eCommerce

এক লাখ কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে অ্যামাজন

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
চলতি বছরেই আরও এক লাখ কর্মী নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন অনলাইন শপিং রিটেইলার অ্যামাজন ডটকম। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটি এই ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম।

করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষ ঘরের বাইরে বের হতে না পারায় প্রতিষ্ঠানটির সরবরাহ স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কয়েকগুন বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি বছর চতুর্থবারের মতো কর্মী নেয়ার এই ঘোষণা দিল জেফ বেজসের অ্যামাজন।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইনভিত্তিক এই খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে চলতি মাসেই (সেপ্টেম্বর) ১শ’টি নতুন ওয়্যারহাউজ ও অপারেশন্স সেন্টার চালু করা হবে।

এসব সেন্টারে কাজ করার জন্য পূর্ণ ও খণ্ডকালীন দুই ক্যাটাগরিতেই কর্মী নেয়া হবে যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় কাজ করবেন। গত জুনের হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৮শ’ জন কর্মী। এর বাইরে রয়েছেন চুক্তিভিত্তিক ও অস্থায়ী কর্মীরা।

এ প্রসঙ্গে অ্যামাজনের গ্লোবাল কাস্টমার বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট আলিসিয়া বোলার ডেভিস বলেন, পণ্য ও ক্রয়াদেশ বাছাই করা, প্যাকেট করা ও ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দেয়ার জন্যই নতুন করে আরও এত কর্মী দরকার। চলতি বছরের গত কোয়ার্টারে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব আয় বেড়েছে ৪০ শতাংশ।

প্রতিষ্ঠানটির গত ২৬ বছরের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ লাভ। একই সময়ে অ্যামাজনের করা নতুন ভবনগুলোকে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

বোলার ওই সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ক্রেতা সন্তুষ্টির জন্য যেখানে দরকার হবে সেখানে অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হবে। এমনকি দরকার হলে আমাদের সার্বিক অপারেশন্স ব্যবস্থাপনারও উন্নয়ন করবে।

এই মাসের শুরুতেই অ্যামাজন তাদের করপোরেট ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণের জন্য ৩৩ হাজার কর্মী নেয়ার ঘোষণা দেয়। এর আগে গেল মার্চ ও এপ্রিলে ১ লাখ ও ৭৫ হাজার কর্মী নেয় প্রতিষ্ঠানটি।

নভেল করোনাভাইরাসের দিনগুলোতে অধিকাংশ কোম্পানি যেখানে ধুঁকেছে, সেখানে অ্যামাজন হু-হু করে ব্যবসা বাড়িয়েছে। এখন তারা পণ্য সরবরাহ আরও দ্রুত করতে চায়।

মার্কিন জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, তিন দশক ধরে আমেরিকার শীর্ষ ধনীদের মধ্যে থাকা অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা বেজোস সবার আগে ২০০ বিলিয়ন ডলারের মালিক হয়েছেন। কোম্পানির ১৬ শতাংশ মালিকানা তার। ১৯৯৪ সালে সিয়াটলের একটি গ্যারেজে এই ই-কমার্সের কাজ শুরু করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Trending

Exit mobile version