Highlights

নতুন চিপ আনলেও সংকটের আশঙ্কা ইন্টেলের

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টরের যে সংকট তৈরি হয়েছে তা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে কয়েক বছর লাগতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইন্টেল করপোরেশন।

এ সংকটের কারণে বিশ্বের গাড়ি উৎপাদন শিল্পে স্থবিরতা বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে গ্রাহক পর্যায়ে যেসব ইলেকট্রনিকস পণ্য রয়েছে সেগুলোর উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। সম্প্রতি বাজারে ১১ প্রজন্মের ইউ সিরিজের চিপ এনেছে এ প্রতিষ্ঠান। খবর রয়টার্স।

তাইপে আয়োজিত একটি অনলাইন কম্পিউটেক্স ট্রেড শোতে প্যাট গেলসিঙ্গার বলেন, ঘরে থেকে পড়াশোনা ও কাজ করার চর্চা বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টরের বিপুল চাহিদার সৃষ্টি করেছে। এ চাহিদাই উৎপাদন খাতে চাপ প্রয়োগ করছে।

এ সংকট নিরসনে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করলেও চিপ উৎপাদন কেন্দ্রের স্বল্পতা এবং এটি উৎপাদনে বিভিন্ন স্তরে যেসব উপাদান প্রয়োজন সেগুলো সম্পন্ন করতে আরো কয়েক বছর সময় লাগবে।

চলতি বছরের মার্চে নিজেদের চিপ উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ২ হাজার কোটি ডলার প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যার অংশ হিসেবে অ্যারিজোনায় দুটি কারখানা স্থাপন করা হবে।

এ ব্যাপারে গেলসিঙ্গার বলেন, বিশ্বে আরো টেকসই এবং নিরাপদভাবে চিপ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অন্যান্য অঞ্চলে উৎপাদন ক্ষেত্রের পরিধি বিস্তৃত করতে কাজ করছি।

ইন্টেলের এ পরিকল্পনা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দুটি সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন প্রতিষ্ঠানকে প্রতিযোগিতায় নিয়ে আসবে। প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছে তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড ও দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং ইলেকট্রনিকস কোম্পানি লিমিটেড। এ দুটি প্রতিষ্ঠান সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন খাতে নিজেদের শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে।

ব্যবহারকারীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে সম্প্রতি ইন্টেল ১১ প্রজন্মের ইউ সিরিজ চিপ বাজারে এনেছে। সরু ও পাতলা ল্যাপটপের জন্য এটি প্রথম ফাইভ গিগাহার্টজ গতি প্রদানে সক্ষম।

২০২১ সালের কম্পিউটেক্স অনলাইন সম্মেলনে পরবর্তী প্রজন্মের কম্পিউটার সেবার জন্য প্রতিষ্ঠানটি তাদের নতুন ফাইভজি প্রযুক্তির পণ্য উন্মোচন করে। যেটি ইন্টেল ফাইভজি সলিউশন ৫০০০ নামে পরিচিত। এটি তৈরির ব্যাপারে মিডিয়াটেক এবং ফিবোকমের সঙ্গে একত্রে কাজ করেছে ইন্টেল।

ইন্টেলের আইরিস এক্সই গ্রাফিকস সম্পন্ন নতুন মোবাইল ইউ সিরিজের এ দুটি প্রসেসর হলো কোর আইসেভেন ১১৯৫জি৭ এবং কোর আইফাইভ ১১৫৫জি৭। কোর আইসেভেন ১১৯৫জি৭ সবচেয়ে শক্তিশালী এবং এটি ৫ গিগাহার্টজ ক্লক স্পিড সম্পন্ন। ১১ প্রজন্মের নতুন এ মোবাইল চিপে চারটি কোর ও আটটি থ্রেড রয়েছে।

ইন্টেলের সহসভাপতি ও মবিলিটি ক্লায়েন্ট প্লাটফর্মের জেনারেল ম্যানেজার ক্রিস ওয়াকার বলেন, চিকন ও হালকা ওজনের উইন্ডোজ ল্যাপটপের জন্য আমরা বিশ্বের সেরা প্রসেসর গ্রহণ করেছি। সেই সঙ্গে ইন্টেল আইরিস এক্সই গ্রাফিকসের সমন্বয়ে আমাদের নতুন দুটি ১১ প্রজন্মের প্রসেসর কম্পিউটার সেবার মান আরো বৃদ্ধি করবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সহযোগী এবং ব্যবহারকারীরা যারা প্রতিদিন কম্পিউটার ব্যবহার করছেন, তাদের কাছে এর কার্যক্ষমতা ও এর যোগাযোগ সুবিধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সে বিষয়ে আমরা অবগত। এ সুবিধার ক্ষেত্রে নতুন সংযোজন হিসেবে আমরা বাজারে প্রথম ফাইভজি প্রযুক্তি সংবলিত কম্পিউটার সরবরাহ করতে যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version