Connect with us

Website

জেনে নিন ‘গুগল পে’র খুঁটিনাটি

Published

on

নিজস্ব প্রতিবেদক, টেক এক্সপ্রেস:
গুগল পে হচ্ছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক পেমেন্ট সেবা। যা পূর্বে অ্যান্ড্রয়েড পে নামে পরিচিত ছিল। এই পেমেন্ট সেবা ব্যবহার করে খুব সহজেই বিভিন্ন জায়গায় পেমেন্ট করা সম্ভব হয়। এনএফসি চিপ রয়েছে এবং অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪ কিটক্যাট বা তার উপরে এমন সকল ডিভাইসে এটি কাজ করতে সক্ষম।

সকলেই জানি গুগল কিভাবে কোটি কোটি ডলার আয় করে থাকে। গুগলের অধিকাংশ সেবাই থাকে ফ্রি আর এটাই গুগলের ইনকামের মূল জায়গা। ভাবছেন কিভাবে? তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়লে জানতে পারবেন কিভাবে।

গোটা বিশ্ব জুড়ে লক্ষ লক্ষ মার্চেন্ট এই পেমেন্ট মেথড সাপোর্ট করে। মূলত পেমেন্ট প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করতে টেক জায়ান্ট গুগল এটি তৈরি করেছে। প্রতিনিয়ত অ্যাপটিতে নতুন নতুন ফিচার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা যোগ হয়ে চলেছে। যা একে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে আরও বেশি নির্ভরযোগ্য করে তুলেছে।

যেভাবে ব্যবহার করবেন :

গুগলের এই পেমেন্ট সিস্টেম তার ব্যবহারকারীদের পূর্বের পেমেন্ট করার অভ্যাস এবং ধারণা দুটোকেই বদলে দিয়েছে। মুভি টিকেট কিংবা নতুন গাড়ী ক্রয় করা, ইত্যাদি যে কোন ক্ষেত্রেই এটি দ্বারা পেমেন্ট করা সম্ভব। সবচেয়ে মজার ব্যাপারটি হলো এটি যারা ব্যবহার করেন, তাদের ফোনই তাদের কাছে একটি ব্যক্তিগত ব্যাংকিং সিস্টেমে পরিণত হয়।

যেভাবে কাজ করে:

এটি দ্রুত সময়ে সাবলিলভাবে লক্ষাধিক প্লাটফর্মে পেমেন্ট করার সবচেয়ে সহজ একটি প্রক্রিয়া। এটির দ্বারা পেমেন্ট করার জন্য আপনাকে এটির সাথে আপনার ক্রেডিট কার্ড সংযুক্ত করতে হবে। কার্ড সংযুক্ত করার পর এটি দ্বারা আপনি-

বিভিন্ন দোকানে পণ্য ক্রয়ের জন্য বা ভ্রমণ সংক্রান্ত টিকেট ক্রয়ের জন্য এটি ব্যবহার করতে পারবেন।

বিভিন্ন অ্যাপ এবং ওয়েবাসাইটে গুগল পে ব্যবহার করে পেমেন্ট দিতে পারবেন।

পরিবার, বন্ধু-বান্ধব বা পরিচিত মানুষদের নিকট টাকা পাঠাতে পারবেন। যদিও এই মুহুর্তে এই সুবিধাটি শুধুমাত্র আমেরিকা এবং ইন্ডিয়ার জন্য প্রযোজ্য রয়েছে। তবে খুব দ্রুতই অন্যান্য দেশেও এই সুবিধা চালু করবে গুগল।

সেটআপ প্রক্রিয়া:

অ্যাপটির ইনস্টল ও সেটআপ করা খুবই সোজা। মোবাইল যারা খুব ভালোভাবে চালাতে পারেন না তারাও এটিকে কোন ধরনের বাধা ছাড়াই সেটআপ করে ফেলতে পারবেন। এটি এত বেশি পরিমাণে ইউজার ফ্রেন্ডলি যে, যেকোন বয়সের মানুষই এটিকে ব্যবহার করতে পারেন সাবলীলভাবে। এটি সেটআপ করার জন্য আপনাকে-

প্রথমে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড ইউজার হন, তবে গুগল প্লে ষ্টোর আর যদি আইফোন ইউজার হন, তাহলে অ্যাপল অ্যাপ ষ্টোর থেকে এটি ডাউনলোড করে ইনষ্টল করে নিতে পারবেন।

ইনষ্টল হয়ে যাওয়ার পর আপনাকে আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে সাইন ইন করতে হবে। যদিও আমার মনে হয় না এই মুহুর্তে এমন মোবাইল ব্যবহারকারী রয়েছেন যার একটি গুগল অ্যাকাউন্ট নেই। তারপরেও যদি কারো না থাকে, তাহলে নতুন একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে।

অনলাইন পেমেন্ট করার পাশাপাপাশি আপনি যদি লোকাল শপগুলিতেও পেমেন্ট করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার ফোনে এনএফসি চিপ থাকতে হবে।

ব্যাস হয়ে গেলো সেটআপ প্রক্রিয়া। এখন আপনি গুগল পে ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত।

অর্থের উৎস:

আমরা বাংলাদেশে যারা বিকাশ ব্যবহার করি, তারা অনেকেই জানেন যে বিকাশের মাধ্যমে টাকা খরচের জন্য বা টাকা পাঠানোর জন্য প্রথমে সেই টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে ক্যাশ ইন করতে হয়। পরবর্তীতে বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে বা ইউএসডিডি কোড ডায়াল করে টাকা লেনদেন করা যায়।

তবে গুগল পে সিস্টেমটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এর মাধ্যমে পেমেন্ট করার জন্য আলাদাভাবে আপনাকে কোন টাকা লোড করতে হয় না। আপনি স্বাভাবিকভাবে আপনার ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড এর সাথে সংযুক্ত করে পেমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা:

যেকারও মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে যেহেতু এই অ্যাপে আপনার ক্রেডিট কার্ড সংযুক্ত করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আপনার অর্থের নিরাপত্তা কতটুকু? প্রশ্ন অযৌক্তিক নয়।

তবে আপনি যেনে খুশি হবেন যে গুগলের এই অ্যাপ আপনার তথ্যকে মাল্টিলেয়ার সিকিউরিটি সিস্টেম এর মাধ্যমে নিরাপত্তা প্রদান করে। আপনার অর্থকে নিরাপদে রাখতে পৃথিবীর সবচাইতে অত্যাধুনিক নিরাপত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার এই অ্যাপটিতে করা হয়েছে। যখন আপনি কোথাও পেমেন্ট করেন, তখন গুগল কখনওই সেখানে আপনার কার্ডের প্রকৃত নাম্বার দেখায় না, যার কারণে আপনার তথ্যটি গোপন ও নিরাপদ থাকে।

এবার প্রশ্ন হচ্ছে, ফোন হারিয়ে গেলে কি হবে? ভাবার কোন কারণ নেই আপনার ফোন যদি হারিয়েও যায়, তবুও আপনার অর্থ সুরক্ষিত থাকবে। কারণ, গুগল পে ব্যবহার করার জন্য প্রতিবারই স্ক্রীন লক আনলক করতে হয় অর্থাৎ ফোনটি যদি কেউ চুরি করে বা আপনি ভুলে কোথাও ফেলে যান, তাহলেও অন্য কেউ সেটি ব্যবহার করতে পারবে না।

এছাড়া আপনি পৃথিবীর যে কোন স্থান থেকে আপনার গুগল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করে আপনার ডিভাইস থেকে ওই অ্যাকাউন্টটি মুছে ফেলতে পারবেন যে কোন সময়ে।

আমেরিকাতে এক হাজারেরও বেশি ব্যাংক গুগল পে সমর্থণ করে। যার মধ্যে ব্যাংক অব আমেরিকা, চেজ এবং সিটি ব্যাংকের মত স্বনামধন্য ব্যাংকও রয়েছে।

আমেরিকার পাশাপাশি বর্তমানে আরও ২৭ টি দেশে গুগল পে এর কার্যক্রম চালু রয়েছে। এই মুহুর্তে বাংলাদেশ থেকে গুগল পে ব্যবহার করা সম্ভব না হলেও জানা গেছে গুগল তাদের পরিসেবাগুলো খুব দ্রুতই ছড়িয়ে দেয়। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে সাম্প্রতিক সময়ে এটি চালু হয়েছে। তাই এটি সহজেই অনুমেয় যে সেদিন খুব বেশি দুরে নয়, যেদিন আমরাও গুগল পে এর মাধ্যমে ক্যাশলেস ওয়ালেট ব্যবহার করতে পারবো।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

ওয়েবসাইটের ডিএনএস বিভ্রাট কি, কেন হয় এই বিভ্রাট?

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
হোস্টিং সেবাদানকারী আকামাই কোম্পানির কারিগরি বিভ্রাটের কারণে বিশ্বের বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স, ব্যাংক, সংবাদমাধ্যম এবং টেক কোম্পানির ওয়েবসাইট বৃহস্পতিবার সাময়িক জটিলতায় পড়ে। জটিলতায় পড়া ওয়েবসাইটগুলোতে এসময় ‘ডিএনএস সার্ভিস এরর’ নোটিস দেখানো হচ্ছিল।

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১০টার আগে আগে ওই সমস্যার শুরু হয়। ফলে প্রায় আধা ঘণ্টা এয়ারবিএনবি, ডেল্টা এয়ারলাইন্স, কস্টকো হোলসেল করপোরেশন, হোম ডিপো, আমেরিকান এক্সপ্রেসসহ জনপ্রিয় দুই ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো এবং ক্রিকবাজের ওয়েবসাইটে ঢোকা যায়নি। রয়টার্স।

পাঠকদের জন্য আমাদের আজকের আয়োজন ডিএনএস বা ডোমেইন নেম সিস্টেম বিভ্রাট নিয়ে। আগে জেনে নেওয়া যাক ডিএনএস কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে।

DNS (Domain Name System) কি?

ডোমেইন নেম সিস্টেম হল এমন একটি প্রযুক্তি যা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং ইন্টারনেটের অন্যান্য স্থানে সংযুক্ত করে। উদাহরণস্বরূপ আপনার মোবাইলের ফোন বুক এর এন্ট্রিকে ধরা যেতে পারে যেখানে আমরা প্রত্যেকটি নাম্বার এর স্থানে ব্যক্তি বিশেষের নাম দিয়ে শনাক্ত করে থাকি। একইভাবে ডিএনএস এর রেকর্ডগুলি পরীক্ষা করে এবং তারপরে আপনার কম্পিউটারকে ওয়েব সাইটটি কোথায় রয়েছে তা বলে। DNS (ডিএনএস) বিভিন্ন ধরণের অনুবাদক হিসাবেও কাজ করে। এটি মানব-পঠনযোগ্য ডোমেনগুলি নেয় (যেমন, www.techexpressbd.com) এবং এটি সাইটের আইপি ঠিকানার সাথে মেলানো হয় এবং ডোমেনের অবস্থান সনাক্ত করতে কম্পিউটারগুলিকে সহযোগিতা করে।

dns

ডিএনস (ডোমেইন নেম সিস্টেম) কিভাবে কাজ করে?

যেমন 192.168.0.197 একটি আইপি। এভাবে প্রত্তেকটি ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হলে আপনি তাদের আইপি লিখে সার্চ বক্সে সার্চ করলে সাইট পেয়ে যাবেন। কিন্তু সমস্যা হলো আইপি যেহেতু ডিজিট সেহেতু মনে রাখা কস্টকর। উপরের আইপিটি আইপি ভার্সন 4 কিন্তু আইপি ভার্সন 6 এর একটি আইপি 2401:f40:1008:35e:4500:973f:b6df:25cf দেখতে এমন। এবার ভাবুন সাইটের ডোমেইন না থেকে যদি এমন সব আইপি মুখস্ত করা লাগতো তাহলে কেমন ঝামেলা হত।

এ সমস্যা সমাধানের জন্য ডিএনএস ব্যবহার করা হয়। এটা একটা সার্ভার। যা একটা ডিকশেনারির মত কাজ করে। আপনি যখন google.com লিখে সার্চ করেন তখন এটি DNS এ যায়। তারপরে এর আইপি খুজে বের করে এবং গুগলের সার্ভার থেকে আপনার জন্য ডেটা নিয়ে আসে।

যেসব কারণে DNS (ডোমেইন নেম সিস্টেম) বিভ্রাট হতে পারে :

১. ডিএনএস ক্যাশ ডাটা পরিবর্তন:

ডিএনএসের বিষণ শেষ পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের ভুল ওয়েবসাইটে নিয়ে যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কোন ব্যবহারকারী একটি ওয়েব ব্রাউজারে “msn.com” লিখলো এবং তা আক্রমণকারীর দ্বারা নির্বাচিত একটি পৃষ্ঠা দ্বারা পরিবর্তন করা হল। যেহেতু ব্যবহারকারীরা সঠিক ডোমেন নাম টাইপ করছেন, সেহেতু তার পক্ষে বুঝতে পারা সম্ভব না যে সে ভুল ওয়েবসাইটটিতে ঢুকেছে। এটি আক্রমণকারীদের তথ্য পাচার সম্পর্কিত ফিশিং কৌশলগুলি ব্যবহার করার একটি নিখুঁত সুযোগ তৈরি করে। এছাড়াও ডিএনএসের বিষণ ক্যাশ আপোস এর মাধ্যমেও হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোন নেটওয়ার্ক রাউটারের ক্যাশে আপোস করা হয়, তবে যে কেউ এটি ব্যবহার করে প্রতারণামূলক ওয়েবসাইটের ভুল নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে। ভুল ডিএনএস রেকর্ডগুলি তখন প্রতিটি ব্যবহারকারীর মেশিনে ডিএনএস ক্যাশে অন্তর্ভুক্ত হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি বড় ডিএনএস সার্ভার আপোস করা যেতে পারে। এটি ইন্টারনেট সেবা সরবরাহকারীদের দ্বারা পরিচালিত ডিএনএস সার্ভারের ক্যাশেগুলিকে বিষাক্ত করতে পারে। যার প্রেক্ষিতে লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের ইন্টারনেট সেবা বিগ্নিত হতে পারে।

২. ডিএনএস Flood অ্যাটাক:

এটি ডিএনএস আক্রমণের অন্যতম প্রাথমিক ধরণ। এই ধরনের আক্রমনের ফলে ডিএনএস এর সেবা দেয়ার কার্যক্ষমতা কমে যায়। এই জাতীয় ডিএনএস বন্যার মূল লক্ষ্য হ’ল যাতে আপনার সার্ভারটি ওভারলোড করা যায় এবং এটি ডিএনএস এর অনুরোধগুলি সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে না পারে কারণ সার্ভার এর সমস্ত কার্যক্ষমতা অপ্রয়োজনীয় অনুরোধগুলি সেবা প্রদানে ব্যস্ত থাকে।

৩. ডিএনএস হাইজ্যাক আক্রমণ:

যদিও ডিএনএসের স্পোফিং শব্দটি প্রায়শই ডিএনএস হাইজ্যাকের সাথে বিভ্রান্ত হয় কারণ উভয়ই স্থানীয় সিস্টেম স্তরে ঘটে থাকে কিন্তু তারা দুটি ভিন্ন ধরণের ডিএনএস আক্রমণ। বেশিরভাগ সময় ডিএনএসের স্পোফিং বা ক্যাশে বিষক্রিয়ার মধ্যে আপনার স্থানীয় ডিএনএস ক্যাশে মানগুলি ভুয়া তথ্য দিয়ে ওভাররাইটিংয়ের সাথে করে পরিবর্তন করা হয়ে থাকে যাতে আপনাকে দূষিত ওয়েবসাইটে পুনঃনির্দেশ করা যায়। অন্যদিকে, ডিএনএস হাইজ্যাকিং (এটি ডিএনএস পুনঃনির্দেশ হিসাবেও পরিচিত) এই গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেম পরিষেবাটি হাইজ্যাক করার জন্য প্রায়শই ম্যালওয়্যার সংক্রমণ জড়িত। এই ক্ষেত্রে, স্থানীয় কম্পিউটারে হোস্ট করা ম্যালওয়্যারগুলি টিসিপি/আইপি কনফিগারেশনগুলিকে পরিবর্তন করতে পারে যাতে তারা কোন দূষিত ডিএনএস সার্ভারের দিকে নির্দেশ করতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত ট্র্যাফিকটিকে ফিশিং ওয়েবসাইটে পুনঃনির্দেশিত করবে। এটি যেকোন ডিএনএস আক্রমণ চালানোর অন্যতম সহজ উপায়, কারণ এতে জটিল কৌশল জড়িত না। তদুপরি, এই ধরণের আক্রমণ পরিচালনা করতে প্রচুর স্বয়ংক্রিয় স্ক্রিপ্ট রয়েছে।

Continue Reading

Highlights

ইরানের ৩৩ ওয়েবসাইট ‘বাজেয়াপ্ত’ করল আমেরিকা

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
ইরানের একাধিক ওয়েবসাইট ব্লক করে দিয়েছে আমেরিকা। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইরান। প্রাথমিকভাবে এই খবরের সত্যতা স্বীকার না করলেও পরে মার্কিন প্রশাসন বিষয়টি স্বীকার করে নেয়। ইরানের দাবি, মঙ্গলবার হঠাৎ ওয়েবসাইট ব্লক হয়ে যায়। পেজে ভেসে ওঠে ওয়েবসাইটটি সিজ। অর্থাৎ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

মার্কিন বিচার বিভাগ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সব মিলিয়ে ইরানের ৩৩টি ওয়েবসাইট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর ফলে ওই ওয়েবসাইটের কোনো তথ্য পাঠক দেখতে পাবেন না। প্রতিটি ওয়েবসাইটই কোনো না কোনো ভাবে ইরান প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত এবং তারা ভুল তথ্য প্রচার করছিল। ওয়েবসাইটগুলোর সঙ্গে চরমপন্থি ও জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ আছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ইরানিয়ান ইসলামিক রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন, কাতা-ইব-হিজবোল্লাহ পরিচালিত তিনটি ওয়েবসাইটও রয়েছে।এদিকে ব্লক হওয়ার পরে প্রতিটি ওয়েবসাইটেই এফবিআইয়ের লোগো দেখা যাচ্ছে। সেখানে বাজেয়াপ্ত হওয়ার কারণ লেখা নোটিসও টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে।

ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান ব্রডকাস্টিং আমেরিকার এই কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ সংস্থা ইরানের সমস্ত টেলিভিশন, রেডিও, ওয়েবসাইটের উপর নজর রাখে। বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, এ ঘটনার মাধ্যমে ইরানের বাকস্বাধীনতায় আমেরিকা হস্তক্ষেপ করেছে।

ইসরায়েল এবং সৌদি আরবের সাহায্য নিয়ে আমেরিকা একাধিক ওয়েবসাইট বন্ধ করেছে দাবি করে সংস্থাটি বলেছে, ওই ওয়েবসাইটগুলি মার্কিন অত্যাচার, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতো।

গত এক বছর ধরে আমেরিকার সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরেও তার উন্নতি হয়নি। বরং ইরানের পরমাণু সংক্রান্ত কার্যকলাপ ভালো চোখে দেখেননি বাইডেন। ইরানের উপর তিনিও চাপ বাড়িয়েছেন।

Continue Reading

Tech News

গুগল ক্রোমে যুক্ত হচ্ছে যেসব নতুন ফিচার

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার গুগল ক্রোম। বাজারে প্রচলিত ব্রাউজারগুলোর মধ্যে গুগল ক্রোমের মার্কেট শেয়ার ৬৫ শতাংশেরও বেশি। এ জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে ক্রোমে প্রতিনিয়ত নতুন সেবা যুক্ত করছে গুগল কর্তৃপক্ষ।

তারই ধারাবাহিকতায় ব্রাউজারটিতে এবার আরো কিছু সেবা যুক্ত হচ্ছে। ব্যবহারকারীদের নতুন অভিজ্ঞতা দিতে ক্রোম ব্রাউজারে বেশ কয়েকটি উন্নত সেবা যুক্ত করছে গুগল কর্তৃপক্ষ। এসব সেবার মধ্যে আছে হাইলাইটেড টেক্সট শেয়ারিং, পিডিএফ ফিচার, নোটিফিকেশন মিউট ইত্যাদি। কিছুদিনের মধ্যেই এসব সেবা গুগল ক্রোমে যুক্ত হবে।

হাইলাইটেড টেক্সট শেয়ারিং :

যেকোনো অনলাইন আর্টিকেলের সুনির্দিষ্ট একটি সেকশনে বন্ধু এবং সহকর্মীদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য গুগল ক্রোমের হাইলাইটেড টেক্সট শেয়ারিং ফিচার ব্যবহার করা যাবে। এজন্য যে টেক্সটটি শেয়ার করতে চান, সেটি সিলেক্ট করার পর মাউসে ডানপাশের বাটন ক্লিক করলে ‘কপি লিংক টু হাইলাইট’ অপশন আসবে।

এ অপশনে ক্লিক করার পরই সংশ্লিষ্ট সেকশনটি লিংক আকারে বন্ধু এবং সহকর্মীদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন। পরবর্তী সময়ে বন্ধু ও সহকর্মীরা লিঙ্কে ক্লিক করে অনলাইনের আর্টিকেলের ওই সেকশনটি দেখে নিতে পারবেন। শুরুতে শুধু ডেস্কটপ ও অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য এ ফিচার চালু হবে। পরবর্তী সময়ে আইওএস ব্যবহারকারীরাও এটি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।

উন্নত পিডিএফ ফিচার :

ক্রোম ব্রাউজারের পিডিএফ ফিচার আরো উন্নত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে গুগল। এবার ব্যবহারকারীরা ‘টু পেজ ভিউ’ নামের একটি ফিচার পাবেন। এ ফিচারের সাহায্যে একই উইন্ডোতে পাশাপাশি দুটি পেজ দেখার সুযোগ থাকবে। এছাড়া গুগল ক্রোমে যুক্ত করা হচ্ছে প্রেজেন্টেশন মোড, যার সাহায্যে নতুন অভিজ্ঞতা পাবেন ব্যবহারকারীরা।

মিউট নোটিফিকেশন :

গুগল ক্রোমের অন্যতম আকর্ষণীয় ফিচার হতে পারে মিউট নোটিফিকেশন ফিচারটি। স্ক্রিন শেয়ারিংয়ের সময় নোটিফিকেশনের পপআপ একই সঙ্গে বিরক্তিকর এবং বিব্রতকর হতে পারে। ক্রোমের নতুন ফিচার স্ক্রিন শেয়ারিংয়ের সময় সব ধরনের নোটিফিকেশন স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিউট করে দেবে এবং স্ক্রিন শেয়ারিং শেষ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবারো পুরনো অবস্থায় ফিরে যাবে। -গ্যাজেটস নাউ

Continue Reading

Trending