Connect with us

Highlights

করোনাকালেও সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের প্রবৃদ্ধি

Published

on

স্টাফ রিপোর্টার:
করোনাকালে দেশের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের পালে তুমুল হাওয়া লেগেছে। ফলে মহামারীর মধ্যেও এক বছরে দেশে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত সংগ্রহ ও ঋণ বিতরণে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আমানতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০৯ শতাংশ। আর একই সময়ে এজেন্টদের মাধ্যমে বিতরণকৃত ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৭১ শতাংশেরও বেশি। তাছাড়া রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি ১৯৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের প্রবৃদ্ধি দেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের চেয়েও প্রায় দ্বিগুণ। বিগত ২০২০ সালের মার্চ থেকে চলতি বছরের মার্চের তথ্য পর্যালোচনায় এ তথ্য মিলে। ব্যাংকিং খাত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সূত্র মতে, বছর সাতেক আগে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় ব্যাংক সেবা পৌঁছে দিতে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের যাত্রা শুরু হয়। প্রথম থেকেই গ্রামমুখী ব্যাংক সেবাটি দ্রুতগতিতে সম্প্রসারিত হয়েছে। আর করোনাসৃষ্ট আর্থিক দুর্যোগে শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেশি সচল ছিল। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের প্রবৃদ্ধিতে তারই ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর ঘরের সঞ্চিত অর্থও ব্যাংকে আসতে শুরু করেছে। শহুরে গণ্ডি ভেঙে দিয়ে এজেন্টদের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়াই দেশের ব্যাংক খাতের বড় সফলতা। এর মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যেই দেশ আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশের সরকারি-বেসরকারি ২৮টি ব্যাংক। তার মধ্যে ৪টি ব্যাংক এজেন্ট নিয়োগ, আমানত সংগ্রহ, ঋণ বিতরণ ও রেমিট্যান্স আহরণে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

সূত্র জানায়, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আউটলেট চালুর ক্ষেত্রে সবার শীর্ষে আছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। আর এজেন্টদের মাধ্যমে হিসাব সংখ্যা চালুর ক্ষেত্রে শীর্ষস্থান দখলে রেখেছে ব্যাংক এশিয়া। তাছাড়া এজেন্টদের মাধ্যমে আমানত সংগ্রহে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে ইসলামী ব্যাংক। দেশের বৃহৎ ওই ব্যাংকটি এজেন্টদের মাধ্যমে রেমিট্যান্স সংগ্রহেও শীর্ষস্থানে রয়েছে। তবে এজেন্টদের মাধ্যমে ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংক শীর্ষস্থানে রয়েছে। ব্যাংকগুলোও এজেন্ট নিয়োগ, নতুন নতুন আউটলেট ও ব্যাংক হিসাব খোলায় একে অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা করছে। আর সেবাটিকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের দৃষ্টিভঙ্গিও বেশ উদার। তবে কভিডসৃষ্ট দুর্যোগে ২০২০ সালের মার্চের শেষ নাগাদ দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা নেমে আসে। গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটিতে দেশে অর্থনৈতিক কার্যক্রম এক ্রকার বন্ধ ছিল। তারপর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এ মুহূর্তে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে।

সূত্র আরো জানায়, গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের মার্চের শেষ দিন পর্যন্ত দেশে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের প্রবৃদ্ধি সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ২০২০ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশে ২২টি ব্যাংকের এজেন্ট ছিল ৮ হাজার ২৬০টি। আর চলতি বছরের মার্চে এজেন্টের সংখ্যা বেড়ে ১২ হাজার ৩৪৫-এ দাঁড়িয়েছে। করোনাকালের এক বছরে ব্যাংকগুলোর এজেন্ট সংখ্যা বেড়েছে ৪ হাজার ৮৫টি। ওই হিসাবে এজেন্টের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর এজেন্টের মতোই গত এক বছরে ৪ হাজার ৫৪৬টি আউটলেট বেড়েছে। ২০২০ সালের মার্চ শেষে এজেন্ট আউটলেটের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৮৭৫ আর চলতি বছরের মার্চে আউটলেটের সংখ্যা বেড়ে ১৬ হাজার ৪২১-এ উন্নীত হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে আউটলেট বেড়েছে ৩৮ দশমিক ২৮ শতাংশ। তাছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে চালু করা ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ছিল ৬৪ লাখ ৯৭ হাজার ৪৫১টি। আর করোনাকালের এক বছরে ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ১৯৫টি নতুন ব্যাংক খোলা হয়েছে।

চলতি বছরের মার্চ শেষে এজেন্টদের মাধ্যমে চালু করা ব্যাংক হিসাবের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ২২ হাজার ৬৪৬টি। এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংক হিসাবের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ। করোনাকালের এক বছরে দেশের ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। কিন্তু এজেন্টদের মাধ্যমে সংগৃহীত আমানত বেড়েছে ১০৮ শতাংশেরও বেশি। চলতি বছরের মার্চ শেষে দেশের ব্যাংক খাতে মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ১২ লাখ ৯৯ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। ওই আমানতের মধ্যে এজেন্টদের মাধ্যমে ১৭ হাজার ৮২২ কোটি টাকা এসেছে। অথচ ২০২০ সালের ৩১ মার্চ এজেন্টদের মাধ্যমে সংগৃহীত আমানতের পরিমাণ ছিল মাত্র ৮ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা। কিন্তু করোনাকালের এক বছরে এজেন্টদের মাধ্যমে ৯ হাজার ২৮৭ কোটি টাকার আমানত সংগৃহীত হয়েছে। ২০২০ সালের মার্চে এজেন্টদের মাধ্যমে বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬৭৩ কোটি টাকা। কিন্তু এক বছরের ব্যবধানে ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ৫০১ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ওই হিসাবে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৭১ শতাংশেরও বেশি।

তাছাড়া চলমান মহামারীতে দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় অর্জন হলো রেমিট্যান্সের বড় উল্লম্ফন। চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। অথচ করোনাকালের এক বছরে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি ১৯৯ শতাংশ। ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত এজেন্টদের মাধ্যমে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা। কিন্তু মাত্র এক বছরের ব্যবধানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ৫৮ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। শুধু এক বছরে এজেন্টদের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৮ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। বিগত ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা বিষয়ে নীতিমালা জারি করে। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে পাইলট কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ব্যাংক এশিয়া প্রথম এজেন্ট নিয়োগ দেয়। তারপর দ্রুততম সময়ে অন্য ব্যাংকগুলো এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে যুক্ত হয়েছে। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ২৮টি ব্যাংক লাইসেন্স নিয়েছে। আর ইতিমধ্যে সেবাটি চালু করেছে ২৭টি ব্যাংক।

এদিকে এজেন্ট ব্যাংকিংর উচ্চ প্রবৃদ্ধি প্রসঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা জানান, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সঞ্চয় ব্যাংক খাতে আসতে শুরু করায় এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। কিছুটা দেরিতে ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং শুরু করে। কিন্তু স্বল্প সময়ের ব্যবধানেই প্রায় আড়াই হাজার এজেন্ট নিয়োগ দেয়া হয়। লেনদেন বেশি হওয়ায় ইসলামী ব্যাংকের এজেন্টরাও মুনাফায় চলে এসেছে। আমানত সংগ্রহ ও রেমিট্যান্স আহরণে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সবার শীর্ষে। এটি ইসলামী ব্যাংকের প্রতি দেশের গণমানুষের আস্থা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। এজেন্টদের মাধ্যমে ঋণ বিতরণের জন্য প্লাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। সেটি সম্পন্ন হলে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকের বিনিয়োগ পৌঁছানো সম্ভব হবে।

অন্যদিকে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন জানান, দেশের জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ ব্যাংক সেবার বাইরে ছিল। সাধারণ মানুষ ব্যাংকে যেতে ভয় পেত। কিন্তু এজেন্টরা মানুষের মনের ভয় দূর করতে পেরেছে। করোনাকালের এ সময়ে মানুষের চলাচলে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছিল। যে জন্য মানুষ ঘরের পাশে এজেন্টদের কাছে সেবার জন্য গিয়েছে। লেনদেন নিরাপদ হওয়ায় এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ওপর মানুষের আস্থা বেড়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক মিলবে টেলিটক সিমে

Published

on

কোথাও টেলিটকের নেটওয়ার্ক নেই কিংবা তা দূর্বল তখন ওই এলাকায় বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কথা বলাসহ সব ধরনের মোবাইল সেবা পাবেন টেলিটক গ্রাহকরা।

আবার এই একই সুবিধা মিলবে বাংলালিংকের গ্রাহকের ক্ষেত্রেও। তারা ব্যবহার করতে পারবেন টেলিটকের নেটওয়ার্ক।‘ন্যাশনাল রোমিং’ নামে এই সেবা দেশে চালু করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এই সেবা চালুতে সম্মতি দিয়েছেন।ইতোমধ্যে বিটিআরসি এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালুর অনুমতি দিয়েছে।এরআগে ন্যাশনাল রোমিংয়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও অবকাঠামো শেয়ারিংয়ে দুই অপারেটর নিজেদের মধ্যে চুক্তিও সেরেছে। তারা পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা চালু করে কারিগরিসহ বিভিন্ন বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছে।

বিটিআরসি বলছে, ন্যাশনাল রোমিং আন্তর্জাতিক রোমিং সেবার মতোই একটি বিষয়। এতে একটি মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকরা দেশের কোনো এলাকায় তাদের নেটওয়ার্ক না পেলে কিংবা নেটওয়ার্ক দূর্বল হলে আরেকটি মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সব রকম মোবাইল যোগাযোগ সেবা নেবেন।

বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বলছেন, ‘বাংলালিংক-টেলিটক এখনও এই সেবার টেস্ট অ্যান্ড ট্রায়াল করছে। গ্রাহকের জন্য যেটা ভালো, এরকম কিছু আমরা সবসময়ই করি। এটাই আমাদের কাজ।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘অনুমতি বা লিগ্যাল দিক যেটুকু আছে, সেটুকু আমরা ওকে করে দিয়েছি। এমন বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের মতামত নেই, তিনি আমাদের সম্মতি দিয়েছেন এটি চালু করার জন্য।’‘টেলিটকের কারিগরি কিছু সমস্যা আছে, সেগুলো সমাধান করে তারা অপারেশনে যাবে।’ বলছিলেন মন্ত্রী।

মোস্তাফা জব্বার জানান, ‘এই ডমিস্টিক রোমিংয়ে দুই অপারেটরের উইন-উইন সিচুয়েশন হবে। যার যতটুকু নেটওয়ার্ক আছে সেই বিনিফিট তো পাবেই, যেখানে নেটওয়ার্ক নাই সেখানেই বেনিফিট পাবে। সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে দুই অপারেটরের গ্রাহকরা।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এটা টেলিটকের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটা দূর্বল নেটওয়ার্কের অপারেটরকে সবল নেটওয়ার্কে পরিণত করার সুযোগ এসেছে।’বর্তমানে সাড়ে চৌদ্দ হাজারের মতো টাওয়ার আছে বাংলালিংকের। টেলিটকের আছে ৬ হাজারের মতো। এই উদ্যোগের ফলে টেলিটক বাংলালিংকের টাওয়ারগুলোর নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়ে সারাদেশে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক নিয়ে হাজির হতে পারবে। একইভাবে বাংলালিংকও টেলিটকের টাওয়ারে। বিশেষ করে যেখানে যেখানে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক নেই বা দূর্বল, যেমন-সুন্দরবন, পার্বত্য চট্টগ্রাম, হাওর এলাকাগুলোতে।

যেভাবে এই নেটওয়ার্ক শেয়ারিং :হোম নেটওয়ার্ক (গ্রাহকের সিম যে অপারেটরের) না থাকলে ডমিস্টিক বা ন্যাশনাল রোমিংয়ের মাধ্যমে ওই নেটওয়ার্কের বাইরে ভিজিটিং নেটওয়ার্ক (গ্রাহক বিকল্প হিসেবে যে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হবে) ব্যবহার করে সংযুক্ত থাকবে গ্রাহক। এজন্য ভিজিটিং নেটওয়ার্কের ফ্রিকোয়েন্সি, এন্টেনা, র‌্যান, কোর সুইচিং নোডসসহ নেটওয়ার্কের মূল অবকাঠামো ব্যবহার করতে হবে । এর মধ্য দিয়ে গ্রাহক নিজের সিমে নেটওয়ার্ক না থাকার পর আরেকটি অপারেটরের নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হয়ে কথা বা মোবাইল সেবা নিতে পারবেন।বাংলালিংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এরজন্য তাদের প্রযুক্তিগত কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। তারা সফলতার সঙ্গেই পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা চালু করতে পারছেন।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেলিটকের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলছেন, তারা পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা যাচাই-বাছাই করছেন। তবে প্রযুক্তিগত কিছু চ্যালেঞ্জ তাদের রয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ টেকনোলজি অফিসার সুমন আহমেদ সাবির জানান, এখানে প্রযুক্তিগত তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। বাড়তি হিসেবে রোমিংয়ের কিছু সফটওয়্যার প্রয়োজন হবে, যার জন্য বড় বিনিয়োগ লাগবে না।পরীক্ষামূলকে কী ঘটেছে ?দুই অপাারেটর নিজেদের মধ্যে ভয়েস কল, এসএমএস, ইউএসএসডি সেবার ইনকামিং-আউটগোয়িং পরীক্ষা করেছে। যেখানে টেলিটক নাম্বার হতে বাংলালিংক নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হওয়ার সফলতার হার তুলনামূলক বেশি। যেমন একটি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় ;টেলিটকের নাম্বার হতে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক দিয়ে আউটগোয়িং ভয়েস কলে বাংলালিংক, রবি, জিপি, পিএসটিএন (বিটিসিএল), আইপিটিএসপি, এমএনপি, শর্টকোড (৯৯৯, ৩৩৩, ১০৬০৬) এবং আন্তর্জাতিক নাম্বারে সফলভাবে কল করা গেছে। সেখানে শুধু বাংলালিংক রোমিং নাম্বারে একটি কল সফল হয়নি।একইভাবে আউটগোয়িং এসএমএস, ইউএসএসডির ক্ষেত্রে সব ধরণের নাম্বারেই সফল ফলাফল এসেছে।ইনকামিং ভয়েস কলে বাংলালিংক, রবি, জিপি, পিএসটিএন (বিটিসিএল), এমএনপি এবং আন্তর্জাতিক নাম্বার হতে টেলিটক নাম্বারে আসার ক্ষেত্রে সফলতার হার কম দেখা গেছে। এতে টেলিটক, বাংলালিংক, পিএসটিএন (বিটিসিএল), এমএনপি এবং আন্তর্জাতিক নাম্বার হতে কল সফল হয়নি। এখানে এসএমএসের ক্ষেত্রে শুধু বাংলালিংকের রোমিং নাম্বারে যায়নি।বাংলালিংকের নাম্বার হতে টেলিটকের নেটওয়ার্ক দিয়ে আউটগোয়িং ভয়েস কলে বাংলালিংক, রবি, জিপি, পিএসটিএন (বিটিসিএল), আইপিটিএসপি, এমএনপি এবং শর্টকোড (৯৯৯, ৩৩৩, ১০৬০৬) নাম্বারে সফলভাবে কল করা গেছে। সেখানে শুধু টেলিটক রোমিং নাম্বারে একটি কল সফল হয়নি।

একইভাবে আউটগোয়িং এসএমএস, ইউএসএসডির ক্ষেত্রে একটি ছাড়া সব ধরণের নাম্বারেই অসফল ফলাফল এসেছে। সফল হওয়া একটি ইউএসএসডি নাম্বার হলো *১২১* ।ইনকামিং ভয়েস কলে বাংলালিংক, টেলিটক, টেলিটক রোমিং, রবি ও জিপি নাম্বার হতে বাংলালিংক নাম্বারে আসার ক্ষেত্রে সবগুলো চেষ্টাই অসফল হয়েছে। এখানে এসএমএসের ক্ষেত্রে বাংলালিংক, টেলিটক, টেলিটক রোমিং এবং জিপি নাম্বার হতে চেষ্টা করা হলে টেলিটক রোমিংয়ে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে ।

নীতিগত যা কিছু :ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ারিং গাইড লাইন-২০১১ এর ২.১ অনুযায়ী র‌্যান এবং কোর সুইচ শেয়ার অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ার। ন্যাশনাল রোমিংয়ে দেখা যাচ্ছে অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ার হচ্ছে। গাইডলাইনের ৩.১ অনুযায়ী অপারেটরগুলো শুধু প্যাসিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ার করতে পারবে।বিটিআরসি বলছে, অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ারিংয়ের গাইডলাইনের খসড়া সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। সেখানে এই অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ারের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।গ্রাহক পর্যায়ে কলরেট বা অন্য সেবার খরচ বাড়বে কিনা এমন জিজ্ঞাসায় বাংলালিংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, গ্রাহকের খরচ বাড়ুক এটা তারা চান না। দুই অপারেটর নিজেদের মধ্যে এই নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ের বাণিজ্যিক চুক্তি করবে, সেখানে কে কাকে কোথায় কত চার্জ সেটা আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক হতে পারে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বলছেন, ‘অপারেটর দুটি তাদের পরীক্ষামূলক সেবা চালুর প্রতিবেদন জমা দেয়নি। পরীক্ষার রিপোর্ট আমাদের দিক। এরপর আরও ওয়ার্কআউট করার রয়েছে, ট্যারিফের মতো বিষয় এখানে আছে।’

Continue Reading

Gadgets

রিয়েলমির নতুন ফোনে ২৪০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার

Published

on

চীনের হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রিয়েলমি এই প্রথম ২৪০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জারের ফোন আনছে। ফোনটির মডেল রিয়েলমি জিটি ৫।

নতুন ডিভাইসকে রিয়েলমি বলছে কিং অব অ্যানড্রয়েড স্মার্টফোন। কেননা, সাশ্রয়ী দামের এই ফোনে থাকছে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ক্যামেরা এবং বিপুল স্টোরেজ। এক ফোনেই ইউজারদের সমস্ত চাহিদা মেটাতে চলেছে রিয়েলমি। ফোনটিতে পাঞ্চ হোল ডিজাইনের ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে।

৬.৭৪ ইঞ্চি ডিসপ্লের এই ফোনে ১.৫ কে রেজুলেশন মিলবে। এর অ্যামোলিড প্যানেলে ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশ রেট পাওয়া যাবে।

এই ফোনে প্রসেসর থাকছে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেনারেশন ২ চিপসেট। ইন্টারনাল স্টোরেজ থাকছে ১ টেরাবাইট। র‌্যাম মিলবে ২৪ জিবি।

অ্যানড্রয়েড ১৩ অপারেটিং সিস্টেম চালিত এই ফোন কেনা যাবে দুইটি ব্যাটারি ভার্সনে। একটি পাওয়া যাবে ৪৬০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ার ব্যাটারি এবং ২৪০ ওয়াটের সুপারভোক ফাস্ট চার্জারে। অন্যটি কেনা যাবে ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ১৫০ ফাস্ট চার্জারেরর সঙ্গে। যা দুরন্ত গতিতে ব্যাটারিকে ০ থেকে ১০০ শতাংশ চার্জ করতে পারবে।

ফটোগ্রাফির জন্যও এতে রয়েছে বিশেষ আয়োজন, তিনটি ক্যামেরা সঙ্গে এলইডি ফ্ল্যাশ পাবেন এতে। ব্যাক প্যানেলে মূল সেন্সর হিসাবে ৫০ মেগাপিক্সেল লেন্স সঙ্গে ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স এবং ২ মেগাপিক্সেল সেন্সর পাওয়া যাবে এতে। ফোনের ফ্রন্টে সেলফি ও ভিডিও কলের জন্য মিলবে ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।

কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে থাকছে ৫জি, ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট। পাওয়া যাবে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।

ভারতীয় মুদ্রায় এই হ্যান্ডসেটের সম্ভাব্য দাম ৫৩ হাজার ৫০০ রুপি থেকে শুরু।

Continue Reading

Highlights

বাংলাদেশসহ ৪ দেশে অ্যান্ড্রয়েডে চ্যাটজিপিটি

Published

on

শুধু বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে চালু হয়েছে চ্যাটজিপিটির অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন। এ চারটি দেশে বসবাস করা যে কেউ এখন থেকে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করে ওপেনএআই-এর আলোচিত এ সেবাটি গ্রহণ করতে পারবেন। এর ফলে যেসব ব্যবহারকারীদের এতদিন কম্পিউটার কিংবা ওয়েবে যারা এ সেবাটি ব্যবহার করেছেন, একই অ্যাকাউন্ট মোবাইলেও চালু করতে পারবে। ফলে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে অতীতের সব কথোপকথনও অ্যাপের মধ্যে পাওয়া যাবে।

খবরে বলা হয়েছে, এ চারটি দেশের বাইরে অন্য কোনো দেশের মানুষ গুগল প্লে-তে গিয়ে অ্যাপটির জন্য প্রি-অর্ডার করতে পারবেন। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই খুব শিগ্গির আরও কয়েকটি দেশে এই সেবাটি চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই একযোগে নতুন কয়েকটি দেশে চ্যাটজিপিটির অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে কাজ করবে।

এ ছাড়া যারা আইফোন ব্যবহার করেন তাদের মোবাইলের আইওএস-এ অফিশিয়াল চ্যাটজিপিটি অ্যাপটি পাওয়া যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম্পিউটার বা ওয়েবে চ্যাটজিপিটি যেভাবে সব প্রশ্নের জবাব দেয় মোবাইলের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না। তবে মোবাইলের জন্য এর আলাদা ইন্টারফেস ডিজাইন করা হয়েছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের যে কোনো প্রশ্নের তাৎক্ষণিক উত্তর দিতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, যে কোনো বিষয়ে পরামর্শসহ এটি নানা ধরনের টিপসও দিয়ে থাকে এই সেবাটি। ২০২২ সালের নভেম্বরে এ সেবাটি চালু করা হয়।

Source : বাংলাদেশসহ ৪ দেশে অ্যান্ড্রয়েডে চ্যাটজিপিটি

 

Continue Reading

Trending