Gaming

যে পাঁচ কারণে পাবজি বন্ধ ঘোষণা

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশসহ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, চীন, ইরান, জর্ডান ও আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ পাবজি। আর এ সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। বিশেষ করে পাবজি কেন বন্ধ করা উচিত লিখে সার্চ করলেই বেরিয়ে আসবে উত্তরগুলো।

মারাত্মক সহিংস:
বয়স্ক গেমাররা হয়তো ভাববেন, এ তো স্রেফ গেম মাত্র, এটাকে এত সিরিয়াসলি দেখার কী আছে? কিন্তু
পাবজির কারণে ইতোমধ্যেই উপমহাদেশে ঘটে গেছে অনাকাক্সিক্ষত একগাদা সহিংস ঘটনা। গেমটার ধরনই যে এমন। দেখা মাত্রই মেরে ফেলতে হবে প্রতিপক্ষকে। আর এ ধরনের গেম তো শিশুর মনকে প্রতিহিংসাপরায়ণ করে তুলবেই। বিশেষ করে যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নয়, বরং সরাসরি জ¦লজ্যান্ত ব্যক্তির বিপরীতেই খেলা হচ্ছে গেমটি।

অসামাজিক আচরণ:
সারাক্ষণ ফোনের দুনিয়ায় থাকলে সামাজিক সম্পর্কের চর্চায় অনভিজ্ঞ ও অজ্ঞতা নিয়েই বড় হবে শিশুরা। যার প্রভাব পড়বে ভবিষ্যতের চাকরি, ব্যবসা কিংবা যোগাযোগের নানা ক্ষেত্রে। পাবজি-ফ্রি ফায়ারে আসক্তদের অনেককেই আগোরাফোবিয়ায় (জনসম্মুখে থাকার ভীতি) আক্রান্ত হতে দেখা গেছে।

শরীরের ক্ষতি:
যারা পাবজি-ফ্রি ফায়ার খেলে অভ্যস্ত, তারা দিনে অন্তত ৫টি ম্যাচ খেলেই থাকেন। এতে কমপক্ষে নষ্ট হতে পারে ৩-৪ ঘণ্টা। আবার রাতে শোয়ার আগে বন্ধুদের সঙ্গে মিলে ‘এক ম্যাচ’ খেলতে গিয়েও ঘুমের বারোটা বাজছে অনেকের। গেমের পুরোটা সময় টেনশনে থাকতে হয় বলে স্বপ্নেও হানা দেয় পাবজি-ফ্রি ফায়ারের শত্রুপক্ষ। এতে ‘কোয়ালিটি স্লিপ’টাও হয় না। এ ছাড়া টানা অনেকক্ষণ মোবাইলের পর্দায় ঘাড় বাঁকা করে তাকানো ও বসে থাকাটাও কম ক্ষতি করছে না স্বাস্থ্যের।

মনের ক্ষতি:
অনেক গবেষণাতেই দেখা গেছে এ ধরনের শুটিং গেমে আসক্তরা দ্রুত কোনও কিছু নিয়ে টেনশনে পড়ে যায়। আবার কারণে-অকারণে ভয়-ভীতিতেও আক্রান্ত হয় অনেকে।

কাজের ক্ষতি:
আসক্তি তৈরির তালিকায় পাবজি-ফ্রি ফায়ার আছে এক নম্বরে। এতে শিশু-কিশোররা অজান্তেই কম উৎপাদনশীল হচ্ছে। যা তাদের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি। আবার আমাদের অবচেতন মন সারাক্ষণই কোনও না কোনও উৎস থেকে আনন্দ খুঁজে পেতে চায়। এজন্য মস্তিষ্ক সবসময়ই শর্টকাট খোঁজে। যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ ফেলেও অনেকের মন বলে, ‘যাই এক ম্যাচ পাবজি খেলে আসি।’

এতে দিনে যে সময়টা নষ্ট হয়, তাতে চাইলে নতুন কিছু শিখে ফেলা যায়। আর যারা আসক্ত, তারা সময় নষ্টের বিষয়টা হিসাবেই আনতে চায় না। কিন্তু দিনে ৩ ঘণ্টা করে হিসাব করলেও বছরে নষ্ট হবে প্রায় এক হাজার কর্মঘণ্টা। যা কিনা একজন চাকরিজীবীর ১৩০ দিন কাজ করার সমান! সূত্র: স্কুপ হুপ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version