Connect with us

Highlights

মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস চার্জ সিঙ্গেল ডিজিট করার দাবি

Published

on

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মোবাইল ব্যাংকিং এর সার্ভিস চার্জ সিঙ্গেল ডিজিট করা এবং গ্রাহকদের অর্থের নিরাপত্তা জোরদারসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। এ খাতের বাজারে প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে মোবাইল ফোন অপারেটরদের ন্যায় মোবাইল ব্যাংকি-এ এসএমপি বাস্তবায়ন, এ খাতের সকল সেবার ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে নামিয়ে ৫ শতাংশে নির্ধারণ এবং আন্তঃলেনদেন চার্জ মুক্ত রাখার দাবি জানানো হয়েছে।

শনিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘মোবাইল ব্যাংকিং এর যৌক্তিক সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ, চার্জমুক্ত আন্তঃ লেনদেন ও গ্রাহক নিরাপত্তায় করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায়’ বক্তারা এ দাবি জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রয় মিত্র বলেন, নগদ সার্ভিস চার্জ কমিয়ে আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। সার্ভিস চার্জ যে কমানো সম্ভব এতদিন বোঝা যায়নি। নগদ যেহেতু সার্ভিস চার্জ কমাতে সক্ষম হয়েছে তার মানে অন্যরাও চাইলে কমাতে পারবেন। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কস্ট মডেলিং করে যৌক্তিক সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করা উচিত।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ক্যাশ-আউট রেট শুরু থেকে হাজারে সাড়ে আঠারো টাকা করা হলেও ডাক বিভাগের সেবা ‘নগদ’ সম্প্রতি সেটি দশ টাকার নিচে নামিয়ে এনেছে। তাছাড়া অন্য অপারেটরগুলো নিজেদের মধ্যে প্রতিটি লেনদেনে ৫ টাকা করে চার্জ করলেও ‘নগদ’ সেটি ফ্রি করে দিয়েছে।

টেলিফোনে যুক্ত হয়ে সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকারকে সার্ভিস চার্জ কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে অনুরোধ জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাকবিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদ’র চীফ সেলস্ অফিসার শেখ আমিনুর রহমান বলেন, নগদ সরকারের সহযোগিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে লাভের কথা চিন্তা না করে জনগণের সাধ্য ও সামর্থ্যরে কথা চিন্তা করে সার্ভিস চার্জ কমিয়েছে। আশা রাখি আগামীতে নগদ আরো জনবান্ধব কার্যক্রম পরিচালনা করবে। গ্রাহক নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বিটিআরসি, অপারেটর ও গ্রাহককে সতর্ক ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান।

এসময় বিটিআরসি’র সার্ভিস বিভাগের পরিচালক লে. ক. মো. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, এমএফএস প্রতিষ্ঠান রিটেইলার ও ডিস্ট্রিবিউটর কর্তৃক গৃহীত চার্জের সঠিক কস্ট মডেলিং জরুরী প্রয়োজন। ১.৮৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জের বাকী ০.০১৫ টাকার কখনো কোন হিসাব পাওয়া যায় না। এ হিসাবে অনৈতিক ভাবে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে। যার কোন সঠিক হিসাব কারো কাছে নাই। যতক্ষণ পর্যন্ত এই অংক কোন বাস্তব লেনদেন সম্পন্ন ফিগারে পরিবর্তন করা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে।

অনলাইনে যুক্ত হয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও বাস্তবতা বিবেচনায় বর্তমান সার্ভিস চার্জ মোটেও যুক্তিসঙ্গত নয়। সার্ভিস চার্জ নির্ধারণে সকল স্টেক হোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে ন্যায় সঙ্গত চার্জ নির্ধারণ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবে বলে আমি আশা করি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র সহযোগী অধ্যাপক খালেদ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ সরকারের এই মুহুর্তেই অতিরিক্ত মাশুল বা ইন্টার অপারেবেলিটি চার্জ দেওয়া ঠিক হবে না। তবে হ্যাঁ পর্যায়ক্রমে ধীরে ধীরে এই চার্জ প্রয়োগ করা যেতে পারে। মার্কেট কম্পিটিশনকে বাঁচিয়ে রাখতে এসএমপি বাস্তবায়ন করার কোন বিকল্প নেই। ডিজিটাল সিকিউরিটি নিশ্চিত করার জন্য আজ থেকে অবশ্যই ডিজিটাল অডিট চালু করা উচিত। বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশন বা বিটিআরসি’র এই ডিজিটাল অডিট বাধ্যতামূলককরণের ক্ষেত্রে কঠোর নীতিমালা প্রয়োগ করা উচিত।

সিপিবি’র সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং এখনকার বাস্তবতা। এটি যাতে কম খরচে নিরাপত্তার সাথে ব্যবহার করা যায় সেই ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। একটি প্রতিষ্ঠান যে সার্ভিস চার্জ নিচ্ছে তা আমাদের দেশের বাস্তবতার সাথে অযৌক্তিক। সরকারি প্রতিষ্ঠানও এ কাজ স্বচ্ছতার সাথে করতে পারছে না। তিনি যৌক্তিক সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ ও সব প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি রাশেদ মেহেদী বলেন, বিকাশ ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হলেও মূলত এটি একটি কুরিয়ার সার্ভিসের কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান নগদকে একই কাজ না করার জন্য সুপারিশ করছি।

মূল বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভিশন-২০২১ ঘোষণা করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের মে মাসে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের মাধ্যমে বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস (এমএফএস) সেবা চালু হয়। একই বছর জুলাই মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে আসে বিকাশ। ইতোমধ্যে এ সেবায় বাংলাদেশ বিশ্বে ২য় স্থানে অবস্থান করছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবা প্রদানই ছিল এর মূল লক্ষ্য। তাছাড়া দ্রুত সময়ে নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রাপ্তিতে এই সেবার তুলনা হয় না। মূলত মোবাইল ব্যাংকিং হল মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করার সুবিধাযুক্ত সেবা।

তিনি বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বাণিজ্যিক ব্যাংকে লেনদেনের হয়রানি, দীর্ঘ সময় ব্যয়, যাতায়াতের ঝামেলা মুক্ত করলে এ সেবা খাতের অযৌক্তিক সার্ভিস চার্জ ও নিরাপত্তা ঝুঁকি গ্রাহকদেরকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। ২০১৪ সাল থেকে আমরা সার্ভিস চার্জ কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে আনতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছি। কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠানে ৭০ শতাংশ বাজার দখলে থাকায় সার্ভিস চার্জ কমিয়ে আনা সম্ভবপর হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইনে সার্ভিস চার্জের ফ্লোর রেট ও সিলিং রেট নির্ধারিত না থাকায় এতদিন পর্যন্ত একটি প্রতিষ্ঠান মনোপলি ব্যবসা করে আসছে। অবশেষে ডাকবিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদ সার্ভিস চার্জ কমিয়ে এনেছে। এতে করে গ্রাহকরা মনোপলির হাত থেকে রক্ষা পেয়ে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে বলে আমরা মনে করি।

কোনো গ্রাহক যখন একবার টাকা ক্যাশ ইন করে তখন প্রতি হাজারে এজেন্ট বা রিটেলার কমিশন পায় ৪.১০ টাকা আরডিলার কমিশন পায় ১.৪০ টাকা। আবার যখন ক্যাশ-আউট করে তখনো এই একই খরচ হয়। তারওপর ম্যাসেজ চার্জ বাবদ মোবাইল অপারেটর পায় ০.০৬৪ টাকা, সেই সাথে ভ্যাট ১৫% বাকিটা এমএফএস প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ। কিন্তু এর বিপরীতে হাজারে ১৮.৫০ টাকা করে ক্যাশ-আউট চার্জ নিয়ে অন্য অপারেটরগুলো দেদার মুনাফা করছে। সেখানে খরচগুলোকে সামান্য কমিয়ে ভ্যাটবাদে ‘নগদ’ নিচ্ছে ৯ টাকা ৯৯ পয়সা। এরপরেও তারা এখান থেকে আয় করছে। তাহলে আমাদের প্রশ্ন এতদিন যাবত একটি প্রতিষ্ঠানে হাজারে ১৮.৫০ টাকা নিয়ে কি পরিমাণ মুনাফা লুটে নিয়েছে গ্রাহকদের কাছ থেকে তা ভাবতেও অবাক লাগে। এর সাথে তাল মিলিয়ে রিটেলাররাও অনৈতিক ভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। নগদ আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে নিশ্চয়ই। বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক নিয়ন্ত্রক কমিশন হলেও সার্ভিস প্রদানের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিটিআরসির ভূমিকাও অগ্রগণ্য।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দুর্বল দিক হচ্ছে এর উচ্চ হারের মাসুল (সার্ভিস চার্জ) এবং অরক্ষিত এজেন্ট। তাদের মাধ্যমে সংঘটিত প্রতিটি লেনদেনে প্রতি হাজারে ২০ টাকা পর্যন্ত মাসুল দিতে হয়। এর পরও দৈনিক এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে এ সেবার মাধ্যমে। এতেই বোঝা যায় এ সেবার পরিধি কতটা ব্যাপক। মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসগুলোর (এমএফএস) সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, যে মাসুল আদায় হয়, তার ৬০ শতাংশের বেশি এজেন্টদের দেওয়া হয়। এরপর নেটওয়ার্ক খরচ দিতে হয়। বাকিটা প্রতিষ্ঠান পরিচালনাতে খরচ হয়। দিন শেষে মুনাফা হয় খুব কম। তবে দিন শেষে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর হিসাবে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি জমা থাকছে। এসব অর্থের সুদ থেকেই মুনাফা করছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

ব্যাংকের মাধ্যমে এক অ্যাকাউন্ট থেকে আরেক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হলে কোনো ধরনের মাসুল দিতে হয় না। একই ব্যাংকের অন্য অ্যাকাউন্টে পাঠালে তা তৎক্ষণাৎ পৌঁছে যায়। এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকের হিসাবে টাকা পাঠালে কোনো মাসুল লাগে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্লিয়ারিং হাউস আধুনিকায়ন করায় লেনদেনের সময় কমে এসেছে। অদূর ভবিষ্যতে একই দিনের মধ্যে যেকোনো ব্যাংকের যেকোনো শাখায় তৎক্ষণাৎ টাকা পৌঁছে যাবে। প্রথাগত ব্যাংকিং যেখানে বিনা মাসুলে দুই গ্রাহকের মধ্যে লেনদেন করার সুযোগ দিতে পারে, সেখানে মোবাইল ব্যাংকিং এত উচ্চ হারে মাসুল নেবে কেন?

মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আন্তলেনদেন সুবিধা চালু হচ্ছে। ফলে এখন থেকে নগদ, বিকাশ, রকেট, এম ক্যাশ ও ইউক্যাশের মতো এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মধ্যে লেনদেন করতে পারবে। পাশাপাশি ব্যাংক ও এমএফএসের মধ্যেও করা যাবে লেনদেন। বর্তমানে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা পাঠানো যায়। কিন্তু এক এমএফএস থেকে অন্য এমএফএসে টাকা পাঠানো যায় না। অর্থাৎ বিকাশ গ্রাহকরা নগদে কিংবা রকেটে, নগদ গ্রাহকরা বিকাশ কিংবা রকেটে, রকেট গ্রাহকরা বিকাশ কিংবা নগদে টাকা পাঠাতে পারতেন না। এ দুটি সেবা চালু হলে গ্রাহকেরা সহজেই ব্যাংক থেকে এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের হিসাবে এবং এমএফএস প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাংকে টাকা স্থানান্তর করতে পারবেন। এই সেবার জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে কোনো মাশুল নেওয়া যুক্তি সংগত নয় বলে আমরা মনে করি। টাকা উত্তোলনের খরচ থাকছে আগের মতোই। আপাতত চারটি ব্যাংক ও চারটি এমএফএস প্রতিষ্ঠান এই সেবায় যুক্ত হয়েছে। অন্যদের আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে আন্তঃলেনদেন ব্যবস্থায় যুক্ত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্য দিয়ে দেশে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবায় আরেক ধাপ যুক্ত হল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশে নগদ অর্থের লেনদেন কমাতে সব ব্যাংক ও এমএফএস প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আন্তলেনদেন সেবা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। সফলভাবে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সম্পন্নকারী ব্যাংক ও এমএফএস প্রতিষ্ঠান থেকে লেনদেন শুরু করবে। যারা প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি, তাদের আগামী বছরের ৩১ মার্র্চের মধ্যে এ সেবা চালু করতে হবে।প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, যে এমএফএস প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে অর্থ এমএফএস প্রতিষ্ঠানের হিসাবে যাবে, সেই প্রতিষ্ঠান অর্থ প্রেরণকারী এমএফএস প্রতিষ্ঠানকে লেনদেন হওয়া অর্থের০.৮০ শতাংশ (হাজারে ৮ টাকা) হারে মাশুল দেবে। একইভাবে ব্যাংক হিসাব হতে এমএফএস হিসাবে এবং এমএফএস হিসাব থেকে ব্যাংক হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের উভয় ক্ষেত্রেই এমএফএস প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে লেনদেন করা অর্থের০.৪৫ শতাংশ (হাজারে ৪.৫০ টাকা) মাশুল প্রদান করবে।আন্তঃলেনদেনের জন্য অতিরিক্ত এ চার্জ গ্রাহকদের জন্য বোঝা স্বরূপ। তাই আন্তঃলেনদেনের এ চার্জ সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করতে হবে।

বর্তমান সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে যৌক্তিক সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ ও নিরাপদ লেনদেন। একেক কোম্পানির একেক সার্ভিস চার্জ কোন প্রকার যৌক্তিকতা বহন করে না। মোবাইল ব্যাংকিং এর সার্ভিস চার্জ সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি। করোনা জর্জরিত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এমন পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতির সঞ্চার হবে। আমরা মোবাইল ব্যাংকিং এর সার্ভিস চার্জ সিঙ্গেল ডিজিটে নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানাই। বর্তমানে আন্তঃলেনদেন বা সেন্ড মানি করতেও কোম্পানীগুলো সার্ভিস চার্জ হিসেবে ৫ টাকা কেটে নিচ্ছে। নগদ ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে সেন্ডমানি চার্জ তারা কাটবে না। আমরা আশারাখি অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো সেন্ডমানি চার্জ নেয়া বন্ধ করবে। আমরা চার্জমুক্ত আন্তঃলেনদেনের দাবি জানাচ্ছি।

মোবাইল ব্যাংকিং সেবার সিংহভাগ গ্রাহকের এ সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নেই। ফলে অনেক সময় তারা প্রতারিত হচ্ছেন। হ্যাকারা গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করে পিন নাম্বার নিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অনেক সময় কল করে মিথ্যা প্রলোভনে টাকা নিয়ে নেয়া হচ্ছে। অনেক এজেন্ট প্রতারক চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়ছেন। ফলে লেনদেনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রচুর ঘাটতি রয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং কে নিরাপদ করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে, কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

পাঁচ দফা দাবি:

১. মোবাইল ফোন অপারেটরদের ন্যায় মোবাইল ব্যাংকি-এ এসএমপি বাস্তবায়ন করতে হবে।
২. ভ্যাট ৫ শতাংশ করতে হবে।
৩. ক্যাশ আউট চার্জ সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনতে হবে এবং সেন্ড মানি চার্জ বাতিল করতে হবে।
৪. আন্তঃলেনদেন চার্জ মুক্ত রাখতে হবে।
৫. লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সাংবাদিক ফারুক হোসাইন, মোবাইল রিচার্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সীমা আক্তার, কেন্দ্রীয় সদস্য আমানুল্লাহ মাহফুজ, মুর্শিদুল হক বিদ্যুৎ প্রমুখ।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক মিলবে টেলিটক সিমে

Published

on

কোথাও টেলিটকের নেটওয়ার্ক নেই কিংবা তা দূর্বল তখন ওই এলাকায় বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কথা বলাসহ সব ধরনের মোবাইল সেবা পাবেন টেলিটক গ্রাহকরা।

আবার এই একই সুবিধা মিলবে বাংলালিংকের গ্রাহকের ক্ষেত্রেও। তারা ব্যবহার করতে পারবেন টেলিটকের নেটওয়ার্ক।‘ন্যাশনাল রোমিং’ নামে এই সেবা দেশে চালু করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এই সেবা চালুতে সম্মতি দিয়েছেন।ইতোমধ্যে বিটিআরসি এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালুর অনুমতি দিয়েছে।এরআগে ন্যাশনাল রোমিংয়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও অবকাঠামো শেয়ারিংয়ে দুই অপারেটর নিজেদের মধ্যে চুক্তিও সেরেছে। তারা পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা চালু করে কারিগরিসহ বিভিন্ন বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছে।

বিটিআরসি বলছে, ন্যাশনাল রোমিং আন্তর্জাতিক রোমিং সেবার মতোই একটি বিষয়। এতে একটি মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকরা দেশের কোনো এলাকায় তাদের নেটওয়ার্ক না পেলে কিংবা নেটওয়ার্ক দূর্বল হলে আরেকটি মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সব রকম মোবাইল যোগাযোগ সেবা নেবেন।

বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বলছেন, ‘বাংলালিংক-টেলিটক এখনও এই সেবার টেস্ট অ্যান্ড ট্রায়াল করছে। গ্রাহকের জন্য যেটা ভালো, এরকম কিছু আমরা সবসময়ই করি। এটাই আমাদের কাজ।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘অনুমতি বা লিগ্যাল দিক যেটুকু আছে, সেটুকু আমরা ওকে করে দিয়েছি। এমন বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের মতামত নেই, তিনি আমাদের সম্মতি দিয়েছেন এটি চালু করার জন্য।’‘টেলিটকের কারিগরি কিছু সমস্যা আছে, সেগুলো সমাধান করে তারা অপারেশনে যাবে।’ বলছিলেন মন্ত্রী।

মোস্তাফা জব্বার জানান, ‘এই ডমিস্টিক রোমিংয়ে দুই অপারেটরের উইন-উইন সিচুয়েশন হবে। যার যতটুকু নেটওয়ার্ক আছে সেই বিনিফিট তো পাবেই, যেখানে নেটওয়ার্ক নাই সেখানেই বেনিফিট পাবে। সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে দুই অপারেটরের গ্রাহকরা।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এটা টেলিটকের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটা দূর্বল নেটওয়ার্কের অপারেটরকে সবল নেটওয়ার্কে পরিণত করার সুযোগ এসেছে।’বর্তমানে সাড়ে চৌদ্দ হাজারের মতো টাওয়ার আছে বাংলালিংকের। টেলিটকের আছে ৬ হাজারের মতো। এই উদ্যোগের ফলে টেলিটক বাংলালিংকের টাওয়ারগুলোর নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়ে সারাদেশে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক নিয়ে হাজির হতে পারবে। একইভাবে বাংলালিংকও টেলিটকের টাওয়ারে। বিশেষ করে যেখানে যেখানে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক নেই বা দূর্বল, যেমন-সুন্দরবন, পার্বত্য চট্টগ্রাম, হাওর এলাকাগুলোতে।

যেভাবে এই নেটওয়ার্ক শেয়ারিং :হোম নেটওয়ার্ক (গ্রাহকের সিম যে অপারেটরের) না থাকলে ডমিস্টিক বা ন্যাশনাল রোমিংয়ের মাধ্যমে ওই নেটওয়ার্কের বাইরে ভিজিটিং নেটওয়ার্ক (গ্রাহক বিকল্প হিসেবে যে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হবে) ব্যবহার করে সংযুক্ত থাকবে গ্রাহক। এজন্য ভিজিটিং নেটওয়ার্কের ফ্রিকোয়েন্সি, এন্টেনা, র‌্যান, কোর সুইচিং নোডসসহ নেটওয়ার্কের মূল অবকাঠামো ব্যবহার করতে হবে । এর মধ্য দিয়ে গ্রাহক নিজের সিমে নেটওয়ার্ক না থাকার পর আরেকটি অপারেটরের নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হয়ে কথা বা মোবাইল সেবা নিতে পারবেন।বাংলালিংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এরজন্য তাদের প্রযুক্তিগত কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। তারা সফলতার সঙ্গেই পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা চালু করতে পারছেন।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেলিটকের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলছেন, তারা পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা যাচাই-বাছাই করছেন। তবে প্রযুক্তিগত কিছু চ্যালেঞ্জ তাদের রয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ টেকনোলজি অফিসার সুমন আহমেদ সাবির জানান, এখানে প্রযুক্তিগত তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। বাড়তি হিসেবে রোমিংয়ের কিছু সফটওয়্যার প্রয়োজন হবে, যার জন্য বড় বিনিয়োগ লাগবে না।পরীক্ষামূলকে কী ঘটেছে ?দুই অপাারেটর নিজেদের মধ্যে ভয়েস কল, এসএমএস, ইউএসএসডি সেবার ইনকামিং-আউটগোয়িং পরীক্ষা করেছে। যেখানে টেলিটক নাম্বার হতে বাংলালিংক নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হওয়ার সফলতার হার তুলনামূলক বেশি। যেমন একটি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় ;টেলিটকের নাম্বার হতে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক দিয়ে আউটগোয়িং ভয়েস কলে বাংলালিংক, রবি, জিপি, পিএসটিএন (বিটিসিএল), আইপিটিএসপি, এমএনপি, শর্টকোড (৯৯৯, ৩৩৩, ১০৬০৬) এবং আন্তর্জাতিক নাম্বারে সফলভাবে কল করা গেছে। সেখানে শুধু বাংলালিংক রোমিং নাম্বারে একটি কল সফল হয়নি।একইভাবে আউটগোয়িং এসএমএস, ইউএসএসডির ক্ষেত্রে সব ধরণের নাম্বারেই সফল ফলাফল এসেছে।ইনকামিং ভয়েস কলে বাংলালিংক, রবি, জিপি, পিএসটিএন (বিটিসিএল), এমএনপি এবং আন্তর্জাতিক নাম্বার হতে টেলিটক নাম্বারে আসার ক্ষেত্রে সফলতার হার কম দেখা গেছে। এতে টেলিটক, বাংলালিংক, পিএসটিএন (বিটিসিএল), এমএনপি এবং আন্তর্জাতিক নাম্বার হতে কল সফল হয়নি। এখানে এসএমএসের ক্ষেত্রে শুধু বাংলালিংকের রোমিং নাম্বারে যায়নি।বাংলালিংকের নাম্বার হতে টেলিটকের নেটওয়ার্ক দিয়ে আউটগোয়িং ভয়েস কলে বাংলালিংক, রবি, জিপি, পিএসটিএন (বিটিসিএল), আইপিটিএসপি, এমএনপি এবং শর্টকোড (৯৯৯, ৩৩৩, ১০৬০৬) নাম্বারে সফলভাবে কল করা গেছে। সেখানে শুধু টেলিটক রোমিং নাম্বারে একটি কল সফল হয়নি।

একইভাবে আউটগোয়িং এসএমএস, ইউএসএসডির ক্ষেত্রে একটি ছাড়া সব ধরণের নাম্বারেই অসফল ফলাফল এসেছে। সফল হওয়া একটি ইউএসএসডি নাম্বার হলো *১২১* ।ইনকামিং ভয়েস কলে বাংলালিংক, টেলিটক, টেলিটক রোমিং, রবি ও জিপি নাম্বার হতে বাংলালিংক নাম্বারে আসার ক্ষেত্রে সবগুলো চেষ্টাই অসফল হয়েছে। এখানে এসএমএসের ক্ষেত্রে বাংলালিংক, টেলিটক, টেলিটক রোমিং এবং জিপি নাম্বার হতে চেষ্টা করা হলে টেলিটক রোমিংয়ে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে ।

নীতিগত যা কিছু :ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ারিং গাইড লাইন-২০১১ এর ২.১ অনুযায়ী র‌্যান এবং কোর সুইচ শেয়ার অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ার। ন্যাশনাল রোমিংয়ে দেখা যাচ্ছে অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ার হচ্ছে। গাইডলাইনের ৩.১ অনুযায়ী অপারেটরগুলো শুধু প্যাসিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ার করতে পারবে।বিটিআরসি বলছে, অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ারিংয়ের গাইডলাইনের খসড়া সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। সেখানে এই অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ারের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।গ্রাহক পর্যায়ে কলরেট বা অন্য সেবার খরচ বাড়বে কিনা এমন জিজ্ঞাসায় বাংলালিংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, গ্রাহকের খরচ বাড়ুক এটা তারা চান না। দুই অপারেটর নিজেদের মধ্যে এই নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ের বাণিজ্যিক চুক্তি করবে, সেখানে কে কাকে কোথায় কত চার্জ সেটা আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক হতে পারে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বলছেন, ‘অপারেটর দুটি তাদের পরীক্ষামূলক সেবা চালুর প্রতিবেদন জমা দেয়নি। পরীক্ষার রিপোর্ট আমাদের দিক। এরপর আরও ওয়ার্কআউট করার রয়েছে, ট্যারিফের মতো বিষয় এখানে আছে।’

Continue Reading

Gadgets

রিয়েলমির নতুন ফোনে ২৪০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার

Published

on

চীনের হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রিয়েলমি এই প্রথম ২৪০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জারের ফোন আনছে। ফোনটির মডেল রিয়েলমি জিটি ৫।

নতুন ডিভাইসকে রিয়েলমি বলছে কিং অব অ্যানড্রয়েড স্মার্টফোন। কেননা, সাশ্রয়ী দামের এই ফোনে থাকছে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ক্যামেরা এবং বিপুল স্টোরেজ। এক ফোনেই ইউজারদের সমস্ত চাহিদা মেটাতে চলেছে রিয়েলমি। ফোনটিতে পাঞ্চ হোল ডিজাইনের ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে।

৬.৭৪ ইঞ্চি ডিসপ্লের এই ফোনে ১.৫ কে রেজুলেশন মিলবে। এর অ্যামোলিড প্যানেলে ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশ রেট পাওয়া যাবে।

এই ফোনে প্রসেসর থাকছে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেনারেশন ২ চিপসেট। ইন্টারনাল স্টোরেজ থাকছে ১ টেরাবাইট। র‌্যাম মিলবে ২৪ জিবি।

অ্যানড্রয়েড ১৩ অপারেটিং সিস্টেম চালিত এই ফোন কেনা যাবে দুইটি ব্যাটারি ভার্সনে। একটি পাওয়া যাবে ৪৬০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ার ব্যাটারি এবং ২৪০ ওয়াটের সুপারভোক ফাস্ট চার্জারে। অন্যটি কেনা যাবে ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ১৫০ ফাস্ট চার্জারেরর সঙ্গে। যা দুরন্ত গতিতে ব্যাটারিকে ০ থেকে ১০০ শতাংশ চার্জ করতে পারবে।

ফটোগ্রাফির জন্যও এতে রয়েছে বিশেষ আয়োজন, তিনটি ক্যামেরা সঙ্গে এলইডি ফ্ল্যাশ পাবেন এতে। ব্যাক প্যানেলে মূল সেন্সর হিসাবে ৫০ মেগাপিক্সেল লেন্স সঙ্গে ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স এবং ২ মেগাপিক্সেল সেন্সর পাওয়া যাবে এতে। ফোনের ফ্রন্টে সেলফি ও ভিডিও কলের জন্য মিলবে ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।

কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে থাকছে ৫জি, ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট। পাওয়া যাবে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।

ভারতীয় মুদ্রায় এই হ্যান্ডসেটের সম্ভাব্য দাম ৫৩ হাজার ৫০০ রুপি থেকে শুরু।

Continue Reading

Highlights

বাংলাদেশসহ ৪ দেশে অ্যান্ড্রয়েডে চ্যাটজিপিটি

Published

on

শুধু বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে চালু হয়েছে চ্যাটজিপিটির অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন। এ চারটি দেশে বসবাস করা যে কেউ এখন থেকে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করে ওপেনএআই-এর আলোচিত এ সেবাটি গ্রহণ করতে পারবেন। এর ফলে যেসব ব্যবহারকারীদের এতদিন কম্পিউটার কিংবা ওয়েবে যারা এ সেবাটি ব্যবহার করেছেন, একই অ্যাকাউন্ট মোবাইলেও চালু করতে পারবে। ফলে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে অতীতের সব কথোপকথনও অ্যাপের মধ্যে পাওয়া যাবে।

খবরে বলা হয়েছে, এ চারটি দেশের বাইরে অন্য কোনো দেশের মানুষ গুগল প্লে-তে গিয়ে অ্যাপটির জন্য প্রি-অর্ডার করতে পারবেন। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই খুব শিগ্গির আরও কয়েকটি দেশে এই সেবাটি চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই একযোগে নতুন কয়েকটি দেশে চ্যাটজিপিটির অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে কাজ করবে।

এ ছাড়া যারা আইফোন ব্যবহার করেন তাদের মোবাইলের আইওএস-এ অফিশিয়াল চ্যাটজিপিটি অ্যাপটি পাওয়া যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম্পিউটার বা ওয়েবে চ্যাটজিপিটি যেভাবে সব প্রশ্নের জবাব দেয় মোবাইলের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না। তবে মোবাইলের জন্য এর আলাদা ইন্টারফেস ডিজাইন করা হয়েছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের যে কোনো প্রশ্নের তাৎক্ষণিক উত্তর দিতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, যে কোনো বিষয়ে পরামর্শসহ এটি নানা ধরনের টিপসও দিয়ে থাকে এই সেবাটি। ২০২২ সালের নভেম্বরে এ সেবাটি চালু করা হয়।

Source : বাংলাদেশসহ ৪ দেশে অ্যান্ড্রয়েডে চ্যাটজিপিটি

 

Continue Reading

Trending