Connect with us

Tech News

চাঁদের পাতালে আমাদের ঘর-বাড়ি তৈরি শুরু!

Published

on

imageপ্রযুক্তি ডেস্ক: একটু সবুর করুন। আর বড়জোর কুড়ি/পঁচিশটা বছর। আমাদের ‘নতুন বাড়ি’ হয়ে যাবে চাঁদে! আমি-আপনি পেয়ে যাব দু’বিঘা জমিনও! তখন কে বলবে, চাঁদ- ঝলসানো রুটি? একটা সভ্যতার জন্য যা যা লাগে, সেই কাস্তে আর হাতুড়ির ঠুকঠাক খুব শিগগিরই শুরু হয়ে যাবে চাঁদে। জোর কদমে।

image (1)

উপনিবেশ গড়ার প্রস্তুতি চাঁদে। ছবি সৌজন্যে- ‘রসকসমস’।

আমার-আপনার পাকাপাকি ভাবে থাকার জন্য চাঁদে জমি-জিরেত দেখতে যাচ্ছে চিন। যাচ্ছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ বা ‘এসা’) ও রাশিয়ান ফেডেরাল স্পেস এজেন্সি বা ‘রসকসমস’)-ও। আগামী বছরেই। ঘটনাচক্রে আমাদের এই বাসযোগ্য গ্রহের একমাত্র চাঁদে মানবসভ্যতার দ্বিতীয় উপনিবেশ গড়ে তোলার স্বপ্নটা প্রথম দেখেছিলেন ভারতের প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বিজ্ঞানী এপিজে আব্দুল কালাম। তিনি চেয়েছিলেন, প্রাথমিক ভাবে অন্য অন্য গ্রহে যাওয়ার জন্য চাঁদকেই করে তোলা হোক ‘স্পেস ট্রান্সপোর্টেশান হাব’। চাঁদের পিঠে জমা শুকনো বরফ তুলে নিয়ে এসে বানানো হোক মহাকাশযান পাঠানোর রকেটের জ্বালানি (‘দ্য সায়েন্টিফিক ইন্ডিয়ান’, পৃঃ৩৫)।

প্রয়াত কালামের সেই স্বপ্ন হয়তো এ বার সত্যি হতে চলেছে। তবে বাধাও কিছু কম নেই। মহাকাশবিজ্ঞানীদের যাবতীয় দুশ্চিন্তা চাঁদের পিঠের তাপমাত্রা, সৌর-বিকিরণ আর চাঁদের দীর্ঘমেয়াদি রাতের হাড়-জমানো ঠাণ্ডা নিয়ে। দিনের ওই ঝলসে যাওয়া তাপ আর নিকষ কালো রাতের ওই কনকনে ঠাণ্ডার হাত থেকে কী ভাবে টিঁকিয়ে রাখা যাবে সভ্যতার দ্বিতীয় উপনিবেশকে?
মার্কিন মুলুকে মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ-প্রযুক্তিবিদ হিল্লোল গুপ্ত ও জার্মান অ্যারোস্পেস সেন্টার ডিএলআরের স্পেসক্র্যাফ্ট অপারেশনস ইঞ্জিনিয়ার সুদর্শন সুন্দরাজন ই-মেলে জানিয়েছেন, ‘‘চাঁদে সভ্যতার দ্বিতীয় উপনিবেশ গড়ে তোলার প্রস্তুতি-তোড়জোড় চলছে অনেক দিন ধরেই। ’৯৯ সালে শুরু হয়েছিল চাঁদকে ঘাঁটি বানিয়ে মহাকাশের বিভিন্ন রুটে চষে বেড়ানোর প্রস্তুতি। যার নাম- ‘মুনবেস-আলফা ইন স্পেস’। এখন চলছে চাঁদের মাটি খুঁড়ে তার অভ্যন্তরে সভ্যতার দ্বিতীয় উপনিবেশ গড়ে তোলার কাজ। ‘আন্ডারগ্রাউন্ড কলোনি’। এটা কোনও কল্প-বিজ্ঞান নয়। আর কুড়ি-পঁচিশ বছরের মধ্যেই তা অনেকটা সম্ভব হবে।’’
মানে, প্র্ত্নতাত্ত্বিক খননের মাধ্যমে হরপ্পা-মহেঞ্জোদারোর সভ্যতার হদিশ মিলেছিল যে ভাবে ভূ-পৃষ্ঠের অনেকটা নীচে, চাঁদে সভ্যতার দ্বিতীয় উপনিবেশকে গড়ে তোলা হবে তার ঠিক উল্টো ভাবে। মানে, সাব-ওয়ের মতো চাঁদে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড কলোনি’ গড়ে তোলার প্রস্তুতি-তোড়জোড় চলছে জোর কদমে।
সভ্যতার দ্বিতীয় উপনিবেশ গড়ে তোলার জন্য কেন চাঁদকেই দেওয়া হচ্ছে অগ্রাধিকার?

হিল্লোলবাবু জানাচ্ছেন, ‘‘প্রথম কারণ, চাঁদই আমাদের সবচেয়ে কাছের কোনও মহাজাগতিক বস্তু। পৃথিবী থেকে যার দূরত্ব মাত্র দু’লক্ষ আটত্রিশ হাজার মাইল বা তিন লক্ষ তিরাশি হাজার কিলোমিটার। একেবারে হাতের কাছে থাকার ফলে চাঁদে যাওয়া-আসাটা প্রায় রোজ ধর্মতলা ছুঁয়ে আসার মতো। আর ধর্মতলা থেকে দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গ যাওয়ার যে প্রচুর সুবিধা, তেমনই চাঁদকে ‘স্পেস ট্রান্সপোর্টেশান হাব’ বানানো হলে ভিন গ্রহের সন্ধানের কাজটা সহজতর হয়ে যায়। দ্বিতীয় কারণ, চাঁদে ‘হিলিয়াম-তিন’ গ্যাসের অভাব নেই। তাই সেখানে রাতেও একটা আস্ত ‘কলোনি’-কে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যে সুপ্রচুর বিদ্যুতের প্রয়োজন, তার চাহিদা মেটাতে ফিউশন রিঅ্যাক্টর চালাতে হলে ওই ‘হিলিয়াম-তিন’ গ্যাস তার জ্বালানির কাজ করবে।’’
তবে চাঁদে আমাদের দ্বিতীয় উপনিবেশ গড়ে তোলার প্রধান অন্তরায়টা হল তার দীর্ঘমেয়াদি রাত। চাঁদের এক-একটা রাত হয় ৩৫৪ ঘণ্টার। মানে, পৃথিবীর দু’ সপ্তাহের সামান্য বেশি। আর চাঁদের সেই রাত মানে হাড়-জমানো ঠাণ্ডা। শূন্যের নীচে ১৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চাঁদের দিনটাও একেবারে ঝলসে যায় সূর্যের গনগনে আঁচে। চাঁদের বিষুবরেখা বা ইকোয়েটারে স্বাভাবিক অবস্থায় তাপমাত্রা থাকে ১১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ২৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। মানে, আফ্রিকার প্রচণ্ড গরমের দেশগুলির চেয়েও দিনে চাঁদের পিঠ প্রায় চার/সাড়ে চার গুণ বেশি তেতে থাকে।
দেখুন অবাক করা গ্যালারি
দেখুন, কেমন হচ্ছে চাঁদের কলোনি
মানবসভ্যতার ‘সুখের শরীর’ এত তাত কী ভাবে সহ্য করে, বলুন তো?
তাই চিন, ‘এসা’ আর ‘রসকসমস’ প্রাথমিক ভাবে ঠিক করেছে, সভ্যতার দ্বিতীয় উপনিবেশটা গড়ে তোলার জন্য চাঁদের দুই মেরুই হবে ‘প্রায়োরিটি এরিয়া’।
কেন? তাতে কী লাভটা হবে চাঁদ-মুলুকে আমাদের দ্বিতীয় উপনিবেশের?

image (2)

কাটছি মাটি, দেখবি আয়…চাঁদে। ছবি-‘রসকসমস’।

জার্মান অ্যারোস্পেস সেন্টার ডিএলআরের স্পেসক্র্যাফ্ট অপারেশনস ইঞ্জিনিয়ার সুদর্শন সুন্দরাজন ই-মেলে জানিয়েছেন, ‘‘চাঁদের মেরুতে রাতটা অতটা দীর্ঘমেয়াদী নয়। ফলে, ওই এলাকায় দ্বিতীয় উপনিবেশের জন্য জমি খোঁজাটাই বেশি জরুরি। কারণ, তাতে সভ্যতাকে হাড়-জমানো ঠাণ্ডায় জমে বরফ হয়ে যেতে হবে না। আবার মেরুতে রাতটা তুলনামূলক ভাবে কম সময়ের হবে বলে সেই রাতের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চাঁদ থেকে নেওয়া জ্বালানি ‘হিলিয়াম-তিন’ গ্যাস বেশি খরচও হবে না। এমনকী, চাঁদের মেরুতে দিনটাও অত তেতে থাকে না। কারণ, চাঁদের দুই মেরুতে সূর্যটা সব সময়েই থাকে তার দিগন্তে। তার চেয়ে বেশি ওপরে ওঠে না। মাথার ওপরে ওঠার তো কোনও কথাই নেই! চাঁদের মেরুতে দিনে সূর্যের খবরদারি ততটা থাকে না বলেই তা সভ্যতার দ্বিতীয় উপনিবেশের পক্ষে সহনীয় হবে। তবে সেখান থেকে সৌরশক্তি টানার জন্য ‘সোলার প্যানেল’গুলোকে চাঁদের দুই মেরুতে বসানো হবে কোণাকুণি ভাবে।’’
কিন্তু, চাঁদে সভ্যতার সেই ‘কলোনি’ কেন হবে আন্ডারগ্রাউন্ড’?
মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ-প্রযুক্তিবিদ হিল্লোল গুপ্তের ব্যাখ্যা, ‘‘তা না হলে সৌর-বিকিরণের ঝাপটায় নিকেশ হয় যাবে সভ্যতা। চাঁদে কোনও বায়ুমণ্ডল নেই বলে সূর্যের তাপে ঝলসে যাব আমরা। তাই হাইড্রোলিক এক্সক্যাভেটার বা ‘রোবট’ দিয়ে চাঁদের পিঠ খুঁড়ে তার নীচের স্তরে বা চাঁদের অভ্যন্তরেই বানাতে হবে সেই উপনিবেশ। যা সূর্যের গনগনে তাপ আর সৌর-বিকিরঁণের হাত থেকেও ওই উপনিবেশকে বাঁচাবে।’’
তাই আর কয়েকটা দিন পরে চাঁদে জমি, বাড়ি কেনার বিজ্ঞাপন ইন্টারনেটে দেওয়া হলে, প্লিজ, তাকে ‘টিজার’ ভাববেন না!!! আনন্দবাজার অনলাইন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

বিপুল সংখ্যক অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট হ্যাকড

Published

on

জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাস ‘নর্টন’-এর হাজার হাজার গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে। হ্যাকারেরা গ্রাহকদের পাসওয়ার্ড ম্যানেজারে প্রবেশাধিকার পেয়ে থাকতে পারে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কোম্পানিটি। গ্রাহকদের পরিচয় সুরক্ষা ও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন সেবা দেয় নর্টন।

প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট টেক ক্রাঞ্চের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রাহকদের উদ্দেশে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে নর্টনের মূল কোম্পানি ‘জেন ডিজিটাল’ জানায়, বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আগেই প্রকাশ পাওয়া বা হাতিয়ে নেওয়া বিভিন্ন তথ্য বা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এই হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। যারা ‘পাসওয়ার্ড ম্যানেজার’ ফিচারটি ব্যবহার করেন তাঁদেরই মূলত এই বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে নর্টন।

অনুপ্রবেশকারী গ্রাহকের সংরক্ষিত পাসওয়ার্ডের তথ্যও পেয়েছে -এমন শঙ্কার কথা উড়িয়ে দিচ্ছে না কোম্পানিটি। জেন ডিজিটাল আরও জানায়, প্রায় ৬ হাজার ৪৫০ জন অ্যাকাউন্ট হারানো গ্রাহকের কাছে বিজ্ঞপ্তিটি পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নাম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্টে প্রবেশের সময় অননুমোদিত এক তৃতীয় পক্ষ ব্যবহারকারীর প্রথম নাম, পদবি, ফোন নম্বর ও ই-মেইল ঠিকানা দেখে ফেলেছে।

এই ধরনের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে গ্রাহকদের ‘টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ ব্যবস্থা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে নর্টন। ফলে, শুধু পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না হ্যাকার।

কোম্পানিটির নিজস্ব অনুসন্ধান অনুযায়ী, ১ ডিসেম্বর থেকেই অ্যাকাউন্টের তথ্য চুরির কাজ শুরু করেছিল হ্যাকার। আর ১২ ডিসেম্বর নাগাদ কোম্পানি নিজস্ব সিস্টেমে গ্রাহকদের ‘ব্যর্থ লগইনের’ বিশাল অংশ শনাক্ত করে।

Continue Reading

Highlights

নারীরা বিয়ের পর গুগলে যেসব বিষয় সার্চ করেন

Published

on

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের ব্যবহারকারী রয়েছে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই। যখন যা জানার ইচ্ছে হয় গুগলে সার্চ করেই জেনে নিতে পারছেন। মনের যত জিজ্ঞাসা এখন আর বই পুস্তক ঘাঁটাঘাঁটি করে খুঁজে বের করতে হয় না। কয়েকটি শব্দ টাইপ করে গুগল থেকেই জেনে নেওয়া যায় সবকিছু। রান্নার রেসিপি থেকে শুরু করে মহাকাশের নানান বিষয় জানা যায় গুগলের মাধ্যমেই। সপ্রতি গুগলের সার্চের তালিকায় আছে বেশ কিছু মজার তথ্য। নারীরা বিশেষ করে সদ্য বিবাহিত নারীরা গুগলে সার্চ করেন বিভিন্ন বিষয়। সবচেয়ে বেশি গুগলে তারা যা জানতে চান তার পাঁচটি বিষয়ের কথা জানিয়েছে গুগল। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিয়ের পর নারীরা গুগলের কাছে সবচেয়ে বেশি কি জানতে চান-

স্বামীর কাছে নিজেকে কীভাবে আরও আকর্ষণীয় করা যায়
অধিকাংশ বিবাহিত নারীরা গুগলে এই বিষয়টি সার্চ করেন। বিবাহিত নারীরা স্বামীর কাছে খুব আকর্ষণীয় দেখাতে চান। সমীক্ষা দেখায় যে বিবাহিত নারীরা তাদের স্বামীর কাছে কীভাবে আকর্ষণীয় দেখাবে তার জন্য গুগলে অনুসন্ধান করার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

স্বামীর মন জয় করার উপায়
বিয়ের পর নতুন একজন মানুষের সঙ্গে থাকা এবং তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার একটি ব্যাপার থাকে। তাই স্বামীর মন জয় করে সুখে শান্তিতে সংসার করতে সুগলের সাহায্য নেন নারীরা। অধিকাংশ নারী গুগলে সার্চ করছেন বিয়ের পর কীভাবে স্বামীর মন জয় করা যায়। স্বামীর সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নেওয়া যায়, কীভাবে তাকে মুগ্ধ করা যায়।

স্বামীর পছন্দ-অপছন্দ
প্রত্যেক নববধূর তার স্বামীর পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে চিন্তিত থাকেন। এজন্য গুগলে সার্চ করেন স্বামীরা কি খেতে পছন্দ করেন, কি করতে পছন্দ করেন ইত্যাদি।

শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের প্রশংসা পাওয়া যায় কীভাবে
এটা স্পষ্ট যে বেশিরভাগ বিবাহিত মেয়েরা কীভাবে শ্বশুরবাড়িতে পা রাখার পর শ্বশুরবাড়ির মন জয় করা যায় তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন। পরিবারের সদস্যরা সবাই পছন্দ করে এমন কোন খাবার তৈরি করা যায়। কিংবা শাশুড়ির সেবা করা যায় কীভাবে। তাদের মন জয় করে মিশেমিশে থাকার উপায়।

পারিবারিক দায়িত্ব
সদ্য বিবাহিত নারীরা জানার চেষ্টা করেন, কীভাবে আপনার পরিবারের দায়িত্ব পালন করবেন। এমনকি বিয়ের পর কীভাবে নিজের ব্যবসা চালানো উচিত কিংবা পরিবার কীভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে সাহায্য ও সহযোগিতা করতে পারে এসব বিষয় জানার জন্যও গুগলে সার্চ করেন নারী।

সূত্র: পিপা নিউজ

Continue Reading

Highlights

ক্রোম ব্রাউজার নিয়ে গুগলের নতুন ঘোষণা

Published

on

টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
নতুন বছরের শুরুতেই পুরোনো উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য এলো দুঃসংবাদ। উইন্ডোজ ৭, উইন্ডোজ ৮ এবং উইন্ডোজ ৮.১ ব্যবহৃত কম্পিউটারে ক্রোম ব্রাউজারের সাপোর্ট বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে গুগল। ‘ক্রোম ১০৯’ হলো সর্বশেষ ভার্সন, যেটি পুরোনো এই অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে ব্যবহার করা যাবে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে ‘ক্রোম ১১০’ রিলিজ করবে গুগল।

ক্রোম ব্রাউজারের নতুন এই ভার্সন ব্যবহার করতে চাইলে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটারে অবশ্যই উইন্ডোজ ১০ বা তার উন্নতমানের অপারেটিং সিস্টেম থাকতে হবে। গুগলের অফিসিয়াল সাপোর্ট পেজে বলা হয়েছে, ‘উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮/৮.১ সাপোর্ট করবে এমন গুগল ক্রোমের শেষ ভার্সন হলো গুগল ক্রোম ১০৯। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে রিলিজ হতে যাওয়া ক্রোম ১১০ ব্যবহার করার জন্য ডিভাইসটি অবশ্যই উইন্ডোজ ১০ বা উইন্ডোজ ১১ চালিত হতে হবে।’

গুগলের এই সিদ্ধান্ত একেবারে যে অপ্রত্যাশিত, তা কিন্তু নয়। কেননা আগামী ১০ জানুয়ারি ২০২৩ থেকেই উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮.১ এর এক্সটেন্ডেড সাপোর্ট বন্ধ করে দেবে মাইক্রোসফট। আর তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই পুরোনো উইন্ডোজ চালিত কম্পিউটারগুলোতে ক্রোমের সাপোর্ট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গুগলের। তবে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে, ক্রোম ১১০ ভার্সন রিলিজ হওয়ার পরে উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮/৮.১ চালিত কম্পিউটারে ক্রোম ব্রাউজার আর কাজই করবে না। ক্রোম ১০৯ দিয়ে কাজ ঠিকই করা যাবে কিন্তু তাতে নতুন আপডেট ও নিরাপত্তা আপডেট দেবে না গুগল।

ফলে উইন্ডোজ ৭/৮/৮.১ অপারেটিং সিস্টেম চালিত ডিভাইস ব্যবহার করা চালিয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে ব্যবহারকারীদের। ক্রোমের আপডেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে সিকিউরিটি সংক্রান্ত প্যাচ যোগ করা হয়। সাইবার নিরাপত্তার জন্য যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপডেট বন্ধ হয়ে গেল স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখা দেবে।

তার ওপর মাইক্রোসফটও তাদের সাপোর্ট তুলে নেওয়ায় ম্যালওয়্যার এবং ভাইরাসের হানার ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে ব্যবহারকারীদের। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে উইন্ডোজ ১০ বা উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমে আপডেট হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

Continue Reading

Trending