Connect with us

Highlights

যেভাবে ফেসবুক থেকে আয় করবেন

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
ঘরে বসে ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়? এমন প্রশ্ন হরহামেশাই শোনা যায়। এমনকি আমাদের নিজেদের মনেও উঁকি দেয় এরকম হাজারো প্রশ্ন। কিন্তু এতসব প্রশ্নের কিন্তু খুব সহজ একটা উত্তর রয়েছে। উত্তরটা হলো ফেসবুক! চলমান করোনা মহামারি ও লকডাউনের কারণে গৃহবন্দী সময়কে কাজে লাগিয়ে সহজেই ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। কীভাবে? সে বিষয়ে আপনাকে জানাবো-

ফেসবুক পেজ :

ফেসবুক খুললেই আমাদের চোখে পড়ে হরেক রকমের পেজ। কনটেন্টের মান ভালো হলে ফেসবুক নিউজফিডে সহজেই প্রাধান্য পায়। ফেসবুক পেজ থেকে আয় করতে হলে প্রথমেই একটি পেজ খুলে নিতে হবে। ফুড রিভিউ, ট্র্যাভেল পেজ, নিউজ পোর্টাল কিংবা ট্রেন্ডি কোনো ট্রল পেজসহ বিভিন্ন ধরনের ফেসবুক পেজ খুলতে হবে।

ফেসবুক পেজ খোলার পর সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিতে হবে কনটেন্ট বা বিষয়বস্তুর ওপর। কারণ আপনার কনটেন্টের ওপর পেজটিতে ফ্যানবেস নির্ভর করবে। আকর্ষণীয় শিরোনাম এবং ছবি বা ফুটেজ থাকলে সহজেই ব্যবহারকারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হবে। ফেসবুক পেজে নিজের ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করার মাধ্যমে ভিজিটর বাড়ানোর যায়। ব্লগস্পট, ওয়ার্ডপ্রেস, টাম্বলারের লিংক পেজে পোস্ট করে আয় করা যায়।

এ ছাড়া অ্যাডসেন্স নামে গুগলের একটি প্রোগ্রাম রয়েছে। যেটি ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আয় করা যায়। অ্যাডসেন্সের কাজ ওয়েবসাইটে বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন সরবরাহ করা। এর বিনিময়ে ওয়েবসাইট পরিচালনাকারীদের নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে থাকে তারা।

ফেসবুক পেজে কনটেন্ট তৈরির কাজ শেষ করার পর সেগুলো বিক্রি করতে হবে। শপসামথিং ডট কম নামে অনলাইনে একটি ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ফেসবুক পেজের বিভিন্ন পোস্ট বিক্রি করা যায়।

ফ্রিল্যান্সিং :

বাংলাদেশের নেটিজেনদের কাছে ফ্রিল্যান্সিং একটি পরিচিত নাম। ফেসবুকের মাধ্যমে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করেন। তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো সবসময় হাতের কাছে কাজ থাকে না। ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রায় দেখা যায়, নিজের পছন্দ এবং যোগ্যতা অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সাররা কাজ পাচ্ছেন না। কনটেন্ট তৈরি, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, অনলাইন মার্কেটিংয়ের মতো ফ্রিল্যান্সিংয়ের আরো অনেক শাখা-প্রশাখা রয়েছে। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ বা পেজের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ পাওয়া যায়।

অ্যাডভার্টাইজিং :

অনেকেই শুনেছেন অ্যাফিলিয়েট অ্যাডভার্টাইজিংয়ের কথা। ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে করতে নিউজফিডে প্রায়ই বিভিন্ন অ্যাড চোখে পড়ে। যেগুলোর নিচে ‘স্পন্সরড’ লেখা থাকে। একেই অ্যাফিলিয়েট অ্যাডভার্টাইজিং বলা হয়। অ্যাফেলিয়েট অ্যাডভার্টাইজিং প্রোগ্রামের জন্য আলাদা একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। মনে রাখতে হবে, প্রত্যেক বিজ্ঞাপনের জন্য আলাদা আলাদা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।

এতে ব্যবহারকারীরা নিজেদের পছন্দ মতো বিজ্ঞাপন খুঁজে নিতে পারবেন এবং অল্প সময়ে বেশি আয় করা সম্ভব হয়। এখানে ব্যবহারকারীরা যতবার বিজ্ঞাপনটি দেখবে ততবার আয় বাড়তে থাকে। তাই বিজ্ঞাপনের প্রোমোশনের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া উচিত।

অনলাইন কনটেস্ট :

অনলাইন কনটেস্ট বা প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য কোম্পানির প্রোমোট করা। প্রায় সময়েই ফেসবুকে বিভিন্ন কনটেস্ট দেখা যায়। নতুন কোনো ক্যাম্পেইন, পণ্য, মার্কেট প্ল্যানিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফেসবুককেই বেছে নেয় এসব কোম্পানি। অনলাইন কনটেস্টে পুরস্কার হিসেবে কখনো মোটা অঙ্কের অর্থ, কখনো প্রাইজবন্ড, কখনো ইন্টার্নশিপ বা চাকরির সুযোগ।

এতে অংশ নিলে আপনার কাজ হবে বেশি বেশি লাইক, শেয়ার এবং বন্ধুদের ট্যাগ করা।

অনলাইন মার্কেটিং :

অর্থ উপার্জনের জনপ্রিয় একটি উপায় হলো অনলাইন মার্কেটিং। ফেসবুককে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস রয়েছে। ইদানিং ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন শপ গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন গ্রুপ বা পেজে পণ্যের ছবি, বিবরণ, সাইজ এবং মূল্য লেখা থাকে। ইনবক্সে অথবা কমেন্টে গ্রাহকরা তাদের পছন্দমতো পণ্য অর্ডার করে। কোনো কোনো কোম্পানিতে অর্ডার করার সময়েই ক্রেডিট কার্ড বা বিকাশের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করতে হয়।

ইনফ্লুয়েন্সার :

এটি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের মতো। ফেসবুকে ইনফ্লুয়েন্সার হতে হলে আপনার প্রোফাইলে মানসম্মত কিছু কনটেন্ট এবং অনেক বেশি ফ্যান-ফলোয়ার থাকতে হবে। এর পাশাপাশি ফেসবুক অ্যাক্টিভিটিতে সার্বিকভাবে ফলোয়ারদের সন্তোষজনক প্রতিক্রিয়া থাকতে হবে। এরপর হায়ারইনফ্লুয়েন্স, ব্লগমিন্ট, ফ্রোমোটের মতো ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেট এজেন্সির ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।

অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে গেলে কোনো এক ব্র্যান্ডের প্রতিটি পোস্টের জন্য নির্দিষ্ট মূল নির্ধারণ করতে হবে এবং পরে এসব ব্র্যান্ডের পোস্ট প্রচার করার মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন।

 

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

‘মোবাইল ইন্টারনেটও হবে এক দেশ এক রেট’

Published

on

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল সংযুক্তি এবং শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য অপরিহার্য। দেশের মানুষকে ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়কে নিয়ে আসার জন্য দায়িত্ব নিয়ে আমরা কাজ করছি। তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এক দেশ এক রেটের আওতায় এনেছি। মোবাইল ইন্টারনেটের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতি এক দেশ এক রেট হবে বাস্তবায়ন করা হবে।’

‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস-২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে বুধবার (১৭ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

বাংলাদেশ স‌্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম‌্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব-উল-আলম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

মোস্তাফা জব্বার বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবেসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ‘১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন ও ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণ, ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, টিঅ্যান্ডটি বোর্ড গঠন ও কারিগরি শিক্ষা প্রসারে গৃহীত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন।’

১৭ মে বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের এক অনন্য দিন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি জাতির জন্য এই দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা পঁচাত্তর পরবর্তী ছয় বছরের লড়াই, দুঃখ-কষ্ট, নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বাংলাদেশে পদার্পণ করেছিলেন। তিনি ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির মতো দুঃসাহসিক ও দূরদৃষ্টি-সম্পন্ন কর্মসূচি না নিলে আজকের এই বাংলাদেশ আমরা পেতাম না।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে দেশে টু-জি, ২০১৩ সালে থ্রি-জি, ২০১৮ সালে ফোর-জি এবং ২০২১ সালে ফাইভ-জি প্রচলন করেন।’

সভাপতির বক্তৃতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, প্রযুক্তি দুনিয়ায় নেতৃত্ব প্রদানকারী বাংলাদেশ।’

বিটিআরসির চেয়ারম্যান মূল প্রবন্ধে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্মার্ট সংযোগ, স্মার্ট ডিভাইস বৃদ্ধি, মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রশিক্ষণ, স্মার্ট প্রোগ্রেস মনিটরিং এবং আরঅ্যান্ডডি’র প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ডিজিটাল ডিভাইড দূর করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি সহজলভ্য করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে ক্ষমতায়নে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার বৃদ্ধির বিকল্প নেই।’

বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদযাপন করতে ডাক অধিদফতর ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট, ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম, ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটা কার্ড এবং বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন।

Continue Reading

Highlights

বিকাশ হ্যাক করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

Published

on

রাজশাহীর সীমান্তবর্তী উপজেলা বাঘা। এখানে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে ইমো-বিকাশ হ্যাকারদের দৌরাত্ম্য। সম্প্রতি এ চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর তারা আরও ২৩ জনের নাম প্রকাশ করেছে। রোববার (৭ মে) উপজেলার ছাতারী এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন রাজা আলী, বুলবুল আহাম্মেদ ও আশিকুর রহমান আশিক।

জানা গেছে, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার সহজ হওয়ায় ইমো এবং বিকাশ হ্যাকিং খুব সহজ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে প্রবাসীরা প্রায়শই এদের প্রতারণার ফাঁদে পড়ছে। প্রতারক চক্রের সদস্যরা ফেসবুক, ইউটিউব এবং বিকাশ হ্যাকসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের অপরাধ কার্যক্রম নানা কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব অপরাধীদের পেছনে রয়েছে কিছু রাজনৈতিক নেতা। যারা সব সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে তাদের সহায়তা দিচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় এদের প্রবণতা বাঘায় অনেক বেশি। বিশেষ করে উপজেলার আলাইপুর, কিশোরপুর, গোকুলপুর, পাকুড়িয়া, চাঁনপুর, খানপুর ও মীরগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া এবং মনিরহারপুর এলাকা এদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে।

বাঘা থানার ওসি খাইরুল ইসলাম বলেন, বিকাশ থেকে টাকা বের করাটা এক ধরনের ডাকাতি। এদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। অপরাধীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের ইমো হ্যাক করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কৌশলে অর্থ আত্মসাৎ করে। এ ঘটনায় মামলা হলে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের বয়স ২০-২৩ বছরের মধ্যে। তারা এসব জালিয়াতিতে জড়িত ২৩ জনের নাম স্বীকার করেছে। এসব হ্যাকারদের নির্মূলে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Continue Reading

Automobile

টাটা এলপিও বাস চেসিস উদ্বোধন, দেশের ট্রান্সপোর্টে যোগ হলো নতুন মাত্রা!

Published

on

এস এম জাহিদুল:
বিশ্বে প্রথম সারির অটোমোবাইল প্রস্তুতকারক টাটা মটরস এবং এর অনুমোদিত পরিবেশক নিটল মটরস বাংলাদেশে নতুন টাটা এলপিও-১৬১৬ বাস চেসিস উদ্বোধন করেছে। রবিবার টাটার বাংলাদেশ নিটল মটরস এই চেচিসের উদ্বোধন করে। এই চেচিস উদ্বোধনের ফলে দেশের ট্রান্সপোর্টে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে বলে মনে করছেন অটোমোবাইল বিশেষজ্ঞরা।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আন্তঃনগর এবং দূরপাল্লার বাস হিসেবে টাটা এলপিও ১৬১৬ দেবে সেরা পারফরম্যান্স, আরামদায়ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এবং সহজে বাসের মালিক হবার দুর্দান্ত সুযোগ। বাসটি তৈরির সময় টাটা মটরসের প্রাথমিক মনোযোগ ছিল পারফরম্যান্স এবং ড্রাইভএবিলিটির উপর। ফলে এটি হয়ে উঠেছে জ্বালানী সাশ্রয়ী এবং যাত্রী ও চালক উভয়ের জন্য আরামদায়ক। পাশাপাশি এই বাস পরিবহন মালিকদের মুনাফা বাড়িয়ে দেবে এবং তারা কম খরচে এর মালিক হতে পারবেন।

টাটার ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজির ভাইস প্রেসিডেন্ট অনুরাগ মেহরোত্রা বলেন, “বাংলাদেশে বাণিজ্যিক গাড়ির সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড হিসেবে টাটা মটরস আধুনিক মবিলিটি স্যলুশনের মাধ্যমে এদেশে স্বতন্ত্র সেবা প্রদান করে আসছে। টাটা এলপিও-১৬১৬ বাস প্ল্যাটফর্মটি আমাদের সেইসব সম্মানিত ক্রেতাদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ডিজাইন করা হয়েছে, যারা চান একটি ভালো পারফরম্যান্স এবং সেই গাড়ি থেকে অধিক মুনাফা করতে চান আর স্বল্প খরচে সেই বাসটির মালিক হতে চান। টাটা মটরসের বাণিজ্যিক গাড়ি বহরের এই নতুন গাড়ির সাথে দেশব্যাপী নিটল মটরসের উৎকৃষ্ট মানের সেবা প্রদান অব্যাহত থাকবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের নতুন এই পণ্যটি পরিবহন মালিকদের জন্য অধিক লাভজনক হবে এবং যাত্রীদের জন্য হবে স্বাচ্ছন্দ্যময়।”

নতুন বাসের উদ্বোধন নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে নিটল মটরস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, “আমরা এদেশে টাটা মটরসের সর্বশেষ সংযোজন টাটা এলপিও-১৬১৬ বাস চেসিস পরিচয় করিয়ে দিতে পেরে আনন্দিত। নিটল মটরস টাটা মটরসের গর্বিত পরিবেশক এবং আমরা নিশ্চিত যে এই নতুন পণ্যটি অটোমোবাইল শিল্পে একটি ‘গেম চেঞ্জার’ হবে। আমরা আমাদের গ্রাহকদের গুণগত মানের পণ্য এবং সেবা প্রদান করতে সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে টাটা মটরস এর বাণিজ্যিক গাড়ির লাইন-আপে নতুন যোগ হওয়া এই বাহনটি গ্রাহকদের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যাবে।”

তিনি আরও বলেন, “টাটা এলপিও-১৬১৬ প্রমাণিত এবং নির্ভরযোগ্য Cummins 5.9L ইঞ্জিন দ্বারা চালিত, একটি G-600 গিয়ারবক্সের সাথে সংযুক্ত, যা 1400rpm এ 160hp শক্তি এবং 569Nm টর্ক উৎপন্ন করে৷ গাড়িটি বিভিন্ন ধরনের বডি বিল্ডিং এর সুবিধার জন্য একটি সোজা ফ্রেমের চ্যাসিস এবং ইনসুলেটেড ফ্রন্ট এন্ড কাঠামোসহ সরবরাহ করা হয়, যা অনেক ধরনের অ্যাপ্লিকেশনের জন্য উপযুক্ত। চেসিসটি 5700 মিমি হুইলবেসে পাওয়া যাচ্ছে,যার সাথে একটি শক্তিশালী ওয়েভেলার সাসপেনশন এবং ইন্টিগ্রাল হাইড্রোলিক পাওয়ার-সহায়ক টিল্ট এবং টেলিস্কোপিক টাইপ স্টিয়ারিং রয়েছে।” এটি দেশ সেরা বিক্রয়োত্তর সেবার সাথে সহজলভ্য স্পেয়ার পার্টসের নিশ্চয়তা প্রদান করবে বলেও জানান তিনি।

Continue Reading

Trending