নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশ অনুযায়ী শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হচ্ছে টিকটক। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে চীনা ক্ষুদ্র ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম।
ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী ১২ নভেম্বরের মধ্যে টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের মার্কিন কার্যক্রম কোনো মার্কিন প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ না করলে দেশটিতে নিষিদ্ধ হওয়ার কথা ছিল টিকটক সেবা।
টিকটক দাবি করছে, নিরপত্তা উদ্বেগের কারণে এই আদেশ মানতে অগাস্ট মাস থেকেই কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। দুই মাসে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি বলেও প্রতিষ্ঠানের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
বিবৃতিতে চীনা প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, “জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি সমাধান করতে সিএফআইইউএস-এর (কমিটি অন ফরেইন ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য ইউনাইটেড স্টেটস) সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে টিকটক, যদিও আমরা এই বিবেচনার সঙ্গে একমত নই।”
যুক্তরাষ্ট্রে সেবা চালিয়ে যেতে মার্কিন প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন প্রস্তাবও দিয়েছে বাইটড্যান্স। ওরাকল, ওয়ালমার্ট এবং বাইটড্যান্সের মার্কিন বিনিয়োগকারীদের মালিকানায় নতুন একটি প্রতিষ্ঠান তৈরির প্রস্তাবও রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। মার্কিন গ্রাহকদের ডেটা এবং কনটেন্ট যাচাই করবে নতুন প্রতিষ্ঠানটি।
ট্রাম্প প্রশাসনের দেওয়া মূল আদেশ নিয়ে আদালতের রায়ের অপেক্ষা করছে টিকটক। অগাস্ট মাস থেকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেকটাই বদলেছে। ইতোমধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন জো বাইডেন। চীনা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়া নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভিন্ন পদক্ষেপ থাকবে কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন করবে টিকটক।