Highlights

ছবি চুরি করে বিজ্ঞাপন, ক্ষতির মুখে শিল্পী

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
ফেসবুকের ভুয়া বিজ্ঞাপন কেড়ে নিয়েছে এক শিল্পীর চোখের ঘুম। তার জীবনের সত্যিাকারের এক রূপথার গল্পে বাগড়া দিয়েছে দুস্কৃতিকারীরা।তার শিল্পকর্মের ছবি চুরি করে অন্যরা ব্যবসা করলেও তিনি কোনো অভিযোগ বা পদক্ষেপ নিতে পারেননি। আর ফেসবুকও ওই চোরদের বিরুদ্ধে কোনো কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। ফলে তিনি ব্যবসায়িকভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

তারের সাহায্যে পরী ও ফুলের আকর্ষণীয় ভাস্কর্য তৈরি করেন রবিন উইট। অনলাইনে তার সেসব ভাস্কর্যের ছবি ছড়িয়ে পড়ে। লাখ লাখ মানুষ সেইসব ভাস্কর্য দেখে মুগ্ধ হন। কিন্তু তিনি লক্ষ্য করেছেন, তার শিল্পকর্মের তোলা ছবিগুলো ফেসবুকে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ পেয়েছে। অথচ রবিন উইট কোনো বিজ্ঞাপন দেননি।

তিনি বুঝতে পারেন, তার ওয়েবসাইট থেকে ছবিগুলো চুরি করা হয়েছে। সারাবিশ্বের গ্রাহকের কাছে বাগানের সৌন্দর্য্য কাড়ানোর জন্য রবিনের তৈরি ভাস্কর্য বিক্রির কথা বলে ওই ছবিগুলো ব্যবহার করছে দুস্কৃতিকারীরা।

ওইসব ছবি ব্যবহার করে অন্য ওয়েবসাইট থেকে ভাস্কর্য কেনার কথা বলা হয়েছে। টাকা পরিশোধ করেও অনেকেই পণ্য পাননি। যারা পেয়েছেন তাদের বেশিরভাগই আসল পণ্য পাননি।

এভাবেই রবিনের ছোট্ট পারিবারিক ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। আর এসব বেআইনি বিজ্ঞাপনদাতাদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করতে পারেননি তিনি।

রেডিও ফোরের ‘ইউ অ্যান্ড ইয়োরস’ অনুষ্ঠানে রবিন তার দুঃস্বপ্নের গল্প বলেন। তিনি বলেন, ফেসবুকের ভুয়া বিজ্ঞাপনগুলো দেখে আমি সত্যিই তিন সপ্তাহ ঘুমাতে পারিনি। ওই ছবিগুলো কার্যকরভাবে মুদ্রার মতো, যা আমাদের ব্যবসার ট্র্যাফিক প্রবাহকে চালিত করে। কিন্তু ওই ভুয়া বিজ্ঞাপনগুলোর কারণে আমাদের ব্যবসায় ভাটা পড়েছে।

এক দশক আগে শখের বশে ফ্যান্টাসি ওয়্যার নামে ব্যবসা শুরু করেছিলেন রবিন। শুরুতে তিনি মাত্র কয়েকটি পরীর ভাস্কর্য স্থানীয়ভাবে বিক্রি করেছিলেন। পরে তিনি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন এবং তার ব্যবসার আকার বাড়তে থাকে।

প্রতিটি ভাস্কর্য প্রায় ১৫ হাজার পাউন্ডে বিক্রি করেন রবিন। এটা এখন তার পারিবারিক ব্যবসা। কারণ এ কাজে তাকে স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে সহায়তা করে। কিন্তু ফেসবুকের ভুয়া বিজ্ঞাপনে অনেক কম দামে দেখতে একই রকমের ভাস্কর্য বিক্রি হচ্ছে। যেগুলো খুবই নিম্নমানের। কোনোগুলো প্লাস্টিকের। আমাজনেও রবিনের ভাস্কর্যের ভুয়া বিজ্ঞাপন আছে। সূত্র: বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version