Connect with us

Highlights

ওয়েবসাইটের ডিএনএস বিভ্রাট কি, কেন হয় এই বিভ্রাট?

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
হোস্টিং সেবাদানকারী আকামাই কোম্পানির কারিগরি বিভ্রাটের কারণে বিশ্বের বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স, ব্যাংক, সংবাদমাধ্যম এবং টেক কোম্পানির ওয়েবসাইট বৃহস্পতিবার সাময়িক জটিলতায় পড়ে। জটিলতায় পড়া ওয়েবসাইটগুলোতে এসময় ‘ডিএনএস সার্ভিস এরর’ নোটিস দেখানো হচ্ছিল।

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১০টার আগে আগে ওই সমস্যার শুরু হয়। ফলে প্রায় আধা ঘণ্টা এয়ারবিএনবি, ডেল্টা এয়ারলাইন্স, কস্টকো হোলসেল করপোরেশন, হোম ডিপো, আমেরিকান এক্সপ্রেসসহ জনপ্রিয় দুই ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো এবং ক্রিকবাজের ওয়েবসাইটে ঢোকা যায়নি। রয়টার্স।

পাঠকদের জন্য আমাদের আজকের আয়োজন ডিএনএস বা ডোমেইন নেম সিস্টেম বিভ্রাট নিয়ে। আগে জেনে নেওয়া যাক ডিএনএস কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে।

DNS (Domain Name System) কি?

ডোমেইন নেম সিস্টেম হল এমন একটি প্রযুক্তি যা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং ইন্টারনেটের অন্যান্য স্থানে সংযুক্ত করে। উদাহরণস্বরূপ আপনার মোবাইলের ফোন বুক এর এন্ট্রিকে ধরা যেতে পারে যেখানে আমরা প্রত্যেকটি নাম্বার এর স্থানে ব্যক্তি বিশেষের নাম দিয়ে শনাক্ত করে থাকি। একইভাবে ডিএনএস এর রেকর্ডগুলি পরীক্ষা করে এবং তারপরে আপনার কম্পিউটারকে ওয়েব সাইটটি কোথায় রয়েছে তা বলে। DNS (ডিএনএস) বিভিন্ন ধরণের অনুবাদক হিসাবেও কাজ করে। এটি মানব-পঠনযোগ্য ডোমেনগুলি নেয় (যেমন, www.techexpressbd.com) এবং এটি সাইটের আইপি ঠিকানার সাথে মেলানো হয় এবং ডোমেনের অবস্থান সনাক্ত করতে কম্পিউটারগুলিকে সহযোগিতা করে।

dns

ডিএনস (ডোমেইন নেম সিস্টেম) কিভাবে কাজ করে?

যেমন 192.168.0.197 একটি আইপি। এভাবে প্রত্তেকটি ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হলে আপনি তাদের আইপি লিখে সার্চ বক্সে সার্চ করলে সাইট পেয়ে যাবেন। কিন্তু সমস্যা হলো আইপি যেহেতু ডিজিট সেহেতু মনে রাখা কস্টকর। উপরের আইপিটি আইপি ভার্সন 4 কিন্তু আইপি ভার্সন 6 এর একটি আইপি 2401:f40:1008:35e:4500:973f:b6df:25cf দেখতে এমন। এবার ভাবুন সাইটের ডোমেইন না থেকে যদি এমন সব আইপি মুখস্ত করা লাগতো তাহলে কেমন ঝামেলা হত।

এ সমস্যা সমাধানের জন্য ডিএনএস ব্যবহার করা হয়। এটা একটা সার্ভার। যা একটা ডিকশেনারির মত কাজ করে। আপনি যখন google.com লিখে সার্চ করেন তখন এটি DNS এ যায়। তারপরে এর আইপি খুজে বের করে এবং গুগলের সার্ভার থেকে আপনার জন্য ডেটা নিয়ে আসে।

যেসব কারণে DNS (ডোমেইন নেম সিস্টেম) বিভ্রাট হতে পারে :

১. ডিএনএস ক্যাশ ডাটা পরিবর্তন:

ডিএনএসের বিষণ শেষ পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের ভুল ওয়েবসাইটে নিয়ে যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কোন ব্যবহারকারী একটি ওয়েব ব্রাউজারে “msn.com” লিখলো এবং তা আক্রমণকারীর দ্বারা নির্বাচিত একটি পৃষ্ঠা দ্বারা পরিবর্তন করা হল। যেহেতু ব্যবহারকারীরা সঠিক ডোমেন নাম টাইপ করছেন, সেহেতু তার পক্ষে বুঝতে পারা সম্ভব না যে সে ভুল ওয়েবসাইটটিতে ঢুকেছে। এটি আক্রমণকারীদের তথ্য পাচার সম্পর্কিত ফিশিং কৌশলগুলি ব্যবহার করার একটি নিখুঁত সুযোগ তৈরি করে। এছাড়াও ডিএনএসের বিষণ ক্যাশ আপোস এর মাধ্যমেও হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোন নেটওয়ার্ক রাউটারের ক্যাশে আপোস করা হয়, তবে যে কেউ এটি ব্যবহার করে প্রতারণামূলক ওয়েবসাইটের ভুল নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে। ভুল ডিএনএস রেকর্ডগুলি তখন প্রতিটি ব্যবহারকারীর মেশিনে ডিএনএস ক্যাশে অন্তর্ভুক্ত হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি বড় ডিএনএস সার্ভার আপোস করা যেতে পারে। এটি ইন্টারনেট সেবা সরবরাহকারীদের দ্বারা পরিচালিত ডিএনএস সার্ভারের ক্যাশেগুলিকে বিষাক্ত করতে পারে। যার প্রেক্ষিতে লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের ইন্টারনেট সেবা বিগ্নিত হতে পারে।

২. ডিএনএস Flood অ্যাটাক:

এটি ডিএনএস আক্রমণের অন্যতম প্রাথমিক ধরণ। এই ধরনের আক্রমনের ফলে ডিএনএস এর সেবা দেয়ার কার্যক্ষমতা কমে যায়। এই জাতীয় ডিএনএস বন্যার মূল লক্ষ্য হ’ল যাতে আপনার সার্ভারটি ওভারলোড করা যায় এবং এটি ডিএনএস এর অনুরোধগুলি সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে না পারে কারণ সার্ভার এর সমস্ত কার্যক্ষমতা অপ্রয়োজনীয় অনুরোধগুলি সেবা প্রদানে ব্যস্ত থাকে।

৩. ডিএনএস হাইজ্যাক আক্রমণ:

যদিও ডিএনএসের স্পোফিং শব্দটি প্রায়শই ডিএনএস হাইজ্যাকের সাথে বিভ্রান্ত হয় কারণ উভয়ই স্থানীয় সিস্টেম স্তরে ঘটে থাকে কিন্তু তারা দুটি ভিন্ন ধরণের ডিএনএস আক্রমণ। বেশিরভাগ সময় ডিএনএসের স্পোফিং বা ক্যাশে বিষক্রিয়ার মধ্যে আপনার স্থানীয় ডিএনএস ক্যাশে মানগুলি ভুয়া তথ্য দিয়ে ওভাররাইটিংয়ের সাথে করে পরিবর্তন করা হয়ে থাকে যাতে আপনাকে দূষিত ওয়েবসাইটে পুনঃনির্দেশ করা যায়। অন্যদিকে, ডিএনএস হাইজ্যাকিং (এটি ডিএনএস পুনঃনির্দেশ হিসাবেও পরিচিত) এই গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেম পরিষেবাটি হাইজ্যাক করার জন্য প্রায়শই ম্যালওয়্যার সংক্রমণ জড়িত। এই ক্ষেত্রে, স্থানীয় কম্পিউটারে হোস্ট করা ম্যালওয়্যারগুলি টিসিপি/আইপি কনফিগারেশনগুলিকে পরিবর্তন করতে পারে যাতে তারা কোন দূষিত ডিএনএস সার্ভারের দিকে নির্দেশ করতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত ট্র্যাফিকটিকে ফিশিং ওয়েবসাইটে পুনঃনির্দেশিত করবে। এটি যেকোন ডিএনএস আক্রমণ চালানোর অন্যতম সহজ উপায়, কারণ এতে জটিল কৌশল জড়িত না। তদুপরি, এই ধরণের আক্রমণ পরিচালনা করতে প্রচুর স্বয়ংক্রিয় স্ক্রিপ্ট রয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক মিলবে টেলিটক সিমে

Published

on

কোথাও টেলিটকের নেটওয়ার্ক নেই কিংবা তা দূর্বল তখন ওই এলাকায় বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কথা বলাসহ সব ধরনের মোবাইল সেবা পাবেন টেলিটক গ্রাহকরা।

আবার এই একই সুবিধা মিলবে বাংলালিংকের গ্রাহকের ক্ষেত্রেও। তারা ব্যবহার করতে পারবেন টেলিটকের নেটওয়ার্ক।‘ন্যাশনাল রোমিং’ নামে এই সেবা দেশে চালু করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এই সেবা চালুতে সম্মতি দিয়েছেন।ইতোমধ্যে বিটিআরসি এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালুর অনুমতি দিয়েছে।এরআগে ন্যাশনাল রোমিংয়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও অবকাঠামো শেয়ারিংয়ে দুই অপারেটর নিজেদের মধ্যে চুক্তিও সেরেছে। তারা পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা চালু করে কারিগরিসহ বিভিন্ন বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছে।

বিটিআরসি বলছে, ন্যাশনাল রোমিং আন্তর্জাতিক রোমিং সেবার মতোই একটি বিষয়। এতে একটি মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকরা দেশের কোনো এলাকায় তাদের নেটওয়ার্ক না পেলে কিংবা নেটওয়ার্ক দূর্বল হলে আরেকটি মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সব রকম মোবাইল যোগাযোগ সেবা নেবেন।

বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বলছেন, ‘বাংলালিংক-টেলিটক এখনও এই সেবার টেস্ট অ্যান্ড ট্রায়াল করছে। গ্রাহকের জন্য যেটা ভালো, এরকম কিছু আমরা সবসময়ই করি। এটাই আমাদের কাজ।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘অনুমতি বা লিগ্যাল দিক যেটুকু আছে, সেটুকু আমরা ওকে করে দিয়েছি। এমন বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের মতামত নেই, তিনি আমাদের সম্মতি দিয়েছেন এটি চালু করার জন্য।’‘টেলিটকের কারিগরি কিছু সমস্যা আছে, সেগুলো সমাধান করে তারা অপারেশনে যাবে।’ বলছিলেন মন্ত্রী।

মোস্তাফা জব্বার জানান, ‘এই ডমিস্টিক রোমিংয়ে দুই অপারেটরের উইন-উইন সিচুয়েশন হবে। যার যতটুকু নেটওয়ার্ক আছে সেই বিনিফিট তো পাবেই, যেখানে নেটওয়ার্ক নাই সেখানেই বেনিফিট পাবে। সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে দুই অপারেটরের গ্রাহকরা।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এটা টেলিটকের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটা দূর্বল নেটওয়ার্কের অপারেটরকে সবল নেটওয়ার্কে পরিণত করার সুযোগ এসেছে।’বর্তমানে সাড়ে চৌদ্দ হাজারের মতো টাওয়ার আছে বাংলালিংকের। টেলিটকের আছে ৬ হাজারের মতো। এই উদ্যোগের ফলে টেলিটক বাংলালিংকের টাওয়ারগুলোর নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়ে সারাদেশে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক নিয়ে হাজির হতে পারবে। একইভাবে বাংলালিংকও টেলিটকের টাওয়ারে। বিশেষ করে যেখানে যেখানে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক নেই বা দূর্বল, যেমন-সুন্দরবন, পার্বত্য চট্টগ্রাম, হাওর এলাকাগুলোতে।

যেভাবে এই নেটওয়ার্ক শেয়ারিং :হোম নেটওয়ার্ক (গ্রাহকের সিম যে অপারেটরের) না থাকলে ডমিস্টিক বা ন্যাশনাল রোমিংয়ের মাধ্যমে ওই নেটওয়ার্কের বাইরে ভিজিটিং নেটওয়ার্ক (গ্রাহক বিকল্প হিসেবে যে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হবে) ব্যবহার করে সংযুক্ত থাকবে গ্রাহক। এজন্য ভিজিটিং নেটওয়ার্কের ফ্রিকোয়েন্সি, এন্টেনা, র‌্যান, কোর সুইচিং নোডসসহ নেটওয়ার্কের মূল অবকাঠামো ব্যবহার করতে হবে । এর মধ্য দিয়ে গ্রাহক নিজের সিমে নেটওয়ার্ক না থাকার পর আরেকটি অপারেটরের নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হয়ে কথা বা মোবাইল সেবা নিতে পারবেন।বাংলালিংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এরজন্য তাদের প্রযুক্তিগত কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। তারা সফলতার সঙ্গেই পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা চালু করতে পারছেন।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেলিটকের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলছেন, তারা পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা যাচাই-বাছাই করছেন। তবে প্রযুক্তিগত কিছু চ্যালেঞ্জ তাদের রয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ টেকনোলজি অফিসার সুমন আহমেদ সাবির জানান, এখানে প্রযুক্তিগত তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। বাড়তি হিসেবে রোমিংয়ের কিছু সফটওয়্যার প্রয়োজন হবে, যার জন্য বড় বিনিয়োগ লাগবে না।পরীক্ষামূলকে কী ঘটেছে ?দুই অপাারেটর নিজেদের মধ্যে ভয়েস কল, এসএমএস, ইউএসএসডি সেবার ইনকামিং-আউটগোয়িং পরীক্ষা করেছে। যেখানে টেলিটক নাম্বার হতে বাংলালিংক নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হওয়ার সফলতার হার তুলনামূলক বেশি। যেমন একটি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় ;টেলিটকের নাম্বার হতে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক দিয়ে আউটগোয়িং ভয়েস কলে বাংলালিংক, রবি, জিপি, পিএসটিএন (বিটিসিএল), আইপিটিএসপি, এমএনপি, শর্টকোড (৯৯৯, ৩৩৩, ১০৬০৬) এবং আন্তর্জাতিক নাম্বারে সফলভাবে কল করা গেছে। সেখানে শুধু বাংলালিংক রোমিং নাম্বারে একটি কল সফল হয়নি।একইভাবে আউটগোয়িং এসএমএস, ইউএসএসডির ক্ষেত্রে সব ধরণের নাম্বারেই সফল ফলাফল এসেছে।ইনকামিং ভয়েস কলে বাংলালিংক, রবি, জিপি, পিএসটিএন (বিটিসিএল), এমএনপি এবং আন্তর্জাতিক নাম্বার হতে টেলিটক নাম্বারে আসার ক্ষেত্রে সফলতার হার কম দেখা গেছে। এতে টেলিটক, বাংলালিংক, পিএসটিএন (বিটিসিএল), এমএনপি এবং আন্তর্জাতিক নাম্বার হতে কল সফল হয়নি। এখানে এসএমএসের ক্ষেত্রে শুধু বাংলালিংকের রোমিং নাম্বারে যায়নি।বাংলালিংকের নাম্বার হতে টেলিটকের নেটওয়ার্ক দিয়ে আউটগোয়িং ভয়েস কলে বাংলালিংক, রবি, জিপি, পিএসটিএন (বিটিসিএল), আইপিটিএসপি, এমএনপি এবং শর্টকোড (৯৯৯, ৩৩৩, ১০৬০৬) নাম্বারে সফলভাবে কল করা গেছে। সেখানে শুধু টেলিটক রোমিং নাম্বারে একটি কল সফল হয়নি।

একইভাবে আউটগোয়িং এসএমএস, ইউএসএসডির ক্ষেত্রে একটি ছাড়া সব ধরণের নাম্বারেই অসফল ফলাফল এসেছে। সফল হওয়া একটি ইউএসএসডি নাম্বার হলো *১২১* ।ইনকামিং ভয়েস কলে বাংলালিংক, টেলিটক, টেলিটক রোমিং, রবি ও জিপি নাম্বার হতে বাংলালিংক নাম্বারে আসার ক্ষেত্রে সবগুলো চেষ্টাই অসফল হয়েছে। এখানে এসএমএসের ক্ষেত্রে বাংলালিংক, টেলিটক, টেলিটক রোমিং এবং জিপি নাম্বার হতে চেষ্টা করা হলে টেলিটক রোমিংয়ে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে ।

নীতিগত যা কিছু :ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ারিং গাইড লাইন-২০১১ এর ২.১ অনুযায়ী র‌্যান এবং কোর সুইচ শেয়ার অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ার। ন্যাশনাল রোমিংয়ে দেখা যাচ্ছে অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ার হচ্ছে। গাইডলাইনের ৩.১ অনুযায়ী অপারেটরগুলো শুধু প্যাসিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ার করতে পারবে।বিটিআরসি বলছে, অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ারিংয়ের গাইডলাইনের খসড়া সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। সেখানে এই অ্যাক্টিভ ইনফ্রাস্টাকচার শেয়ারের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।গ্রাহক পর্যায়ে কলরেট বা অন্য সেবার খরচ বাড়বে কিনা এমন জিজ্ঞাসায় বাংলালিংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, গ্রাহকের খরচ বাড়ুক এটা তারা চান না। দুই অপারেটর নিজেদের মধ্যে এই নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ের বাণিজ্যিক চুক্তি করবে, সেখানে কে কাকে কোথায় কত চার্জ সেটা আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক হতে পারে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বলছেন, ‘অপারেটর দুটি তাদের পরীক্ষামূলক সেবা চালুর প্রতিবেদন জমা দেয়নি। পরীক্ষার রিপোর্ট আমাদের দিক। এরপর আরও ওয়ার্কআউট করার রয়েছে, ট্যারিফের মতো বিষয় এখানে আছে।’

Continue Reading

Gadgets

রিয়েলমির নতুন ফোনে ২৪০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার

Published

on

চীনের হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রিয়েলমি এই প্রথম ২৪০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জারের ফোন আনছে। ফোনটির মডেল রিয়েলমি জিটি ৫।

নতুন ডিভাইসকে রিয়েলমি বলছে কিং অব অ্যানড্রয়েড স্মার্টফোন। কেননা, সাশ্রয়ী দামের এই ফোনে থাকছে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ক্যামেরা এবং বিপুল স্টোরেজ। এক ফোনেই ইউজারদের সমস্ত চাহিদা মেটাতে চলেছে রিয়েলমি। ফোনটিতে পাঞ্চ হোল ডিজাইনের ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে।

৬.৭৪ ইঞ্চি ডিসপ্লের এই ফোনে ১.৫ কে রেজুলেশন মিলবে। এর অ্যামোলিড প্যানেলে ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশ রেট পাওয়া যাবে।

এই ফোনে প্রসেসর থাকছে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেনারেশন ২ চিপসেট। ইন্টারনাল স্টোরেজ থাকছে ১ টেরাবাইট। র‌্যাম মিলবে ২৪ জিবি।

অ্যানড্রয়েড ১৩ অপারেটিং সিস্টেম চালিত এই ফোন কেনা যাবে দুইটি ব্যাটারি ভার্সনে। একটি পাওয়া যাবে ৪৬০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ার ব্যাটারি এবং ২৪০ ওয়াটের সুপারভোক ফাস্ট চার্জারে। অন্যটি কেনা যাবে ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ১৫০ ফাস্ট চার্জারেরর সঙ্গে। যা দুরন্ত গতিতে ব্যাটারিকে ০ থেকে ১০০ শতাংশ চার্জ করতে পারবে।

ফটোগ্রাফির জন্যও এতে রয়েছে বিশেষ আয়োজন, তিনটি ক্যামেরা সঙ্গে এলইডি ফ্ল্যাশ পাবেন এতে। ব্যাক প্যানেলে মূল সেন্সর হিসাবে ৫০ মেগাপিক্সেল লেন্স সঙ্গে ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স এবং ২ মেগাপিক্সেল সেন্সর পাওয়া যাবে এতে। ফোনের ফ্রন্টে সেলফি ও ভিডিও কলের জন্য মিলবে ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।

কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে থাকছে ৫জি, ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট। পাওয়া যাবে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।

ভারতীয় মুদ্রায় এই হ্যান্ডসেটের সম্ভাব্য দাম ৫৩ হাজার ৫০০ রুপি থেকে শুরু।

Continue Reading

Highlights

বাংলাদেশসহ ৪ দেশে অ্যান্ড্রয়েডে চ্যাটজিপিটি

Published

on

শুধু বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে চালু হয়েছে চ্যাটজিপিটির অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন। এ চারটি দেশে বসবাস করা যে কেউ এখন থেকে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করে ওপেনএআই-এর আলোচিত এ সেবাটি গ্রহণ করতে পারবেন। এর ফলে যেসব ব্যবহারকারীদের এতদিন কম্পিউটার কিংবা ওয়েবে যারা এ সেবাটি ব্যবহার করেছেন, একই অ্যাকাউন্ট মোবাইলেও চালু করতে পারবে। ফলে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে অতীতের সব কথোপকথনও অ্যাপের মধ্যে পাওয়া যাবে।

খবরে বলা হয়েছে, এ চারটি দেশের বাইরে অন্য কোনো দেশের মানুষ গুগল প্লে-তে গিয়ে অ্যাপটির জন্য প্রি-অর্ডার করতে পারবেন। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই খুব শিগ্গির আরও কয়েকটি দেশে এই সেবাটি চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই একযোগে নতুন কয়েকটি দেশে চ্যাটজিপিটির অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে কাজ করবে।

এ ছাড়া যারা আইফোন ব্যবহার করেন তাদের মোবাইলের আইওএস-এ অফিশিয়াল চ্যাটজিপিটি অ্যাপটি পাওয়া যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম্পিউটার বা ওয়েবে চ্যাটজিপিটি যেভাবে সব প্রশ্নের জবাব দেয় মোবাইলের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না। তবে মোবাইলের জন্য এর আলাদা ইন্টারফেস ডিজাইন করা হয়েছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের যে কোনো প্রশ্নের তাৎক্ষণিক উত্তর দিতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, যে কোনো বিষয়ে পরামর্শসহ এটি নানা ধরনের টিপসও দিয়ে থাকে এই সেবাটি। ২০২২ সালের নভেম্বরে এ সেবাটি চালু করা হয়।

Source : বাংলাদেশসহ ৪ দেশে অ্যান্ড্রয়েডে চ্যাটজিপিটি

 

Continue Reading

Trending