Connect with us

Tech News

মহাকাশে চিনির সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা; প্রাণের স্পষ্ট ইঙ্গিত

Published

on

zeroবিডিপি ডেস্ক: এখন যেমন আমাদের ঘরে ঘরে ‘সুগার রোগী’, তেমনই মহাকাশের এখানে ওখানে হদিশ মিলতে শুরু করেছে তাল তাল চিনির। যেন চিনির পাহাড়! মধুমেহ রোগ যতই আশঙ্কার হোক না কেন, মহাকাশ বড়ই মধুময়! ভাগ্যিস, মধুময় মহাকাশ!
একেবারে হালে মহাকাশে তাল তাল চিনির হদিশ মেলায় এই ব্রহ্মাণ্ডের অন্যত্রও যে প্রাণ রয়েছে অনিবার্য ভাবে, সেই বিশ্বাসই জোরালো হয়ে উঠল। কারণ, চিনিই প্রাণের মূল উপাদান রাইবো-নিউক্লিক অ্যাসিড বা RNA তৈরির জন্য সিঁড়ির প্রথম ধাপ। চিনি যখন আছে আর প্রাথমিক তথ্য যা জানাচ্ছে, সেই নিরিখে যখন বলাই যায়, ‘হাই সুগারে’ ভুগছে মহাকাশ, তখন এই ব্রহ্মাণ্ডের অন্য কোথাও, অন্য কোনওখানে অনিবার্য ভাবেই জন্ম নিয়েছে প্রাণের অন্যতম মূল উপাদান RNA অণু। তাই প্রাণ নিশ্চয়ই রয়েছে মহাকাশের অন্য কোথাও। অন্য কোনওখানেও। এই মহাবিশ্বে আমাদের আরও আরও ‘প্রাণের বন্ধু’ রয়েছে অন্যত্রও। এমটাই বিশ্বাস জ্যোতির্রসায়নবিদদের।
সেই বিশ্বাসটাই আরও জোরালো হয়েছে এ ব্যাপারে হালে ‘অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটারস’-এ প্রচুর তথ্যপ্রমাণ সহ একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হওয়ায়। কোপেনহাগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিলস্ বোর ইনস্টিটিউটের জ্যোতির্রসায়নবিদ জার্স কে জোয়েরগেনসেন, ডেনমার্কের আরহাস বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নবিদ সিসিলি ফ্যাব্রে ও চার সহ-গবেষকের ওই প্রবন্ধে মহাকাশের কোথায় কোথায়, কী পরিমাণে প্রাণের মূল উপাদানের হদিশ মিলেছে, সে সব তথ্যপ্রমাণ সহ তুলে ধরা হয়েছে। ‘‘Detection Of Simplest Sugar. Glycoaldehyde In A Solar Type Proto Star With ALMA’’ শীর্ষক ওই প্রবন্ধে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত মহাকাশের দু’টি জায়গায় প্রাণের এই অন্যতম মূল উপাদানের হদিশ মিলেছে।
কলকাতার ‘ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্সে’র (আইসিএসপি) অ্যাস্ট্রোকেমিস্ট্রি ও অ্যাস্ট্রোবায়োলজি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর অঙ্কন দাসের ব্যখ্যায়, ‘‘মহাকাশে সদ্য হদিশ মেলা এই চিনির সঙ্গে দোকান থেকে কেনা চিনির কিছু গুণগত ফারাক রয়েছে। আগে জেনে নেওয়া যাক, সেই ফারাকটা কী ও কোথায়? মহাকাশে পাওয়া গিয়েছে গ্লাইকোঅ্যালডিহাইড। যার একটি অণুতে রয়েছে দু’টি কার্বন, চারটি হাইড্রোজেন ও দু’টি অক্সিজেন পরমাণু।
আরও পড়ুন- বৃহস্পতি, শনির ‘দাদাগিরি’ই বাঁচিয়ে চলেছে পৃথিবীকে হাব্‌লের চেয়ে ১০০ গুণ বড় টেলিস্কোপ মহাকাশে পাঠাচ্ছে নাসা
আর দোকান থেকে আমরা যে চিনি কিনি, সেটা হল সুক্রোজ। যার একটি অণুতে থাকে ১২টি কার্বন, ২২টি হাইড্রোজেন ও ১১টি অক্সিজেন পরমাণু। তার মানেটা হল, দোকান থেকে আমরা যে চিনি কিনি, তা বানানোর একেবারে প্রথম ধাপটাই হল গ্লাইকোঅ্যালডিহাইড। এটাকে বলা হয়, ‘Simplest Sugar’। এই গ্লাইকোঅ্যালডিহাইডই ধাপে ধাপে বিক্রিয়া করে জন্ম দেয় ‘রাইবোজ’-এর। যার একটি অণুতে থাকে পাঁচটি কার্বন, দশটি হাইড্রোজেন আর পাঁচটি অক্সিজেন পরমাণু। এটাকে পেন্টোজ বা ‘Simple Sugar’ বলা হয়। এই রাইবোজই হল RNA গড়ে ওঠার অন্যতম মূল উপাদান। এই DNA আর RNA অণু দিয়েই একটা কোষ গড়ে ওঠে।’’
মহাকাশে প্রাণের অন্যতম মূল উপাদান গ্লাইকোঅ্যালডিহাইড পাওয়া গিয়েছে কোথায়?
অঙ্কনবাবু জানাচ্ছেন, ‘‘ওই হদিশ মিলেছে মোট তিনটি পর্যায়ে। প্রথম আবিষ্কারটা হয় ২০০০ সালে। আমাদের থেকে ২৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির একেবারে কেন্দ্রস্থলে স্যাজিটারিয়াস নক্ষত্রপুঞ্জে.‘Sgr B2(N)’ মেলে গ্লাইকোঅ্যালডিহাইডের হদিশ।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে ২০০৯ সালে। মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সিতেই। আমাদের থেকে ২৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে খুব ভারী নক্ষত্রদের জন্মস্থল ‘G31.41+0.31’-এ। আর একেবারেই হালে, ২০১৩ সালে গ্লাইকোঅ্যালডিহাইডের হদিশ মিলেছে সূর্যেরই মতো আরেকটি নক্ষত্রে। যা আদতে দু’টি নক্ষত্রের একটি ‘সোরমণ্ডল’ বা বাইনারি সিস্টেম।যাদের নাম- ‘IRAS-16293-2422’। চিলির ‘আটাকামা লার্জ মিলিমিটার অ্যারে (ALMA) টেলিস্কোপের মাধ্যমে মহাকাশে ওই জৈব অণুর অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে।’’
গ্লাইকোঅ্যালডিহাইড আবিষ্কারের এই খবর কেন এতটা সাড়া ফেলেছে বিজ্ঞানী মহলে? অঙ্কনবাবু জানাচ্ছেন, ‘‘এই নক্ষত্রটি রয়েছে আমাদের অনেক বেশি কাছে। আর এটাও সূর্যের মতোই একটি নক্ষত্র। এটাই প্রমাণ করে, আমাদের সৌরমণ্ডলের জন্মের সময় যে ভাবে গ্লাইকোঅ্যালডিহাইড তৈরি হয়েছিল আর তা থেকে ধাপে ধাপে গড়ে উঠেছিল প্রাণের অন্যতম দুই মূল উপাদান- DNA আর RNA, সে ভাবেই সূর্যের মতো ওই নক্ষত্রেও গ্লাইকোঅ্যালডিহাইড জন্মাচ্ছে।এটাই সেখানে প্রাণ সৃষ্টির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।’’

কী ভাবে চিনি জন্মাচ্ছে মহাকাশে, দেখুন- নাসার ভিডিও 

মহাকাশে কী ভাবে গ্লাইকোঅ্যালডিহাইড তৈরি হল, তা নিয়ে অবশ্য নানা মুনির নানা মত। তবে একটা বিষয়ে সকলেই একমত, তা তৈরি হয়েছে অত্যন্ত, যাকে বলে হাড়-জমানো ঠাণ্ডায়। যেখানকার তাপমাত্রা দশ থেকে একশো ডিগ্রি কেলভিনের মধ্যে। মহাজাগতিক গ্যাস আর ধুলোবালির মাধ্যমে। আর, তাদেরই অকৃপণ সাহায্যে।
আর কোন কোন জৈব অণুর হদিশ মেলার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে মহাকাশে?
একেবারে হালে ‘‘Potential Formation Of Three Pyrimidine Bases In Inter-Stellar Regions’’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে অঙ্কনবাবু ও তাঁর সহযোগী গবেষকেরা দেখিয়েছেন, হদিশ মিলতে পারে অ্যাডিনিন, গ্লাইসিন, সাইটোসিন, থায়ামিন ও ইউরাসিলের। গ্লাইসিনই অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরির মূল প্রাথমিক উপাদান। ইউরাসিল RNA-র, থাইমিন DNA-র আর সাইটোসিন DNA ও RNA তৈরির অন্যতম মূল প্রাথমিক উপাদান। কোষের নিউক্লিয়াস তৈরির মূল উপাদান অ্যাডিনিন প্রোটিন সংশ্লেষের জন্যেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

বিপুল সংখ্যক অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট হ্যাকড

Published

on

জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাস ‘নর্টন’-এর হাজার হাজার গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে। হ্যাকারেরা গ্রাহকদের পাসওয়ার্ড ম্যানেজারে প্রবেশাধিকার পেয়ে থাকতে পারে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কোম্পানিটি। গ্রাহকদের পরিচয় সুরক্ষা ও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন সেবা দেয় নর্টন।

প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট টেক ক্রাঞ্চের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রাহকদের উদ্দেশে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে নর্টনের মূল কোম্পানি ‘জেন ডিজিটাল’ জানায়, বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আগেই প্রকাশ পাওয়া বা হাতিয়ে নেওয়া বিভিন্ন তথ্য বা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এই হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। যারা ‘পাসওয়ার্ড ম্যানেজার’ ফিচারটি ব্যবহার করেন তাঁদেরই মূলত এই বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে নর্টন।

অনুপ্রবেশকারী গ্রাহকের সংরক্ষিত পাসওয়ার্ডের তথ্যও পেয়েছে -এমন শঙ্কার কথা উড়িয়ে দিচ্ছে না কোম্পানিটি। জেন ডিজিটাল আরও জানায়, প্রায় ৬ হাজার ৪৫০ জন অ্যাকাউন্ট হারানো গ্রাহকের কাছে বিজ্ঞপ্তিটি পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নাম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্টে প্রবেশের সময় অননুমোদিত এক তৃতীয় পক্ষ ব্যবহারকারীর প্রথম নাম, পদবি, ফোন নম্বর ও ই-মেইল ঠিকানা দেখে ফেলেছে।

এই ধরনের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে গ্রাহকদের ‘টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ ব্যবস্থা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে নর্টন। ফলে, শুধু পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না হ্যাকার।

কোম্পানিটির নিজস্ব অনুসন্ধান অনুযায়ী, ১ ডিসেম্বর থেকেই অ্যাকাউন্টের তথ্য চুরির কাজ শুরু করেছিল হ্যাকার। আর ১২ ডিসেম্বর নাগাদ কোম্পানি নিজস্ব সিস্টেমে গ্রাহকদের ‘ব্যর্থ লগইনের’ বিশাল অংশ শনাক্ত করে।

Continue Reading

Highlights

নারীরা বিয়ের পর গুগলে যেসব বিষয় সার্চ করেন

Published

on

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের ব্যবহারকারী রয়েছে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই। যখন যা জানার ইচ্ছে হয় গুগলে সার্চ করেই জেনে নিতে পারছেন। মনের যত জিজ্ঞাসা এখন আর বই পুস্তক ঘাঁটাঘাঁটি করে খুঁজে বের করতে হয় না। কয়েকটি শব্দ টাইপ করে গুগল থেকেই জেনে নেওয়া যায় সবকিছু। রান্নার রেসিপি থেকে শুরু করে মহাকাশের নানান বিষয় জানা যায় গুগলের মাধ্যমেই। সপ্রতি গুগলের সার্চের তালিকায় আছে বেশ কিছু মজার তথ্য। নারীরা বিশেষ করে সদ্য বিবাহিত নারীরা গুগলে সার্চ করেন বিভিন্ন বিষয়। সবচেয়ে বেশি গুগলে তারা যা জানতে চান তার পাঁচটি বিষয়ের কথা জানিয়েছে গুগল। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিয়ের পর নারীরা গুগলের কাছে সবচেয়ে বেশি কি জানতে চান-

স্বামীর কাছে নিজেকে কীভাবে আরও আকর্ষণীয় করা যায়
অধিকাংশ বিবাহিত নারীরা গুগলে এই বিষয়টি সার্চ করেন। বিবাহিত নারীরা স্বামীর কাছে খুব আকর্ষণীয় দেখাতে চান। সমীক্ষা দেখায় যে বিবাহিত নারীরা তাদের স্বামীর কাছে কীভাবে আকর্ষণীয় দেখাবে তার জন্য গুগলে অনুসন্ধান করার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

স্বামীর মন জয় করার উপায়
বিয়ের পর নতুন একজন মানুষের সঙ্গে থাকা এবং তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার একটি ব্যাপার থাকে। তাই স্বামীর মন জয় করে সুখে শান্তিতে সংসার করতে সুগলের সাহায্য নেন নারীরা। অধিকাংশ নারী গুগলে সার্চ করছেন বিয়ের পর কীভাবে স্বামীর মন জয় করা যায়। স্বামীর সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নেওয়া যায়, কীভাবে তাকে মুগ্ধ করা যায়।

স্বামীর পছন্দ-অপছন্দ
প্রত্যেক নববধূর তার স্বামীর পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে চিন্তিত থাকেন। এজন্য গুগলে সার্চ করেন স্বামীরা কি খেতে পছন্দ করেন, কি করতে পছন্দ করেন ইত্যাদি।

শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের প্রশংসা পাওয়া যায় কীভাবে
এটা স্পষ্ট যে বেশিরভাগ বিবাহিত মেয়েরা কীভাবে শ্বশুরবাড়িতে পা রাখার পর শ্বশুরবাড়ির মন জয় করা যায় তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন। পরিবারের সদস্যরা সবাই পছন্দ করে এমন কোন খাবার তৈরি করা যায়। কিংবা শাশুড়ির সেবা করা যায় কীভাবে। তাদের মন জয় করে মিশেমিশে থাকার উপায়।

পারিবারিক দায়িত্ব
সদ্য বিবাহিত নারীরা জানার চেষ্টা করেন, কীভাবে আপনার পরিবারের দায়িত্ব পালন করবেন। এমনকি বিয়ের পর কীভাবে নিজের ব্যবসা চালানো উচিত কিংবা পরিবার কীভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে সাহায্য ও সহযোগিতা করতে পারে এসব বিষয় জানার জন্যও গুগলে সার্চ করেন নারী।

সূত্র: পিপা নিউজ

Continue Reading

Highlights

ক্রোম ব্রাউজার নিয়ে গুগলের নতুন ঘোষণা

Published

on

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
নতুন বছরের শুরুতেই পুরোনো উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য এলো দুঃসংবাদ। উইন্ডোজ ৭, উইন্ডোজ ৮ এবং উইন্ডোজ ৮.১ ব্যবহৃত কম্পিউটারে ক্রোম ব্রাউজারের সাপোর্ট বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে গুগল। ‘ক্রোম ১০৯’ হলো সর্বশেষ ভার্সন, যেটি পুরোনো এই অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে ব্যবহার করা যাবে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে ‘ক্রোম ১১০’ রিলিজ করবে গুগল।

ক্রোম ব্রাউজারের নতুন এই ভার্সন ব্যবহার করতে চাইলে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটারে অবশ্যই উইন্ডোজ ১০ বা তার উন্নতমানের অপারেটিং সিস্টেম থাকতে হবে। গুগলের অফিসিয়াল সাপোর্ট পেজে বলা হয়েছে, ‘উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮/৮.১ সাপোর্ট করবে এমন গুগল ক্রোমের শেষ ভার্সন হলো গুগল ক্রোম ১০৯। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে রিলিজ হতে যাওয়া ক্রোম ১১০ ব্যবহার করার জন্য ডিভাইসটি অবশ্যই উইন্ডোজ ১০ বা উইন্ডোজ ১১ চালিত হতে হবে।’

গুগলের এই সিদ্ধান্ত একেবারে যে অপ্রত্যাশিত, তা কিন্তু নয়। কেননা আগামী ১০ জানুয়ারি ২০২৩ থেকেই উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮.১ এর এক্সটেন্ডেড সাপোর্ট বন্ধ করে দেবে মাইক্রোসফট। আর তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই পুরোনো উইন্ডোজ চালিত কম্পিউটারগুলোতে ক্রোমের সাপোর্ট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গুগলের। তবে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে, ক্রোম ১১০ ভার্সন রিলিজ হওয়ার পরে উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮/৮.১ চালিত কম্পিউটারে ক্রোম ব্রাউজার আর কাজই করবে না। ক্রোম ১০৯ দিয়ে কাজ ঠিকই করা যাবে কিন্তু তাতে নতুন আপডেট ও নিরাপত্তা আপডেট দেবে না গুগল।

ফলে উইন্ডোজ ৭/৮/৮.১ অপারেটিং সিস্টেম চালিত ডিভাইস ব্যবহার করা চালিয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে ব্যবহারকারীদের। ক্রোমের আপডেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে সিকিউরিটি সংক্রান্ত প্যাচ যোগ করা হয়। সাইবার নিরাপত্তার জন্য যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপডেট বন্ধ হয়ে গেল স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখা দেবে।

তার ওপর মাইক্রোসফটও তাদের সাপোর্ট তুলে নেওয়ায় ম্যালওয়্যার এবং ভাইরাসের হানার ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে ব্যবহারকারীদের। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে উইন্ডোজ ১০ বা উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমে আপডেট হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

Continue Reading

Trending