Connect with us

Tech News

যেভাবে বিপদ মোকাবিলা করছেন জাকারবার্গ

Published

on

যেভাবে বিপদ মোকাবিলা করছেন জাকারবার্গ

যেভাবে বিপদ মোকাবিলা করছেন জাকারবার্গ

বেশ বিপদে আছেন মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুক থেকে তথ্য বেহাত হওয়ার কেলেঙ্কারিতে। সাহস নিয়ে ঠান্ডা মাথায় এ বিপদ মোকাবিলা করছেন তিনি। জাকারবার্গ সাহস করে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরদের সামনে নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন। নিজের দোষ স্বীকার করে মাফ চাইলেন, সবকিছু ঠিকঠাক করতে সময় চাইলেন।

কিন্তু যাঁদের তথ্য বেহাত হয়েছে, তাঁরা কি বিষয়টিকে সহজভাবে মেনে নিচ্ছেন? তাঁদের মধ্যে কি আস্থার সংকট তৈরি হচ্ছে না? ফেসবুকে বিতর্কিত বিষয়গুলো ঠেকাতে কী করছেন জাকারবার্গ?

এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসবুকে কোনো বিতর্কিত কনটেন্টের বিষয়গুলো দেখতে ২০০ জনের নির্দিষ্ট একটি কর্মিবাহিনী রয়েছে। দলটি কাউন্টার টেররিজম দল হিসেবে কাজ করে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরদের সামনে শুনানিতে হাজির হয়ে এ তথ্য দেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী।

ফেসবুক থেকে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা তথ্য হাতানোর কেলেঙ্কারির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরদের সামনে নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় জাকারবার্গকে।

৪৪ জন সিনেটরের সমন্বয়ে গঠিত মার্কিন কংগ্রেসে আইনপ্রণেতাদের বাণিজ্যবিষয়ক ও বিচারক কমিটির যৌথ শুনানিতে হাজির হতে হয় জাকারবার্গকে। সেখানে তথ্য সুরক্ষা, বিজ্ঞাপন, সন্ত্রাস নির্মূল ও নানা ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড ঠেকাতে ফেসবুকের পরিকল্পনা বিষয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় জাকারবার্গকে।

জাকারবার্গ বলেন, ‘২০০ জনের একটি দল কাউন্টার টেররিজম বিষয়টি দেখে। যেসব কনটেন্টকে ব্যবহারকারীরা ফ্ল্যাগ দেখান, সেগুলো বিবেচনা করেন দলের সদস্যরা। ৩০টি ভাষায় কাজ করে ওই টিম। এ ছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর টুল আছে, যা বিতর্কিত কনটেন্ট শনাক্ত করতে পারে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাকাউন্ট মুছে দিতে পারে।’

গত বছর ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ওই দলটিতে কাউন্টার টেররিজম বিশেষজ্ঞ, সাবেক আইনি কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশ্লেষক ও প্রকৌশলীরা রয়েছেন।
শুনানিতে কংগ্রেসে কমিটি ফেসবুকের কাউকে লক্ষ্য করে দেখানো বিজ্ঞাপনপদ্ধতি ও ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য থেকে লাভ করার বিষয়ে উদ্বেগ জানান। জাকারবার্গ বলেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ব্যবহারকারীর ব্রাউজিং কার্যক্রম অনুসারে বিজ্ঞাপন দেখায়। তারা ব্যবহারকারীর তথ্য অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দেখায় না।

জাকারবার্গ বলেন, ব্যবহারকারীর তথ্য সাময়িকভাবে ওয়েবলগে রূপান্তর করা হয়। এগুলো থেকে ব্যবহারকারী কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখতে পছন্দ করতে পারেন, তা ধারণা করা হয়। ওই তথ্য পরে ডাউনলোড ইয়োর ইনফরমেশন ফিচারে রাখা হয়। এ তথ্যের ওপর ব্যবহারকারীর পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকে।

ভুক্তভোগী জাকারবার্গ
নিউইয়র্ক পোস্ট-এর এক খবরে জানানো হয়, শুনানিতে জাকারবার্গ বলেছেন, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সাম্প্রতিক তথ্য কেলেঙ্কারির ঘটনায় তাঁর নিজের তথ্যও বেহাত হয়েছে। তিনি নিজেও ভুক্তভোগী। ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা ও তা পরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করায় যুক্তরাজ্যের নির্বাচনী পরামর্শক ওই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা ৮ কোটি ৭০ লাখ তথ্য ফেসবুক থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগিতার জন্য বেশি পরিচিত। ট্রাম্পের বিজয়ে এর ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হয়। তবে ওই প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, ফেসবুক থেকে সংগৃহীত কোনো তথ্য ট্রাম্পের প্রচারণায় তারা ব্যবহার করেনি। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য বেহাত হওয়ার ঘটনাটি সামনে নিয়ে এসেছেন যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সাবেক কর্মী ক্রিস্টোফার উইলি। তিনিই প্রথম জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবং যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছেদ) প্রশ্নে গণভোটে ভূমিকা ছিল তাঁর সাবেক কর্মস্থলের। এ ব্যাপারে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকাকে সহযোগিতা করেছিলেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক আলেকসান্দ্র কোগান। তিনি বিশেষ অ্যাপ তৈরি করে ফেসবুকের প্ল্যাটফর্মে ছেড়েছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি কোটি কোটি ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে দিয়েছিলেন কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার কাছে।

ক্রিস্টোফার উইলির ভাষ্যমতে, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা ওই তথ্যগুলো প্রক্রিয়াজাত করে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার শিবিরকে সরবরাহ করেছিল। শুধু তা-ই নয়, ওই তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য রিপাবলিকান ভোটারও চিহ্নিত করা হয়।

প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, সম্ভবত ৫ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা। তবে চলতি সপ্তাহে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে, ৮ কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য বেহাত হয়েছে।

ফেসবুকের উদ্যোগ
জাকারবার্গ বলেছেন, অনৈতিকভাবে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা এখান থেকে তথ্য নিয়েছে এবং লাখো সদস্যদের তথ্য হাতিয়েছে। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কতটুকু কী করেছে, তা পুরোপুরি খতিয়ে দেখবেন এবং যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত তাঁদের এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর কথা বলেছেন তিনি। ফেসবুকে টুল আনার কথাও বলেছেন। জাকারবার্গ জানান, যাঁদের তথ্য ফাঁস হয়েছে, গত সোমবার থেকে তাঁদের জানাতে শুরু করেছে ফেসবুক। এ ছাড়া ফেসবুকের কিছু পরিবর্তন আনতে আরও সময় প্রয়োজন বলে জানান জাকারবার্গ। ফেসবুককে ঠিকঠাকমতো চালানোর প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। মানুষের ব৵ক্তিগত তথ্য সুরক্ষার দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেন।

ফেসবুক মিডিয়া নয়
জাকারবার্গ বলেন, ‘ফেসবুক নিজে কোনো তথ্য তথ্য বিক্রি করে না। বিজ্ঞাপন দেখাতে তথ্য বিক্রি করার প্রয়োজন নেই। ফেসবুকের বিজ্ঞাপন মডেল পরিষ্কার সবার কাছে। ফেসবুক কোনো মিডিয়া বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়। এটি একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। আমরা প্রথম যেটা করি তা হচ্ছে কারিগির কাজ। এখানে প্রকৌশলীরা কোড লিখে পণ্য তৈরি করেন এবং মানুষকে সেবা দেন। এর সঙ্গে আমাদের আরও কিছু করতে হয়। কনটেন্ট তৈরির জন্য মানুষকে অর্থ দেওয়া হয়। আমরা এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার তৈরি করি। তারপরও আমরা নিজেদের এন্টারপ্রাইজ বা ব্যবসায়িক সফটওয়্যার কোম্পানি বলব না। মানুষকে ইন্টারনেট সংযোগ দিতে আমরা ড্রোন তৈরি করি। তাই বলে আমরা নিজেদের বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বলব না। তবে ভুয়া খবর ছড়ানো, নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ বন্ধ ঠেকাতে ফেসবুক খুব বেশি কিছু করেনি, এটা পরিষ্কার। এটা ভুল ছিল। এর জন্য দুঃখিত।’

সব দায়িত্ব জাকারবার্গের
৪৪ জন সিনেটরের সমন্বয়ে গঠিত মার্কিন কংগ্রেসে আইনপ্রণেতাদের বাণিজ্যবিষয়ক এবং বাণিজ্য ও বিচারক কমিটির যৌথ শুনানিতে তাঁকে ট্রেডমার্ক পোশাক টি-শার্ট, জিনস ছেড়ে কোট পরে হাজির হতে দেখা যায়। মঙ্গলবার কয়েক ঘণ্টাব্যাপী ওই শুনানিতে কয়েকবার মাফ চাওয়ার পাশাপাশি প্রাইভেসি পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। ওই শুনানিতে জাকারবার্গের ব্যাখ্যাকে চ্যালেঞ্জ করেন সিনেটররা। নিজের ঘাড়ে দায়িত্ব নিয়ে জাকারবার্গ বলেন, ‘আমি এটা তৈরি করেছিলাম, এটার পরিচালনার দায়িত্বে আছি। এখানে যা কিছু ঘটে তার সব দায়িত্ব আমারই।’

ফল হাতেনাতে
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কংগ্রেসের শুনানিতে হাজির হওয়াতে কপাল খুলেছে জাকারবার্গের। বেড়ে গেছে শেয়ারের দাম। শুনানিতে তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স শেয়ারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। মঙ্গল ও বুধবার ফেসবুকের শেয়ারের দাম বাড়ায় ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার বেড়েছে জাকারবার্গের সম্পদ।

তথ্য: এএফপি ও রয়টার্স

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক মিলবে টেলিটক সিমে

Published

on

কোথাও টেলিটকের নেটওয়ার্ক নেই কিংবা তা দূর্বল তখন ওই এলাকায় বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কথা বলাসহ সব ধরনের মোবাইল সেবা পাবেন টেলিটক গ্রাহকরা।

আবার এই একই সুবিধা মিলবে বাংলালিংকের গ্রাহকের ক্ষেত্রেও। তারা ব্যবহার করতে পারবেন টেলিটকের নেটওয়ার্ক।‘ন্যাশনাল রোমিং’ নামে এই সেবা দেশে চালু করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এই সেবা চালুতে সম্মতি দিয়েছেন।ইতোমধ্যে বিটিআরসি এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালুর অনুমতি দিয়েছে।এরআগে ন্যাশনাল রোমিংয়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও অবকাঠামো শেয়ারিংয়ে দুই অপারেটর নিজেদের মধ্যে চুক্তিও সেরেছে। তারা পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা চালু করে কারিগরিসহ বিভিন্ন বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছে।

বিটিআরসি বলছে, ন্যাশনাল রোমিং আন্তর্জাতিক রোমিং সেবার মতোই একটি বিষয়। এতে একটি মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকরা দেশের কোনো এলাকায় তাদের নেটওয়ার্ক না পেলে কিংবা নেটওয়ার্ক দূর্বল হলে আরেকটি মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সব রকম মোবাইল যোগাযোগ সেবা নেবেন।

বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বলছেন, ‘বাংলালিংক-টেলিটক এখনও এই সেবার টেস্ট অ্যান্ড ট্রায়াল করছে। গ্রাহকের জন্য যেটা ভালো, এরকম কিছু আমরা সবসময়ই করি। এটাই আমাদের কাজ।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘অনুমতি বা লিগ্যাল দিক যেটুকু আছে, সেটুকু আমরা ওকে করে দিয়েছি। এমন বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের মতামত নেই, তিনি আমাদের সম্মতি দিয়েছেন এটি চালু করার জন্য।’‘টেলিটকের কারিগরি কিছু সমস্যা আছে, সেগুলো সমাধান করে তারা অপারেশনে যাবে।’ বলছিলেন মন্ত্রী।

মোস্তাফা জব্বার জানান, ‘এই ডমিস্টিক রোমিংয়ে দুই অপারেটরের উইন-উইন সিচুয়েশন হবে। যার যতটুকু নেটওয়ার্ক আছে সেই বিনিফিট তো পাবেই, যেখানে নেটওয়ার্ক নাই সেখানেই বেনিফিট পাবে। সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে দুই অপারেটরের গ্রাহকরা।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এটা টেলিটকের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটা দূর্বল নেটওয়ার্কের অপারেটরকে সবল নেটওয়ার্কে পরিণত করার সুযোগ এসেছে।’বর্তমানে সাড়ে চৌদ্দ হাজারের মতো টাওয়ার আছে বাংলালিংকের। টেলিটকের আছে ৬ হাজারের মতো। এই উদ্যোগের ফলে টেলিটক বাংলালিংকের টাওয়ারগুলোর নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়ে সারাদেশে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক নিয়ে হাজির হতে পারবে। একইভাবে বাংলালিংকও টেলিটকের টাওয়ারে। বিশেষ করে যেখানে যেখানে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক নেই বা দূর্বল, যেমন-সুন্দরবন, পার্বত্য চট্টগ্রাম, হাওর এলাকাগুলোতে।

যেভাবে এই নেটওয়ার্ক শেয়ারিং :হোম নেটওয়ার্ক (গ্রাহকের সিম যে অপারেটরের) না থাকলে ডমিস্টিক বা ন্যাশনাল রোমিংয়ের মাধ্যমে ওই নেটওয়ার্কের বাইরে ভিজিটিং নেটওয়ার্ক (গ্রাহক বিকল্প হিসেবে যে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হবে) ব্যবহার করে সংযুক্ত থাকবে গ্রাহক। এজন্য ভিজিটিং নেটওয়ার্কের ফ্রিকোয়েন্সি, এন্টেনা, র‌্যান, কোর সুইচিং নোডসসহ নেটওয়ার্কের মূল অবকাঠামো ব্যবহার করতে হবে । এর মধ্য দিয়ে গ্রাহক নিজের সিমে নেটওয়ার্ক না থাকার পর আরেকটি অপারেটরের নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হয়ে কথা বা মোবাইল সেবা নিতে পারবেন।বাংলালিংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এরজন্য তাদের প্রযুক্তিগত কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। তারা সফলতার সঙ্গেই পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা চালু করতে পারছেন।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেলিটকের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলছেন, তারা পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা যাচাই-বাছাই করছেন। তবে প্রযুক্তিগত কিছু চ্যালেঞ্জ তাদের রয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ টেকনোলজি অফিসার সুমন আহমেদ সাবির জানান, এখানে প্রযুক্তিগত তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। বাড়তি হিসেবে রোমিংয়ের কিছু সফটওয়্যার প্রয়োজন হবে, যার জন্য বড় বিনিয়োগ লাগবে না।পরীক্ষামূলকে কী ঘটেছে ?দুই অপাারেটর নিজেদের মধ্যে ভয়েস কল, এসএমএস, ইউএসএসডি সেবার ইনকামিং-আউটগোয়িং পরীক্ষা করেছে। যেখানে টেলিটক নাম্বার হতে বাংলালিংক নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হওয়ার সফলতার হার তুলনামূলক বেশি। যেমন একটি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় ;টেলিটকের নাম্বার হতে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক দিয়ে আউটগোয়িং ভয়েস কলে বাংলালিংক, রবি, জিপি, পিএসটিএন (বিটিসিএল), আইপিটিএসপি, এমএনপি, শর্টকোড (৯৯৯, ৩৩৩, ১০৬০৬) এবং আন্তর্জাতিক নাম্বারে সফলভাবে কল করা গেছে। সেখানে শুধু বাংলালিংক রোমিং নাম্বারে একটি কল সফল হয়নি।একইভাবে আউটগোয়িং এসএমএস, ইউএসএসডির ক্ষেত্রে সব ধরণের নাম্বারেই সফল ফলাফল এসেছে।ইনকামিং ভয়েস কলে বাংলালিংক, রবি, জিপি, পিএসটিএন (বিটিসিএল), এমএনপি এবং আন্তর্জাতিক নাম্বার হতে টেলিটক নাম্বারে আসার ক্ষেত্রে সফলতার হার কম দেখা গেছে। এতে টেলিটক, বাংলালিংক, পিএসটিএন (বিটিসিএল), এমএনপি এবং আন্তর্জাতিক নাম্বার হতে কল সফল হয়নি। এখানে এসএমএসের ক্ষেত্রে শুধু বাংলালিংকের রোমিং নাম্বারে যায়নি।বাংলালিংকের নাম্বার হতে টেলিটকের নেটওয়ার্ক দিয়ে আউটগোয়িং ভয়েস কলে বাংলালিংক, রবি, জিপি, পিএসটিএন (বিটিসিএল), আইপিটিএসপি, এমএনপি এবং শর্টকোড (৯৯৯, ৩৩৩, ১০৬০৬) নাম্বারে সফলভাবে কল করা গেছে। সেখানে শুধু টেলিটক রোমিং নাম্বারে একটি কল সফল হয়নি।

একইভাবে আউটগোয়িং এসএমএস, ইউএসএসডির ক্ষেত্রে একটি ছাড়া সব ধরণের নাম্বারেই অসফল ফলাফল এসেছে। সফল হওয়া একটি ইউএসএসডি নাম্বার হলো *১২১* ।ইনকামিং ভয়েস কলে বাংলালিংক, টেলিটক, টেলিটক রোমিং, রবি ও জিপি নাম্বার হতে বাংলালিংক নাম্বারে আসার ক্ষেত্রে সবগুলো চেষ্টাই অসফল হয়েছে। এখানে এসএমএসের ক্ষেত্রে বাংলালিংক, টেলিটক, টেলিটক রোমিং এবং জিপি নাম্বার হতে চেষ্টা করা হলে টেলিটক রোমিংয়ে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে ।

নীতিগত যা কিছু :ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ারিং গাইড লাইন-২০১১ এর ২.১ অনুযায়ী র‌্যান এবং কোর সুইচ শেয়ার অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ার। ন্যাশনাল রোমিংয়ে দেখা যাচ্ছে অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ার হচ্ছে। গাইডলাইনের ৩.১ অনুযায়ী অপারেটরগুলো শুধু প্যাসিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ার করতে পারবে।বিটিআরসি বলছে, অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ারিংয়ের গাইডলাইনের খসড়া সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। সেখানে এই অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ারের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।গ্রাহক পর্যায়ে কলরেট বা অন্য সেবার খরচ বাড়বে কিনা এমন জিজ্ঞাসায় বাংলালিংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, গ্রাহকের খরচ বাড়ুক এটা তারা চান না। দুই অপারেটর নিজেদের মধ্যে এই নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ের বাণিজ্যিক চুক্তি করবে, সেখানে কে কাকে কোথায় কত চার্জ সেটা আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক হতে পারে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বলছেন, ‘অপারেটর দুটি তাদের পরীক্ষামূলক সেবা চালুর প্রতিবেদন জমা দেয়নি। পরীক্ষার রিপোর্ট আমাদের দিক। এরপর আরও ওয়ার্কআউট করার রয়েছে, ট্যারিফের মতো বিষয় এখানে আছে।’

Continue Reading

Highlights

বাংলাদেশসহ ৪ দেশে অ্যান্ড্রয়েডে চ্যাটজিপিটি

Published

on

শুধু বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে চালু হয়েছে চ্যাটজিপিটির অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন। এ চারটি দেশে বসবাস করা যে কেউ এখন থেকে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করে ওপেনএআই-এর আলোচিত এ সেবাটি গ্রহণ করতে পারবেন। এর ফলে যেসব ব্যবহারকারীদের এতদিন কম্পিউটার কিংবা ওয়েবে যারা এ সেবাটি ব্যবহার করেছেন, একই অ্যাকাউন্ট মোবাইলেও চালু করতে পারবে। ফলে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে অতীতের সব কথোপকথনও অ্যাপের মধ্যে পাওয়া যাবে।

খবরে বলা হয়েছে, এ চারটি দেশের বাইরে অন্য কোনো দেশের মানুষ গুগল প্লে-তে গিয়ে অ্যাপটির জন্য প্রি-অর্ডার করতে পারবেন। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই খুব শিগ্গির আরও কয়েকটি দেশে এই সেবাটি চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই একযোগে নতুন কয়েকটি দেশে চ্যাটজিপিটির অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে কাজ করবে।

এ ছাড়া যারা আইফোন ব্যবহার করেন তাদের মোবাইলের আইওএস-এ অফিশিয়াল চ্যাটজিপিটি অ্যাপটি পাওয়া যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম্পিউটার বা ওয়েবে চ্যাটজিপিটি যেভাবে সব প্রশ্নের জবাব দেয় মোবাইলের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না। তবে মোবাইলের জন্য এর আলাদা ইন্টারফেস ডিজাইন করা হয়েছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের যে কোনো প্রশ্নের তাৎক্ষণিক উত্তর দিতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, যে কোনো বিষয়ে পরামর্শসহ এটি নানা ধরনের টিপসও দিয়ে থাকে এই সেবাটি। ২০২২ সালের নভেম্বরে এ সেবাটি চালু করা হয়।

Source : বাংলাদেশসহ ৪ দেশে অ্যান্ড্রয়েডে চ্যাটজিপিটি

 

Continue Reading

Highlights

কোন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে?

Published

on

বাংলাদেশের একটি সরকারি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের গোপন ও ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা বিটক্রেক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস এমন দাবি করেছেন। তবে কোন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে? তা প্রকাশ করেন নি তিনি।

তার ভাষ্য, ফাঁসকৃত তথ্যের মধ্যে নাগরিকদের পূর্ণ নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর রয়েছে। গত ২৭ জুন হঠাৎ করে বাংলাদেশিদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের বিষয়টি খুঁজে পান ভিক্টর। এরপরই তিনি বাংলাদেশ ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমকে (সিইআরটি) বিষয়টি অবহিত করেন।

রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় (জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন) এর ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার। এ ২৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকেই নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হয়েছে। এ ২৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭ নম্বর প্রতিষ্ঠানটি থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে। সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২৭ নম্বর প্রতিষ্ঠান হচ্ছে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় (জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন)।রোববার (৯ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। হ্যাক নয়, বরং সিস্টেমের দুর্বলতার কারণে তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে দাবি করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, বাংলাদেশিদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের বিষয়টি সত্যি। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে ওই ওয়েবসাইটের ‘পাবলিক সার্চ টুলে’ ফাঁস হওয়া তথ্য খুঁজে দেখা হয়।

তথ্য খোঁজার পর- ওয়েবসাইট থেকে ফাঁসকৃত তথ্যসহ অন্যান্য তথ্য দেওয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে— যিনি রেজিস্ট্রেশন করার আবেদন করেছেন তার নাম- কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বাবা-মায়ের নামও পাওয়া গেছে।

টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, তারা ওই ওয়েবসাইটটির নাম প্রকাশ করবে না কারণ, সেটিতে এখনো ফাঁসকৃত তথ্যগুলো রয়েছে।

গুরুতর এমন দাবি জানানো ভিক্টর মার্কোপোলোস জানিয়েছেন, তথ্য ফাঁস হওয়ার বিষয়ে তিনি বাংলাদেশের সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানকে ইমেইল বা অন্যান্য মাধ্যমে অবহিত করেছেন, সেগুলোর কোনোটিই তাকে কোনো জবাব দেয়নি।

বাংলাদেশে ১৮ বছর বয়সী প্রত্যেককে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। যেটির প্রত্যেকটির আলাদা নম্বর থাকে। জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক। এই পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, জমি বেচা-কেনা ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলাসহ সব কাজ করা হয়।

সিইআরটি, বাংলাদেশ সরকারের প্রেস অফিস, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং নিউইয়র্কের বাংলাদেশের কনস্যুলেটের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ভিক্টর মার্কোপোলোস।

এ প্রযুক্তি গবেষক টেকক্রাঞ্চকে বলেছেন, ‘ফাঁসকৃত তথ্যগুলো পাওয়া খুবই সহজ। গুগলের ফলাফল হিসেবে এগুলো সামনে আসে। আমি এটি খুঁজতেও যাইনি। আমি এসকিউএল ইরর নিয়ে গুগলিং করছিলাম, আর এটি দ্বিতীয় ফলাফলে চলে আসে।’

যেসব তথ্য ফাঁস হয়েছে সেগুলোই বেশ ঝুঁকির। কিন্তু এসব তথ্য ব্যবহার করে পরবর্তীতে বিভিন্ন অনলাইনের আবেদনে ঢোকা, পরিমার্জন বা আবেদন মুছে ফেলা এমনকি জন্মনিবন্ধনের তথ্যের ভ্যারিফিকেশনও দেখা যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

Continue Reading

Trending