি বৈঠক ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এদিকে, সাত কোটি টাকা পাওনার অংশ হিসেবে সম্প্রতি ইভ্যালিকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে পণ্য ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান পেপারফ্লাই। ইভ্যালির নানা পণ্য বিভিন্ন জায়গায় ডেলিভারি দিয়ে আসছিল পেপারফ্লাই। তবে গত সাত মাস ধরে তারা এর জন্য কোনো টাকা পাচ্ছিল না।

নোটিশে বলা হয়, পাওনা টাকা আদায় করার জন্য পেপারফ্লাই নানাভাবে চেষ্টা করলেও কোনো সাড়া দিচ্ছিল না ইভ্যালি। এ কারণেই পাওনা টাকা ফিরে পেতে তারা ইভ্যালিকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে।

Continue Reading

eCommerce

ই-অরেঞ্জের অফিস বন্ধ রাখার ঘোষণা

Published

on

ডেলিভারি কার্যক্রম পুনরায় শুরু না করা পর্যন্ত অফিস বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ অনলাইন শপ। ১২ আগস্ট সকালে প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে অফিস বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে, প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা হোম অফিসের মাধ্যমে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বলে জানানো হয়।

এছাড়া গতকাল রিসেলারদের তিনটি গ্রুপ প্রতিষ্ঠানটিতে ভাঙচুর এবং লুটপাটের চেষ্টা চালায় বলেও অভিযোগ করে প্রতিষ্ঠানটি। বুধবার (১১ আগস্ট) ই-অরেঞ্জের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৫০ জন গ্রাহক বিক্ষোভে অংশ নেন। পরবর্তীতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

সরকারি আদেশ অনুযায়ী লকডাউন শিথিল হওয়ায় ১১ আগস্ট থেকে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় খোলার অনুমতি থাকলেও গতকাল ই-অরেঞ্জের গুলশান কার্যালয়ের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

ই-অরেঞ্জের দাবি, তারা ১৬ আগস্ট ডেলিভারি তালিকা প্রকাশের লক্ষ্যে ১১ আগস্ট অফিসের কার্যক্রম শুরু করলেও কয়েকজন রিসেলার অফিসে এসে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি ও কর্মকর্তাদের রুমে বন্দী করে রাখাসহ গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করে।

বিক্ষুদ্ধ রিসেলাররা গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও হাতাহাতি করে বলে অভিযোগ ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষের। ফেসবুক পোস্টে তারা জানায়, “রিসেলারদের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও তারা অফিস ত্যাগ করেননি। পরে, গুলশান থানাপুলিশের উপস্থিতিতে রিসেলারগণ অফিস ত্যাগ করেন।”

তবে, অফিস বন্ধ থাকলেও ১৬ তারিখ ডেলিভারির তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ডেলিভারির তারিখও অপরিবর্তিত রাখা হবে।

Continue Reading

Trending