Connect with us

Highlights

পেগাসাস কেলেঙ্কারি: দৃশ্যপটে ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা বাহিনী

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
সাম্প্রতিক পেগাসাস কেলেঙ্কারির ঘটনায় স্পাইওয়্যারটির সঙ্গে সঙ্গে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপ-ও চলে এসেছে আলোচনায়। আর এই প্রতিষ্ঠানটির ইতিহাস ও কার্যক্রম খুঁজতে গেলেই বারবার চলে আসছে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর নাম।

পেগাসাস নিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ড সাম্প্রতিক হলেও, গত এক দশকে এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির ও কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলোকে মানবাধিকার লঙ্ঘনে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। পেগাসাস সফটওয়্যারটির উপর সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা নজর রাখছেন ২০১৬ সাল থেকে। বারবার সংশ্লিষ্টতার প্রসঙ্গ উঠে আসায় ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা বাহিনী প্রতিষ্ঠানটির ‘আঁতুরঘর’ কি না এমন সন্দেহও চলে আসছে।

এনএসও-র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মধ্যে অন্তত দু’জন ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর সাবেক সদস্য। ২০১০ সালে এনএসও প্রতিষ্ঠা করেন নিভ কারমি, ওমরি লাভিয়ে এবং শালেভ হুলিও। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট অনুযায়ী লাভিয়ে এবং হুলিও এখনও আছেন এনএসও-র পরিচালনা পর্ষদে। ২০১৬ সালের ২৫ আগস্ট ফোর্বসে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, লাভিয়ে ও হুলিও উভয়েই ইসরায়েলের ‘ইউনিট ৮২০০ সিগনালস ইন্টেলিজেন্স আর্ম’-এর সাবেক সদস্য। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, ইউনিট ৮২০০ ইসরায়েলের ‘ইন্টেলিজেন্স কোর’ এর একটি অংশ। সরাসরি ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘আইডিএফ ডিরেক্টরেট অফ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স-এর অধীনে কাজ করে এই বিভাগটি।

২০১৪ সালে আরেক ইসরায়েলি সার্ভেইলেন্স প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘সার্কলস’কে কিনে নেয় এনএসও গ্রুপ। বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে যে কোনো মোবাইল ফোনের লোকেশন চিহ্নিত করার প্রযুক্তি আছে প্রতিষ্ঠানটির হাতে। বিশ্বের অন্তত ২৫টি দেশ সার্কলস-এর ক্রেতা ছিলো বলে জানায় ফোর্বস। এর প্রতিষ্ঠাতা টিল ডিলিয়ানও একজন সাবেক আইডিএফ কমান্ডার। ফোর্বসের প্রতিবেদনে সরাসরি ‘ইসরায়েলি স্পাই টিম’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে সার্কলের মূল কাণ্ডারীদের। মূলত সাইপ্রাস ও বুলগেরিয়া থেকে নিজেদের ব্যবসা চালাতো সার্কলস। বিভিন্ন সময়ে সংবাদকর্মী, মানবাধিকারকর্মী ও সাইবার নিরাপত্তা গবেষকদের উপর নজরদারি চালানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটি বিরুদ্ধে। ২০১৫ সালে কানাডার সিটিজেন ল্যাবের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুলগেরিয়ায় সার্কলসের অফিস খোলা হয়েছিলো একটি ভুয়া ফোন কোম্পানির নামে।

বারবার সাইবার এসপিওনাজ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠায় ২০১৯ সালে সাইপ্রাস ও বুলগেরিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলো মানবাধিকার বিষয়ক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাকসেস নাও’। এনএসও-এর কর্মাকাণ্ডকে জবাবদিহিতার অধীনে আনার অনুরোধ করেছিলো প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু এনএসও-কে রপ্তানী লাইসেন্সই দেওয়া হয়নি বলে ব্যাখ্যা দেয় উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ।

দুই বছর আগে অস্বীকার করলেও চলতি বছরের ২০ জুন প্রকাশিত এক স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে তিনটি দেশ থেকে নিজেদের পণ্য রপ্তানী করার কথা বলেছে এনএসও। দেশ তিনটি হল, ইসরায়েল, বুলগেরিয়া ও সাইপ্রাস।

এ ছাড়াও, ২০১৬ সালে আইফোন হ্যাকিংয়ের অভিযোগ উঠেছিলো আরেক ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান সেলেব্রাইটের বিরুদ্ধে। ওই সময় এনএসও-র সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক সখ্যতার কথা স্বীকার করেছিলেন সেলেব্রাইটের এক কর্মী।

এনএসও-র নিজস্ব ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে ‘সাইবার ইন্টেলিজেন্স ফর গ্লোবাল সিকিউরিটি অ্যান্ড স্ট্যাবিলিটি’। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তদন্ত ও প্রতিরোধ করতে বিভিন্ন দেশের সরকারকে সহযোগিতা করার দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু ২০১২ সালের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে সংবাদকর্মী এবং মানবাধিকার কর্মীদের উপর নজরদারি চালাতে কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলো সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে এনএসও-র বিরুদ্ধে।

২০১২ সালে এনএসও-র সঙ্গে ২ কোটি ডলারের চুক্তি করে মেক্সিকো সরকার। পরবর্তীতে নিউ ইয়র্ক টাইমসের তদন্তে উঠে আসে এনএসও-র তৈরি পণ্য ব্যবহার করে দেশটির সংবাদকর্মী ও মানবাধিকার কর্মীদের উপর নজর রাখছে মেক্সিকো সরকার।

২০১৫ সালে পানামা সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে যায় এনএসও। পরবর্তীতে ইতালির এক প্রতিষ্ঠান থেকে গোপন ফাইল ফাঁস হয়ে গেলে পানামার দুর্নীতি বিরোধী তদন্তের বিষয়বস্তুতে পরিণত হয় ওই চুক্তি।

২০১৯ সাল পর্যন্ত সৌদি সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিলো প্রতিষ্ঠানটির। সাংবাদিক জামাল খাসোগজি হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠার পর সৌদি সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্থগিত করে এনএসও।

অন্যদিকে গার্ডিয়ানের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কাতালোনিয়া স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজনীতিকদের উপরে নজর রাখতে পেগাসাস ব্যবহার করেছে স্পেন সরকার।

২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে সিটিজেন ল্যাব এক প্রতিবেদনে জানায়, স্পাইওয়্যার সংক্রমণের কৌশল বদলে ফেলেছে এনএসও গ্রুপ। টেক্সট মেসেজ বা ইমেইলে ম্যালওয়্যার লিংক পাঠানোর বদলে, ‘জিরো-ক্লিক এক্সপ্লয়েট’ এবং নেটওয়ার্ক ভিত্তিক আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সমালোচক ও সংবাদকর্মীদের ফোনে আড়ি পাততে পেগাসাসের নতুন এই সংস্করণ ব্যবহার করেছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ২০টি দেশের ১৮০ জন সাংবাদিকের উপর নজরদারি চালানো হয়েছে এনএসও’র তৈরি পেগাসাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে।

সিটিজেন ল্যাব সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজি’র স্বজনদের ফোনে এনএসও-র পেগাসাস সংক্রমণের খবর জানিয়েছিল ২০১৮ সালের অক্টোবরে। খাসোগজির কাছের মানুষ ছিলেন সৌদি সরকারের কঠোর সমালোচক ওমর আবদুলআজিজ। তার ফোনে এনএসও-র পেগাসাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে নজর রাখা হচ্ছিল বলে নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠানটি। একই বছরের ডিসেম্বরে খাসোগজি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এনএসও-র পেগাসাসের পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

২০২০ সালে জুন মাসে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, মরোক্কোর সাংবাদিক ওমর রাদির উপর নজর রাখতে এনএসও-র তৈরি পেগাসাস সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে দেশটির সরকার। অন্তত তিনবার স্পাইওয়্যার আক্রমণ চালানো হয়েছে রাদির ফোনে। এর আগে ২০১৮ সালে সৌদি সরকার এনএসও গ্রুপের সহযোগিতা নিয়ে তাদের এক কর্মীর নজর রাখছিলো বলে অভিযোগ করেছিলো অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

শুধু অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নয়, এনএসও-র গুপ্তচরবৃত্তির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন কানাডার সিটিজেন ল্যাবের গবেষকরাও। তবে, ওই ঘটনার সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছিলো এনএসও। বছর ঘুরতে না ঘুরতে, ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারিতে এনএসও-র গুপ্তচর আহারন আলমগ-আসৌলিন’কে চিহ্নিত করে সিটিজেন ল্যাব। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে আলমগ-আসৌলিনও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একজন সাবেক সদস্য।

প্রতিবেদন: বিডিনিউজ।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক মিলবে টেলিটক সিমে

Published

on

কোথাও টেলিটকের নেটওয়ার্ক নেই কিংবা তা দূর্বল তখন ওই এলাকায় বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কথা বলাসহ সব ধরনের মোবাইল সেবা পাবেন টেলিটক গ্রাহকরা।

আবার এই একই সুবিধা মিলবে বাংলালিংকের গ্রাহকের ক্ষেত্রেও। তারা ব্যবহার করতে পারবেন টেলিটকের নেটওয়ার্ক।‘ন্যাশনাল রোমিং’ নামে এই সেবা দেশে চালু করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এই সেবা চালুতে সম্মতি দিয়েছেন।ইতোমধ্যে বিটিআরসি এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালুর অনুমতি দিয়েছে।এরআগে ন্যাশনাল রোমিংয়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও অবকাঠামো শেয়ারিংয়ে দুই অপারেটর নিজেদের মধ্যে চুক্তিও সেরেছে। তারা পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা চালু করে কারিগরিসহ বিভিন্ন বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছে।

বিটিআরসি বলছে, ন্যাশনাল রোমিং আন্তর্জাতিক রোমিং সেবার মতোই একটি বিষয়। এতে একটি মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকরা দেশের কোনো এলাকায় তাদের নেটওয়ার্ক না পেলে কিংবা নেটওয়ার্ক দূর্বল হলে আরেকটি মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সব রকম মোবাইল যোগাযোগ সেবা নেবেন।

বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বলছেন, ‘বাংলালিংক-টেলিটক এখনও এই সেবার টেস্ট অ্যান্ড ট্রায়াল করছে। গ্রাহকের জন্য যেটা ভালো, এরকম কিছু আমরা সবসময়ই করি। এটাই আমাদের কাজ।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘অনুমতি বা লিগ্যাল দিক যেটুকু আছে, সেটুকু আমরা ওকে করে দিয়েছি। এমন বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের মতামত নেই, তিনি আমাদের সম্মতি দিয়েছেন এটি চালু করার জন্য।’‘টেলিটকের কারিগরি কিছু সমস্যা আছে, সেগুলো সমাধান করে তারা অপারেশনে যাবে।’ বলছিলেন মন্ত্রী।

মোস্তাফা জব্বার জানান, ‘এই ডমিস্টিক রোমিংয়ে দুই অপারেটরের উইন-উইন সিচুয়েশন হবে। যার যতটুকু নেটওয়ার্ক আছে সেই বিনিফিট তো পাবেই, যেখানে নেটওয়ার্ক নাই সেখানেই বেনিফিট পাবে। সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে দুই অপারেটরের গ্রাহকরা।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এটা টেলিটকের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটা দূর্বল নেটওয়ার্কের অপারেটরকে সবল নেটওয়ার্কে পরিণত করার সুযোগ এসেছে।’বর্তমানে সাড়ে চৌদ্দ হাজারের মতো টাওয়ার আছে বাংলালিংকের। টেলিটকের আছে ৬ হাজারের মতো। এই উদ্যোগের ফলে টেলিটক বাংলালিংকের টাওয়ারগুলোর নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়ে সারাদেশে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক নিয়ে হাজির হতে পারবে। একইভাবে বাংলালিংকও টেলিটকের টাওয়ারে। বিশেষ করে যেখানে যেখানে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক নেই বা দূর্বল, যেমন-সুন্দরবন, পার্বত্য চট্টগ্রাম, হাওর এলাকাগুলোতে।

যেভাবে এই নেটওয়ার্ক শেয়ারিং :হোম নেটওয়ার্ক (গ্রাহকের সিম যে অপারেটরের) না থাকলে ডমিস্টিক বা ন্যাশনাল রোমিংয়ের মাধ্যমে ওই নেটওয়ার্কের বাইরে ভিজিটিং নেটওয়ার্ক (গ্রাহক বিকল্প হিসেবে যে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হবে) ব্যবহার করে সংযুক্ত থাকবে গ্রাহক। এজন্য ভিজিটিং নেটওয়ার্কের ফ্রিকোয়েন্সি, এন্টেনা, র‌্যান, কোর সুইচিং নোডসসহ নেটওয়ার্কের মূল অবকাঠামো ব্যবহার করতে হবে । এর মধ্য দিয়ে গ্রাহক নিজের সিমে নেটওয়ার্ক না থাকার পর আরেকটি অপারেটরের নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হয়ে কথা বা মোবাইল সেবা নিতে পারবেন।বাংলালিংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এরজন্য তাদের প্রযুক্তিগত কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। তারা সফলতার সঙ্গেই পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা চালু করতে পারছেন।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেলিটকের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলছেন, তারা পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা যাচাই-বাছাই করছেন। তবে প্রযুক্তিগত কিছু চ্যালেঞ্জ তাদের রয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ টেকনোলজি অফিসার সুমন আহমেদ সাবির জানান, এখানে প্রযুক্তিগত তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। বাড়তি হিসেবে রোমিংয়ের কিছু সফটওয়্যার প্রয়োজন হবে, যার জন্য বড় বিনিয়োগ লাগবে না।পরীক্ষামূলকে কী ঘটেছে ?দুই অপাারেটর নিজেদের মধ্যে ভয়েস কল, এসএমএস, ইউএসএসডি সেবার ইনকামিং-আউটগোয়িং পরীক্ষা করেছে। যেখানে টেলিটক নাম্বার হতে বাংলালিংক নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হওয়ার সফলতার হার তুলনামূলক বেশি। যেমন একটি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় ;টেলিটকের নাম্বার হতে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক দিয়ে আউটগোয়িং ভয়েস কলে বাংলালিংক, রবি, জিপি, পিএসটিএন (বিটিসিএল), আইপিটিএসপি, এমএনপি, শর্টকোড (৯৯৯, ৩৩৩, ১০৬০৬) এবং আন্তর্জাতিক নাম্বারে সফলভাবে কল করা গেছে। সেখানে শুধু বাংলালিংক রোমিং নাম্বারে একটি কল সফল হয়নি।একইভাবে আউটগোয়িং এসএমএস, ইউএসএসডির ক্ষেত্রে সব ধরণের নাম্বারেই সফল ফলাফল এসেছে।ইনকামিং ভয়েস কলে বাংলালিংক, রবি, জিপি, পিএসটিএন (বিটিসিএল), এমএনপি এবং আন্তর্জাতিক নাম্বার হতে টেলিটক নাম্বারে আসার ক্ষেত্রে সফলতার হার কম দেখা গেছে। এতে টেলিটক, বাংলালিংক, পিএসটিএন (বিটিসিএল), এমএনপি এবং আন্তর্জাতিক নাম্বার হতে কল সফল হয়নি। এখানে এসএমএসের ক্ষেত্রে শুধু বাংলালিংকের রোমিং নাম্বারে যায়নি।বাংলালিংকের নাম্বার হতে টেলিটকের নেটওয়ার্ক দিয়ে আউটগোয়িং ভয়েস কলে বাংলালিংক, রবি, জিপি, পিএসটিএন (বিটিসিএল), আইপিটিএসপি, এমএনপি এবং শর্টকোড (৯৯৯, ৩৩৩, ১০৬০৬) নাম্বারে সফলভাবে কল করা গেছে। সেখানে শুধু টেলিটক রোমিং নাম্বারে একটি কল সফল হয়নি।

একইভাবে আউটগোয়িং এসএমএস, ইউএসএসডির ক্ষেত্রে একটি ছাড়া সব ধরণের নাম্বারেই অসফল ফলাফল এসেছে। সফল হওয়া একটি ইউএসএসডি নাম্বার হলো *১২১* ।ইনকামিং ভয়েস কলে বাংলালিংক, টেলিটক, টেলিটক রোমিং, রবি ও জিপি নাম্বার হতে বাংলালিংক নাম্বারে আসার ক্ষেত্রে সবগুলো চেষ্টাই অসফল হয়েছে। এখানে এসএমএসের ক্ষেত্রে বাংলালিংক, টেলিটক, টেলিটক রোমিং এবং জিপি নাম্বার হতে চেষ্টা করা হলে টেলিটক রোমিংয়ে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে ।

নীতিগত যা কিছু :ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ারিং গাইড লাইন-২০১১ এর ২.১ অনুযায়ী র‌্যান এবং কোর সুইচ শেয়ার অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ার। ন্যাশনাল রোমিংয়ে দেখা যাচ্ছে অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ার হচ্ছে। গাইডলাইনের ৩.১ অনুযায়ী অপারেটরগুলো শুধু প্যাসিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ার করতে পারবে।বিটিআরসি বলছে, অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ারিংয়ের গাইডলাইনের খসড়া সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। সেখানে এই অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ারের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।গ্রাহক পর্যায়ে কলরেট বা অন্য সেবার খরচ বাড়বে কিনা এমন জিজ্ঞাসায় বাংলালিংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, গ্রাহকের খরচ বাড়ুক এটা তারা চান না। দুই অপারেটর নিজেদের মধ্যে এই নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ের বাণিজ্যিক চুক্তি করবে, সেখানে কে কাকে কোথায় কত চার্জ সেটা আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক হতে পারে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বলছেন, ‘অপারেটর দুটি তাদের পরীক্ষামূলক সেবা চালুর প্রতিবেদন জমা দেয়নি। পরীক্ষার রিপোর্ট আমাদের দিক। এরপর আরও ওয়ার্কআউট করার রয়েছে, ট্যারিফের মতো বিষয় এখানে আছে।’

Continue Reading

Gadgets

রিয়েলমির নতুন ফোনে ২৪০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার

Published

on

চীনের হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রিয়েলমি এই প্রথম ২৪০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জারের ফোন আনছে। ফোনটির মডেল রিয়েলমি জিটি ৫।

নতুন ডিভাইসকে রিয়েলমি বলছে কিং অব অ্যানড্রয়েড স্মার্টফোন। কেননা, সাশ্রয়ী দামের এই ফোনে থাকছে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ক্যামেরা এবং বিপুল স্টোরেজ। এক ফোনেই ইউজারদের সমস্ত চাহিদা মেটাতে চলেছে রিয়েলমি। ফোনটিতে পাঞ্চ হোল ডিজাইনের ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে।

৬.৭৪ ইঞ্চি ডিসপ্লের এই ফোনে ১.৫ কে রেজুলেশন মিলবে। এর অ্যামোলিড প্যানেলে ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশ রেট পাওয়া যাবে।

এই ফোনে প্রসেসর থাকছে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেনারেশন ২ চিপসেট। ইন্টারনাল স্টোরেজ থাকছে ১ টেরাবাইট। র‌্যাম মিলবে ২৪ জিবি।

অ্যানড্রয়েড ১৩ অপারেটিং সিস্টেম চালিত এই ফোন কেনা যাবে দুইটি ব্যাটারি ভার্সনে। একটি পাওয়া যাবে ৪৬০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ার ব্যাটারি এবং ২৪০ ওয়াটের সুপারভোক ফাস্ট চার্জারে। অন্যটি কেনা যাবে ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ১৫০ ফাস্ট চার্জারেরর সঙ্গে। যা দুরন্ত গতিতে ব্যাটারিকে ০ থেকে ১০০ শতাংশ চার্জ করতে পারবে।

ফটোগ্রাফির জন্যও এতে রয়েছে বিশেষ আয়োজন, তিনটি ক্যামেরা সঙ্গে এলইডি ফ্ল্যাশ পাবেন এতে। ব্যাক প্যানেলে মূল সেন্সর হিসাবে ৫০ মেগাপিক্সেল লেন্স সঙ্গে ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স এবং ২ মেগাপিক্সেল সেন্সর পাওয়া যাবে এতে। ফোনের ফ্রন্টে সেলফি ও ভিডিও কলের জন্য মিলবে ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।

কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে থাকছে ৫জি, ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট। পাওয়া যাবে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।

ভারতীয় মুদ্রায় এই হ্যান্ডসেটের সম্ভাব্য দাম ৫৩ হাজার ৫০০ রুপি থেকে শুরু।

Continue Reading

Highlights

বাংলাদেশসহ ৪ দেশে অ্যান্ড্রয়েডে চ্যাটজিপিটি

Published

on

শুধু বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে চালু হয়েছে চ্যাটজিপিটির অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন। এ চারটি দেশে বসবাস করা যে কেউ এখন থেকে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করে ওপেনএআই-এর আলোচিত এ সেবাটি গ্রহণ করতে পারবেন। এর ফলে যেসব ব্যবহারকারীদের এতদিন কম্পিউটার কিংবা ওয়েবে যারা এ সেবাটি ব্যবহার করেছেন, একই অ্যাকাউন্ট মোবাইলেও চালু করতে পারবে। ফলে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে অতীতের সব কথোপকথনও অ্যাপের মধ্যে পাওয়া যাবে।

খবরে বলা হয়েছে, এ চারটি দেশের বাইরে অন্য কোনো দেশের মানুষ গুগল প্লে-তে গিয়ে অ্যাপটির জন্য প্রি-অর্ডার করতে পারবেন। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই খুব শিগ্গির আরও কয়েকটি দেশে এই সেবাটি চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই একযোগে নতুন কয়েকটি দেশে চ্যাটজিপিটির অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে কাজ করবে।

এ ছাড়া যারা আইফোন ব্যবহার করেন তাদের মোবাইলের আইওএস-এ অফিশিয়াল চ্যাটজিপিটি অ্যাপটি পাওয়া যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম্পিউটার বা ওয়েবে চ্যাটজিপিটি যেভাবে সব প্রশ্নের জবাব দেয় মোবাইলের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না। তবে মোবাইলের জন্য এর আলাদা ইন্টারফেস ডিজাইন করা হয়েছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের যে কোনো প্রশ্নের তাৎক্ষণিক উত্তর দিতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, যে কোনো বিষয়ে পরামর্শসহ এটি নানা ধরনের টিপসও দিয়ে থাকে এই সেবাটি। ২০২২ সালের নভেম্বরে এ সেবাটি চালু করা হয়।

Source : বাংলাদেশসহ ৪ দেশে অ্যান্ড্রয়েডে চ্যাটজিপিটি

 

Continue Reading

Trending