টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
২০০৮ সালে বাংলাদেশই প্রথম ‘ডিজিটাল’ শব্দটি ব্যবহার করেছে। আমাদের ছেলেরাই বিশ্ব প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ জিতেছে।
গত ১৪ জুলাই রাতে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) আয়োজিত ‘ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন অব ব্লকচেইন’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।
প্রযুক্তিতে নিজেদের সমৃদ্ধি এবং প্রাত্যহিক জীবনে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারলে অধিক জনসংখ্যার এই দেশ একদিন পৃথিবীর ধনী দেশগুলোর মধ্যে অন্তভ‚র্ক্ত হবে।
ওয়েবিনারের বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন অন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্সের (উইটসা) মহাসচিব জেমস পয়সান্ট। তিনি ব্লকচেইন প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অগ্রগতির ভ‚য়সী প্রশংসা করেন। ব্লকচেইনের উপর সেমিনার আয়োজন করার জন্য তিনি বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল্ল মুনীর। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রযুক্তি মানুষকে প্রতিদিন জীবন বদলে দেয়ার চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির এখন কোন নির্দিষ্ট ক্ষেত্র নেই। আমাদের প্রতিটি কাজেই আমরা প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছি। স্মার্টফোনে রয়েছে এখন মিলিয়নের বেশি অ্যাপস। মুঠোফোনেই বাসা বা অফিসের কঠিন কাজগুলো সমাধান হচ্ছে।
ওয়েবিনারে মডারেটর ছিলেন বিসিএস এর উপদেষ্টা শাফকাত হায়দার। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর প্রভাব আমাদের জীবনকে হঠাৎ করেই বদলে দিয়েছে। এই বদলে যাওয়ার মধ্যেই যে বিষয়টির উপর আমরা অতি নির্ভরশীল হয়ে ওঠেছি সেটা প্রযুক্তি। সুসংবাদের বিষয়টি হলো বাংলাদেশেও ব্লকচেইন নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। আজ যারা এখানে ব্লকচেইন নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন তারা পৃথিবী জুড়ে ব্লকচেইন নিয়ে কাজ করছেন।’
ব্লকচেইন সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের হায়দ্রাবাদ থেকে আইবিএম এর গেøাবাল এক্সিকিউটিভ চেইন হিরন শাহ, আইবিএম হাইব্রিড ক্লাউড ইন্টিগ্রেশনের চ্যানেল অ্যান্ড অ্যালাইয়েন্স বিভাগের এশিয়া প্যাসিফিক প্রধান ম্যাট কাডাউর এবং দ্য কম্পিউটার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতিক-ই-রব্বানি, এফসিএ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৫০০ এর বেশি প্রযুক্তিপ্রেমী সেমিনারটি উপভোগ করেন।