Highlights

ফ্রিল্যান্সারদের স্বীকৃতির বিষয়ে যে নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

Published

on

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কাজ করা ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে ভাবতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, তারা স্মার্ট, ভালো আয় করেন, কিন্তু পেশার স্বীকৃতি না থাকায় বিয়ে করতে সমস্যা হয় তাদের।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশনা দেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। একনেক সভা শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১১টি)’ প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ফ্রিল্যান্সারদের সমস্যার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

অনুমোদিত এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ৭৯৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে সরকারের অর্থায়নে এ প্রকল্পে বাস্তবায়ন করা হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে আইটি সেক্টরের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ আরেক কদম এগিয়ে যাবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

এই প্রকল্পসহ আজকের সভায় ২ হাজার ৫৭০ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ের পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। তার মধ্যে সরকার দেবে এক হাজার ৪৮৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল ৮২ কোটি ৬০ লাখ এবং বৈদেশিক উৎস্য থেকে পাওয়া যাবে ১ হাজার ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা। বিদেশি অর্থের মধ্যে ৮৮৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ঋণ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন অনুদান হিসেবে দেবে ১১৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আইসিটি খাতে সরকার ইতোমধ্যে ভালো কাজ করেছে। ভালো আয় হচ্ছে। অনেকে বাসায় থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করেন। আজকে একজন মন্ত্রী বললেন, নর্থ বেঙ্গলের কোন ছেলে নাকি এক কোটির বেশি টাকা আয় করেছে।’

পরিকল্পনামন্ত্রীর ভাষ্য, একনেক সভায় ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী ইন্টারেস্টিং একটা ঘটনা বললেন। প্রধানমন্ত্রী বললেন, তারা (ফ্রিল্যান্সার) এত ভালো কাজ করে, স্মার্ট, সুন্দর কাপড় পরে, কিন্তু বিয়ে করতে গিয়ে অসুবিধা হয়। শ্বশুরবাড়ি থেকে বলে, কী কাজ করো? তারা বলে, ফ্রিল্যান্সিং করি। তারা না কেরানি, না অফিসার, না পুলিশ। অথচ তারা কেরানি, অফিসারের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি আয় করে। কিন্তু বিয়ে করতে পারছে না।

এটা দূর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী সবাইকে উপায় খোঁজার নির্দেশনা দিয়েছেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রাধানমন্ত্রী সবাইকে বলেছেন, আপনারা চিন্তাভাবনা করেন। তারা এই যে কাজ করছে, এর সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি কীভাবে দেয়া যায় তার উপায় বের করেন। রেজিস্ট্রেশন পেতে পারে কি না, সদস্য হতে পারে কি না বা সার্টিফিকেট কেউ দিতে পারে কি না।’

আজকের সভায় অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও ভ্রূণ স্থানান্তর প্রযুক্তি বাস্তবায়ন (তৃতীয় পর্যায়) (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প ও ‘মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন’ প্রকল্প। এছাড়া বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ডিপিসিসির আওতাধীন এলাকায় উপকেন্দ্র নির্মাণ ও পুনর্বাসন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ক্যাপাসিটর ব্যাংক স্থাপন এবং স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থার প্রবর্তন’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ‘গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১১টি)’ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে এবারের একনেক সভায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version