Computer

চীনে চিপ নির্মাণ প্রযুক্তি বিক্রি ঠেকাতে মরিয়া মার্কিন কংগ্রেস

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে চিপ নির্মাণ প্রযুক্তি বিক্রি বন্ধে বাইডেন প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে মার্কিন কংগ্রেসে চীনের কট্টর সমালোচকরা। টেলিকমিউনিকেশন পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের ব্যাপারে যে রকম সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, এক্ষেত্রেও তারা এমন সিদ্ধান্তের আহ্বান জানান। খবর রয়টার্স ও ইটি টেলিকম।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী গিনা রাইমনডো, প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য মাইকেল ম্যাককাউল এবং সিনেটর টম কটনের সমন্বিত এক চিঠিতে বলা হয়, যদি কোনো চীনা প্রতিষ্ঠান ১৪ ন্যানোমিটার বা তার নিচে আধুনিক কোনো চিপ নির্মাণ করে, তাহলে হুয়াওয়ের মতো তাদের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। সম্প্রতি এ চিঠি জনসম্মুখে আসে।

দেশটির বাণিজ্য বিভাগের এক মুখপাত্র চিঠির কপি পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। সেই সঙ্গে সম্প্রতি চীনের সাতটি সুপারকম্পিউটার প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারেও জানান। মুখপাত্র জানান, এজেন্সি বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। যদি আরো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন হয়, তবে সেটাও গ্রহণ করা হবে।

গত বছর হুয়াওয়ের কাছে সেমিকন্ডাক্টর বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন রুল দিয়েছিল, যেখানে লাইসেন্স থাকা জরুরি ছিল। যেটি বহির্বিশ্বের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চিপ সরবরাহ খাতকে আরো বিস্তৃত করেছিল।

২০১৯ সালে জাতীয় নিরাপত্তা এবং বৈদেশিক নীতিকে সামনে রেখে হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে এতে করে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকারীদের থেকে হুয়াওয়েতে বিক্রি বন্ধ করতে পেরেছিল শুধু। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে যেসব চিপ বাইরে উৎপাদিত হয়েছিল, সেগুলোকে বন্ধ করতে পারেনি।

চীনের সামরিক আধুনিকায়নে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় তিয়ানজিন ফাইটিয়াম ইনফরমেশন টেকনোলজিসহ আরো ছয়টি চীনা সুপারকম্পিউটার প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করতে এ চিঠি পাঠানো হয়। এদিকে চীনের সাতটি সুপার কম্পিউটিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি বাতিল হওয়ায় ফাইটিয়াম ইনফরমেশন টেকনোলজির নতুন সব অর্ডার বাতিল করে দিয়েছেন তাইওয়ানের সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টিএসএমসি।

গত সপ্তাহে চীনের শীর্ষ সুপারকম্পিউটিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত অত্যাধুনিক অস্ত্র নির্মাণ এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এসব প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা থাকায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এসসিএমপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সাতটি প্রতিষ্ঠানকে যুক্তরাষ্ট্রের এনটিটি লিস্টে রাখা হয়েছে। যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো কিছু আমদানি বা রফতানি করতে হলে তাদের স্পেশাল অনুমতি গ্রহণ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version